গনতন্ত্রে গনমানুষের সক্রিয় অংশগ্রহন নিশ্চিত না হলে স্বৈরতন্ত্র বা গনতান্ত্রিক স্বৈরতন্ত্রে রুপ নিতে পারে।
লিখেছেন লিখেছেন মহিউডীন ২৪ নভেম্বর, ২০১৪, ০৫:৩২:৩২ বিকাল
আমাদের দেশের ১৬ কোটি মানুষের ভবিষ্যত কি? এটি একটি জটিল প্রশ্ন কিছু মানুষের কাছে যারা সত্যিকার অর্থে দেশ নিয়ে ভাবে।সাধারন আম জনতার মধ্যে এর কোন প্রভাব নেই আর নেই তেমন কোন ভাবনা।কারন হলো স্বাধীনতার পর গত ৪৩ বছর গনতন্ত্রের নামে যে খেলা চলছে তা প্রকৃত গনতন্ত্রের রুপ দিতে পারে নি।কখনো স্বৈরতান্ত্রিক গনতন্ত্র আবার কখনো খাঁটি স্বৈরতন্ত্র প্রতিটি মানুষেকে অভ্যস্ত করে তুলেছে।সেজন্য গ্রামগন্জের মানুষের এগুলো নিয়ে চিন্তা নেই।কৃষক-শ্রমিক সকালে কাজে বের হয় দিনভর কাজ করে আর যা আয় হয় তা দিয়ে কোনভাবে দিনাতিপাত করে।সামর্থ না কুলালে সৃষ্টিকর্তার কাছে তার আকুতি জানায় আর ঘুমিয়ে পড়ে।শহরের লোক আবার তা করে না।তাদের মধ্যে যারা খেটে খাওয়া মানুষ,যারা দেশের ভিতকে মজবুত করে রাখছে তারাও তাদের শ্রম দিয়ে যা অর্জন করে তা নিয়ে কায়ক্লেশে দিনাতপাত করে।এই একটি শ্রেনী যারা কঠোর পরিশ্রম করে ফসল ফলায় ও শিল্পকে বাঁচিয়ে রেখেছে যার যার ভাবনাতেই।নিজের বাঁচার তাগিদে ক্ষুধার্থ পেটে,রোগ শোক নিয়ে অবিরাম ঘানি টেনে চলছে।যাদের আওতায় এরা ঘানি টানছে তাদেরও কোন খেয়াল নেই কারন তারা এদের যন্ত্রের মত মনে করে।কিন্তু যন্ত্রের যে কিছু সময় পরিচর্যা দরকার,অবসর বিনোদন দরকার এরা তা মনে করে না।এদের অস্থি মজ্জাকে পানি করে যে আয় হয় তা দিয়ে তারা আয়েশ করে দেশ বিদেশে।রাতে পাঁচতারা হোটেলগুলোতে বা নিজেদের প্যালেসে চলে তাদের ডিজে ড্যান্স সহ মদের আড্ডা।ঢাকা শহরে এখন নামি দামি এলাকা সহ অন্যান্য সব এলাকার হোটেলগুলোতেই রাতভর অবাধ যৌনতা ও মদের আসর বসে।এর সাথে যোগসাযোস আছে প্রশাসনের একটি অনৈতিক অংশ যারা মাসোহারা নেয়।এই অবস্হা শুধু আজ নয় চলে আসছে যুগ যুগ ধরে।যখন যারা প্রচারমাধ্যমে আসে তাদের কথা আমরা জানতে পারি।আর না হলে তা অবিরাম চলতে থাকে।তবে এ দেশের জনগন সবই জানে এবং তারা এতে অভ্যস্ত।বাংলাদেশ বিমান সম্পর্কে আমরা আগেই জানতাম কিন্তু এখন ফলাও করে প্রচার হচ্ছে।আজ থেকে ৩০ বছর আগে আমার কতিপয় বন্ধু যারা ছিল মেধাবি তারা লিখিত ও ভাইভাতে ভাল করেও চাকুরি না পেয়ে আক্ষেপ করতো এই বিমান ও পাবলিক সার্ভিস সম্পর্কে। অনৈতিকতা একটা চলমান পদ্ধতি সকল প্রতিষ্ঠানে।এমনকি ইসলামের নামে যে প্রতিষ্ঠান আছে সেগুলোতেও।অনেকে মনে করে ইসলামের নামে যে প্রতিষ্ঠান গুলো চলে সেখানে ভাল মানুষ আছে।কিন্তু না সে প্রতিষ্ঠান গুলোতেও অনেক অনৈতিক অফিসার ও কর্মচারি রয়েছে।সুতরাং সৎ নেতৃত্ব খুঁজে পাওয়া কঠিন।এর মধ্যেই মানুষ জীবন বাজি রেখে অবিরাম চলছে।এক শাসক আসছে অন্যরা চলে যাচ্ছে।যারা শাসন ক্ষমতায় যেতে পারছে না তারা রাস্তায় নামছে,সহিংসতা ছড়িয়ে দিচ্ছে আবার তাদের সাথে যোগ হচ্ছে কিছু সুবিধাভোগী শ্রেনী।এই জটিলতায় ১৬ কোটি মানুষকে নিজের মত করেই চলতে হবে আর স্বৈরতন্ত্র বা গনতান্ত্রিক স্বৈরতন্ত্রের ছায়ায়ই বাঁচতে হবে অন্য কোন পথ বের না হওয়া পর্যন্ত।
কিন্তু ইতিহাস কি তাই বলে?এক সময়ের রাশিয়া ও চীন বিপ্লবের মডেল সম্পর্কে জানতোনা এমন মানুষ পাওয়া যাবে না।ভারতীয় উপমহাদেশে এই বিপ্লব কার্যকর হয়নি।তার অনেকে কারনের মধ্যে একটি ব্রিটিশ শাসনের ফলাফল খুবই গুরুত্বপূর্ন।ব্রিটিশ শাসকশ্রেনী উপমহাদেশের সমাজকে বদলিয়ে দেয় নি কিন্তু তার সাম্রাজ্যবাদি শাসন ও শোষনের প্রয়োজনে সমাজকে পূর্বের রুপেও রাখেনি।বৃটিশ এসেছিল এখানে শোষন করতে এবং সেজন্যই তারা আমাদের পুরনো ঐতিহ্য ও সমাজ কাঠামোকে ভেংগে পরিবর্তিত করে।ব্রিটিশ শাসকশ্রেনী পূর্বের স্বৈরাতান্ত্রিক সমাজকে এতটা বদলায়নি কিংবা ভেংগেও দেয়নি যাতে এখানে নতুন সমাজ ব্যাবস্হা গড়ে উঠে। সেজন্য ধ্বংস হয়েছিল উপমহাদেশের নিজস্ব শিল্প,বানিজ্য,জনগনের প্রতিনিধিত্বমুলক শাসন ব্যাবস্হা।আমাদের সমস্ত সম্ভাবনাকে ২০০শত বছরে তারা ধ্বংস করেছিল।তার পরিবর্তে আমরা পেলাম সীমাবদ্ধ বিকৃত জীবন ও পরনির্ভরশীলতা।আধুনিক শিল্প প্রযুক্তির সূচনা ও একটি আমলাতান্ত্রিক রাষ্ট্রীয় কাঠামোতে সীমাবদ্ধ আধুনিক গনতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা উপমহাদেশে সমাজ বিকাশের গতিপথটা নির্দিষ্ট করে দেয়।যখন ব্রিটিশ উপনিবেশবাদিদের যাওয়ার সময় হয় তখন তারা নির্বাচিত প্রতিনিধিদের হাতে উপমহাদেশকে ভারত ও পাকিস্তান এই দুই রাষ্ট্রে বিভক্ত করে তাদের শাসন ভার দিয়ে চলে যায়।
বাংলাদেশে স্বাধীনতার পর তিন বছর আর হোছাইন মোহাম্মদ এরশাদের নয় বছর বাদ দিলে গত ৩১ বছর যে পিউর গনতন্ত্রের কথা আমরা বলি তা আসলে প্রকৃত গনতন্ত্র ছিলনা।এ ছিল গনতন্ত্রের আওতায় পরিবার তন্ত্র ও গনতান্ত্রিক স্বৈরতন্ত্র।ব্রিটিশ শাসনকালে সূচিত শিল্পায়ন ও গনতন্ত্রের যে ধারা পাকিস্তানি শাসনকালে এ দেশের রাজনীতিকে প্রভাবিত করেছিল সেই ধারার ভীতরই রয়েছে এর চালিকা শক্তি।একটি অবাধ সৎ ও নীরপেক্ষ নির্বাচন কোন সরকারই জনগনকে উপহার দিতে পারেনি।বরং নির্বাচনের নামে প্রহসন,ভোট জালিয়াতি,প্রশাসন ও দলীয় ক্যাডারদের ব্যাবহার করে ভোটের নামে নির্বাচন করা হয়েছে।জনগনের সরকার প্রতিষ্ঠিত না হওয়ার কারনে বিভিন্ন সময়ে সামরিক বাহিনী হস্তক্ষেপ করেছে।কখনো রাষ্ট্র ব্যাবস্হার অংশ হিসেবে সেনাবাহিনী সংসদকে আঘাত করেছে এবং তার নিয়ন্ত্রনে রাজনীতিকে নিয়ন্ত্রন করেছে।এই কাজ করতে পেরেছে তারা অনৈতিক রাজনীতিবিদদের জন্য।সামরিক শাসক এরশাদ নয় বছর জগদ্দল পাথরের মত থাকলেও রাজনীতিকে জনগনের জন্য গ্রহনযোগ্য করতে পারেনি।ফলে একসময় জনগনের অন্দোলনের মুখে পতিত হয়েছে।এদেশের মানুষ একটি বিশেষ সময়ে এগিয়ে এসেছে অতীতেও এর প্রমান আছে।ভবিষ্যতে যে এমন অবস্হার তৈরি হতে পারে এবং তার একটা আশু সম্ভাবনা আছে তার বাতাস বইছে।মানুষের আকাংখ্যায় গনতান্ত্রিক ও সার্বভৌম সংসদ হচ্ছে নীতির প্রধান কেন্দ্র বিন্দু।তাই জনগনের আশা আকাংখ্যার প্রতিনিধিত্বকারি সার্বভৌম সংসদের প্রশ্নকে পাশ কাটিয়ে এ দেশে যারা বিপ্লব বা রাজনীতির স্বপ্ন দেখেন তারা জনগনকে সংগঠিত করতে ব্যার্থ হয়েছেন।
নব্বইয়ের গনঅভ্যুত্থানের পর বেসামরিক তত্তাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের মাধ্যমে সংসদ প্রতিষ্ঠিত হলে এই সংসদ গনতান্ত্রিক নিয়মঅনুযায়ি নির্বাচিত হলেও জনগনের গনতান্ত্রিক আশা আকাংখ্যা পূরনে সফলতা অর্জন করতে পারেনি।এর কারন হিসেবে বলা যায় দলীয় করন,রাষ্ট্রের সর্বক্ষেত্রে সাংসদ ও রাজনৈতিক কর্মীদের অনৈতিক কর্মকান্ড,প্রশাসনে দলীয় করন ও অনৈতিক সম্পদ অর্জন।এর পরেই সেই সরকারের পতন।কোন সরকারই সংকট উত্তরনের জন্য এগিয়ে আসে নি বরং আশকরা দেয়া হয়েছে নেতা কর্মিদের।আমাদের খুঁজে বের করতে হবে কারনগুলো কি এবং এর সমাধান কোথায়? অসংখ্য কারন রয়েছে তবে মুল কারন আমাদের সংবিধান।যেহেতু সংবিধান ধর্মগ্রন্হ নয় সেহেতু এর পরিবর্তন পরিবর্ধন জরুরি।যে সব অনুচ্ছেদ জনকল্যানে ব্যার্থ সেগুলোর পরিবর্তন করা।এই পরিবর্তনে জাতির মতামতের প্রয়োজন।আমরা অতীতে দেখেছি রাজনৈতিক দলগুলো যে যখনি ক্ষমতায় এসেছে তাদের রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নে এই সংবিধানকে কাটাছেঁড়া করেছেন এবং বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন।সীমাবদ্ধ গনতন্ত্র দিয়ে দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়।বৃটিশ শাসকশ্রেনী এ দেশে সীমাবদ্ধ গনতন্ত্রের যে ধারনা দিয়েছে তারই চর্চা হচ্ছে এদেশে।একটা পূর্নাংগ গনতন্ত্রের দিকে যাওয়ার জন্য যে আলোক রশ্মির দরকার ছিল তার আলোক কেউ দান করতে পারেনি রাজনীতিবিদদের সুনীতি না থাকার কারনে।তাদের পার্থিব লোভলালসার কারনে জনগনের বার বার এগিয়ে আসাটা পিছনের দিকেই গিয়েছে।ব্রিটিশ গেলেও পাকিস্তানেও সেই একই ধারার চর্চার চেষ্টা হয়েছিল এবং আজও আমরা অফিস আদালত থেকে ব্রিটিশের আইনকে তুলে নিতে পারিনি।আমরা স্বাধীন দেশে আমাদের মত করে আইন কানুন সাজাতে পারিনি।সরকার সংসদকে আমলাতান্ত্রিক সংসদ করে গড়ে তুলেছে।সেজন্য গনতন্ত্র তৈরি হয়েছে আমলাতান্ত্রিক গনতন্ত্র।এইভাবে গনতন্ত্র গনবিরোধী স্বৈরতন্ত্র রুপে আচরন করছে জাতির সাথে।দেশের শাসনতন্ত্রে কোথাও জবাবদিহীতা ও জনপ্রতিনিধিত্বমুলক শাসনের অস্তিত্ব নেই।সরকারের মন্ত্রী এমপিরা থাকেন জনগনের ধরা ছোঁয়ার বাইরে।আর গত ৫ই জানুয়ারি থেকে তো জনগন তাদের প্রতিনিধিই চিনে না কারন জনগনের ভোটে তারা নির্বাচিত নয়।এক অদৃশ্য শক্তিতে তারা কাজ করছেন।জেলা,উপজেলা ও গ্রামের জনগন যে প্রশাসকদের অধীনে থাকে তারা কেউ নির্বাচিত নয়।জেলার শাসন ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দু নির্বাচিত জেলা পরিষদ নয় বরং আমলাতান্ত্রিক একটি স্তম্ভ স্বরুপ জেলা প্রশাসক।উপজেলায় উপজেলা নির্বাহি অফিসার বা ইউএনও।এই আমলাতান্ত্রিক নিয়মেই চলছে গোটা দেশ।এ দেশে সংসদের বাইরে রাষ্ট্র কাঠামোয় কোন গনতন্ত্র নেই।ফলে আমলাতন্ত্র দ্বারা সীমাবদ্ধ সংসদকে ঘিরে এক অশুভ রাজনীতির চক্র গড়ে উঠেছে সমাজের স্তরে স্তরে যাদের হাতে রয়েছে অসম্ভব কালো টাকা ও ক্ষমতা।এদের দ্বারা যে কোন সময় চর দখলের মত সংসদ দখল হয়ে যেতে পারে এবং হচ্ছেও।এ অবস্হায় যারা ভাল থাকতে চান তারাও আর ভাল থাকতে পারেন না।আর যারা অনৈতিকতাকে অবলম্বন করেন না তারা ছিঁটকে পড়ে যান।বর্তমানে যেভাবে দুর্বিত্তায়ন শুরু হয়েছে তা এখন ঘরে ঘরে পৌঁছে গেছে।পঁচন যদি মানুষের মাথায় চলে আসে সে সমাজ আর সমাজ থাকে না।এখন সমস্ত অনৈতিক কাজ হচ্ছে লোকচক্ষুর সামনে।সরকারের একজন অভীজ্গ মন্ত্রীও ঘুষকে যায়েয করে দিয়েছেন যাতে মানুষ অবাধে এ কাজটি করতে পারে।
আমাদের দেশে রাষ্ট্রের গনতন্ত্রায়নের প্রশ্নটা শিল্পায়ন ও আধুনিকায়নের উপর নীহিত।সে কারনে মুষ্টিমেয়ের কাছে ক্ষমতা কেন্দ্রিভূত।এর ফলশ্রুতিতে গড়ে উঠেছে আমলাতান্ত্রিক স্বৈরতন্ত্র।শিক্ষা ব্যাবস্হায় ও রাখা হয়েছে বৈষম্য।মন্ত্রী আমলাদের পরিবার থাকে বিশেষ কয়েকটি দেশে।আবার যাদের পরিবার নেই তাদের ছেলেমেয়েরাও ওখানে পড়াশুনা করে এসে পিতৃপুরুষের হাল ধরে।আর দেশের ছেলেরা নির্ভরশীল হয় চাকুরির উপর।অনেক ক্ষেত্রেই বিদেশী ডিগ্রি না থাকার কারনে বা স্বজন প্রীতির কারনে দেশের মেধাবিরা আর তাদের সাথে পেরে উঠেনা।ফলে এই আমলা চাকুরিদাতাদের প্রেষনে কাল কাটাতে হয়।এর মধ্যে কেউ উঠে আবার কেউ পড়ে যায়।উন্নয়ন সমস্যার মিমাংসার পথ হিসেবে রাষ্ট্রের গনতন্ত্রায়নকে না দেখে কখনো সরকারি করন বা কখনো বেসরকারিকরনকে দেখা হয়েছে।যার ফলে লাভবান হয়েছে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত মুষ্টিমেয় আমলা বা রাজনীতিক কিংবা ক্ষমতার সাথে সম্পর্কিত ব্যাক্তিবর্গ।এই অবস্হায় অবাধ দুর্নীতি ও লুটপাটের অর্থনীতিকে জোরদার করেছে।আর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উৎপাদশীল কৃষক,ক্ষুদ্র কারখানা মালিক,কুটিরশিল্পী ও শ্রমজীবি মানুষ যারা এই লুটপাটের টাকার যোগানদাতা।তাদের উদ্যোক্তা হতে না দিয়ে মজুর করে রাখা হয়েছে যুগ যুগ ধরে।সেজন্য গনতন্ত্রে যদি মানুষের অংশ গ্রহন না থাকে তাহলে যেমন স্বৈরতন্ত্র বা গনতান্ত্রিক স্বৈরতন্ত্র আসতে পারে তেমনি ভাগ্য বন্চিত হতেও পারে গোটা জাতি।
বিষয়: বিবিধ
১৩৬১ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন