উঁইপোকা ধরা আত্মাটিতে প্রয়োজন আত্মশুদ্ধির ছাষবাস।
লিখেছেন লিখেছেন মহিউডীন ২০ ডিসেম্বর, ২০১৪, ০৪:০০:৩৩ বিকাল
সমস্ত প্রানীর যেমন একটি আত্মা রয়েছে তেমনি মানুষের ও রেয়েছে একটি।এটিই মানুষের আসল প্রান।এই আত্মাটি দেহ থেকে বেরিয়ে গেলে মাত্র তিন ঘন্টার মধ্যে পঁচন শুরু হয়ে যায়।তাহলে এই দেহটির যতই আমরা পরিচর্যা করি কোন মুল্য নেই আত্মাটি ছাড়া।সূরা ইসরার ৮৫ আয়াতে বলা হয়েছে," রুহ প্রভুর নির্দেশাদীন।" শিশু যখন মাতৃগর্ভে থাকে তখন আল্লাহর নির্দেশে ফেরেস্তা এই রুহ ফুঁকে দেন।আমরা যখন ঈমান নিয়ে আসি তখন আল্লাহ ও তার রসূল সা: এর উপর ঈমান নিয়ে আসি আর তখনি আমরা এক একজন মুসলমান হই।আবার যখন শুদ্ধ নামাজ আদায় করতে চাই তখন আমাদের সর্ব প্রকার পবিত্রতা অর্জন করতে হয়।অনেকে মনে করেন ওজু-গোসল করাই পবিত্রতা।হারাম রুজি রোজকার করে যে দেহটি গঠিত হয় সে দেহে কিছু পরিস্কার পানিতে বা মাটিতে ওজু বা তায়াম্মুম করে তারপর একটি যায়নামাজ বিছিয়ে নামাজ পড়াই কি নামাজের উদ্দেশ্য পূরন করে? যে ঘরের পিলারে উঁইপোকা বাসা বাঁধে সেই পিলারটি কিছু সময় যেতেই ভংগুর হয়ে যায়।যে আত্মাটি পবিত্রতার সাথে ইবাদত করলো না সে আত্মা আল্লাহর সান্নিধ্যে পৌঁছতে অপারগ।তাহলে দিনে রাতে এত অসংখ্য ইবাদত করে লাভটি কি হলো?
মানব দেহেরও ইবাদত আছে,আর সেটি হলো আত্মার পরিশুদ্ধির মাধ্যমে।যে পরিষ্কার যায়নামাজটিতে আমরা নামাজ আদায় করি আসলে সেটি আত্মার যায়নামাজ।পবিত্র যায়নামাজটির সাথে আত্মার সম্পর্ক আর পবিত্র আত্মার সাথে আল্লাহর সম্পর্ক।মানব জন্মের প্রধানতম উদ্দেশ্য আল্লাহ ও তার রাসূল সা: এর প্রতি গভীর মহব্বত,মানবহীতৈষি,দেশপ্রেম,ভ্রাতৃত্ব,স্নেহমমতা ও সহানুভূতি-এ সবের মুলে রয়েছে এই আত্মা।মানবদেহের ভিতরে ছোট একটি মাংসপিন্ড যাকে বলা হয় আত্মা।এই আত্মায় যখন উঁইপোকা বাসা বাঁধে তখনি সব ইবাদত হয় পন্ড।মানবদেহটি একটি আবরন মাত্র আসল হলো এই আত্মা।রাসূল সা: বলেন,জেনে রেখ মানবদেহে একটি টুকরো মাংসপিন্ড রয়েছে,যদি তা পবিত্র হয় পুরো দেহই পবিত্র।আর মাংসপিন্ডটি অপবিত্র হলে পুরো মানবদেহটিই অপবিত্র।মনে রেখ সেই অংগটির নামই আত্মা (ছহি বুখারি)। আলকুরআনে সূরা আশ্ শামসের ১০-১১ আরো গভীরভাবে এটিকে নিশ্চিত করে এভাবে, সেই সফলকাম যে নিজেকে পবিত্র করে এবং সেই ব্যার্থ যে নিজেকে কলুষিত করে।'
এই আত্মার ডাক্তার কে বা কিভাবে জীবিত থাকে? প্রথমত- আলকুরআন ও ছহি হাদিসের অনুশীলন এই আত্মা পরিচর্যার হাতিয়ার।দ্বীতিয়ত-হক্কানি আলেম ও উলামার অক্লান্ত পরিশ্রম উঁইপোকা ধরা আত্মাকে পবিত্র করার সহায়ক।মানবাত্মা যখন অপবিত্র হতে থাকে তখনি শুরু হয় যতরকম অনাচার ও অনিয়ম।এরই ধারাবাহিকতায় চলতে শুরু করে হত্মা,গনহত্মা,গুম-খুন,ধর্ষন,ব্যাভিচার,চুরি ,ডাকাতি,লুটপাট,সুদ-ঘুষ।আত্মা পবিত্র হলে কি খুন হতো পাকিস্তানে শিশু সহ ১৪৫ জন? শিশু শামিউল কেন খুন হবে গর্ভধারিনী মায়ের হাতে? কেন রাতের আঁধারে খুন হবে সাংবাদিক বাবা মা? কেন হবে সাত খুন? এরকম অসংখ্য গুম খুন হয়ে চলেছে দিনে রাতে।কারন একটি-ই,সমাজে নৈতিকতার কবর রচিত হয়েছে।আমাদের আত্মার ভিতর যায়গা করে নিয়েছে-কাম,ক্রোধ,লোভ,মোহ,পরনিন্দা ও পরশ্রীকাতরতা।নিয়তির পরিনতি,এক সময়ের শিশু হন পিতা মাতা,সে পিতামাতা জন্ম দেন সন্তান।লালন পালন করে গড়ে তোলেন সন্তানদের।তার পর বৃদ্ধের কোঠায় অবতীর্ন হতেই তাদের স্হান হয় বৃদ্ধাশ্রমে।কেন তাদের জন্য এই বৃদ্ধাশ্রম? কি অপরাধ তারা করেছে? অপরাধ তারা সন্তান জন্ম দিয়েছে।তাদের অপরাধ সন্তানকে বড় করে তুলেছে।হয়তাবা কেউ মানুষই করতে পারেনি বা সম্পদ করে দিতে পারেনি।এই অপরাধে কি তাদের প্রত্যাক্ষান করতে হবে? আলকুরআন সূরা নিসার ৩৬ আয়াতে বলেছে,'আমার ইবাদত করবে ও কোন শরীক করবে না আর পিতমাতের প্রতি সুন্দর আচরন করবে।' সূরা ইসরার ২৩-২৪ আয়তে একই কথা বলেছে এবং বলেছে পিতা মাতার যে কেউ বেঁচে থাকলে তাদের প্রতি "উহ" শব্দটিও করবে না।যাদের জীবনের ইতি না টানতেই সন্তান এ অবস্হা করে মৃত্যুর পর তারা স্মরন করবে কি?
চারদিকে নিত্যদিনে আত্মাগুলোর ভাগাড়ম্বর ও হুন্কার,অশ্লিল কথোপোকথন,ঘৃনা-বিদ্ধেষ,নিন্দা ও কুৎসা রটনা এবং প্রতিহিংসার আগুন জ্বলে চলছে।রাজনীতিতে উঁইপোকা ধরা আত্মা দেশপ্রেম ভুলে গিয়ে স্বৈরাচার পরিনত হচ্ছে।নিজেদের শক্তির জাগরনে ধরাকে সরা জ্গান করে চলছে।বিনয় ও সহনশীলতা বলতে কিছু আর মানুষ আশা করতে পারছে না।কারন সমাজে বিনয়ী আত্মার পরিচর্যা নেই।সমাজ সংস্কৃতিতে,ব্যাক্তি পরিবারে এবং জীবনের সর্বস্তরে নেমে এসেছে অন্যায় অবিচার ও দমন পীড়ন।তরুনদের একটি বিশাল অংস এখন মাদক সেবক ও অশ্লিতার আশ্রয়ে আশ্রিত।সে অর্থ যোগান দিতে হচ্ছে পরিবার প্রধানের রাজকোষ থেকে ইচ্ছায় ও অনিচ্ছায়।তাদের একটি বিরাট অংস চিন্তাই ও অপ-রাজনৈতিক কর্মতৎপরতায় লিপ্ত।আইন শৃংখলা বাহিনী গ্রেফতার করলেও কিছু সংখ্যক অনৈতিক কর্মকর্তা গ্রেফতার বানিজ্যে আয় করে বিশাল অংক।নিচুতলার মা বোন যাদের আমরা কাজের বুয়া বলে থাকি তারা নির্যাতিত হয়ে ঘরে ঘরে।পুরুষের সংগে পাল্লা দিয়ে অনৈতিকতায় নেমে পড়েছে সুন্দরি নারিরা যাদের আমরা দিনের আলোতে সমাজের উঁচু তলায় দেখি আর তারাই রাতের অন্ধকারে হয়ে যায় পাঁচতারার ললনা।ঘর থেকে তারা চলে যায় কর্মক্ষেত্রের নামে,কেউ বা স্কুল,কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে।সারা দেশের আবাসিক হোটেল গুলোতে চলছে এক রমরমা ব্যাবসা যার খবর মাঝে মাঝে বেরিয়ে পড়লেও মুসলেকা দিয়ে পার পেয়ে যায়।
সমাজে মর্যাদাহীন হয়ে পড়েছে মানুষ আর কৃত্রিম মর্যাদার পিছনে ছুটছে, সম্পদ ও পদবি আহরনের মাধ্যমে।অথচ আল্লাহ পাক সূরা হুজরাতের ১৩ আয়াতে মানুষের মর্যাদা তুলে ধরেছেন এভাবে,'ওহে মানবজাতি! আমরা তোমাদের সৃষ্টি করেছি পুরুষ ও নারী থেকে আর আমরা তোমাদের বানিয়েছি নানানজাতি ও গোষ্ঠীতে যেন তোমরা চিনতে পার।নিশ্চই আল্লাহর কাছে তোমাদের মধ্যে সবচেয়ে সম্মানিত সেইজন যে তোমাদের মধ্যে বেশী ধর্মভীরু।' বিনয়ী হওয়ার জন্য আল্লাহর ভয় বেশী প্রয়োজন।রাসূল সা: বলেন,আল্লাহ তায়ালা কোমল ব্যাবহার করেন,তাই সব ব্যাপারে তিনি কোমলতা পছন্দ করেন।যে ব্যাক্তি সুন্দর আচরন থেকে বন্চিত,সে কল্যান থেকে বন্চিত(বুখারি/মুসলিম)। আল্লাহ পাক সূরা নিসার ৮৬ আয়াতে বলেন,'আর যখন তোমাদের প্রীতি সম্ভাষনে সম্ভাষিত করা হয় তখন তার চেয়েও সম্ভাষিত কর বা তা ফিরিয়ে দাও।' আমরা মুসলমানরা যদি এই একটি আয়াতও মেনে চলতাম তাহলে সমাজ সুন্দর হয়ে যেতো? আমরা এখন কারো সাথে দেখা হলে অপেক্ষা করি সে সালাম দেয় কিনা? একজনের অকল্যান হয়েছে শুনে খুশি হই।আমরা মুসলমানরা আমাদের সঠিক যায়গাটি দখল করে কাজ করছি কিনা আমাদের ভেবে দেখা দরকার।পৃথিবী ব্যাপী যে জংগী হামলা গুলো হচ্ছে তার জন্য সরকার প্রধানদের পদক্ষেপ কি? জংগীরা কোন ধর্মের নয় সুতরাং তাদের শায়েস্তা করার জন্য শতাব্ধি ধরে কেউ এগিয়ে আসছে না কারন হলো এরা কোন না কোন দেশের বা রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় লালিত পালিত হচ্ছে।ইসলাম ধর্মের যে অতীত ঐতিহ্য রয়েছে তা কিছুটা ম্লান হতে চলেছে এক ধরনের ইসলামের অনৈতিক দল ও গোষ্ঠীর কারনে।যে কজাগুলো তারা করছে ইসলামের সাথে এগুলোর কোন সম্পর্ক নেই।এ ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাপী ইসলামের হক্কানী উলামাদের দায়িত্ব ইসলামের কাজগুলোকে তুলে ধরা যে,যারা ইসলামের নামে মানুষ হত্বা করছে,রাহাজানি করছে এরা ইসলামের শক্রু।যারা রাজনীতির নাম করে ইসলামকে সহিংস করে তুলছে তাদের সাথে ইসলামের কোন সম্পর্ক নেই, আলেমদের এ ব্যাপারে শক্ত অবস্হান নেয়া উচিত।পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে মুসলমানদের অনেক ক্ষোভ রয়েছে।বিশেষ করে পশিমারা মুসলমানদের সাথে যে প্রতারনা গুলো করে থাকে।ধরা যাক ফিলিস্তিনের কথা।১৯৪৮ সাল থেকে ফিলিস্তিন ইস্যুতে পশ্চিমাদের অন্যায় আচরনের ফলে সহিংসতার জন্ম নেয়।পশ্চিমারা প্রশ্নাতীতভাবে ফিলিস্তিনি জনগনের বিরুদ্ধে ইসারাইলের সব ধরনের নিষ্ঠুরতাকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে।দশকের পর দশক ধরে গাল্ফের ইস্যুগুলোতে তাদের দ্বৈতনীতিতে মুসলিমদের ক্ষোভকে আরো বাড়িয়ে দিয়েছে।সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের নামে আফগানিস্তানে আক্রমন এবং গনবিদ্ধংসী মারনাস্ত্র থাকার কারনে ইরাকে আক্রমনের ঘটনা ক্ষোভকে আরো তীব্র থেকে তীব্রতর করেছে।
কথা হলো পশ্চিমাদের অন্যায় অপরাধ আছে বিধায় আমাদের ধর্মীয় মুল্যবোধের অপব্যাবহার করা যাবে না।আমাদের আলকুরআন ও হাদিসের ভাসা ভাসা জ্গান থাকার কারনে আমরা মনে করছি যারা এই সন্ত্রাসী কাজগুলো করছে তারা ভাল-ই করছে।না ,এগুলো সমর্থনযোগ্য কাজ নয়।যখন সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে টুইন টাওয়ার ধংস করা হয়েছিল,তখন মুসলমানদের অনেকের মনে হাসি ফুটেছিল কারন তারা অনেক সময় মুসলমানদের অত্যাচার নিয়ে কথা বলতোনা।আমরা কি ভেবেছি? যারা টুইন টাওয়ারে প্রান দিয়েছিল তারা সব সাধারন মানুষ।এ ধরনের কাজ গ্রহনযোগ্য নয় কারন রাসূল সা: বলেছেন,'যে একজন মানুষ হত্বা করে সে পৃথিবীর সব মানুষ হত্বা করে আর যে একজন মানুষকে বাঁচিয়ে দেয় সে গোটা মানবজাতিকে বাঁচিয়ে দেয়।' এখানে কোন মুসলিমের কথা বলা হয় নি, পুরো মানবজাতির কথা বলা হয়েছে।মুসলিম জাতির মধ্যে চরমপন্থি আছে তবে ভাল কাজ করার জন্য।আমি অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলি বলে আমি একজন চরমপন্থি,আমি হত্বা ,খুন রাহাজানির বিরুদ্ধে কথা বলি বলে আমি একজন চরমপন্থি।আমি ইসলামের প্রতিটি কাজ ইসলামের আদর্শ মনে করি বলে আমি একজন ইসলামি চরমপন্থি।যারা ইসলামের উপর কালিমা লেপন করে তারা কখনো ইসালমিষ্ট নয়।সুতরাং এই অসৎ চরমপন্থিদের পক্ষে ইসলাম থাকতে পারে না।গত শাতাব্ধি ধরে যে সন্ত্রাসি কাজগুলো ঘটে আসছে তার বেশীর ভাগ করেছে অমুসলিম সন্ত্রাসীরা।এ সব সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে অনেক মুসলিম চিন্তাবিদরা কথা বলেছেন কিন্তু বেশীর ভাগ উলামারা কেন কথা বলছেন না? ২০০৪ সালে মাদ্রিদ ট্রেনে বোমা হামলায় ১৯১ জন নিহত হয়,লন্ডন আন্ডারগ্রাউন্ডে কয়েকদফা বোমা হামলায় ৫৩ জন নিহত এবং ৭০০ জন আহত হয়।২০০৮ সালে দিল্লীতে সিরিজ বোমা হামলায় ৩০জন নিহত ও ১৩০জন আহত হয়।মুম্বাইয়ে সিরিজ বোমায় ১৬৬ জন নিহত হয়।এ ছাড়াও পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে বিচ্ছিন্ন সন্ত্রাসী হামলা ঘটেই চলছে।গত এপ্রিলে বোকোহারাম একটি স্কুল থেকে ২৭৬ জন ভিন্ন ধর্মাবলম্বী ছাত্রী অপহরন করে নিয়ে যায়।তাদের জোর করে ইসলামে ধর্মান্তরিত করে।সেখান থেকে ৫৭ জন পালিয়ে যায়।এ সব বিষয়ে দেশগুলোর সরকার কোন পদক্ষেপ নেয় নি।মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় যে সমস্ত সন্ত্রাসী হামলাগুলো হচ্ছে তার জন্যও মুসলিম ওলামাদের বলিষ্ঠ কোন ভূমিকা দেখা যায় না।
তাহলে আমরা ধরে নিব আমাদের আত্মায় ঘুনে পোকায় স্হান করে নিয়েছে।আমাদের আত্মার চাষবাস যেভাবে হওয়া দরকার সেভাবে হচ্ছে না।আমাদের ব্যাক্তিগত ও সমষ্টিগত জীবনে,শিক্ষা ও সংস্কৃতিতে,সামাজিক আয়োজনে শান্তি প্রীতি ও মানব মরযাদার লালন অত্যাবশ্যকীয় হয়ে পড়েছে।পৃথিবীতে যেমন হৃতু বৈচিত্রে সরষ হয়ে উঠে তেমনি মনপাড়ায় শীত ও বসন্ত আসতে পারে।সেজন্য আমাদের উচিত, উঁইপোকা ধরা আত্মাগুলোর জমিতে আত্মশুদ্ধির ছাষবাস।এই চাষাবাস কোন মৌসুমি চাষাবাস নয়,এ একটি অনন্তর করে যাওয়া কাজ যা ফল দিবে এই দুনিয়ায় ও পরপারে।
বিষয়: বিবিধ
১১৭৮ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন