একজন আবুল বরকত(ছদ্ধ নাম) পররাষ্ট্র মন্ত্রলায়ে চাকুরির নেপথ্যে।

লিখেছেন লিখেছেন মহিউডীন ১৭ নভেম্বর, ২০১৪, ০৪:৪৮:৫৯ বিকাল

অশির দশকের প্রথম দিকে দু'জন নৌ-যোয়ানকে রাতে পায়চারি করতে দেখলাম।আমি সবে মাত্র এস এস সি উত্তীর্ন হয়ে ঢাকায় ভাল কলেজ গুলোতে ভর্তি পরীক্ষা দেয়ার জন্য এসেছি।আমার মামার বাসা জুরাঈন মেইন রোডের পাশে।আমার এক খালাত ভাই থাকতো মামার বাসায়।বয়সে দু'জন পিঠাপিঠি।উনি কলেজে ভর্তি হয়ে প্রথম বর্ষ অতিক্রম করছেন।দিনে ঘুরাঘুরি করতাম আর দিন গুনতাম কবে ভর্তি হব আমার চয়েচের বিদ্যাপিঠে।সন্ধার পর ডিনার করে সে ভাই সহ ঘুরতে বেরুতাম রাস্তা ধরে।একদিন চোখে পড়লো অনতিদূরে দু'জন একসাথে হাঁটছে।দেখতে মনে হলো দু'জন একই বয়সের এবং বন্ধু বাৎসল্যে হাসি ঠাট্টা করছে।এর কিছু পরেই মৃদু আলোতে প্রাইমারি স্কুলের দিকে মিলিয়ে গেল।আমরা কিছুদূর হেঁটে ইউটার্ন করে সেদিকে গেলাম। স্কুলের বারান্দায় ছোট একটি কক্ষ যেখানে চাঁদের আলো ও বাইরের বিদ্যুতের আলোকচ্ছটায় প্রতিবিম্ভিত হচ্ছে যে, একজন মানুষ হাত নেড়ে কি বলছে আর একজন বসে আছে।আমরা আস্তে করে গিয়ে পিছনে বসে পড়লাম।যিনি বক্তৃতা দিচ্ছেন তিনি অনর্গল বক্তৃতা দিয়ে চলছেন।প্রায় ২০ মিনিট তিনি বক্তৃতা দিলেন একটি আন্তর্জাতিক টপিকের উপর কখনো শুদ্ধ ইংরেজীতে আবার কখনো খানিকটা অশুদ্ধ ভাষায়।তবে তার সে বয়সের তুলনায় চমৎকার।এর পর আর একজন ঠিক ২০ মিনিট বক্তৃতা দিলেন একই টপিকের উপর।আমরা যে বসে আছি শ্রোতা হিসেবে তাদের কোন ভ্রুক্ষেপ নেই।

বক্তৃতা শেষ এবার পরিচয়ের পালা।আমরা দু'জনের সাথে হাত মিলালাম ও কুশলাদি জিজ্গেস করলাম।আমার চমৎকার লেগেছিল তাদের দু'জনের এই ইংরেজি শিখার আগ্রহ দেখে। দু'জনই এসেছেন পাড়াগ্রাম থেকে।একই এলাকায় লজিং থাকেন।সে সময়ে অনেকে গ্রাম থেকে ঢাকায় এলে শেল্টার না থাকলে লজিং থাকতো।দু;জনের পরিবারের অবস্হা একই রকম।পরিবার থেকে পড়াশুনা চালানোর অবস্হান নেই।তবে উচ্চাকাংখ্যা রয়েছে।তাদের একজনের এলাকার জনৈক ছিলেন প্রাক্তন পররাষ্ট্রমন্ত্রনালয়ের অফিসার এবং তিনি বিদেশ চরে বেড়াতেন।বরকত সাহেব এস এস সি পাশ করার পর আর দেশে থাকতে চাইলেন না কারন তাকে যে কোন ভাবেই হোক পররাষ্ট্রমন্ত্রনালয়ে চাকুরি করতে হবে ।তবে কিভাবে ঢাকায় যাবেন? তার গ্রামের একজন ব্যাবসায়ি ছিল ঢাকায়।তার সাথে পরামর্শ করলে তিনি বললেন ঢাকায় এসো আমি একটি লজিং এর ব্যাবস্হা করে দিব।ভাড়া না হয় যোগানো যাবে কিন্তু পোষাক জুতো সহ আনুষন্গিক জিনিস পত্রের কি হবে? গ্রামে তার একজন বন্ধু ছিল যাদের পারিবারিক অবস্হা ভাল।সে বন্ধু থেকে তার আধা পুরনো পেন্ট/সার্ট নিল কিন্তু বন্ধুর জুতো পায়ে লাগে না। চাচার একটি জুতো ছিল তবে বড়।ভাবলো চাচার জুতোর পিছনটা মুছি থেকে কেটে নিলে পরতে পারবে। তাই করলো এবং কয়েকদিনের মধ্যেই চলে এলো।লজিং এ এসে একদিন তার মত আর একজনের সাথে দেখা হলো যার নাম মে'রাজ যিনি এখন একটি জাতীয় ব্যাংকে প্রিন্সিফাল অফিসার।দু'জনে মিলে ঠিক করলো যে কোন মুল্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রনালয়ে অফিসার হতে হবে।তবে কিভাবে অফিসার হবে জানা নেই।কারো কাছে শুনেছে ইংলিশে পারদর্শি হতে হবে।সে জন্য দু'জন রাতে এই স্কুল ঘরে আসে।একজন শ্রোতা হয় আর একজন বক্তা।এভাবেই চলতে থাকে তাদের দু'বছর।ইন্টারমিডিয়েট পাশ করে জানতে পারলো বিসিএস ছাড়া তো সেখানে ঢুকার কোন উপায় নেই।এবার ঠিক করলো দ্বীতিয় বা তৃতীয় শ্রেনীতে যদি ঢুকা যায় তাহলে জীবনটা বাঁচবে।কেউ একজন বললো ষ্টেনোগ্রাফিটা শিখে নাও।বরকত সাহেব ছিলেন একটু চালাক তিনি ষ্টেনোগ্রাফি শিখার জন্য ভর্তি হয়ে গেল।আর মে'রাজ সাহেব করলেন না।তিনি চেষ্টা করেন কোন জুনিয়র হিসাব রক্ষক পদে ঢুকা যায় কিনা।চাকুরির প্রানান্ত চেষ্টা আর তার সাথে ফ্লুয়েন্ট ইংরেজি শিখার আগ্রহ এক সময় তাদের ভাগ্যের চাকা ঘুরে গেল।আগে পরে দুজনের চাকুরি হলো।একজনের পররাষ্ট্রমন্ত্রনালয়ে উর্ধতন কর্মকর্তার টাইপিষ্ট হিসেবে আর একজনের ব্যাংকে।দু;জনের জীবনের একটা গতি হলো।এভাবে চললো কয়েক বছর।দুজন আমাদের বয়সে কাছাকাছি হওয়ায় বন্ধুত্ব গড়ালো বিশ্ববিদ্যালয় পেরিয়ে কর্মজীবন পর্যন্ত।তারাও গ্রাজুয়েট হয়ে গেল নাইট শিফ্টে পড়ে। এর মধ্যে মে'রাজ সাহেব হোমিওপ্যাথিক ডাক্তার ও হয়ে গেলেন নাইটশিফ্টে পড়ে।বয়স হয়েছে এবার বিয়ের পালা।বরকত সাহেব পররাষ্ট্রমন্ত্রনালয়ে চাকুরি করেন ঠিক কিন্তু চাকুরি তো ছোট।ভাল পরিবারের মেয়ে খোঁজ করলেও তারা রাজি হয় না।অবশেষে পুরোনো ঢাকার একটি পরিবার যাদের টাকা পয়সা আছে কিন্তু তেমন আলোকিত পরিবার নয় তবে ভদ্র পরিবার।ছেলে মেয়েগুলো পড়াশুনা করে পুরোনো ঢাকার ভাল স্কুল কলেজে।এমন পরিবারের একটি মেয়ের সাথে বিয়ে ঠিক হলো তবে তারা বায়না ধরলো অফিসে ষ্টেটাস দেখবে।বরকত সাহেব পড়লো বিপদে।একদিন/দুদিন করে বরকত সাহেব সময় পিছিয়ে দেন সুযোগ খোজার জন্য।অবশেষে একদিন হরতালে সময় দিলেন।তার বড় অফিসার দেশের বাইরে।মেইন ফটকে রেসেপ্সনে বলে দিলেন এমন দু'জন লোক আসবে।আবার ভিতরেই এমনভাবে বললেন যেন অন্য কোন অফিসার না জানে।তিনি কিছু সময়ের জন্য বসের রুমে বসে গেলেন।ওদিকে তাদের সময় দিলেন ২০ মিনিট।মেহমান অফিসে আসলো আর দেখলো বরকত সাহেব তো বড় অফিসার।আর আশে পাশের দু/একজন তাকে সেলিউট দিচ্ছে।আপ্যায়ন শেষে মেহমান খুশি হয়ে চলে গেল।এবার বস আসলে বাইরে পোস্টিং নেয়ার জন্য লবিং শুরু করলো।অশ্বাস দেয়া হলো অল্পদিনের মধ্যেই হবে। এক সপ্তাহের মধ্যে বিয়ের ব্যাবস্হা হয়ে গেল।বরকত সাহেব থাকেন কোয়ার্টারে।বিয়ে হয়ে বউ এলো ঘরে।বিশেষ করে পুরোনো ঢাকার পরিবারগুলো খরচে অভ্যস্ত।ব্যাবসার টাকা গুনে খরচ করতে হয় না।মাসখানেক চললো ভালভাবে।এবার তো হিমসিম খাচ্ছে বরকত সাহেব।এদিকে শাশুড়ি প্রতিদিন রান্না করে মেয়ে জামাইকে পাঠাচ্ছে।এর মধ্যে তিনি যে অফিসার নন প্রকাশ হয়ে পড়লো বউ এর কাছে।ঢাকার মেয়ে দ্বন্দে জড়ালো না।বরকত সাহেব বুঝিয়ে নিল আমরা তো বিদেশে চলে যাচ্ছি অল্পদিনের মধ্যেই।যাক বছর খানেক পর পোষ্টিং হয়ে গেল রাশিয়ায়।তার কয়েকবছর পর এমেরিকায়।চাকুরি ছেড়ে দিয়ে সেখানে থেকে গেছেন। অনেক বছর যোগাযোগ নেই সেদিন ছুটিতে গিয়ে তার বন্ধু মে'রাজের কাছে শুনলাম তার মেয়ে সেখানে মেডিকেলে পড়ছে।

এদিকে মে'রাজ সাহেব ব্যাংকে চাকুরির পাশা পাশি হোমিওপ্যাথ প্রাক্টিস করেন।রাতে বসেন আজিমপুর চেম্বারে।বিয়ে করেছেন, পরিবার নিয়ে থাকেন কাছেই।হজ্জ করেছেন গত বছর খানেক আগে।আমাকে টেলিফোন করে জানালেন আমি হজে আসছি।দেখা হয়নি তবে ফোনে কথা হয়েছে।দু:খ করে বললেন বন্ধু সে যে আমাদের ছেড়ে গেল আর যোগাযোগ করেনি।যারা ধূর্ত হয় তারা খুব কমই যোগাযোগ রাখে।আর যারা ওয়েষ্টে যায় তারা আমাদের কালসারকে ভুলে যায় এবং খুব কম মানুষই আমাদের কালসারে ছেলে মেয়েদের লালন করেন।আর করবেই বা কিভাবে? সেখানে ছেলেমেয়েদের মিশতে হয় ঐ দেশের কালসারে। অনেকে সৌদি আরব থেকে গিয়ে ফিরে এসে বলেছে আমাদের কালসার আর তাদের কালসারে আসমান জমিন ব্যাবধান।তবে কেন মানুষ যায়? পার্থিব কিছু জিনিস যা মুসলমানদের থাকা উচিত ছিল তা আছে তাদের কাছে।'সোসাল সিকিউরিটি' নামক জিনিসটি ছিল মুসলমানের কিন্তু ওটা এখন তাদের হাতে।সেই জিনিসের জন্য ব্যাভিচারে লালিত হচ্ছে আমাদের সন্তানরা।একটু উন্নত জীবন যাপনের জন্য যারা সন্তানদের সেখানে পাঠায় তাদের বেশীর ভাগ রয়ে যায় সেখানে।হয়ত বাবা মা বাঁচার কিছু সম্বল পান কিন্তু চিরতরে হারিয়ে ফেলেন সন্তানদের, আর হারিয়ে যায় পারিবারিক ঐতিহ্য।গত ঈদে একজন দুরালাপে কানাডা থেকে জানালেন আমরা একই বিল্ডিংয়ে ২০এর অধিক বাংগালি পরিবার।অনেকের সাথে লিফ্টে দেখা হয়।কেউ কাউকে বলতে পারিনা আসুন এক কাপ চা পান করুন কারন আমরা সবাই ব্যাস্ত।আরো বললেন আপনারা ভালই আছেন আর আমরা জানালা দিয়ে প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখছি। একজন অবসরপ্রাপ্ত বন্ধু তার এক বন্ধুকে বললো আমি তোমাকে যে সময় দিয়েছি,আজকে আমাকে সেই সময়ের কিছুটা দাও ,আমি এখন একা।বন্ধু বলেলো,আমি ব্যাস্ত সময় হলে আসবো।এ হলো পশ্চিমা দেশের আসল রুপ যার জন্য আমরা আমদের সব হারাতে রাজি ও খুশি। মুসলমান মসজিদের অভাবে নামাজ পড়তে পারছে না।মসজিদে যেতে হলে পেরুতে হয় ৮/১০ কিলোমিটার।সূরা নিসার ৯৭ আয়াতটি নাজিল হয়েছিল মদিনায় যারা ইসলামি রাষ্ট্র তৈরি হওয়ার পরও কাফের মুশরিকদের সাথে অবস্হান করেছিল।তাদের কাছে যখন মৃত্যুর ফেরেস্তা এসেছিল ও জিজ্সেস করেছিল তোমাদের জন্য কি আর কোন যায়গা ছিল না।তারা জবাব দিয়েছিল আমরা বিপর্যস্ত ছিলাম।আর এদের জন্য ব্যাবস্হা রয়েছে আযাবের যারা মুসলিম ঐতিহ্য ছেড়ে কাফের মুশরিকদের সাথে বসবাস করে।মুসলিমরা কি ভেবে দেখেছে পৃথিবীর ৭০% ধন সম্পদের অধিকার ভোগ করছে ১৭% মানুষ আর তারা বাস করে কয়েকটি পশ্চিমা দেশে।সারা পৃথিবীকে এমেরিকা শোষন করে নেতৃত্ব দিচ্ছে আর আমরা মুসলমানরা তাদের মানবতার পদতলে গিয়ে পদলেহন করছি।মুসলিম উন্নত দেশগুলো এখনো তাদের দেশে ভারি শিল্প ও অপ্রচুর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে পারিনি।আমাদের মেধাগুলো তারা পাছার করে উন্নত হচ্ছে আর আমরা আমাদের মেধার লালন করতে পারিনি।তারা বৃত্তি দিয়ে আমাদের মেধাগুলো নিয়ে যায় আর আমাদের সরকার মুখে আংগুল দিয়ে চোষে।আমাদের জনসম্পদ পৃথীবীতে নেতৃত্ব দিয়ে তাদের শিল্পে ও মননে সহযোগিতা করছে।আমরা কি তাদের দেশের উন্নয়নের জন্য ধরে রাখতে পারি না? আমাদের দেশাত্মবোধ নেই আর নেই সরকারের সহযোগিতা সেজন্য মানুষ নিজের জীবনকে বাজি রেখে প্রচন্ড গরম ও জিরো ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিছের দেশগুলোতে চলে যাচ্ছে।কি করুন ইতিহাস ছিল আমার বন্ধু ইন্জিনিয়ার কামালের যে বুয়েট থেকে তড়িৎ প্রকৌশলী হয়েছিল। বছর তিনেক হলো পরপারে চলে গেছে।বেশী পাওয়ার আশায় সে পাড়ি জমালো এমেরিকায়।আগে স্ত্রী গেল পরে সে।যাওয়ার পর ভাল চাকুরি পেল না কিন্তু সত্রী একটি চাকুরি করতো।ঘরে পুরুষ চাকুরি না করলে যা হয় সেভাবে খুনসুটি লেগে ছিল।দেশে থাকলে হয়ত সেটা হতো না।যেহেতু স্ত্রী এমেরিকার বাসিন্দা সেইহেতু স্বামীকে কেয়ার করবে কেন? আর স্ত্রীদের দোষ দিয়েও বা কি হবে।তারা যখন কাজ করে আসে তখন থাকে শ্রান্ত।এ সময়ে কোন কথা কাটাকাটি হয়ে যেতেও পারে।কিছুদিনের মধ্যেই তাদের বিচ্ছেদ হয়ে গেল।কামাল গিয়ে উঠলো ইন্ডিয়ানদের একটি মেসে।একমাস পর খরচের ডলার না দিতে পারায় তারা তাকে রাতে ফেলে দিল ঘরের বাইরে তার আসবাবপত্র সহ।জিরো ডিগ্রিতে খোলা আকাশের নিছে ঠান্ডায় তার কম্বলে কতক্ষন কাজ করবে।পুলিশ অচেতন অবস্হায় নিয়ে গেল হাসপাতালে।এর কিছুদিন পরে সরকারের পক্ষ থেকে দেশে পাঠিয়ে দিল।আসার পর বেঁচে ছিল দু'বছর তবে পংগু হয়ে নিজের গ্রামের বাড়িতে।নিজের কিছু না থাকলে পৃথিবীতে কেউ দেখে না।তার ভাই যারা ছিল আপন তারাও তেমন কেয়ার করেনি কারন প্রত্যেকে নিজের জীবন নিয়ে ব্যাস্ত।এর পর একদিন খবর এলো কামাল পরপারে চলে গেছে।আমাদের সংস্কৃতির গতি পরিবর্তন হচ্ছে কিছুটা তাদের আদলে কিন্তু এখনো আমাদের গ্রাম বাংলা,আমাদের আপন সংস্কৃতির হাতছানি দিয়ে রাখছে।আমরা সোনার বাংলার যেদিকেই যাই দেখতে পাই আবহমান বাংলার হরেক রকমের রুপ সৌন্দর্য।আমাদের ঈদ,আমাদের পূজা পার্বন,গ্রামীন মেলা,ইসলামি সংস্কৃতি,সভা -সেমিনার আমাদের একে অন্যের সাথে মিলিয়ে দেয়।

দুই বন্ধুর জীবনের গতিধারা থেকে আমাদের অনেক কিছু শিখার রয়েছে।আমাদের সমাজ ব্যাবস্হাটাই এ রকম।হাজারো মানুষ এভাবেই চড়াই উৎরাই করে মানুষ হয়েছি আমরা।কে ক'জনের খবর রাখে। মানুষের বেঁচে থাকার জন্য উদ্দম ও উচ্চাকাংখ্যা মানুষকে অনেক উপরে নিয়ে যেতে পারে।তবে জেনে নিতে হবে সঠিক পথটি ও সততার সাথে উপরের সিঁড়িতে উঠতে হবে।কোন রকম চলচাতুরি করে উঠা জরুরি নয়।আবার সামাজিক বন্ধন ছিহৃ করাও সমিচীন নয়।বেঁচে থাকার জন্য সহায় সম্বল দরকার কিন্তু কতটুকু? অতিরিক্ত পাওয়ার আশায় আমরা জীবনকে কবরের দিকে নিয়ে যাই কিন্তু মানব সন্তানের পেট কবরের মাটি ছাড়া ভরবে না এটাই মানুষের নিয়তি।

বিষয়: বিবিধ

১৪০৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File