পর্দার অন্তরালে কুৎসিত চেহারা
লিখেছেন লিখেছেন মহিউডীন ০২ মার্চ, ২০১৩, ০৫:২১:১৫ বিকাল
শুধি পাঠকবৃন্দ।আপনারা কি কখনো এ সমাজকে নিয়ে পর্যালোচনা করেন? যদি না করে থাকেন তাহলে আজ থেকে শুরু করুন।সমাজ পরিবর্তন করতে হলে আপনাকে প্রশিক্ষিত কুকুরের মত সমাজকে দেখতে হবে।এমনকি আপনার ঘরে ঘটে যাওয়া অনেক কাহিনী আপনার আড়াল হয়ে যেতে পারে।এমন ঘটনা ঘটে যাছ্ছে সমাজে যা নিউজ এ আসে না কিন্তু মা বোনের রিদয় গুমরে কাঁদে।এই যে প্র্তিদিনই দেখছেন ধর্ষন হছ্ছে, ধর্ষনের সেন্চুরি পর্যন্ত হছ্ছে বিচার কি পাছছে নির্যাতিতরা? আর অনেক ধর্ষন হছ্ছে যা আমাদের চোখের আড়ালে থেকে যাছ্ছে।আবার অনেক মিউচুয়েল ধর্ষন হছ্ছে সেটাকে এক শ্রেনী ধর্ষন বলছে না।এই মিউচুয়েল ধর্ষন এখন অনেক ঘরে চলছে।অনেক ঘটনা অমুসলিম এলাকায় ঘটেছে ও ঘটছে যেখানে ওরা ফ্রি সোসাইটি ডেকলেয়ার করেছে।কিন্তু মুসলিম সমাজে তো এর প্রভাব আসার কথা নয় যেখানে ইসলামি স্ংস্কৃতি যুগ যুগ ধরে প্রচলিত আছে।আজকাল পর্দার আড়ালে এমন কিছু ঘটনা ঘটছে যা আমাদের ভাবিয়ে তুলছে।এটা হতে পারে ইসলামের উপর কালিমা লেপনের একটা
চক্রান্ত অথবা আমাদের নৈতিকতার অবক্ষয়।ফ্রিমিকছি্ং স্কুলগোলোর কথা বাদই দিলাম।ইদানী্ং মাদ্রাসা শিক্ষকগন অভিযোগ করা শুরু করেছেন এমন কিছু ব্যাপার নিয়ে যা শুনলে আঁতকে উঠতে হয়। যাদের পাঠানো হছছে ইসলামি জিবনের পাথেয় স্ংগ্রহ করার জন্য তারাই অনৈসলামিক কাজ কর্মে লিপ্ত।এটা ঠিক যে প্রতিষ্ঠানের পক্ষে ব্যাক্তিগত অনেক কিছু সমাধা করা সম্ভব নয়।এখানে ভূমিকা রয়েছে পিতামাতার,ভূমিকা রয়েছে প্রতিষ্ঠানের ও ভূমিকা রয়েছে ছাত্র ছাত্রীর।মোবাইল নামক যন্ত্রটি এখন চরিত্র হননের বড় উপাদান।ছাত্র ছাত্রীরা এখন ধীর্ঘ রাত তাদের প্রেম বিনিময় করে।শুধু তাই নয় তারা রিতি মত ডেটি্ং ও করে থাকে। এ চরিত্র গঠন করে যদি ওরা বাবা মা হয় তাহলে ভবিষ্যৎ সমাজ কি জন্ম দেবে তা আমাদের ভেবে দেখা দরকার। আমাদের বাবা মাদের উচিত এডাল্ট না হওয়া পর্যন্ত তাদের ২৪ ঘন্টা মনিটর করা।নৈতিক শিক্ষার চর্চা ও ধর্মীয় শিক্ষার প্রভাব বিস্তার করা কোরআন হাদিসের মাধ্যমে।
আমরা অনেক আগে পড়েছি ইউরোপে পিতার সাথে তার সন্তানের দৈহিক মেলামেশা হয়েছে এমনকি ৪ সন্তানের জনক ও হয়েছে।সেটা ছিল অমুসলিম সমাজের কাহিনীএব্ং জাহেলিয়াতে এ কাজগুলো হতো।আজকের সভ্যতার যুগে শুরু হয়েছে আর এক নব অসভ্যতা।সূরা নিসার ৩ আয়াতে আল্লাহ বলেন , তোমরা বিয়ে কর দুই , তিন , চার আর যদি বিচার না করতে পার তাহলে বিয়ে কর একটি।আপনার ক্ষমতা থাকলে আপনি বিয়ে করতে পারেন।বিয়ে হলো ইজ্জতের সুরক্ষা।তা হলে যারা গৃহপরিচারিকার চরিত্র হনন করছে , নিজের ইসত্রীকে টর্চার করছে তারা কি ভেবে দেখেনা জাহান্নামের খন খনে আগুন তাদের জন্য তৈরি করে রাখা হয়েছে।অনেক ধার্মিক মা'দের রিদয় গুমরে কাঁদে, বলতে পারে না সম্মানের ভয়ে। এরা কারা পরখ করে দেখুন।সমাজে তাদের সাথে কিছু সময় উঠা বসা করুন সহজে বুঝতে পারবেন।ষাট উদর্ধ বয়স , লম্বা সাদা দাঁড়ি ,৫ ওয়াক্ত নামাজ মসজিদে , দানশীল , মসজিদ মাদ্রাসায় দান, হজ্জব্রত পালন এ সব মহৎ গুনের অধিকারী।নিশ্চই এ সব ইসলামের গুন যা তাদের আল্লাহর সান্নিদ্ধে পৌঁছায়।কিন্তু কিছু স্ংখ্যক যাদের সম্পর্কে তথ্য নিয়ে দেখুন তার সামাজিক পরিমন্ডলে , তার কর্মক্ষেত্রে , দেখতে পাবেন এক ভয়্ংকর চরিত্র ধারন করে আছে। পরিবার ছেলেমেয়ের কোন ইসলামি শিক্ষা নেই , তাদের হক্ক আদায় নেই, স্ত্রীকে মানুষিক টর্চার, আর সমাজে দ্বীনদার। এদের চিহ্নিত করা জরুরি হয়ে পড়েছে। এরা ইসলামের প্রতিনিধিত্ব করছে না বর্ং ইসলামের নামে ইসলামকে কলন্কিত করছে।
সুন্দর সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে হলে সুন্দর মনের প্রয়োজন।এই সুন্দর মন তৈরি হয় নৈতিক চরিএ গঠনের মাধ্যমে।আর একটি সুন্দর পরিবারই দিতে পারে সুন্দর সমাজ ও রাষ্ট্র। আসুন আমরা এদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াই ও সমাজকে কলুষমুক্ত করি।
বিষয়: বিবিধ
১৭৮৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন