সমাজ বিনির্মানের হাতিয়ার যদি নারী ও পুরুষ হয় তাহলে নারীর উপর নির্যাতন কেন?
লিখেছেন লিখেছেন মহিউডীন ২৮ নভেম্বর, ২০১৪, ০৬:১১:১২ সন্ধ্যা
সমাজ বিনির্মানের হাতিয়ার যদি নারী ও পুরুষ হয় তাহলে নারীর উপর নির্যাতন কেন?
সামাজিক ও পারিবারিক জীবনে নারীরা কোনো না কোনোভাবে এত বেশী নির্যাতিত হচ্ছেন যা প্রতিদিন কাগজে ভেসে উঠছে।জানা অজানা এমন মানুষগুলো কত যে বিচিত্র পন্থায় অহরহ সহিংসতা ও ধর্ষণের শিকার হচ্ছেন কিন্তু এর কোন বিচার হচ্ছে না।সবাই যেন চোখ বুজে দেখছে,প্রতিবাদ করার মত সাহসী মানুষ কোথাও গর্জে উঠছে না।আইনশৃংখলা বাহিনী মানুষের কল্যানের জন্য হলেও মানুষ সেখানে যেতে ভয় পাচ্ছে কারন কোন সুবিচার পাচ্ছেনা।নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের ‘এইসব দিনরাত্রি’র টুনিখ্যাত নায়ার সুলতানা লোপার আত্মহত্মার কাহিনী মাত্র কয়েকদিনের।তার মা রাজিয়া সুলতানা শুক্রবার বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, পুলিশের সুরতহাল ও ডাক্তারের ময়নাতদন্ত রিপোর্টের মধ্যে অনেক গরমিল রয়েছে।যার কারণে প্রথমবার করা ময়নাতদন্তে প্রকৃত ঘটনা উঠে আসেনি। রাজিয়া সুলতানা বলেন, তার আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত লোপার লাশ কবর থেকে উত্তোলন করে দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন। দ্বিতীয়বারের ময়নাতদন্তে যাতে প্রকৃত ঘটনা উঠে আসে সেই দাবি জানান তিনি।রাজিয়া সুলতানার দাবি, মাদকাসক্ত ও পরকীয়ার কারণে তার মেয়ে লোপাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে আলী আমিন। গত ২০০০ সালে আলী আমিনের সাথে বিয়ে হয় লোপার। গায়ে হলুদের দিন একজন পুলিশের মাধ্যমে তার পরিবার জানতে পারে ধনীর দুলাল আলী আমিন মাদকাসক্ত। কিন্তু অনুষ্ঠান এতদূর গড়িয়ে যায় যে, ওই সময় বিয়ে বন্ধ করা সম্ভব হয়নি। ধারণা করা হয়েছিলো আলী আমিনকে শোধরানো যাবে। কিন্তু সেটাও সম্ভব হয়নি। মাদকাসক্ত ও পরনারীর প্রতি আসক্তির অভ্যাস পাল্টেনি তার। সম্প্রতি সাজ নামে আমেরিকা প্রবাসী এক মেয়ের সাথে ফেসবুকের মাধ্যমে পরকিয়ায় জড়ায় আলী আমিন। সাজ দেশে আসলেই আমিনের বাসায় চলে আসতো। সারা রাত দুজন এক সাথে থাকার পর ভোরে সাজকে গাড়ি দিয়ে তার মায়ের বাসায় পাঠিয়ে দেয়া হতো।আলী আমিনের একাধিক পরকীয়ার বিষয় ধীরে ধীরে লোপার কাছে স্পষ্ট হতে থাকে। যা সহ্য করতে পারেনি আলী আমিন। যার কারণে সুযোগ বুঝে পরিকল্পিতভাবে লোপাকে হত্যা করে লাশ ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে।রাজিয়া বলেন, আত্মহত্যা করলে গলার হাড় ভেঙ্গে যেত কিন্তু সেটা ভাঙ্গেনি। ঝুলন্ত অবস্থায় লোপার কোমরে ওড়না বাধা ছিলো। কেউ নিজে ফাঁস দিলে তার কাপড় কোমরে পেচানো থাকার কথা না। পুলিশের সুরতহাল রিপোর্টে হাত, কনুই ও গলায় আঘাতের চিহ্ন থাকার কথা স্পষ্ট উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু ময়নাতদন্ত রিপোর্টে তার পুরোটাই চেপে যাওয়া হয়েছে।রাজিয়া সুলতানা অভিযোগ করেন, আলী আমিন ও তার পরিবার বিপুল পরিমাণ অর্থ ও প্রভাব খাটিয়ে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাল্টে দিয়েছে।
এ রকম ঘটনা ঘটেই যাচ্ছে অহরহ।প্রশাসনকে চোখে আংগুল দিয়ে দেখানোর পরও সমাজে মানুষ বিচার পাচ্ছে না।সমাজে এমন পঁচন ধরেছে যে কারো এখন কথা বলার অধিকার থাকছে না।একটা বিপদ আসলে মানুষ কোথায় যাবে? কাকে বলবে? ভেবে পায় না, মোটকথা দিশেহারা হয়ে পড়ে।একশ্রেণির বখাটে যুবক নারীর প্রতি অন্যায় ও অশোভন আচরণ করে থাকে।ফেস বুককে সামাজিক মাধ্যম বলে চালিয়ে দিয়ে আজ ছেলে মেয়ে কিভাবে তাদের জীবন ধংস করছে তার কোন হিসাব নেই।অনলাইনে যৌন সুড়সুড়ি দিয়ে এক শ্রেনীর সংবাদ মাধ্যম হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা।তারা কখনো ভাবে না আমরা জাতিকে ধংসযজ্গে নিয়ে যাচ্ছি।এখন ছেলেমেয়দের বাবা মা ঠিকপথে পরিচালিত করতে ব্যার্থ হচ্ছেন কারন কতক্ষন দেখে রাখা যায়।মোবাইলে ইন্টারনেট থাকায় এখন ছেলে মেয়েদের নিয়ন্ত্রন করা যায় না।রাত জেগে তারা যোগাযোগ করে ফেস বুকে।সেক্ক্স সাইট ও পর্নোসাইট বুঝে না এমন কোন উঠতি বয়সের ছেলে মেয়ে খুঁজে পাওয়া যাবে না।যে সমস্ত অনলাইন এ সব ব্যাবসা করছে এর সঠিক হিসাব তথ্যমন্ত্রনালয়ের কাছে কিনা আমার জানা নেই।যদি থেকে থাকে তারা এর বিরুদ্ধে ব্যাবস্হা নিচ্ছে না কেন? অলাইনের কোন নীতিমালা আছে কিনা? তারা যে কোন তথ্য,মিথ্যাচার,বানোয়াট খবর প্রচার করে দিচ্ছে,অথচ এসব দেখার কেউ নেই।লিখার প্রয়োজনে খবর পড়তে গিয়ে আমাকে অনুসন্ধান করতে হয় কে কি খবর প্রচার করছে।রীতিমত আমি বিস্মিত হয়ে যাই।শুধুমাত্র বিস্মিত হই না বিরক্তিও এসে যায় এ সব দেখে।তবুও মানুষকে তো সজাগ করতে হবে,জানাতে হবে।যদি কিছু মানুষ এর দ্বারা উপকৃত হয় তাহলে নিজেকে স্বার্থক মনে করবো।
এ সব নিউজ সাইটের কিছু খবর যেমন-'বাবাকে চিনিনা আমি ধর্ষনের ফসল' তরুনী রোগীকে অজ্গান করে একি করলেন ডাক্তার'মীমের পর নগ্ন ভিডিও সারিকার' 'মা ও মেয়ের এক স্বামী' 'চিলি জিতলেই টানা ২৬ ঘন্টা যৌনতার সুযোগ' 'সেক্সের সময় যে ভুলগুলো হয়ে থাকে' 'অর্থের জন্য হোটেলে কলেজ ছাত্রী' '২০০ নারিকে যৌন মিলনের আহ্বান এক যুবকের' 'যৌন উত্তেজনা হলেই পোশাক খুলে পড়বে' 'সেক্ক্স বিষয়ে তিনটি সত্য কাহিনী' 'শাশুড়ির কারনে ডিভোর্স' 'নারীর অপছন্দের পুরুষ' 'বিগ বসে এবার দুদু দেখাবেন তসলিমা' 'যা হলে মেয়েদের যৌবন শেষ হয় না' 'যৌন মিলন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়,যৌন মিলন না করলে ডায়াবেটিস হতে পারে না' 'পুরুষদের কেন দ্রুত বির্যপাত হয়' 'স্বামি বিদেশে স্ত্রীরা পরিকিয়া' ইত্যাদি আরো অনেক সেক্ক্স ভিডিও।শুধু লিখার মধ্যে নয় তারা এ সব সেক্ক্স ভিডিও দিয়ে সমাজকে দুষিত করে ফেলছে আর এর আছর পড়ছে আমাদের যুব সমাজে।কত যে ঘর ভাংছে এখন এই ফেস বুকের মাধ্যমে তার কোন হিসেব নেই।নির্বাসিত লেখিকা তসলিমা নাসরিনের বিভিন্ন লেখার অংশ প্রচার করছে কালার দিয়ে।কিছুদিন আগে 'তিশার সেক্ক্স ভিডিও নিয়ে তোলপাড়' ও বেশ কিছু অনলাইনে এই খবর প্রকাশিত হয়।এ রকম খবর গুলো তারা পরীক্ষা নীরিক্ষা না করে যখন অনলাইনে ছেড়ে দেয় তখন লুপে নেয় যুবক যুবতীরা।সমাজ নির্মানের এই হাতিয়ার গুলো যখন ডুবে গেল এই অশ্লিল কর্মে তখন তাদের ভবিষ্যৎ হয়ে যায় অন্ধকার।চরিত্র হননের কারনে তাদের দাম্পত্য জীবনে দেখা দেয় বিভিন্ন সমস্যা।আমরা অনেক সময়ই মনে করি একটি ঘটনা ঘটেছে।কিন্তু পর্যবেক্ষন করলে দেখা যাবে এর শুরুটা তৈরি হয়েছে সে ছলে মেয়ের শিক্ষা জীবন থেকে।ফলে নারী নির্যাতনের ঘটনা ভয়াবহ আকার ধারণ করে। ধর্ষণের শিকার নারীদের কেউ কেউ আত্মহত্যায় বাধ্য হন। কখনো পাষণ্ড স্বামী নিজের স্ত্রীকেও মারধর করছেন। এমনকি নির্যাতনকারী পুরুষ নারীকে হত্যা করতেও দ্বিধাবোধ করছেন না। এসবের মূলে মানুষের প্রতি মানুষের দায়িত্ব-কর্তব্য ও আন্তরিক প্রেম-ভালোবাসার অভাব এবং নারীর সৌন্দর্যের প্রতি দৃষ্টিলোলুপ কামনা-বাসনা বখাটেদের অন্তরকে মোহাচ্ছন্ন করে রেখেছে। বাজার ধরতে,কাটতি বাড়াতে হিট আর হটের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে এই অনৈতিক ব্যাবসায়িরা।অনলাইন জুড়ে ছড়িয়ে দিয়েছে যৌন সুড়সুড়ি।কিনতু তাদের মনে রাখা উচিত নিউজ সাইটকে নিউজ দিয়েই বাজার ধরতে হবে।থাকতে হবে নৈতিকতা ও অনুসন্ধান করতে হবে সঠিক তথ্য।মুখোশের তলের মুখটি তুলে আনতে হবে।পরিবেশন করতে হবে পরিচ্ছন্ন সংবাদ।জাতি ধংস হয় এমন সংবাদ যারা পরিবেশন করছেন তারা সমাজের কুলাংগার।
নারী নির্যাতনকারী ও অশালীন আচরণকারী ব্যক্তি সমাজের মানুষের কাছে অত্যন্ত ঘৃণ্য; আল্লাহর কাছেও নিকৃষ্ট। তাই রাসুলুল্লাহ (সা.) সতর্কবাণী ঘোষণা করেছেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ অশালীন ও দুশ্চরিত্র ব্যক্তিকে ঘৃণা করেন।’ (তিরমিজি)। তিনি আরও বলেছেন, ‘আল্লাহর কাছে ওই ব্যক্তি সবচেয়ে খারাপ, যার অশ্লীলতা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য লোকেরা তাকে পরিত্যাগ করে।’ (বুখারি)ইসলামে অহেতুক নারীদের নির্যাতন করার কোনো সুযোগ নেই। নারী নির্যাতনকারীকে জঘন্য অপরাধী হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। যেসব কারণে নারীরা সমাজে নির্যাতিত হন, সেসব থেকে বিরত থাকতে দিকনির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। ইসলামের বিধান অনুযায়ী পারিবারিক জীবনে স্বামী স্ত্রীকে শারীরিক বা মানসিকভাবে কোনো ধরনের নির্যাতন বা প্রহার করবেন না। স্ত্রীর ওপর যদি স্বামী কোনো কারণে রেগে যান, তবু তাঁকে অশ্লীলভাবে গালাগাল করবেন না। স্ত্রীর সঙ্গে যদি দাম্পত্য কলহ বা ঝগড়া-বিবাদ হয় এবং স্ত্রী স্বামীর কথা না শোনেন, তাহলে তাঁকে সদুপদেশ দিয়ে সংশোধনের সর্বাত্মক চেষ্টা করতে হবে। এতে কাজ না হলে স্ত্রীকে সাময়িক শাস্তি দেওয়ার জন্য ঘরের মধ্যে পৃথক বিছানায় রাখা যেতে পারে, কিন্তু অকারণে তাঁকে অমানুষিক নির্যাতন, মারধর করা বা ঘর থেকে বের করে দেওয়া যাবে না। নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘তুমি (স্ত্রীর) মুখমণ্ডলের ওপর আঘাত কোরো না, তাকে অশ্লীল গালাগাল কোরো না এবং গৃহ ব্যতীত অন্য কোথাও তাকে পৃথক করে রেখো না।’ (আবু দাউদ)
অথচ অর্থের লোভে বিদেশে নারী পাচার করে, স্বামী-স্ত্রীর বিরোধের জের হিসেবে বা যৌতুকের জন্য মারধর বা শ্বাসরোধ করা, বিষ প্রয়োগ, গণধর্ষণের পর হত্যা, গুলি ও অ্যাসিড নিক্ষেপ করে নানা উপায়ে নারীর প্রতি সহিংসতা ও নির্যাতন চলছে। ইসলাম পরিপন্থী এসব লোমহর্ষক নির্যাতন বন্ধের উপায় খুঁজে বের করে সমস্যার সমাধানকল্পে ধর্মপ্রাণ জাতিকে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রচেষ্টা চালানো খুবই জরুরি। অ্যাসিড মেরে নারীর প্রতি প্রতিহিংসা চরিতার্থকরণ, যৌতুকের জন্য নিরীহ বধূর ওপর শ্বশুরালয়ের সবাই মিলে মানসিক নির্যাতন চালানো, কখনো শারীরিক অত্যাচার এমনকি গুপ্তহত্যার ঘটনাও ঘটে থাকে। নারী নির্যাতন বন্ধে সচেতন অভিভাবক মহলের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন করা দরকার। সবাইকে উপলব্ধি করতে হবে যে নারী-পুরুষ মিলে যে ঘরসংসার, বহু ঘর নিয়ে যে মুসলিম সমাজ, সেখানে প্রত্যেকেরই গুরুত্ব, মর্যাদা, অধিকার ও ভূমিকা রয়েছে। বৈবাহিক রীতি অনুযায়ী নারী ও পুরুষ পরস্পরকে পছন্দ করে যে নীড় বাঁধেন, সেই সুখের ঘরে একে অন্যের প্রতি কোনোক্রমেই শত্রুভাবাপন্ন ও নির্যাতনকারী হতে পারেন না। পারিবারিক জীবনে নারী নির্যাতন প্রতিরোধে পারস্পরিক বিশ্বাস ও ভালোবাসাই ঘরের বন্ধনটি সুদৃঢ় ও শান্তিময় করে রাখতে পারে। ইসলামে নারীদের অনেক বেশি মর্যাদা ও অধিকার দেওয়া হয়েছে। নারী নির্যাতন প্রতিরোধে ইসলামের প্রকৃত মর্মবাণীকে কাজে লাগাতে হবে। নারী-পুরুষের সুন্দর শান্তিময় জীবন সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ঘোষণা করেছেন, ‘নারীদের তেমনি ন্যায়সংগত অধিকার আছে, যেমন আছে তাদের ওপর পুরুষদের।’ (সুরা আল-বাকারা, আয়াত: ২২৮)।নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে গণসচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে তৃণমূল পর্যায়ে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা দরকার। সমাজে নারী ও পুরুষের যে ন্যায্য অধিকার ও গুরুত্ব রয়েছে, উভয়ে মিলে তাঁরা যে অভিন্ন সত্তা, এ মানবিকতাবোধকে পুরুষেরা গভীরভাবে উপলব্ধি না করলে নারীর প্রতি বৈষম্যমূলক দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন ঘটবে না। কারণ, নারী-পুরুষের সম্পর্ক ও দৃষ্টিভঙ্গির মধ্যেই নির্যাতনের মূল সূত্রটি লুক্কায়িত আছে। এ মনোভাব পাল্টানোর জন্য উপযুক্ত আইন প্রণয়ন ও প্রয়োগের পাশাপাশি দেশের আলেম সমাজ ও সচেতন নাগরিকদের প্রধান দায়িত্ব নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধ করার লক্ষ্যে সমাজে ধর্মীয় মূল্যবোধ, সুনীতি ও আদর্শ প্রতিষ্ঠার সামাজিক আন্দোলন জোরদার করা। নারীর প্রতি পুরুষের যখন পরিপূর্ণ আস্থা আসবে এবং স্ত্রীকে প্রেম–প্রীতি ও মায়ার বন্ধনে আবদ্ধ করা যাবে, তখনই পৃথিবী শান্তির নীড় হবে।
সামাজিক মূল্যবোধের চরম অবক্ষয় ও বিজাতীয় অপসংস্কৃতির প্রভাব, সুস্থ বিনোদনের অভাব কিংবা অন্যান্য কারণে সমাজে বখাটে যুবকদের সংখ্যা বাড়ছে, তা সমাজের অভিভাবকদের যেমন খুঁজে বের করতে হবে, তেমনি নারী নির্যাতন গণপ্রতিরোধের আন্দোলনেও শামিল হতে হবে। দেশে নারী নির্যাতনবিরোধী কঠোর আইন রয়েছে, কিন্তু এর যথাযথ প্রয়োগের অভাবে নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধ হচ্ছে না। তাই নারী নির্যাতন ও ধর্ষণের শিকার হওয়ার আগেই প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে মসজিদের ইমাম, খতিব ও ধর্মীয় নেতাদের সচেতনতা সৃষ্টির গুরুদায়িত্ব পালন করতে হবে। সেই সঙ্গে মা-বোনদেরও নিজ নিজ মানবিক মর্যাদা, শালীনতা রক্ষা এবং অধিকার-কর্তব্যের প্রতি সজাগ থাকা উচিত। পুরুষ নারীর প্রতিপক্ষ নন, নারী পুরুষের প্রতিপক্ষ নন; বরং দুয়ে মিলেই সমাজ। এ সচেতন দৃষ্টিভঙ্গির লালন ও নীতি-নৈতিকতার বিকাশের মধ্যেই নিহিত আছে নারী নির্যাতন প্রতিরোধের মুলমন্ত্র।
বিষয়: বিবিধ
১৩৫৩ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন