আপনি নিজেকে আলোকিত মানুষ মনে করলে নিজের অন্তরকে আলোকিত করুন, মানব সেবা করুন ও ধ্বংশ থেকে সমাজকে বাঁচিয়ে রাখুন।

লিখেছেন লিখেছেন মহিউডীন ২২ নভেম্বর, ২০১৪, ০৩:০৪:০১ দুপুর

আলো ও অন্ধকার শব্দ দু'টির সাথে আমরা সবাই কম বেশি পরিচিত।দিনের আলোক যখন আমাদের উপর পতিত হয় আমরা পুলক অনুভব করি আর রাতের আঁধার যখন ঘনিভূত হয় তখন আমরা ক্রমশ ভীত হই।আলোর মধ্যে সব পরিস্কার দেখা যায়।আর আঁধারের মধ্যে থাকে পশু প্রবৃত্তি।মানুষের শ্রেষ্ঠত্ব হলো আল্লাহর সিফাত ও গুনাবলী দিয়ে নিজেকে সুশোভিত করা।আত্মা ও চারিত্রিক পরিশুদ্ধির মাধ্যমে বিশ্ব প্রতিপালকের মাঝে বিলীন হওয়াতেই মানুষের সর্বোচ্চ সফলতা।এই পথনির্দেশের উদ্দেশ্যেই মূলত প্রেরিত হয়েছিলেন লাখ লাখ আম্বিয়া (আ.)। আম্বিয়ায়ে কেরাম, সিদ্দিকীন, শুহাদা ও সালেহীন অনুসৃত এই পরিশুদ্ধ প্রশিক্ষণ পদ্ধতিই চলে আসছে যুগ যুগ ধরে। পবিত্র কোরআন এবং হাদিসে একে তাজকিয়া ও ইহসান নামে অভিহিত করা হয়েছে।মানুষ দেহ ও আত্মার সমন্বিত জীব। প্রাণিকুলের অস্তিত্ব আত্মার ওপর নির্ভরশীল। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, রুহ বা আত্মা কেবলই আল্লাহর নির্দেশ। রুহ বা আত্মা আল্লাহ প্রদত্ত এমন নূর বা আলো, যা গোটা দেহকে আলোকিত করতে সক্ষম। হজরত মুহাম্মদ (সা.) এই পৃথিবীতে ইসলামের দাওয়াত নিয়ে এসে সর্বপ্রথম মানুষের জাহিলিয়াতের(মূর্খতা) অন্ধকারাচ্ছন্ন হৃদয়সমূহ আলোকিত করার সর্বাত্বক প্রচেষ্টা চালান। হেদায়াতের যে নূর তিনি নিয়ে এসেছেন তা দ্বারা ভ্রষ্টতার অাঁধারে নিমজ্জিত হৃদয়সমূহকে আলোকিত করেন। আল্লাহর কাছ থেকে এক জ্যোতি ও স্পষ্ট কিতাব আমাদের কাছে এসেছে। যারা আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ করতে চায় এর দ্বারা তিনি তাদের শান্তির পথে পরিচালিত করেন এবং নিজ অনুমতিক্রমে অন্ধকার থেকে বের করে আলোর দিকে নিয়ে যান এবং তাদের সরলপথে পরিচালিত করেন ( সূরা মায়িদা ১৫-১৬)। মানুষের অন্তর যদি হেদায়েতের নূরে আলোকিত না হয় তাহলে আলোকিত সমাজ প্রতিষ্ঠার সব প্রচেষ্টাই ব্যর্থ হবে। এ জন্য আলোকিত সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য প্রথমেই মানুষের অন্তরকে আলোকিত করার চেষ্টা করতে হবে। সমাজে মানুষের অন্তর যদি আলোকিত হয় তাহলে সমাজ আলোকিত হবে। অন্যায়, অবিচার, জুলুম, নির্যাতন, দুর্নীতি, পাপাচার সবই সমাজ থেকে দূর হবে। আর মানুষের অন্তর যদি কলুষিত হয় তাহলে সমাজ থেকে জুলুম, নির্যাতন, অন্যায়, অবিচার, দুর্নীতি, পাপাচার দূর করা সম্ভব হবে না। হজরত মুহাম্মদ (সা.) বলেন, ... শোন! মানবদেহে একটি গোশতের টুকরা আছে। যা ঠিক হলে গোটা শরীরই ঠিক হয়। আর তাতে পচন ধরলে গোটা শরীরেই পচন ধরে। শোন! সেই গোশতের টুকরাটি হচ্ছে কালব-আত্মা- ( ছহি বোখারি)।

মহান আল্লাহ এবং হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর ওপর ঈমান অন্তরকে আলোকিত করে। আখেরাতের ভাবনা মানুষকে আখেরাতমুখী এবং দুনিয়াবিমুখ করে। আর এই আল্লাহ, রসূলের ওপর ঈমানই পারে মানুষকে সব পাপ কাজ থেকে বিরত রাখতে। পরকালের চিন্তা যদি মানুষের মাথায় ঢুকে যায় তাহলে মানুষ নিজ ইচ্ছায় অন্যায়-অপরাধ থেকে বিরত থাকবে। আর পরকালবিমুখ হলে শত আইন করেও মানুষকে অন্যায়-অপরাধ থেকে বিরত রাখা সম্ভব হবে না। যার বাস্তব প্রমাণ আজকের পৃথিবী। সুতরাং আলোকিত সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য হেদায়াতের নূরে আলোকিত অন্তরের মানুষ প্রয়োজন। আর প্রয়োজন সবারই মধ্যে পরকাল ভাবনা জাগরুক করা।

ইসলাম একটি বিশ্বাস, একটি মূল্যবোধ ও একটি আদর্শকেন্দ্রিক জীবন বিধান। ইসলাম তার আদর্শ দিয়ে বিপথগামী মানুষকে পশুত্বের স্বভাব থেকে মনুষ্যত্বের স্বভাবে নিয়ে আসে। এর জন্য প্রয়োজন আদর্শকেন্দ্রিক পরিমণ্ডল। আর মানুষ আদর্শকেন্দ্রিক পরিমণ্ডলে চলার ক্ষেত্রে প্রয়োজন কতিপয় মূলনীতি। তার মধ্যে জনকল্যাণ ও মানবসেবা অন্যতম। আল-কোরআনে ইরশাদ হচ্ছে, যারা ইমান আনে এবং সৎ ও কল্যাণকর কাজ করে তারাই হলো জগতের সৃষ্টির সেরা। তাদের পালনকর্তার কাছে রয়েছে প্রতিদান চিরকাল বসবাসের জান্নাত। (সূরা বাইয়েনাত : ৭-৮)। মানবসেবা এমন এক ইবাদত যাকে রসূল (সা.) ঈমানের অংশ সাব্যস্ত করেছেন। মেশকাত শরিফের ৪ নং হাদিসে হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রসুল (সা.) বলেন, সত্তরের অধিক ইমানের শাখা-প্রশাখা রয়েছে। তার মধ্যে একটি হলো মানুষের কষ্ট হয় এমন বস্তুকে রাস্তা থেকে সরিয়ে দেওয়া। অর্থাৎ মানুষের চলাচলের সুব্যবস্থা করা। পথহারা পথিকদের সঠিক পথের সন্ধান দেওয়া। অন্ধ, অসুস্থ, বিকলাঙ্গ ব্যক্তিদের কাজে সহযোগিতা করা। অভাবী, অনাথ, আর্তমানবতার সেবায় এগিয়ে আসা। বস্ত্রহীনদের বস্ত্রের ব্যবস্থা করা। অসুস্থদের সেবা-শুশ্রূষার ব্যবস্থা করা। মানুষের দুঃখ-সুখের সঙ্গী হওয়া মানবসেবার অন্তর্ভুক্ত। এ সম্পর্কে মহাগ্রন্থ আল-কোরআনের সূরা বালাদের ১০-১৬ আয়াতে ইরশাদ হচ্ছে, বস্তুত আমি তাকে (মানুষকে) দুটি পথ প্রদর্শন করেছি। কিন্তু সে উর্ধগামী পথ ধরতে চায় নি।আর কেমন করে বুঝানো যাবে উর্ধগামি পথটি কি? তা হচ্ছে দাসমুক্তি অথবা দুর্ভিক্ষের দিনে অন্নদান, এতিম, আত্মীয়কে ধূলি-ধূসরিত মিসকিনকে।' বস্তুত মানবসেবার বিষয়টি অত্যন্ত ব্যাপক। মানুষের দুনিয়াবী প্রয়োজন মিটানো যেমন মানবসেবার অন্তর্ভুক্ত, অনুরূপ পরকালের প্রয়োজন মিটানোও মানবসেবার অন্তর্ভুক্ত। পরকালে আমলে ছলেহ তথা সৎকাজের প্রয়োজন। এ প্রয়োজনগুলো হৃদয় দিয়ে উপলব্ধি করে তা পুরা করার জন্য চিন্তা ভাবনা করা ও মহান স্রষ্টা আল্লাহর দরবারে দোয়া করা। ধর্মহীনদের ধর্ম গ্রহণ করার ব্যবস্থা করা। ধর্ম সম্পর্কে অজ্ঞ ব্যক্তিদের ধর্মীয় বিষয় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা। ইবাদতের পন্থা ও পদ্ধতি সম্পর্কে না জানা ব্যক্তিকে তা শিখিয়ে দিয়ে তার ওপর জীবন পরিচালনায় উদ্বুদ্ধ করাও মানবসেবার অংশ।

আমরা সমাজে ধর্মের নামে যা করছি শুধুমাত্র বৈতরনি পার হওয়ার জন্যই করছি।আমাদের জান মাল দিয়ে মানুষের কল্যানের জন্য যেভাবে কাজ করা দরকার তা করছিনা।আমাদের সব কাজের পিছনে দুনিয়ার কারন নীহিত থাকে।আল্লাহ ও তার রসূলের ভালবাসার জন্য খুব কমই করি।আল্লাহপাক আলকুরআনে বলছেন,আমরা গরীবদের খাওয়াই একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য,তাদের কাছে কোন কিছু পাওয়ার জন্য বা কোন সন্তুষ্টি পাওয়ার জন্য ও নয়।'আমরা কাউকে ভাল বাসবো আল্লাহর জন্য,কাউকে ঘৃনা করবো আল্লাহর জন্য,কাউকে কিছু দিব আল্লাহর জন্য আবার কাউকে বন্চিত করবো একমাত্র আল্লাহরই জন্য।যদি এই বাসনা আমাদের অন্তরে তৈরি করতে পারি তাহলেই আমরা মু'মিন।এই রকম মু'মিন সমাজে তৈরি হলে কোন অন্যায় অবিচার সমাজে তৈরি হবে না।আমাদের প্রত্যেকে যাদের আল্লাহ ক্ষমতা দিয়েছেন জ্গানে তারা মানুষ কে জ্গানী করে তুলবো,যারা ধনবান তারা নিজ নিজ এলাকায় মানুষের অর্থিক কল্যানে কাজ করবো,যাদের শারিরিক সামর্থ আছে তারা সমাজে উন্নয়ন মুলক কাজে সাহায্য করবো।ধর্ম পালন করার অর্থ এই নয় যে শুধু মসজিদে পড়ে থাকতে হবে। ঈমানের পেছনে মেহনত করা ঈমানের হাকিকত বোঝা, সেই অনুযায়ী আমল করা আমাদের প্রত্যেকের পক্ষে অনেক সময় সম্ভব হয় না। কারণ আমরা মনে করি, দ্বীনদার হতে গেলে দুনিয়া ছাড়তে হবে। দুনিয়াদারির সঙ্গে দ্বীনদার হওয়া যায় না। এটা একটা ভুল ধারণা। আমি দুনিয়াদার হয়েও দ্বীনদার হতে পারি। দ্বীনদার হতে হলে দুনিয়া ছাড়তে হবে- এই শিক্ষা দ্বীনের কোথাও নেই। সূরা জুমায় বলা হয়েছে, 'হে লোক সকল! জুমার দিন যখন আজান হয়ে যায়, তোমরা বেচাকেনা ছেড়ে মসজিদে চলে যাও।' (সূরা জুমা : ৯) তাহলে দেখা যাচ্ছে, এই আয়াতে মহান আল্লাহতায়ালা মানুষকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে উঠিয়ে মসজিদের দিকে নিচ্ছেন। এই কথা বলেননি যে, তুমি ঘর থেকে বেরিয়ে মসজিদের দিকে চলে এসো। বোঝা গেল ঘরে অলস বা বেকার সময় কাটানো ইসলামের কাছে পছন্দনীয় নয়। অথবা সারাক্ষণ মসজিদে বসে থাকাও ইসলামের দাবি নয়। বরং ছেলে-সন্তান, স্ত্রী-পরিজন, বাবা-মা প্রমুখ যাদের ভরণ-পোষণের দায়িত্ব তার ওপর বর্তায়, তাদের জন্য রিজিকের সন্ধান করতে হবে। আজানের আগ পর্যন্ত সময়টা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বা কর্মক্ষেত্রে কাটানোই ঈমানের দাবি। তাই বলা হয়েছে, 'যখন নামাজ শেষ হয়ে যায় তখন ভূমিতে ছড়িয়ে পড় এবং আল্লাহতায়ালার দেওয়া রিজিকের সন্ধান কর।' (সূরা জুমা : ১০)। এই নয় যে, এক ওয়াক্তের নামাজ পড়েছি আরেক ওয়াক্তের নামাজের অপেক্ষায় আমাকে মসজিদে বসে থাকতে বলা হয়েছে। তবে হ্যাঁ, দুনিয়ার কাজে গিয়ে যেন আল্লাহতায়ালাকে ভুলে না যাই; বরং আল্লাহতায়ালাকে বেশি বেশি স্মরণ করি। আবার যখন মসজিদে আজান হয়ে যাবে তখন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে মসজিদে আল্লাহতায়ালার দরবারে হাজিরা দিতে হবে। এর নামই হলো দ্বীন। সুতরাং দুনিয়ার সব কাজকর্ম বাদ দিয়ে সারা দিন দ্বীনের নামে ঘুরে বেড়ানোকে দ্বীন মনে করা হলেও তা আসলে দ্বীন নয়। বরং এর দ্বারা স্ত্রী-পরিজন, ছেলে-মেয়ে, বাবা-মার হক নষ্ট করা হয়। যাদের ভরণ-পোষণের দায়িত্ব আল্লাহতায়ালা আমার ওপর ন্যস্ত করেছেন, তাদের হকের প্রতি অবহেলা করা কবিরা গুনাহ। মনে রাখতে হবে, তাদের হক আদায় করাও দ্বীনের একটি ফরজ বিধান। সুতরাং ফরজকে উপেক্ষা করার কোনো অবকাশ নেই। আমরা যদি নবী রসূলদের জীবন নিয়ে গবেষণা করি তাহলে দেখতে পাব যে, তারা কখনোই দুনিয়াকে বাদ দিয়ে দ্বীন পালন করেনি। ইসলামের ভাষ্য হলো মানুষ শুধু তার ব্যক্তিগত প্রয়োজন ও ভোগের জন্যই সম্পদ অর্জন করবে না ব্যক্তি ও পরিবারের প্রয়োজনের প্রতি লক্ষ্য করবে, অসহায় আত্মীয়, অভাবী প্রতিবেশী ও নিঃস্ব মানুষের প্রতি, যারা আয় করতে অক্ষম। সুতরাং যদি সমাজের উল্লেখযোগ্য একটি অংশ দুনিয়ার শ্রম দেওয়া ও অর্জন করা ছেড়ে দিয়ে দ্বীনদার হওয়ার স্বপ্ন লালন করতে থাকে তাহলে সমাজের আর্থিক শৃঙ্খলা ভেঙে যাবে যেটা হবে মুসলিম জনগোষ্ঠীর জন্য একটা বড় ধরনের বিপর্যয়। আমরা যেন নামাজের সময় না বলি যে কাজ আছে বরং কাজকে যেন বলি নামাজ আছে তাহলেই ব্যক্তি পরিবার সমাজ বিশ্বে আবার শান্তি ফিরে আসবে।

এখন শীতের মৌসুম, আল্লাহর প্রিয় বান্দাদের ইবাদতের এক বিশেষ মৌসুম। এ নেয়ামত একমাত্র তার খাস বান্দারাই উপভোগ করেন। শীতকালকে রসূল (স.) নেক্কারদের বসন্তকাল হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। আবু সাঈদ খুদুরি (রা.) থেকে বর্ণিত মহানবী (স.) বলেছেন- 'শীতকাল হচ্ছে মু'মিনের বসন্তকাল।' (মুসনাদে আহমাদ)। ইবনে মাসউদ (রা.) বলতেন- 'হে শীতকাল তোমাকে স্বাগতম। শীতকালে বরকত নাজিল হয়। শীতকালে রাত দীর্ঘ হওয়ায় নামাজ আদায় করা যায় এবং দিন ছোট হওয়ায় রোজা রাখা যায়।' আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন- 'আমি কি তোমাদের শীতল গনিমত কী সেটা বলে দেব না?' শ্রোতারা বলেন, অবশ্যই। তিনি তখন বললেন- 'সেটা হচ্ছে, শীতকালে রোজা রাখা ও রাতে নামাজ পড়া।' আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন- 'নবী (স.) বলেছেন, তীব্র ঠাণ্ডার দিন আল্লাহর কোনো বান্দা যদি বলে- লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ (নেই কোনো সত্য উপাস্য আল্লাহ ছাড়া)। আজকের দিনটি কতই না শীতল। হে আল্লাহ! জাহান্নামের আযাব থেকে আমাকে মুক্তি দিন। তখন আল্লাহ জাহান্নামকে বলেন- নিশ্চয়ই আমার এক বান্দা আমার কাছে তোমার আযাব থেকে আশ্রয় চেয়েছে। আমি তোমাকে সাক্ষী রেখে বলছি, আমি তাকে আশ্রয় দিলাম। ইসলাম মানুষের সহজাত ধর্ম বিধায় ইসলামের প্রতিটি বিধিবিধান অত্যন্ত যৌক্তিক ও সময়োপযোগী। তাই তো স্থান, কাল ও পাত্রের ভিন্নতার পরিপ্রেক্ষিতে ইসলাম তার অনুসারীদের জন্য ভিন্ন ভিন্ন বিধান জারি করেছে। রসূসুল (স.) বলেছেন- আমি কি তোমাদের জানাব না কিসে তোমাদের পাপ মোচন করবে এবং মর্যাদা বৃদ্ধি করবে। সাহাবায়ে কেরাম (রা.) বললেন- অবশ্যই, হে আল্লাহর রসুল। তিনি বললেন- কষ্ট সত্ত্বেও ঠিকভাবে অজু করা। (ছহি মুসলিম )। কথায় বলে ঋতুর রাজা বসন্ত। কিন্তু মু'মিনের জন্য ঋতুর রাজা শীত। সালফে সালেহিনের অনুসরণে আমরা শীতকালকে ইবাদতের ঋতু হিসেবে গ্রহণ করতে পারি। আল্লাহর সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক বাড়ানোর মৌসুম হিসেবে কাজে লাগাতে পারি। আর এই শীতের লম্বা রাতের চোখের পানি যারা আল্লাহকে দিতে পেরেছে তারা আল্লাহর অনেক কাছের বান্দা হতে পেরেছে। আর এই দুই ফোঁটা চোখের পানিই হয় তার জীবনের সবচেয়ে মূল্যাবান সম্পদ। কাগজের লেখা চিঠির ওপর বৃষ্টির পানি পড়লে যেভাবে কাগজের লেখাগুলো মুছে যায়, মানুষ যখন চোখের পানি ফেলে কাঁদে আর চোখের পানি যখন তার গাল বেয়ে পড়তে থাকে তখন সেই পানিটুকু তার আমলনামায় পড়ে কাগজের লেখা চিঠির মতো আমলনামার খারাপ কাজগুলো চিরতরে মুছে যায়।আসুন আমরা আমাদের অন্তরকে আলকুরআন ও ছহি হাদিসের আলোকে আলোকিত করি আর আমার আপনার আশে পাশে যে যেখানেই থাকি না কেন মানুষকে দ্বীনের কথা গুলো পৌঁছে দেই।এই মানব সেবার মাধ্যমে সমাজের পংকিলতা দূর হবে ও একটি সুন্দর সমাজ গড়ে উঠবে।

বিষয়: বিবিধ

১৬৩৬ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

287575
২৪ নভেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৪:০৪
তোমার হৃদয় জুড়ে আমি লিখেছেন : অনেক অনেক ধন্যবাদ। কুরআন ও হাদিসের আলোকে বিশ্লেষণ করার জন্য। Rose Rose

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File