রাজনীতিবিদ ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের কারনে আমরা পিছিয়ে যাচ্ছি।

লিখেছেন লিখেছেন মহিউডীন ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৪, ০৫:১৩:৫৯ বিকাল

২০১৪ ইংরেজি বছরটা শেষ হচ্ছে।কিভাবে বছর শেষ হয় ও জীবন থেকে একটি বছর কেটে যায় ভাবতে অবাক লাগে।গত এই একটি বছরের শেষে এসে আমরা সবাই হাল-খাতার হিসেব নিতে ব্যাস্ত হয়ে পড়েছি।দুই/তিন মাস টানা দশ ঘন্টা কাজ করতে হচ্ছে অনেক প্রতিষ্ঠানকে।আবার ব্যাক্তি বিশেষে ও হিসাব নিকাশ করছে কার কত লাভ ক্ষতি হলো।কিন্তু স্মৃতির পাতায় কি ভেসে উঠে, বিগত জীবনটা আমরা কিভাবে কাটিয়েছি? ভাল মন্দের হিসাবটা যদি কষতে পারি তাহলে হয়ত বুঝতে সক্ষম হব আমরা নৈতিক দিকে কতটা উন্নতি করতে সক্ষম হয়েছি।

ডিসেম্বর আমাদের স্বাধীনতার মাস।আজ থেকে ৪৩ বছর আগে আমাদের স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছিল।সে যুদ্ধটি একটি মরনপন যুদ্ধ ছিল।সে যুদ্ধ যারা করেছেন এবং যারা সে যুদ্ধ দেখেছেন তাদের অনেকেই এখনো বেঁচে আছেন সৌভাগ্যবশত। কিন্তু সে যুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস বলতে পারবেন কেউ? কয়টা প্রামাণ্য চিত্র তৈরি হয়েছে, কয়টা নির্ভর ও পাঠযোগ্য সাহিত্য , উপন্যাস লেখা হয়েছে মুক্তিযুদ্ধ সম্বন্ধে? আমাদের এত টেলিভিশন চ্যানেল, হচ্ছেটা কি সেখানে? আগামি জাতির শিশুদের জন্য শিখার কি কোন সুস্হ বিনোদন আছে? কোন তথ্যবহুল আকর্ষনীয় অনুষ্ঠান হচ্ছে কি? প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা কারা সে তালিকাও আজ পর্যন্ত কেউ করতে পারে নি।একটি বিশেষ দিনে যথেষ্ট তথ্য দেয়ার সঙ্গতি যেখানে নেই, সেখানে একটি দিন নয়, গোটা মাস ধরে বেতারে আর টেলিভিশনে সাংস্কৃতিক ‘তাণ্ডব‘ চলে। মানুষের আবেগ আর অনুভূতি নিয়ে অর্থলোভী গোষ্ঠী যে কাজ করে সেটি স্বাধীনতার চেতনা নয়।মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে একধরনের ব্যাবসায়ি বুদ্ধিজীবি, রাজনীতিবিদ ও আমলারা যে ইতিহাস রচনা করছে ও ইতিহাসকে বিকৃত করছে তা জাতিকে কুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছে।এই যুদ্ধে কত লাখ লোক অংশগ্রহন করেছে তাও সঠিকভাবে আমরা বলতে পারছিনা।কেউ বলছেন তিন লাখ,কেউ বলছেন এক লাখ।সংখ্যাটি যা-ই হোক আমাদের স্বাধীনতা এসেছে এক সাগর রক্তের বিনিময়ে আর সে রক্ত দিয়েছে এদেশের খেটে খাওয়া মানুষ,বীর মুক্তিযোদ্ধারা ও অমিত সাহসী বুদ্ধিজীবিগন।এরা বন্চিত হয়েছে শতভাগ।এদের অনেকের পরিবারের এখনো মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই।আজ যে তিন লাখেরও বেশী মুক্তিযোদ্ধাদের সনদ দেয়া হয়েছে তারা কি সবাই আসলে মুক্তিযোদ্ধা? আমরা ইতিমধ্যে দেখেছি কতেক সচিবের নামে জাল সার্টফিকেট অর্জনের কথা।এরকম সার্টিফিকেট গত ৪৩ বছর ধরে অর্জন করেছে ভূয়া মুক্তিযোদ্ধারা।এ কাজটি হতো না যদি স্বাধীনতার পর প্রজেক্ট টি হাতে নেয়া হতো।যুদ্ধাপরাধীর ইস্যুটির ও একই অবস্হা।অনেক ধুম্রজাল তৈরি হয়েছে।যে বিচারটি হওয়ার কথা ছিল ৪৩ বছর আগে তা রাজনৈতিক ইস্যু তৈরি করে টেনে আনা হলো আজ পর্যন্ত।কারা এ কাজটি করলো? যারা ৪৩ বছর ধরে ক্ষমতায় ছিল তারা সবাই এজন্য দায়ী।সব সরকারের সময়ে বিচারের নামে যে প্রহসন তা চলে আসছে। দলবাজির এই তান্ডব সব সরকারের সময়ই বর্তমান ছিল ও আছে।এই দলবাজির কারনে তৈরি হয় দলীয় প্রশাসন।চাকুরি হয় দলীয় ভিত্তিতে,দলে তৈরি হয় সন্ত্রাসী ক্যাডার,প্রশাসনের সর্বোচ্চ পর্যায় সচিবরা পর্যন্ত ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদ ব্যবহার করে লাভবান হয়।এ সব কলকাঠি নাড়াচাড়া করে সংসদ নামক পবিত্র গৃহ থেকে।

আমরা ক্ষয়ে ক্ষয়ে এগুলেও আমরা অর্জন করেছি অনেক।কিন্তু এই অর্জনের পিছনে আমাদের সর্বস্তরের ভাল মানুষগুলোরই অবদান রয়েছে।আমরা ভংগুর একটি দেশ নিয়ে শুরু করেছি।আমাদের প্রচেষ্টায় আমরা এগিয়ে গিয়েছি অনেক।কিন্তু এখনো আমাদের অনেক অপূর্নতা রয়েছে।আমরা মাথাপিছু আয় তিন গুণের মতো বাড়িয়েছি, খাদ্য উৎপাদন সাড়ে তিন গুণের মতো করেছি, গড় আয়ুর প্রত্যাশা অনেক বাড়িয়েছি, শিক্ষার হারেও সফলতা অর্জন করেছি, শিশুমৃত্যুর হারে সাফল্য এনেছি। এভাবে অর্থনৈতিক ও সামাজিক সূচকে আমাদের অর্জন রয়েছে। তবু মনে রাখতে হবে, এই অর্জন ভঙ্গুর। যেমন বলা হয়ে থাকে, জাতীয় দারিদ্র্যসূচকের আলোকে বাংলাদেশের দারিদ্র্যসীমা ছিল ৭০ শতাংশ। সেটা কমে ২৫ শতাংশের নিচে নেমেছে। বক্তব্য সঠিক, কিন্তু বুঝতে হবে যে, এ হিসাব করা হয়েছে জাতীয় সূচকের ভিত্তিতে। আন্তর্জাতিক দারিদ্র্যসীমার হিসাব দেখলে, অর্থাৎ দৈনিক ২ ডলার পিপিপি মাথাপিছু আয়ের নিরিখে বাংলাদেশে দারিদ্র্যের হার এখনো ৮০ শতাংশের বেশি।আমরা যখন আনন্দ প্রকাশ করি যে জাতীয় দারিদ্র্যসীমা জাতীয় আয়ের ভিত্তিতে কমেছে, তখন আমাদের ভুলে গেলে চলবে না, আন্তর্জাতিক সূচকে আমরা এখনো অনেক পিছিয়ে। আমাদের জাতীয় আয়ের সূচকে বাড়িভাড়া ও স্বাস্থ্য খরচ ধরা হয়নি। বর্তমান দুনিয়ায় এই দুটি উপাদান দারিদ্র্য নিরূপণে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমানে বস্তিতে লোকের সংখ্যা বেড়ে গেছে, কিন্তু মানুষ না খেয়ে নেই। খেতে পাওয়া ছাড়া আরও যেসব জরুরি শর্ত আছে, সেগুলোর নিরিখে আমাদের আরও অনেক কিছু করার রয়েছে। সামগ্রিকভাবে আমরা একদিকে উৎফুল্ল হতে পারি, অন্যদিকে ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তারও কারণ রয়েছে।

যেভাবে সমাজে রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্বিত্তায়ন হচ্ছে সেটা একটি অবিরাম পদ্ধতিতে চলে আসছে।কখনো কম বা বেশি হয়েছে কিন্তু তা সমাজে বিদ্যমান।অপরাধ হচ্ছে কিন্তু আইনের শাসন নেই।তৃণমূল পর্যায়ে সাধারণ মানুষ আইনের শাসনের উপকার পায় না। তার একটা কারণ, আদালতে নালিশ করলে বিচার সহজে হয় না। এবং এটা করতে এত সময় লাগে, তখন বিচার প্রায় অর্থহীন হয়ে যায়। বিশেষ করে পুলিশের তথ্য দেখলে দেখা যায়, পুলিশ যেসব ক্ষেত্রে চার্জশিট দেয়, সেখানে বড়জোর শতকরা ২৫ ভাগ আসামি দণ্ডপ্রাপ্ত হয়। চার্জশিট তো সব মামলায় হয় না। সুতরাং এফআইআরের ভিত্তিতে দেখলে মাত্র ১০-১২ ভাগ আসামির বিচার হচ্ছে। এর অর্থ বাংলাদেশে অপরাধ করলে বিচার না হওয়ার আশঙ্কা ৮০-৯০ শতাংশ। পুলিশ ব্যবস্থায় দ্রুত পরিবর্তন না হলে এটা আরও বিস্তৃত হবে।দুর্বৃত্তদের কোনো দৃষ্টান্তমুলক সাজা হয় না। সাজা না হলে তো দেশ দুর্বৃত্তদের অভয়ারণ্যে পরিণত হবে। সু-শাসন প্রতিষ্ঠিত না হলে দেশের উন্নয়নের কথা চিন্তা করা যায় না।

বাংলাদেশে বর্তমানে যে ধরনের প্রতিষ্ঠান রয়েছে এ ধরনের প্রতিষ্ঠান ব্রিটিশরা এ দেশে প্রতিষ্ঠা করে গেছে। ব্রিটিশ শাসনের মূল ভিত্তি ছিল আইসিএস অফিসাররা। এক হাজার আইসিএস অফিসার দিয়ে তারা সারা ভারতবর্ষ শাসন করত। এই শাসনের মূল লক্ষ্য ছিল, উন্নতি হোক বা না হোক, দেশবাসীকে নিয়ন্ত্রণে রাখা। সেই নিয়ন্ত্রণে তারা রেখেছে, কিন্তু প্রকৃত অর্থে প্রতিষ্ঠানগুলো গড়ে তোলেনি। এ অবস্থায় সমরূপ কিন্তু কার্যক্ষমতাহীন—এমন একটি অবস্থায় সমাধান করতে হলে দেশীয় আবহাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে নতুন করে প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে হবে।বাংলাদেশে বর্তমানে যে আমলাতন্ত্র আছে, সেটাও সমরূপ কিন্তু কার্যক্ষমতাহীন—এমন একটি অবস্থা। বাইরে থেকে দেখতে মনে হয়, এটা সঠিক আমলাতন্ত্র। এখানে নিয়োগ হয় পাবলিক সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে, এখানে সরকারি কর্মচারীদের পদোন্নতি হয় আইন মেনে, আইন মেনে তাঁরা কাজ করে যান। কিন্তু আসলে এগুলো কোনোটাই সত্য নয়। কারণ হলো দুটি: প্রথমত, রাজনীতিবিদেরা আমলাতন্ত্রের সুশৃঙ্খল কাঠামো পছন্দ করেন না, এর সঙ্গে তাঁদের কাজ করতে অসুবিধা হয়। এর কারণে তাঁরা তাঁদের আধিপত্য খাটাতে পারেন না। দ্বিতীয়ত, সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে আগে একটা শৃঙ্খলা ছিল। এখন আমলাদের মধ্যেও ভাব চলে এসেছে যে, আমরা যদি রাজনীতিবিদদের সঙ্গে সখ্য স্থাপন করে এগিয়ে যেতে পারি, তাহলে অসুবিধা কোথায়! সুতরাং এখানে বিবেকবর্জিত সরকারি কর্মচারী এবং ক্ষমতালোভী রাজনীতিকদের মধ্যে একধরনের কোয়ালিশন হয়ে গেছে। বাংলাদেশের রাজনীতি যেহেতু দুই দলে বিভক্ত, সেহেতু দুই সারি কোয়ালিশন হয়েছে। আমরা দেখি, এক সরকার এলে পরে আগের সরকারের প্রিয়ভাজনদের চাকরি থেকে বের করে দেওয়া হয়। আবার আগের সেই সরকার ক্ষমতায় ফিরে এলে তাদের সব সুযোগ–সুবিধা ও পুরোনো পদোন্নতি দিয়ে ফিরিয়ে আনা হয়। এ অবস্থায় বাংলাদেশের আমলাতন্ত্রের রাজনৈতিকীকরণ সম্পূর্ণ হয়ে যাচ্ছে। এর ফলে ভালো লোকের পদোন্নতির উপায় নেই। এতে করে খারাপ লোকেরা সবকিছুর অগ্রভাগে চলে আসছে।

আর একটি বিষয় হলো আমাদের কূটনীতি বিদেশের সাথে বলিষ্ঠভাবে সমতা রাখতে পারছে না।বিদেশ নীতির একটি চিরন্তন পলিসি রয়েছে," সবার সাথে বন্ধুত্ব,কারো সাথে শক্রুতা নয়(Friendship to all , No enmity with others)।আমাদের মনে রাখতে হবে কূটনীতিতে কোনো চিরন্তন বন্ধু ও চিরন্তন শত্রু নেই। যদি চিরন্তন শত্রু-মিত্র থাকত, তাহলে আর কূটনীতির প্রয়োজন ছিল না। কূটনীতির দায়িত্বই হলো, যে শত্রু তাকে মিত্র করতে হবে, সবার সঙ্গে সখ্যের ভিত্তিতে দেশ পরিচালনা করতে হবে। কেউ তখনি কোনো দেশকে শত্রু মনে করবে, যেখানে কূটনীতি বন্ধ হয়ে গেছে।এমনকি কূটনীতি বন্ধ হলেও শক্রুতার মনভাব রাখা উচিত নয়।আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময় যুক্তরাষ্ট্র সরকারের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ ছিল। তেমনি প্রশ্নবিদ্ধ ছিল চীন সরকারের ভূমিকা। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের বেলায় বেসরকারি পর্যায়ে অনেক সাহায্য-সমর্থন পাওয়া গেলেও চীনের বেলায় সেটাও মেলেনি। কিন্তু চীন বা যুক্তরাষ্ট্র কারও বিরুদ্ধেই আমরা অভিযোগ মনে পুষে রাখতে পারিনি। কারন, পৃথিবীর বাস্তবতা হলো, এরা এখন বিশ্বের প্রথম ও দ্বিতীয় অর্থনীতি। এদের সঙ্গে আমাদের অবশ্যই কাজ করতে হবে। সে জন্য দীর্ঘ ৪৩ বছরে কূটনীতির প্রধান সাফল্য হচ্ছে, যে দেশগুলো বাংলাদেশের জন্মের বিরোধিতা করেছিল, তাদের সঙ্গে আমরা মিত্রতা স্থাপন করতে পেরেছি। সে জন্য আমাদের উচিত গ্লোবালি বন্ধুত্বের মাধ্যমে এগিয়ে যাওয়া, সরাসরি কোন সংঘাতের দিকে না যাওয়াই শ্রেয়।তবে অতি সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র কিছু কাজ করেছে, যেগুলো নিয়ে সরকার খুবই অসন্তুষ্ট। যেমন ৫ জানুয়ারির নির্বাচন যুক্তরাষ্ট্র চায়নি এবং দ্বিতীয়ত, জিএসপি সুবিধা তারা প্রত্যাহার করেছে। তৃতীয় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, পদ্মাসেতুর জন্য বিশ্বব্যাংকের অনুমোদন না পাওয়ার পেছনেও যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা রয়েছে। তেমনি এটাও সত্য যে, এ সময়ে টিকফা চুক্তিও সম্পাদিত হয়েছে এবং তারা বাংলাদেশকে বিভিন্ন সাহায্য দিচ্ছে বা আশ্বাস দিচ্ছে। চীনের সঙ্গে যদি বাংলাদেশের ভালো অর্থনৈতিক সম্পর্ক থাকতে পারে, তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গেও সম্পর্ক খারাপ হওয়ার কারণ নেই। দেশ গড়ার কাজ নির্ভর করে রাজনীতিবিদ ও দেশের সমগ্র প্রশাসনের উপর।প্রত্যেকে তাদের নিজস্ব যায়গায় সততার সাথে নিরলসভাবে কাজ করলে দেশ এগিয়ে যাবে।প্লেটোর রিপাবলিকে সক্রেটিসকে জিজ্গেস করার হয়েছিল দেশপ্রেম কি? তিনি বলেছিলেন,প্রত্যেকে নিজের যায়গায় কাজ করা।

আমরা দেশে যাদের শিক্ষিত জনগোষ্ঠি বলে দাবি করি তাদের কতভাগ মানুষকে শিক্ষিত করতে এগিয়ে আসছি।আমরা দলবাজি করে দেশকে রসাতলে নিয়ে যাচ্ছি।আমাদের কাজ হলো যে যার যায়গায় আছি,সেখানে থেকে ভাল কাজটি করে যাওয়া।সরকার ভাল কাজ করলে সহযোগিতা করে আর খারাপ করলে সবাই মিলে তাদের গনতান্ত্রিক উপায়ে জানিয়ে দেয়া।কিন্তু যে কোন ইস্যু তৈরি করে অবরোধ,জ্বালাও-পোড়াও করা,মানুষ হত্যা করা,বাস পোড়ানো,সম্পদ হানি কোন কল্যান নয়। এতে দেশের সম্পদ নষ্ট হয় ও জাতি পিছিয়ে যায়।রাজনীতিবিদ ও আমলারা যদি সৎ ও নিষ্ঠাবান হন ও আইনের শাসনের প্রতি পূর্ন আনুগত্য দেখান তখন আর করাপ্সন উদ্ভাবিত হবে না।সেজন্য মানুষের কল্যানের সরকার চাই আর চাই দক্ষ প্রশাসনিক কর্মকর্তাবৃন্দ যারা দেশেকে এগিয়ে নিয়ে যাবে সুন্দরের পথে।

বিষয়: বিবিধ

১২৫১ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

294266
১৪ ডিসেম্বর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৪০
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : সবার সাথে বন্ধুত্ব,কারো সাথে শক্রুতা নয়

এই নীতি এখন শুধু কাগজে কলমে!
মন্ত্রীরা যেসব ভাষায় কথা বলে যাচ্ছে, তাতে আর যাই হোক বন্ধুতা থাকছেনা।

ধন্যবাদ আপনাকে।
294335
১৪ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ০৯:২৩
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : আমলারা রাজনিতিবিদদের থেকে খারাপ। এটা মনে করার কোন কারন নাই যে বৃটিশ শাসনের দক্ষ(!) আমলারা কেবল মানুষের কথাই ভাবত। অন্নদাশংকর রায় বা আখতার হামিদ খান এর মত ব্যাতিক্রমরা তাই এই আমলা তন্ত্রে টিকতে পারেননি।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File