দূরবীন দিয়ে দেখছি বাংলাদেশ,অপার সম্ভাবনার সৃষ্টিবৈচিত্রে আমার সোনার বাংলা।
লিখেছেন লিখেছেন মহিউডীন ০২ ডিসেম্বর, ২০১৪, ০৩:৫০:৫৩ দুপুর
পন্চাশের কোঠায় এসে খুঁজছি আমি বিগত বছরগুলোর সেই সবুজের স্মৃতি।কি চমৎকার ও অদ্ভুৎ পাড়া গাঁ যা ছিল সবুজে ঘেরা। গ্রামের মেঠোপথ,সর্পিল রাস্তা,সবুজ ধানক্ষেত,সর্ষের বিস্তীর্ন হলুদ মাঠ,কৃষকের বাড়ির আন্গিনায় ধান মাড়াই,বাড়ির উঠোনে নবান্নের পিঠার আসর,বাড়ীর পাশে বাহারি শাকশব্জির বাগান,লাউ ও পুঁইশাকের মাচা,সন দিয়ে তৈরি রান্নাঘর,পুকুরের ঘাটলায় নববধুর লালপেড়ে শাড়ি পরা বাসন মাজনের দৃশ্য,ফেরিওয়ালার সেকেলের দই ও আইসক্রিম খাওয়া,শৈশব ছেড়ে বেড়ে উঠা কিশরীর মিষ্টি হাসি,মায়ের নিবিড় ভালবাসা,ভাইবোনদের কোলাহল,বসন্তের ভোরে কুকিলের ডাক,গ্রীষ্মের দখিনা সমীরনে অতি ভোরে আম কুড়ানো,সহপঠিদের সাথে লুকোচুরি খেলা,বর্ষার ভাংগা পানিপথ,রাস্তার দু'ধারে সবুজ ধান ও পাটের সমারোহ, কৃষ্নচূড়া ,কড়াই গাছ,আম কাঁঠাল ও কলা গাছ ও আমাদের আছে ছ'টি ঋতু।এই ঋতু দু'মাস পর পর পালা বদল করে নিয়ে আসে প্রকৃতির বিভিন্ন রুপ।সে জন্য আমাদের কৃষকেরা ফলায় হরেক রকমের ফসল।গ্রীষ্মের দাবদাহ শেষ হলেই বর্ষা নিয়ে আসে অঝোর ও আঁধারঘন বৃষ্টি বাদল,শরতের মেঘের ভেলা ও কাশবন মনকে উদাস করে,হেমন্তের পাকা ধান নিয়ে আসে গ্রাম বাংলার কৃষকের নবান্নের উৎসব,শীতে পিঠা পুলি , খেজুরের রস ও সবুজ তরি তরকারি আর বসন্তে শীতের কায়ক্লিষ্ট মানুষ ও প্রকৃতির পুনর্জীবন আমদের উজ্জিবিত করে নব উজ্জিবনে।
আমি গর্বিত যে আমি একজন বাংগালি এবং খাঁটি বাংগালি।আমি বেড়ে উঠেছি সুজলা-সুফলা,শস্য-শ্যামলা অবারিত সবুজের দিগন্ত বিস্তীর্ন ভূমিতে।আমার জীবনের একটি বৃহৎ সময় কাটছে আমার দেশের সীমারেখার বাইরে কিন্তু মায়ের ভাষার কমতি করেনি একবিন্দু এবং হৃদয়ে স্হান করেনি আয়েশি জীবন।আমার চোখ যতদূর যায় কেবল দেখি সবুজ আর সবুজের সমারোহ।১ লাখ ৪৭ হাজার ৫৭০ বর্গমাইলের বাংলাদেশে অসংখ্য নদীনালা,খাল বিল এঁকে বেঁকে চলছে।খাল বিল,নদী নালা শুকিয়ে গেলেও আমার হৃদয়ে এখনো জোয়ার ভাটা বয়ে যায়।মাঠে এখনো আমি দেখি বুক ভরা পানি।শাপলা ফুল ফুটে আছে মাঠ জুড়ে।মাঝি বয়ে যায় বরকনের পাল তোলা নৌকা আর সুরেলা গানে আমাকে এখনো মোহিত করে।পানিতে শত শত প্রজাতির মাছ।