ধর্মীয় উম্মাদনা ও উগ্রবাদ পৃথিবীকে অসহনীয় করে তুলছে।

লিখেছেন লিখেছেন মহিউডীন ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৪, ০২:৫৮:৩৪ দুপুর

কোন ধর্মে কি উম্মাদনা বা উগ্রবাদ আছে? ধর্ম মানুষের জন্য, মানুষ ধর্মের জন্য নয়।যে কোন ধর্মে রয়েছে শ্বাশ্বত নৈতিক শিক্ষা।সৃষ্টিকর্তার আইন মেনে চলা।যে কোন দেশের সংবিধানে দেখা যায় সৃষ্টিকর্তার কথা দিয়েই শুরু হয় যদিও অনেকের এলার্জি রয়েছে তার পরও তারা এ ব্যাপারে দ্বিমত পোষন করেনা।ধর্ম মানুষকে সঠিক রাস্তায় চলতে শিখায়।তবে এই সঠিক রাস্তাটি পাওয়ার জন্য জীবনের সর্বক্ষেত্রে ধর্মীয় বিধি বিধান জারি করার প্রয়োজন হয়।আংশিক পালন করলে আংশিক ফলাফল পেতে পারে তবে পূর্নতার জন্য সবকিছুকে জীবনের মধ্যে নিয়ে আসতে হয়।সমাজে মানুষ একা চলতে পারে না।সব মানুষের সাথে মিলেমিশে চলতে হয়।সৃষ্টিগতভাবে মানুষ আদি পুরুষ আদম আ; থেকে সৃষ্টি হয়েছে এবং পুরুষের বাম পাঁজরের বাঁকা হাড় থেকে স্ত্রীকে সৃষ্টি করা হয়েছে।কালের পরিক্রমায় বংশ বৃদ্ধি হতে থাকে।মানুষের মধ্যে বিভেদ তৈরি হয় যার যার চিন্তা ভাবনার কারনে।পৃথিবীতে প্রথম হত্মা-কান্ড সংঘঠিত হয়েছিল আদম আ: এর দুই পুত্রের মধ্যে-একজন আর একজনকে হত্মা করেছিল একজন মেয়েকে বিবাহ করা নিয়ে।তাদের একজনের কুরবানি আল্লাহ কবুল করলেন আর একজনের কুরবানি কবুল করলেন না।যার কুরবানি কবুল হলোনা সে তা মেনে না নিয়ে আর একজনকে হত্মা করলো।এখানে নৈতিক বিধান কি ছিল? যখন কেউ আইনের কাছে হেরে যায় তার উচিত আইনকে মেনে নেয়া।কিন্তু মানুষ তা করতে চায় না।এখানেই উম্মাদনা ও উগ্রবাদের জন্ম নেয়।সৃষ্টি লগ্ন থেকে এই উম্মাদনা সমাজকে ক্ষতবিক্ষত করে আসছে।গত শতাব্ধিগুলোতে শত শত হত্মা,বোমাবিস্ফোরন সংগঠিত হয়েছে পৃথিবীর অনেক অন্চলে।এর কারনগুলো বিশ্লেষন করলে কিছু তথ্য বেরিয়ে আসে।প্রথমত মানুষ তার ধর্মীয় আদেশ নিষেধ মেনে নিজের জীবনকে পরিচালনা করছেনা।এর প্রধান কারন হিসেবে চিহ্নিত করা যায় অনিয়ন্ত্রিত রাষ্ট্রশক্তি।আজকের পৃথিবীতে কোন রাষ্ট্রেই ধর্মীয় বিধি বিধানের আলোকে দেশ চালনা করছে না।মানুষ তাদের মস্তিষ্কপ্রসূত আইনদ্বারা দেশ চালনা করে।সেই আইনগুলোরও বাস্তবতা নেই অর্থাৎ আইনের শাসন নেই।কারন হলো যারা আইন প্রনেতা তাদের নৈতিক ভিত্তি নেই।যেখানে নৈতিক ভিত্তি নেই,সেখানে যত বড় আইন-ই তৈরি হোক তা সমাজে প্রতিফলিত হবে না।সেজন্য দেখা যায় একটির পর একটি ঘটনা ঘটছে এবং বড় ঘটনা ঘটছে।দ্বিতীয় যে কারনটি বলতে চাই সেটা হলো-সমাজে সর্বস্তরে সামাজিক বৈষম্য।সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টিতে কিছু চিরন্তন পার্থক্য আছে যা মানুষকে মেনে নিতে হয় পরকালের বিচারের কারনে।আল্লাহ মওত ও হায়াত সৃষ্টি করেছেন এজন্য যে,তিনি পরীক্ষা করেন তাদের মধ্যে কে তার কাজে উত্তম।আমরা যদি সততার সাথে জীবন যাপন করি তাহলে সামাজিক বৈষম্য থাকার কথা নয়।একজন যখন সৎ জীবন যাপন করে তখন তার মধ্যে কোন অনৈতিকতা স্হান পায় না।সমাজে পূঁজির আবির্ভাব হয়েছে একজন আর একজনকে শোষনের কারনে।সুদি কারবার এর মধ্যে একটি।আপনার টাকা আছে আপনি আর একজনের বিপদে কর্জে হাসানা দিন।আপনার যাকাত সঠিক হিসাব নিকাশ করে একজন গরীব-মিসকিনকে দিন যাতে আর সে কারো কাছে হাত না পাতে।আপনি আপনার ব্যবসায় মজুদদারি করবেন না যাতে বাজার ত্রাস সৃষ্টি করে।মানুষ এ রকম অনৈতিক কাজ করে এক শ্রেনি পুঁজিপতি হয় আর এক শ্রেনী নি:শ্ব হতে থাকে।এই বন্চিত শ্রেনী যখন নিষ্পেষিত হতে থাকে তখন তারা জেগে উঠার চেষ্টা করে।এর পরিনতি গড়াতে থাকে বিভিন্নভাবে।শোষক শ্রেনী ধন সম্পদে যেমন নিজেদের সমাজে প্রতিষ্ঠিত করে তেমনি তারা শিক্ষাদীক্ষায় ও নিজেদের আলাদা করে ফেলে অন্যদের চেয়ে।পক্ষান্তরে শোষিতরা পিছিয়ে যায় দু'দিক থেকে।তাদের একদিকে থাকে না ধনসম্পদ ও অন্যদিকে তারা শিক্ষা থেকে বন্চিত।এই বৈষম্য যখন প্রকট হয়ে উঠে তখন তারা আইনের উর্ধে উঠে যায় বাঁচার তাগিদে।তখন যত ভাল আইনই করা হোক তাতে রক্ষা পাওয়ার উপায় থাকে না।সেজন্য প্রয়োজন সমাজে সম্পদের সুষম বন্টন,শিক্ষা-স্বাস্হ-বাস্হানের সমনাধিকার নিশ্চিত করন ও নৈতিক ভীত গড়ে তোলা যা প্রতিটি সরকারের দায়িত্ব ও এক্ষেত্রে সরকারকে সৎ হতে হবে।

সমকালের ঘটনাটি যা কয়েকদিন আগে, ১৬ ডিসেম্বর ২০১৪ তে ঘটে গেল পাকিস্তানের পেশোয়ারে এবং তা নিয়ে আমরা যদি একটু ভাবতে শিখি তাহলে দেখবো তেহরিক-ই-তালেবানের হামলা কেন তারা করলো? যার ফলে ১৩২ জন ছাত্রছাত্রীসহ ১৪১ জন নিহত হয়েছে যাদের বেশির ভাগের বয়স দশ থেকে পনেরো বছর। এ ঘটনাকে ধর্ম বা অধর্মের মাপকাঠিতে আমাদের বিচার করা উচিত নয়।মানুষ হত্মা করা কোন ধর্মের মধ্যে নেই একমাত্র বৈধ কারন ছাড়া তাও ধর্মই শিখিয়েছে এবং রাষ্ট্রীয় আইনও সেক্ষেত্রে প্রচলিত আছে।একটির পর একটি অনৈতিক ঘটনা ঘটতে থাকবে আর আমরা নিন্দা করতে থাকবো? আমরা জানি বর্তমান বিশ্বে যে সমস্ত হত্মাজনিত ঘটনা ঘটে তার পিছনে সরকার গুলো বা বিভিন্ন সংগঠন জড়িত।পৃথিবীতে এই সংগঠন গুলোতে কারা জড়িত এবং তাদের উদ্দেশ্য কি? যদি ইসলাম কায়েম করতে হয় তাহলে তো ইসলামের পথ অনুসরন করতে হবে আর সেটা শিখতে হবে মক্কা এবং মদিনার অনুসরনে।রাসূল সা; কি ইসলাম কায়েমের জন্য সমাজকে রক্তাক্ত করেছিলেন? রাষ্ট্র কায়েম করতে কি এ রকম পথ অবলম্বন করেছিলেন? তিনি নিজে কি যুদ্ধ করতে বা কাউকে প্রতিহত করার জন্য গিয়েছিলেন? না, তিনি আগ্রাসনকে প্রতিহত করার জন্য সামনে এগিয়েছিলেন।নিজের থেকে কোন যুদ্ধ করেননি।তাহলে তালেবান এ ঘটনা ঘটাল কেন? তারা কী চায়? তারা কি ইসলামি শরিয়ার প্রয়োগ চায়? এ কাজ করতে হলে তাদের ইসলামের অনুসরন করতে হবে।রাসূলুল্লাহর আদর্শে তাদের জীবনকে শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে হবে।দেশের মানুষকে গড়ে তুলতে হবে।সৎ জীবন যাপনের দিক নির্দেশ করতে হবে।ইসলামের বারতা মানুষের মধ্যে প্রচার করতে হবে।মানুষকে শিক্ষিত করে তুলতে হবে। যখন এ রকম একটি গোষ্ঠি ও নেতৃত্ব সমাজে তৈরি হবে তখন আপনিই ইসলামি সমাজ কায়েমের দিকে যাবে।

পাকিস্তান সংবিধান প্রণয়নের পর থেকেই ইসলামি রাষ্ট্র।১৯৭৩ সালে প্রণীত পাকিস্তানের সংবিধানে আল্লাহর সার্বভৌমত্ব এবং জনগণের শাসনের কথা বলা হয়েছে। কুরান ও সুন্নাহ মোতাবেক আইন প্রণয়নের কথা বলা হয়েছে। সেখানে যাকাত আইন রয়েছে। সাক্ষ্য আইনে ইসলামি সাম্যের বিধান অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। চুরি, ডাকাতি, হত্যাদি এসব ক্ষেত্রে কুরআনের আইন জারি করা হয়েছে যদিও পালন হচ্ছে না।যদি এসব বিধান ভালোভাবে কার্যকরী না হয়ে থাকে, তাহলে তারা প্রচলিত আইনে রাজনৈতিক দল করে নির্বাচনে জিতে ক্ষমতায় আসতে পারে এবং তাদের ইচ্ছামতো পরিবর্তন শান্তিপূর্ণভাবে করতে পারে অযথা রক্তপাত না করে।রাসূল সা: মক্কী জীবনে ১৩ বছর ইসলামের দাওয়াত দিয়েছিলেন এবং তিনি ছিলেন সম্পুর্ন আলাদা।সমকালীন কোন দল বা গোষ্ঠীর সাথে ভাগাভাগি করে শাসন কায়েম করতে চান নি আর ইসলামের পথ এটি নয়।ক্বাবার চত্তরে ৩৬০টি মূর্তি সামনে রেখে নামাজ কায়েম করেছিলেন।মোশরেকরা অন্যায়ভাবে অত্যাচার করেছিল কিন্তু তিনি তার মিশন নিয়ে এগিয়ে গিয়েছিলেন।দাওয়াতের মাধ্যমে ইসলামের শক্তি বৃদ্ধি পেয়েছিল।তিনি কখনো কোন শক্তি প্রয়োগ করেননি।মানুষকে কষ্ট দেননি ও কাউকে অন্যায়ভাবে হত্মা করেননি ও আদেশও দেননি নিজের প্রবৃত্তি থেকে।যা করেছিলেন আল্লাহর নির্দেশে করেছিলেন।তাঁর সমস্ত কাজ ছিল শান্তিপূর্ন।আজকের বিশ্বে ইসলামে অসংখ্য দল কেন ও তাদের এজেন্ডা কি? তারা কি রাসূল সা: এর আদর্শ মেনে কাজ করছে? যদি করে থাকে তাহলে কেন তারা মানব হত্মার মত একটি অনৈতিক এজেন্ডা হাতে নিয়েছে? এ প্রশ্নগুলোর জবাব দেয়া কঠিন।তবে এখানে অসংখ্য দল রয়েছে যারা ইহুদি ও খৃষ্টানদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করার জন্য ইসলামকে সাইনবোর্ড হিসেবে রেখে মুসলমানদের মধ্যে ঢুকে পড়েছে যা তাদের কর্ম থেকে উপলব্ধি করা যায়।মুসলিমরা মধ্যপন্থি একটি সহজ সরল জীবন যাপনে অভ্যস্ত একটি জাতি।প্রতিটি জাতির সমন্বয়ে আজকে একটি চুক্তি হতে পারে যেভাবে করেছিলেন রাসূল সা: মদিনা রাষ্ট্র সৃষ্টির পর।তাঁর মৃত্যুর পর ৩০ বছর পর্যন্ত জনমত যাচাইয়ের মাধ্যমে ইসলামি শাসক নির্বাচিত হতেন যদিও তখন সীমাবদ্ধতার কারনে দেশ জুড়ে হতো না।আজকে বৈজ্গানিক উন্নতির কারনে দেশের একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে যোগাযোগ যেমন সহজ সে যুগে এত সহজ ছিলনা।ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্য দেশের আইনের মধ্য থেকে কাজ করতে হবে এবং যতটুকু সম্ভব ততটুকুই করতে।ধর্মীয় উম্মাদনা ও উগ্রতা থাকবে না।তালেবানরা যা করছে তা উগ্রপন্থি একটি কাজ যা ইসলাম স্বীকার করেনা।কিছু মানুষ মুসলিম বিশ্বে শক্তির জোরে পরিবর্তন করতে চায়, রক্তপাত ঘটায়, আত্মঘাতী হামলা করে। এদের সংখ্যা বেড়ে গেছে। তালেবান ছাড়াও, নাইজেরিয়ায় বোকো হারাম, উত্তর ইরাকের খিলাফতের দাবিদার গোষ্ঠী এবং আরো কিছু গোষ্ঠী এ ধরনের রয়েছে। এদের বিরুদ্ধে গোটা মুসলিম উম্মাহকে দাঁড়াতে হবে। শ্রেষ্ঠ আলেমদের দায়িত্ব হচ্ছে এদের বোঝানো।রাষ্ট্র শক্তিগুলো এক হয়ে তাদেরকে শক্তির মাধ্যমেই মোকাবেলা করতে হবে এবং তাদেরকে নিরস্ত্র ও আটক করতে হবে ও তাদের অন্যায় কাজগুলোকে ও তাদেরকে দমন করতে হবে শান্তিপূর্ন উপায়ে।

তবে দমননীতি বাস্তবায়ন করার আগে সরকারগুলেকে নিজদের নৈতিক ভীতকে মজবুত করতে হবে।তাদের উচিত সততার সাথে কারন গুলো খুঁজে বের করা।নিজেদের বুর্জুয়ার স্হানে রেখে,অন্যের অধিকার হরন করে,বিরোধীদের উপর দমনপীড়ন কোন নৈতিক ভীত নয়।মার্কিন ড্রোন হামলায় পাকিস্তানে হতাহতের পরিসংখ্যান যদি আপনাদের জানা না থাকে তাহলে নেটে গিয়ে খোঁজ খবর নিন।২০০৪ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে পাকিস্তানে সিআইএ পরিচালিত ড্রোন হামলা হয়েছে ৪০৫টি, তার মধ্যে ওবামার সময়ে হয়েছে ৩৫৪টি। হত্যা করা হয়েছে ২ হাজার ৪০০ থেকে ৩ হাজার ৮৮৮ জন মানুষ। এদের মধ্যে বেসামরিক লোক হচ্ছে ৪১৬ থেকে ৯৫৯ জন। শিশুদের সংখ্যা ১৬৮ থেকে ২০৪ জন। আর শিশুসহ আহতের সংখ্যা ১ হাজার ১৩৩ থেকে ১ হাজার ৭০৬ জন।সন্ত্রাস দমনের নামে একটি জনগোষ্ঠীর ওপর যখন সামরিক হামলা চলে, কিংবা ড্রোন বিমানে মৃত্যুর পরোয়ানা পাঠানো হয় তখন বেসামরিক মানুষগুলো নিহত হলেও সেটা অফিসিয়াল গণনায় আসে না। সেটা কোলেটারাল ডেমেজ। গণমাধ্যমও তা আড়াল করে। এই ধরনের হামলায় কতজন শিশু মরল তাদের নাম, ঠিকানা, চেহারা, ছবি তো দূরে থাকুক সংখ্যা হিসেবেও তারা গণ্য হয় না। এর নামই সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে অনন্ত যুদ্ধ। ইসলামে জঙ্গিবাদের স্হান নেই।কিন্তু যে সমস্ত দেশের রাষ্ট্র নায়কগন সার্বক্ষনিক জঙ্গিবাদের জিগির তোলেন তারা কি ভেবে দেখেছেন জঙ্গিবাদ তারাই সৃষ্টি করেন?মানুষ যখন তার অধিকার থেকে বন্চিত হয়,দিনের পর দিন না খেয়ে থাকে স্ত্রী সন্তান,শিক্ষা থেকে তারা বন্চিত হয় তখনি তারা হাতে তুলে নেয় অস্ত্র ও বোমার মত বিধ্বংসী জিনিস।সে নিজেও জানে না তার ভবিষ্যৎ কি?

একটি জনগোষ্ঠীকে নির্বিচারে হত্যা করতে চাইলে তাদের একটা খারাপ নাম দিতে হবে আর সেই নামটা হচ্ছে জঙ্গি। তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের নাম হচ্ছে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ। সেই জঙ্গিদের হত্যা করতে গিয়ে তাদের বেসামরিক নারী বা পুরুষ যদি মারা যায় সেটা বিবেচনায় নেয়া যাবে না। এমনকি শিশুরাও না। সেই যুদ্ধ কোনো নিয়ম-কানুন মেনে চলে না। তার অধিকার রক্ষার কোনো আন্তর্জাতিক আইন নেই। তারা যেহেতু আইনের বাইরে অতএব তাদের হত্যা আইনবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বলেও বিবেচিত হয় না। তারা সন্ত্রাসী। যে কোনো ছুতায় তাদের হত্যা করা যায়। কিন্তু তারা যখন পাল্টা আঘাত করে তখন আমাদের নীতি-নৈতিকতা, আবেগ, আইন, সামরিক বাহাদুরি, পাল্টা হত্যার তৃষ্ণা নিমিষে উথলে ওঠে।তবে তাদের ধ্বংস করার আগে তাদের অবস্হান, অতীত, বর্তমান অবস্হা কি? তাদের সামাজিক জীবনের সাথে অন্যদের সামাজিক জীবনের কোন পার্থক্য আছে কিনা তা পরখ করে দেখার প্রয়োজন।মানুষ হিসেবে তাদের বাঁচার অধিকার আছে,তেমনি আছে অন্যদের মতও বাঁচার অধিকার।সে অধিকার নিশ্চিত না করে তাদের নাম জঙ্গির খাতায় যতই লিখা হবে ততই তারা উগ্র হবে আর তারা ঘুমাতে দিবে না পূঁজিবাদের হোথাদের।সুতরাং জাতিকে বাঁচাতে হলে তাদের সুযোগ সুবিধাগুলো নিশ্চিত করুন তাহলেই ধর্মীয় উম্মাদনা ও উগ্রবাদ কমে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।

বিষয়: বিবিধ

১৩৬০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File