খাল ও ছোট নদীর বাঁকে জেলেরা বেয়াল জাল পেতে মাছ ধরে।ডাংগায় হাজার হাজার প্রজাতীর প্রানী ও শূন্যে পাখির পালের সাথে সাদা মেঘের ভেলা।গভীর বন বাদাড়ে ও বাগানে আম,জাম ,কাঁঠাল,ডুমুর,কামরাংগা,নারিকেল,আতা,পেয়ারা,গাব আরো কত ফলের সমাহার।পাখির কলরবে সকাল আবার পাখির কলরবে সন্ধা হয়।মানুষের একে অন্যের প্রতি উদারতা ও ভালবাসা মহান করেছে আমার সোনার বাংলাকে।লোকে বলে কোন কিছু ঠিক নেই।আমি বলি সব মিথ্যে।যেদিকে যাই সবই ঠিক আছে সেই বাংলার কোন কমতি নেই শুধুমাত্র রক্তখরন হয়েছে আমাদের হৃদয়ের।আমরা ভালবাসতে পারিনি,আমরা জয় করতে পারিনি,আমরা সংস্কার করতে পারিনি আমাদের মহান হৃদয়কে।
আমাদের নদীনালা আজ বইছেনা কেন? আমাদের হৃদয়ে আজ হাহাকার কেন? আমাদের মা বোনের ইজ্জত লুটছে কারা? আমাদের সংস্কৃতির এই দৈন্যদশা কেন? আমাদের শিক্ষার এই করুন অবস্হা কেন? আমাদের ছেলে-মেয়েরা আজ মাদকাসক্ত কেন? আমাদের রাজনীতির বেহাল দশা কেন? আমাদের কাজে,ব্যাবসা বানিজ্যে নৈরাজ্য কেন? এর একটিই জবাব আমাদের হৃদয় জরাগ্রস্ত,অসুস্হ ও রোগাক্রান্ত।এমনও তো মানুষ রয়েছে তাদের মুল্যবান সম্পদ লোভী বানাতে পারেনি এখনো পারছেনা।আমাদের দেশে এককালে কিছু আলোক রশ্মি ছিল যারা প্রজ্জলিত করে রেখেছিল ও মুক্তির সনদ নিয়ে স্বাধীন সার্বভৌম করেছিল এ সোনার বাংলাকে।এ দেশ এক সম্ভাবনাময় দেশ।এদেশে বহু মনীষী ও পর্যটকদের আগন ঘটেছিল কারন একটাই এই সোনার বাংলা।এ দেশের রুপসৌন্দর্য , এ দেশের সহজ সরল মানুষের বাস সুদূর থেকে আসা ওয়ালি আউলিয়াদের মুগ্ধ করেছে।ইবনে বতুতা কিং ফা-হিয়েনের মত পর্যটক হাজার হাজার মাইল পদব্রজে পাড়ি দিয়ে এদেশকে মোহিত করেছে।বিশ্বের মানচিত্রে বাংলাদেশ এক অমিত শক্তির দেশ যেখানে বাস করে ১৬কোটি মানুষ।এত মানুষের ভিড়ে,এত মানুষের মাঝে,শত কষ্টে তারা হাসে কি করে? আমি দূরবীন দিয়ে দেখি আমার দেশের সবচেয়ে বড় সম্পদ আমি নিজে ও আমার দেশের ১৬কোটি মানুষ যাদের রয়েছে ৩২ কোটি সবল হাত।দেশ বিদেশে যারা নিজেদের যোগ্যতার পরিচয় দিচ্ছে।আমাদের বড় শক্তি আমাদের তরুন সমাজ।তারা আজ জনসংখ্যার ৩০ শতাংশ।তারা একসময় যেমন অসাধ্য সাধন করেছে আজো তারা অদম্য শক্তির বলে চিনিয়ে আনছে আর্থিক প্রবাহ আর সুনাম।৫২,৬৯,৭১ কিংবা ৯০ এরাই ছিল সর্বাগ্রে।তারা রক্ত দিয়েছে ভোগ করেছে দেশের মানুষ।যারা রক্ত দেয় তারা ভোগ করেনা।যারা সাহস দেয় তারা বন্চিত করেনা।আমি সালাম জানাই সেসব অগ্রপথিক এ দেশের সন্তানদের যাদের রক্তের বিনিময়ে আজ আমরা মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছি।এ দেশে সৃষ্টি হয়েছে সৎ ও মেধাবান লেখক , কবি ও গবেষক ও বুদ্ধিজীবি যারা এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন সমাজ ও দেশকে।আমি আকুতি করে নিবেদন করছি আমাদের তরুনদের তোমরা এগিয়ে যাও একটি সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে।সমাজের জরাজীর্নতা ভেদ করে তোমাদের এগুতে হবে।তোমাদের বিভ্রান্ত হলে চলবেনা।তোমাদের একটি বিরাট অংশ এখন মাদকে আসক্ত,নেই পড়ার টেবিলে।তোমাদের কারো কারো করুন অবস্হা দেখে আমাদের রক্তক্ষরন হয়।এ পথে যারা তোমাদের ধাবিত করছে তাদের বিরুদ্ধে তোমরা রুখে দাঁড়াও।আমি দেখছি তোমরা এক অজানা পথে ফাঁড়ি দিয়ে চলছ।তোমাদের পূর্বশুরিদের দেখ কিভাবে রক্ত দিয়ে গড়ে দিয়েছে এদেশকে।তোমাদের পূর্বশুরি তারা নয় যারা ভন্ড ঠক,যারা তোমাদের উছিষ্ট দিয়ে গিলে ফেলছে এ রক্তিম সূর্যকে।তাদের যেখানে পাও পদদলিত কর। বুড়োরা তাদের শেষ সীমান্তে। তোমাদের মত দৈহিক শক্তি নেই তাদের কিন্তু মনের শক্তিতে এখনো তারা বলিয়ান।কেউ কেউ বলে তোমরা ক্ষয়িষ্নু তরুন সমাজ।না আমি তাদের বিরুধিতা করি।তোমরা ফিরে আসতে পার নতুন উদ্যমে।দেশের অগ্রগতিতে তোমাদের অবদান স্পষ্ট হচ্ছে।তোমরা সকল মিথ্যাকে গুড়িয়ে দিয়ে একটি সমাজ বিপ্লব ঘটাতে পার আর সে বিপ্লব সমাজ গড়ার বিপ্লব,সৎ সমাজ গড়ার বিপ্লব,মানুষের মুখে হাসি ফুটানোর বিপ্লব,মানুষকে স্বশিক্ষিত করার বিপ্লব ও রাজনীতির মাঠে সৎ নেতা গড়ার বিপ্লব।তোমাদের হাতেই ভবিষ্যৎ গড়ার সব স্বপ্ন নীহিত।কোন অপশক্তি তোমাদের রুখতে পারবেনা।তোমাদের হতে হবে সত্যিকারের নেতা। যদি সত্যিকারের নেতা হতে হয় তাহলে সে মানবে নিজেকে,নিজের বিবেক ও বিচার বুদ্ধিকে ও নিজের ভীতরের আসল মনুষ্যত্বকে।নেতা কোন বিশেষ মানুষ নয়,নেতা হলো অনেক মানুষের সমষ্টি।যে মানুষের মধ্যে অনেক মানুষ আসে সে হলো নেতা।
কি না আছে আমার সোনার বাংলায়? আমাদের পর্যটন শিল্প হতে পারে এক সম্ভাবনাময় শিল্প।সারা দেশজুড়ে রয়েছে পর্যটনের এক অপার সম্ভাবনা।সিলেট, চিটাগাং,রাজশাহী ও খুলনার বিশেষ এলাকা আমাদের দেখিয়ে দেয় প্রাকৃতিক নৈসর্গিক দৃশ্য।কক্ক্স বাজারে রয়েছে বিশাল সমুদ্র সৈকত।রয়েছে কুয়াকাটা,মনপুরা,সেন্টমার্টিন।সিলেটে রয়েছে জাফলং ও নীলগীড়ির মত প্রাকৃতিক নৈসর্গিক সৌন্দর্য।দীর্ঘ পথ হেটেও কোন ক্লান্তি নেই।কোথাও বনবাদাড়,বনপশু,চা বাগান আবার কোথাও লেক এবং সমুদ্রের অবিরাম ঢেউ,কোথাও ম্যানগ্রোভ জংগল।আবার দক্ষিনান্চলে সুন্দরবন যেখানে রয়েছে হরিন,রয়েল বেংগল টাইগার,কুমির, বানর ও অন্যান্য বনপশু এবং বিভিন্ন প্রজাতির মাছ।এদেশের মাটির নিছে লুকিয়ে আছে তেল,গ্যাস ,কয়লা ,চুনাপাথর,তামা,লোহা গন্ধক,নুড়িপাথর ,শক্ত পাথর বা বালি।আমরা এখনো কাজে লাগাতে পারিনি এগুলোকে।কারন আমরা এগুনোর পথকে প্রশস্ত করছিনা।আমরা দেশাত্মবোধে জাগ্রত হচ্ছি না।আমরা নির্ভর করছি এমন দেশগুলোর উপর যারা কিছুকাল আগেও অপাংক্তেও ছিল ও ছিল রিক্ত।পৃথিবীর কোথাও আছে কেউ আমাদের হারাবে? মানুষ ছুটে চলছে ৪৫/৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস যুক্ত গরমের দেশে বা ০ ডিগ্রি হিমান্কের নিছের দেশগুলোতে মাত্র সামান্য কিছু আহরনের জন্য।আমাদের মেধাগুলো ধার নিয়ে তারা অর্জন করছে অনেক কিছু।আমাদের দেশে নবেল বিজয় করে নিয়ে এসেছেন ড: মুহাম্মদ ইউনুছ এবং সর্বকালের ত্রিশ জন শিল্প উদোক্তাদের মধ্যে একজন কিন্তু তাকে আমরা কাজে লাগাতে পারিনি।আমাদের দু'ই সহদর আর্সেনিক দূরিকরনে বিষ্ময়কর প্রযুক্তি 'সনো ফিল্টার' উদ্ভাবন করে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল একাডেমি পুরষ্কার জিতেছেন মিলিয়ন ডলার।আমেরিকার চুম্বক চালিত ট্রেন আবিষ্কার করেছেন তিনিও আমাদের বাংগালি।টুইন টাওয়ারের নঁকশাও এঁকেছিল এক বাংগালি।হিমালয় পর্বত বিজয় করেছেন ২জন পুরুষ ও ২ জন মহিলা।বাংগালীর মেধা লালন করার মত প্রতিষ্ঠান আমরা গড়ে তুলতে পারিনি।যারা উঠে আসছেন তা নিজেদের চেষ্টায়।আমাদের তরুন উদোক্তাদের কেউ কেউ দেশে এমন সব প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলছে যা আমাদের উন্নতির দিকে নিয়ে যাচ্ছে।আজো শহরে গ্রামে অনেক শিল্প জাগ্রত হয়ে আমাদের আর্থিক কাঠামোকে দৃড় করছে। চা,চামড়া,সিরামিক,সবজি,ফল,কুটিরশিল্প,মৎস,মৃৎশিল্প ,জাহাজ নির্মান শিল্প,গার্মেন্টস ও জনশক্তি রপ্তানী করে আমরা এক বিশাল বাজার সৃষ্টি করছি।আমাদের অযোগ্যতা ,অদূরদর্শিতা,সঠিক সিদ্ধান্থীনতা ও প্রবল অনৈতিকতার কারনে আমরা পিছিয়ে যাচ্ছি।কিন্তু আমরা আর পিছিয়ে যেতে চাইনা।আমরা পৃথিবীর সাথে লড়াই করে বেঁচে থাকতে চাই আর সে লড়াই হলো প্রতিভা বিকাশের লড়াই।আমরা কি আমাদের ঘরে ঘরে প্রতিভা তৈরি করতে পারছি? না আমরা পারছিনা। আমাদের শিক্ষা এখন এক ভংগুর শিক্ষার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।আমাদের স্কুল ,কলেজে ও বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিভা তৈরি করছে না।যে শিশুর ভোরে উঠবে তার চিরায়ত হাঁসি নিয়ে সে শিশুর পিঠে বই এর বস্তা।স্কুলে যাওয়ার আগে তিন বছরের শিশুকে কিনডারগার্টেনের দ্বারস্হ হতে হচ্ছে তা নাহলে ভাল স্কুলে পড়তে পারবেনা।নামি দামি স্কুলে পড়ার জন্য জীবনের প্রথমে কচি মনটিকে গুড়িয়ে দেয়া হচ্ছে প্রতিভা তৈরিতে।সকাল থেকে রাত ন'টা পর্যন্ত তার কোন রেষ্ট নেই।একটির পর একটি শিক্ষক বা কোচিং।ভাল স্কুলে ভর্তি হলেও প্রতি সাবজেক্টে কোচিং যা পৃথিবীর কোথায় নেই।এতে সমাজে তৈরি হচ্ছে এক অসুস্হ প্রতিযোগিতা।শুধু তা-ই নয় দাম্পত্য জীবনে ঘটছে মনোমালিন্য।শিশুকে স্বাভাবিক জীবন দিন,স্বাভাবিক ভাবে বেড়ে উঠতে দিন।তার মেধায় যেখানে টিকে সেখানেই পড়তে দিন।এতে তার মেধা তৈরি হবে ও প্রতিভার বিকাশ ঘটবে।কচিমনে প্রেসার দিতে গিয়ে অনেকের হিতে বিপরীত হয়।লাখ লাখ জিপিএ পেয়ে কোন লাভ নেই প্রকৃত মেধাই উত্তীর্ন হবে এবং বয়ে আনবে আপনার প্রশান্তি।আপনার আমার ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা আমাদের সন্তান।তাদের যোগ্য করে গড়ে তুলতে না পারলে সমাজ অস্হির হবে যা আজকে আমাদের প্রমান করছে।সামাজিক কুসংস্কার,অপসংস্কৃতি,অসৎচিন্তা চেতনাকে রোধ করতে হলে সবাইকে সামনে এগিয়ে আসতে হবে।মেধার মুল্যায়ন ,কাজের বাজার সৃষ্টি,সৎ চিন্তা চেতনাকে জাগরিত করে অপরাধমুক্ত সমাজ তৈরি করলেই আবারো বৈচিত্রময় সোনার বাংলা আমরা দেখতে পাব।আমি স্বপ্ন দেখি,দেখতে থাকবো , দূরবীন দিয়ে সূদুর থেকে সবুজের ঝাড় ও মেঘলা আকাশের দৃশ্য দেখবো। পাখির কলকাকুলির শব্দ শুনবো।পালকিতে নববধুর মুখ দেখবো। হেমন্তে কৃষানীর ধান বানার চিত্র দেখবো। আমার বন্ধু রহিম ভালবাসুক , কটাক্ষ করুক বা উল্টোরথে চড়ে জীবনকে বিকিয়ে দিক তাতে আমার একটুও বয়ে যাবে না।
বিষয়: বিবিধ
১৩৬৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন