বাবা মা'র চোখের অশ্রু এখন সমাজকে প্লাবিত করছে।

লিখেছেন লিখেছেন মহিউডীন ১৯ আগস্ট, ২০১৪, ০৬:১০:৪৪ সন্ধ্যা

আজকের পৃথিবীতে প্রতিটি দেশে ও সমাজে নারি নির্যাতনের ও নারি স্বাধীনতার নামে সমাজে যে অস্হিরতা দেখা যাচ্ছে তা সমস্ত রেকর্ড ভংগ করছে।আত্মহত্যা,এসিড নিক্ষেপ,ধর্ষন,পারিবারিক দ্বন্দ,স্বামী দ্বারা নিগৃহীত-এতসব কারন শুধু সে নারিকেই বিপর্যস্ত করে না, বাবা মা'কেও এর দায় বহন করতে হয়। শয়তান আজ এমনভাবে মানুষের উপর সওয়ার হয়েছে যে জাহেলিয়াতে যে কাজগুলোকে ভয়াভহ মনে করা হতো,আজ একবিংশ শতাব্দিতে কন্যা সন্তানরা পরিবারের কাছ থেকেও রেহাই পাচ্ছেনা।আবার কোন কোন সন্তান বিবাহের পর স্বামীর পক্ষ অবলম্বন করে তার দীর্ঘ বেড়ে তোলা বাবা মা'র প্রতি অপবাদ ও নির্দয় আছরন করতেও কসুর করে না।অমুসলিম সমাজে যা ঘটছে তার চেয়ে বেশী ঘটছে এখন মুসলিম সমাজে।জাহেলিয়াতে নারিজাতির কোন মর্যাদা ছিলনা।সে যুগে কন্যা সন্তান জন্মগ্রহন করা ছিল একটি বড় অপরাধ।সেজন্য তারা নিজের কন্যা সন্তানকে জীবন্ত প্রোথিত করতো।বর্তমান অবস্হা দেখে মনে হয় আমরা আর একটি নব্য জাহেলিয়াতের দ্বারে পৌছেছি।নারীদের স্বাধীনতা,ইজ্জত আব্রু ও সম্মান,অধিকার ইসলাম যে প্রতিষ্ঠা করেছে সেটাকে দুনিয়া থেকে ধূলিসাৎ করতে চায়।এক শ্রেনীর দীন বিদ্বেষী,আলকুরআন ও হাদিছের শক্রু তারা সমাজে বিভিন্ন ধরনের সামাজিকতার নামে,ভদ্রতার নামে,লৌকিকতার নামে নিজেদের অর্থলিপ্সার জন্য মেয়ের বাবা মা'কে অশ্রুপাত করাতে বাধ্য করছে।যে যুবকরা আজ এ বিকৃত পথ অবলম্বন করছে তাদের দাম্পত্য জীবনকে সুখী করার জন্য আসলে তারা একদিন এর পরিনাম ভোগ করবে হয় জীবদ্দশায় না হয় আখেরাতে।যে মেয়ে ২০/২২টি বছর দেখেছে বাবা মা'র কর্মক্লান্ত জীবন,নিজে না খেয়ে পরে তাকে মানুষ করেন,সামাজিক অনেক সমস্যায় নিজের ঘুম হারাম করে মেয়েকে আগলে রাখেন,নিত্যদিন স্কুলের করিডোরে ৪/৫ ঘন্টা অপেক্ষা করেন, সে বাবা মা যখন অশ্রুপাত করেন তখন তাদের এক মুহূর্তের জন্যও অতীতকে মনে হয় না।যার ফলশ্রুতিতে আমাদের সমাজ আজ ভীষন রোগগ্রস্ত। এই রোগগ্রস্ততা তথা বাবা মা'র অশ্রুপাত বন্ধ করার কোন পদক্ষেপ কি আমরা নিতে পারি না?

যে বিবাহ বন্ধন বাবা মা'র একটি পরিকল্পিত আনন্দ যাতে উজাড় করে দেন জীবনের সবকিছু।প্রতিদিনের সন্চয় করে রাখেন একটি স্বপ্ন দেখার আর বিবাহের কিছুদিন পরই দেখা দেয় দু;খের অশ্রুপাত।এই বিষাদের কারন কি? একজন মুসলিম হিসেবে আমাদের আলকুরআন ও হাদিছের পাতা থেকে জানা আবশ্যক বলে মনে করছি।আমাদের পারিবারিক এই বন্ধনটিকে বুঝতে হলে আমাদের একটু গোড়ার দিকে দৃষ্টিপাত করতে হবে।আল্লাহ পাক সর্বপ্রথম আমাদের আদিপিতা আদম আ;কে সৃষ্টি করলেন ও জান্নাতে রাখলেন।জান্নাত এমন একটি স্হান যা কোন চোখ দেখেনি,কোন অন্তর কল্পনা করেনি এবং কোন কান শুনেনি।এই শান্তি একা ভোগ করা যায় না তার সাথে প্রয়োজন একজন সংগীর।তাই আল্লাহপাক তাঁর বাম পাঁজর থেকে সৃষ্টি করলেন হাওয়া আ;কে।আল্লাহ পাক নারি জাতিকে সৃষ্টি করেছেন পুরুষজাতির শান্তির জন্য।আল্লাহ পাকের একটি নিদর্শনের মধ্যে একটি নিদর্শন হলো আমাদের থেকে নারিজাতিকে সৃষ্টি।আল্লাহ পাক সূরা নিসার ১ আয়াতে বলেন,'ওহে মানবগোষ্ঠি! তোমাদের প্রভুকে ভয়ভক্তি কর যিনি তোমাদের সৃষ্টি করেছেন একই সফস থেকে আর তার জোড়া ও সৃষ্টি করেছেন তার থেকে আর এই উভয় থেকে ছড়িয়ে দিয়েছেন বহু নর ও নারী।অতএব ভয় শ্রদ্ধা কর আল্লাহকে যার দ্বারা তোমরা পরস্পরের মাতৃজঠরের সওয়াল জওয়াব কর।নি;সন্দেহে আল্লাহ তোমাদের উপর সর্বপ্রহরি।' নারি পুরুষের এই যে বিস্তার তার জন্য বৈধ পথের প্রয়োজন আর তা বিবাহের মাধ্যমে সংগঠিত হয়।আল্লাহ পাক বাবা আদম ও মা হাওয়া আ;এর মাধ্যমে আজ পর্যন্ত বংশ বিস্তার করালেন।তাই এই নারি পুরুষ নিয়েই মানুষের জীবন।কেন নারি সৃষ্টি করা হলো? সূরা আর রোমের ২১ আয়াতে আল্লাহ বলেন,তাঁর নিদর্শনাবলীর মধ্যে হচ্ছে যে তিনি তোমাদের মধ্য থেকে তোমাদের জন্য সৃষ্টি করেছেন যুগলদের যেন তোমরা তাদের মধ্যে স্বস্তি পেতে পার।আর তিনি তোমাদের মধ্যে প্রেম ও করুনা সৃষ্টি করেছেন।' একজন পুরুষ যেন তার দু:খ - দুর্দশা ও সব অশান্তি ভুলে যায় সেজন্যই নারীর সৃষ্টি।আল্লাহ পাক স্বামী স্ত্রীর মধ্যে মায়া মমতা সৃষ্টি করে দিয়েছেন।যে ভালবাসার সমন্নয় আল্লাহ পাক করলেন আজ সমাজে সে ভালবাসা দেখা দিয়েছে বিকৃত রুপে।এখন একজন আরেকজনকে সম্মান করে না।নবী সা: একজন সতী নারির বর্ননা দিলেন এভাবে,যখন তুমি তার দিকে দৃষ্টিপাত করবে তার মনে আনন্দের ঢেউ বয়ে যাবে। তোমার প্রতি অল্পতেই তুষ্ট থাকবে।তুমি বাইরে গেলে তার লজ্জাস্হানের হেফাযত করবে।তুমি যাদের পছন্দ কর না তাদের তোমার ঘরে নিয়ে আসবে না।' আল্লাহ পাক একজন সতী নারিকে সবচেয়ে মুল্যবান সম্পদ বলে আখ্যায়িত করলেন।এই পৃথিবীর সবকিছু আল্লাহ পাক মানুষের সেবার জন্য সৃষ্টি করেছেন।আর এই সেবা পেয়ে তারা একমাত্র আল্লাহরই দাসত্ব করবে।শির্কমুক্ত সমাজ গড়ে তুলবে।এ কাজ শুধু পুরুষরাই করবে না নারিরাও সম্পৃক্ত হবে। কবি নজরুল ইসলাম বলেছেন,এ পৃথিবীর যত কল্যান অর্ধেক তার করিয়াছে নারী অর্ধেক তার নর। যে নারীকে আল্লাহ পাক সৃষ্টি করলেন আমাদের শান্তির জন্য সে নারী বিপথে যায় কি করে? রাসুল সা: বলেছেন,একজন নারী পুরুষের যে ভালবাসা তা আমি অন্য কারো মধ্যে দেখতে পাই না।'যে আল্লাহ পাক একজন নারীকে এত মর্যাদা দিলেন সেই নারী আজ পন্য হিসেবে বিক্রি হচ্ছে,দাসীর মত তার অবস্হান,যৌতুকের শীকার,সে আজ সামাজিকভাবে লান্চিত।আল্লাহ প্রতিটি প্রানীকেই জোড়ায় জোড়ায় সৃষ্টি করেছেন আর মানুষকে সব সৃষ্টির সেরা করেছেন।এই সৃষ্টির সেরা মানুষ কি লক্ষ্য করে না অন্য সৃষ্টি কি একে অপরকে লান্চিত করে? আমাদের চারপাশে সব প্রানী যেমন বিড়াল , কুকুর , পাখি,বাঘ,সিংহ ,ভালুক এসব প্রানীকে তো আমরা তাদের নিজেদের উপর হিংস্র হতে দেখি না।তারা আল্লাহর বিধানকে মেনে চলে।অথচ একশ্রেনীর মানুষ আজ এত অর্থলিপ্সু যে একে অন্যকে হত্বা করতে কুন্ঠিত হয় না।এরাই হলো সৃষ্টির নিকৃষ্ট সৃষ্টি।এরাই অন্যের চোখের পানি ঝরায়।এগুলো কোন মুসলমানের কাজ হতে পারে না।এরা সর্বশ্রেষ্ঠ উম্মত হতে পারে না।যখন আল্লাহ পাক আমাদের সুখের জন্য নারি পুরুষকে সৃষ্টি করেছেন সেজন্য একে অন্যের প্রতি ভালবাসার দৃষ্টি দিতে হবে।

পৃথিবীর বিভিন্ন দারিদ্রপীড়িত দেশে সমাজের অবস্হা দেখলে এর পাশবিকতা বুঝা যায়।আমাদের দেশে যে পনপ্রথা এসেছে এ হলো হিন্দুরীতি।এক সময় পত্রিকায় একটি ঘটনা এসেছে ভারতে।এক বাবা মা'র ছিল তিন মেয়ে।বিয়ের উপযুক্ত হলো কিন্তু পনের কারনে বিয়ে হয় না।বাবার বিপর্যস্ততা তিন বোনই দেখতে পায়।কোনভাবেই বাবা টাকা জোগাড় করতে পারেনা পনের যে মেয়েদের বিয়ে দিবে।শেষ পর্যন্ত তিন বোনই বাবা মা'র অশ্রুকে চিরদিনের জন্য বন্ধ করার জন্য, যুবক সম্প্রদায়কে শিক্ষা দেয়ার জন্য তিন বোনই পেট্রল ঢেলে আগুন দিয়ে দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়েছিল।কিন্তু এ সমাজ কি শিক্ষা নিয়েছে এ ঘটনা থেকে? আজও প্রতিটি সমাজে নিভৃতে এ সব মানুষ কাঁদছে ,ধুকে ধুকে মরছে কেউ কারো খবর রাখছে না।অনেক মেয়ে সুখে থাকার জন্য স্বামীর সংসারে গেল,বাবা মা তাদের সব বিক্রি করে মেয়ের সুখের জন্য দিয়ে দিল কিন্তু পাশন্ড স্বামীর হাত থেকে সে মেয়েটি বাঁচতে পারেনি।এ কোন পাশবিকতা? আইনের শাসন নেই , সামাজিক প্রতিকার নেই,অভিযোগ করলে লাশ হয়ে যেতে হয়।এ যখন সমাজের অবস্হা তাকে কখনো সুস্হ সমাজ বলা যায় না।সামাজিক মাধ্যমে যারা কথার ফুলঝুরি ঝরান তারা একপ্রকার ঠক ও ভাঁড় ছাড়া কিছুই নয়।মুসলিম দেশগুলো যাদের কাছে রয়েছে আলকুরান ও রাসূল সা: এর ছহি সূন্নত,সেখানে এ অবস্হা বিরাজ করবে তা ভাবা যায় না।বিজাতীয় সভ্যতার দাসরা তাদের নিজের সংস্কৃতি সভ্যতাকে নির্বাসিত করে অন্যের সভ্যতাকে প্রাধান্য দিয়ে ইসলামের সৌন্দর্যকে ভুলুন্ঠিত করছে।এদের জন্য দুনিয়ায় যেমন অকল্যান রয়েছে তেমনি আখেরাতে রয়েছে আজাবে আলিম।আমাদের উচিত ইসলামকে অনুশীলন করা ও প্রতিটি জীবনকে সে আদর্শ দিয়ে প্রতিষ্ঠিত করা।তাহলেই সমাজ থেকে যত রকমের অকল্যান আছে তা দূর করা সম্ভব।

বিবাহের মাধ্যমে দুটি জীবনের স্বপ্ন শুরু হয় যাকে আরবীতে 'আক্কদ'বলা হয়।একটি বিচ্ছিন্ন জিনিসকে অবিচ্ছিন্ন করে দেয়াই হলো বিয়ের কাজ।একজন নারি ও পুরুষের মধ্যে বন্ধন তৈরি করে দেয়া,একটি মুসলিম পরিবার গঠন তথা সামাজিক অনাচার থেকে বেঁচে যাওয়ার জন্যই এই বিয়ের ব্যাবস্হা করা হয়।এটা ইসলামি শরিয়তের একটি হুকুম।বিবাহ স্বাদির উদ্দেশ্য শুধুমাত্র প্রেম বিনিময় নয়।এখানে মহান আল্লাহর বিশেষ উদ্দেশ্য রয়েছে।প্রথমত এর উদ্দেশ্য হলো নারি পুরুষের এক বন্ধন সৃষ্টি করা যাতে একে আপরের থেকে আনন্দ উপভোগ করতে পারে।পুরুষ বা নারীই হোক যখন তারা পূর্ন বয়সে পৌঁছে যায় তখন তাদের জৈবিক চাহিদা তাদের মনের মনিকোঠায় উঁকি মারে।এই চাহিদা মেটানোর জন্য পৃথিবীতে তিনটি পদ্ধতি রয়েছে।প্রথম পদ্ধতি হলো ফ্রি সেক্ক্স।যার সাথে যখন মিল হয়ে যায় তখন আপোষে এই চাহিদা পূরন করে নেয়।যাদের আমরা সভ্য দেশ বলি তারাই এর কর্মকার।তারা এ অবস্হাকে ধর্ষন বলে না।কুকুর বিড়ালের মত রাস্তাঘাটে যেখানে সেখানে এ কাজ করে থাকে।মুসলিম দেশ গুলোতে এখন অহরহ এ ঘটনাগুলো ঘটছে।পার্ক এলাকাগুলো,বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস,নদী ও সমুদ্রতীরে,আবাসিক হোটেলগুলোতে, বনভোজন এলকাগুলোয়, নিভৃত বনান্চলে যেখানে মানুষ একটু প্রশান্তির জন্য যাবে সেখানেও অনেকে আংশিক এই চাহিদা পূরন করে।এ অবস্হায় তাদের বৈধ বা অবৈধ কিনা তা ভাবার প্রয়োজন নেই। অর্থাৎ ব্যাভিচার সর্বব্যাপি প্লাবিত।এ ব্যাভিচার কম হয় মা ও ছেলের মধ্যে আর তাও ১৭% ( নাউজুবিল্লাহ)।দ্বীতিয় পথ হলো বৈরাগ্য।এদের বৈধ বিবাহের প্রয়োজন নেই।এরাই নিভৃতে ধর্মের নামে ডুবে ডুবে জল খায়।ইহুদি খৃষ্টান ও অন্যান্য ধর্মের মধ্যে এর প্রভাব বেশি।এখন এদের অনুসারি ইসলামেও ঢুকে পড়েছে।ইসলামে বৈরাগ্যের কোন স্হান নেই।তৃতীয় হলো বৈধ সামাজিক বিয়ে যার মাধ্যমে জৈবিক চাহিদা পূরন হয়।ইসলামে কুরআন ও হাদিছের আলোকে একজন পুরুষ ও নারীর মধ্যে যে বন্ধন তৈরি হয় সেটাই বৈধ বিয়ে।এর মাধ্যকে একে অপর থেকে দুনিয়া ও আখেরাতের কল্যান প্রাপ্ত হয়।মুসলিম বিবাহের একটি মহা কল্যান হলো বংশ বিস্তার এবং তাদের আল্লাহ পাকের তৌহিদের উপর দুনিয়ায় নেক সন্তান হিসেবে রেখে যাওয়া যাতে করে রোজ ক্কেয়ামত পর্যন্ত তারা এ পৃথিবীকে আবাদ করতে পারে।মুসলিম সমাজ গঠনের একমাত্র রীতি হলো প্রতিটি পরিবারকে আল্লাহর আদেশ নিষেধের কাছে মাথা নত করতে হবে।যদি তা-ই হয় তাহলে সমাজ ও রাষ্ট্রে কোন দ্বন্দ তৈরি হবে না।কিন্তু আমরা কি দেখছি? সমাজ অস্হির হয়ে আছে।কারন হলো আল্লাহর দেয়া বিধি নিষেধের কাছে অধিকাংশ মানুষ মাথা নত করছে না।তারা লোভ ও হিংসার বশবর্তি হয়ে একে আপরকে ঠকাচ্ছে,লুন্ঠন করছে,হত্বা করছে,ব্যাভিচার করছে।এ সকল কাজ হলো আদর্শ বিরোধী কাজ।তারা একে অপরের উপর শ্রেষ্ঠত্ব দাবি করার জন্যই এ ব্যাবস্হার অবতারনা করছে যার ফলে যুদ্ধ বিগ্রহ লেগেই আছে পৃথিবীব্যাপি।

বিবাহ হলো সূন্নতে মোয়াক্কাদা।নবী সা: বলেন,'হে যুবকেরা! তোমাদের যাদের সামর্থ রয়েছে তারা বিয়ে কর।বিয়ে তোমাদের চক্ষুকে নিচু করে দেয়,তোমাদের লজ্জাস্হানের হেফাযত করে আর যাদের এই শক্তি নাই তারা রোজা রাখ।এই রোজাই তোমাদের অন্ডকোষকে কর্তন করবে।' এই বিবাহের মধ্যে কল্যান ও হেক্কমত রয়েছে।এর মাধ্যমে একজন নারি পুরুষের মধ্যে বৈধ সম্পর্ক গড়ে উঠে এবং দু'জন জ্বেনা ব্যাভিচার থেকে বেঁচে যায়।সামাজিক ব্যাধি থেকে সমাজ নিয়ন্ত্রিত থাকে।আজকে ইসলামকে অনুসরন না করার কারনে অশ্লিলতার প্লাবন সমাজে দেখা যায়।দেশে বেকারত্ব ও যুবক যুবতিরা সময় মত বিয়ে করতে পারছে না।একজন পুরুষ ও নারির মধ্যে সুসম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়।বিভিন্ন সমাজ ও গোত্রের সাথে একে অপরের সুসম্পর্ক ও স্হিতিশীল সমাজ প্রতিষ্ঠিত হয়।সামাজিক বন্ধনের মাধ্যমে মানুষের মতের মিল হয় এবং সেখানে দ্বন্দ-সংঘাত হ্রাস পায়।বিয়ের মাধ্যমে মানব জাতির সঠিক বিস্তার হয়ে থাকে।তছলিমা নাসরিনের মত যারা নারিবাদি লেখক তারাতো মাতৃত্বই চায় না অর্থাৎ তারা অবাদ মেলামেশা করতে চায়।তাদের অনুসারিদের দ্বারাই আজ সমাজে অস্হিরতা এসেছে।তাদের অনেকে আবার স্বামী স্ত্রীর অধিকার নিয়েও প্রশ্ন তোলে।ইসলাম যা নির্ধারিত করেছে তা মানব জাতির কল্যানের জন্যই করেছে।পুরুষ ও নারির অধিকার সমান কিন্তু পুরুষের অধিকার সামান্য উপরে।যে সমস্ত নারি পুরুষ তাদের অধিকারের যায়গাটাকে বুঝতে পারে না তারাই সমস্যার কারন হয়ে দাঁড়ায়।নিজেদের স্বার্থপরতার কারনে ইসলামকে দোষী করে।ইসলামে একজন পুরুষকে চারটি বিয়ে করার অনুমতি দেয়া হয়েছে।কিন্তু সমাজ বিশ্লেষন করলে আমরা দেখি দু'একটি বৈধ কারন ছাড়া কেই দ্বীতিয় বিয়ে করে না।সূরা নিসার প্রথম দিকে আল্লাহ বলেছেন,তোমরা বিয়ে কর দু'টি,তিনটি,চারটি আর যদি তাদের মধ্যে বিচার না করতে পার তবে বিয়ে কর একটি।আল্লাহ পাক এখানে একটি বিয়ে দিয়ে শুরু করেন নি।বিয়ে শুধু করলেই হবে না সেখানে সঠিক বিচার থাকতে হবে।যে সমস্ত নারিবাদি মহিলারা এ কথাগুলো বলেন তাদের বলতে চাই আপনারা চারটি বিয়ে করার জন্য তৈরি আছেন কিনা? যদি আপনি চারটি বিয়ে করেন তাহলে চারজন পুরুষ যদি একই সময়ে আপনার কাছে যৌন চাহিদা পূরন করতে আসে তাহলে আপনি সমর্থ কিনা? আপনার ঘরে যে সন্তানটি জন্ম নিবে তার পিতা কে হবেন? কে তার ভরন পোষনের ব্যাবস্হা করবে? এরকম হাজারো প্রশ্ন দেখা দিবে।আমরা তো অহরহই দেখি একজন মহিলা ৪০ হলেই তার আর একজন পুরুষকে ধারন করার ক্ষমতা রাখেন না।একজন পুরুষ ৬০/৭০ বছরেও চারজন মহিলাকে রাখতে পারেন এবং সমাজে এর প্রমান আছে।আল্লাহ পাক সৃষ্টিগতভাবেই নারী ও পুরুষকে এভাবে সৃষ্টি করেছেন।আল্লাহ পাক বিবাহের মাধ্যমে বৈধতা দিয়েছেন যেন সমাজে ভারসাম্য তৈরি থাকে যেন কোন বিশৃংখলার সৃষ্টি না হয়।

বিবাহের কতেক স্বর্ত রয়েছে আর তা হলো স্বামী স্ত্রীর সম্মতি।ছেলে মেয়ের যদি সম্মতি না থাকে তা হলে বিবাহ দেয়া হারাম।আল্লাহর নবী সা:বলেছেন একজন দ্বীনদার ও সামর্থবান ছেলে যদি প্রস্তাব দেয় তাহলে তার সাথে বিয়ে দিয়ে দাও।আমাদের সমাজে আজকাল যেভাবে বিয়ে হচ্ছে তাতে ইসলামের স্বর্তই পূরন হচ্ছে না।তাহলে সে ঘরে যে সন্তান জন্ম নিবে তা কি করে ভাল হবে।আমরা মুসা আ: এর ঘটনা থেকে জানতে পারি বিয়ে সম্পর্কে।তিনি যখন মিশর থেকে মাদায়েনের দিকে হিযরত করে মাদায়েনে পৌঁছলেন তখন তিনি ছিলেন বেশ ক্লান্ত।তাফছিরে এসেছে ৮ দিন ও ৮ রাত্র তিনি ভ্রমন করেছেন।পানি নেই , খাবার নেই।তিনি সেখানে একটি গাছের নিছে বসে গেলেন।অনতিদূরে ছিল একটি কুয়া।রাখালরা তাদের পশুদের পানি পান করাতে আসলো।পাশেই দুটি মেয়ে তাদের পশুকে আগলে রাখছে কারন রাখালদের কারনে তারা পানি পান করাতে পারছে না।তিনি এগিয়ে এসে তাদের কারন জিজ্গেস করলেন। তারা বললো আমাদের বাবা বৃদ্ধ।তাছাড়া তারা ছাড়া তাদের আর কেউ নেই এগুলো রক্ষনাবেক্ষনের।তিনি নিজে পানি পান করলেন ও তাদের পশুদের পানি পান করালেন এবং ফিরে গেলেন গাছের নিছে।এই মেয়ে দুটি ছিল শোয়াইব আ; এর মেয়ে।তারা গিয়ে শোয়াইব আ:কে ঘটনা বললো এবং এও বললো লোকটি শারিরিক ভাবে সামর্থবান ও আমানতদার।শোয়াইব আ:তার একজন মেয়েকে দিয়ে মুসা আ:কে ডেকে পাঠালেন।মুসা আ: এর ঘটনা শুনে তিনি বললেন ফেরাউনের কবল থেকে তুমি নিরাপদে এসেছ।তিনি মুসা আ:কে প্রস্তাব দিলেন তার একটি মেয়েকে বিয়ে দেয়ার জন্য এবং বললেন মোহর হিসেবে ৮ বছর কাজ করার জন্য,যদি ১০ বছর করেন তাহলে ভাল।মুসা আ: ১০ বছরই পূর্ন করলেন।তাহলে আমরা বুঝলাম বিয়ের ব্যাপারটি অত্যন্ত সহজ। যে কোন দিক থেকে প্রস্তাব আসতে পারে।ছেলে যদি মেনে নেয় ও মেয়ের পিতা যদি প্রস্তাব দেয় তাহলে বিয়ের কাজ হয়ে যাবে তবে মেয়ের পিতাকে মেয়ের সম্মতি নিতে হবে।আমাদের সমাজে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে অনেক মেয়ের বিয়ে ঠিক করে জানানো হয় যার পরিনতি হয় তাদের বিয়ে ভাংগন।ছেলে এবং মেয়ের সম্মতি অত্যন্ত জরুরি।আর যদি মেয়ে তালাকপ্রাপ্তা হয় তার মৌখিক সম্মতি নিতে হবে।আল্লাহর নবী সা; এর কাছে একজন মহিলা এসে বললো ইয়া রাসূলাল্লাহ আমার বাবা আমাকে আমার চাচাত ভাই এর সাথে বিয়ে দিচ্ছে আমি সেই বিয়েতে রাজি না,এ ক্ষেত্রে আমার করনীয় কি? আল্লাহর নবী সা: বললেন তুমি ইচ্ছে করলে এ বিয়ে ভেংগে দিতে পার।আল্লাহর নবী সা: আরো বলেন,কোন বিবাহিত নারি হলে তার অনুমতি(মুখে প্রকাশ) ছাড়া বিয়ে যায়েয নেই আর কুমারি হলে তার সম্মতি ছাড়া যায়েয নাই।' এই অনুমতি নেয়ার দায়িত্ব হলো মেয়ের বাবা বা অন্য কোন বৈধ ওয়ালি।এখানে ইসলাম একজন নারির অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছে।আজ সমাজে জাহেলিয়াতে ফিরে গেছে যে ছেলে বা মেয়ের কোন মতামতের দরকার হয় না।বিদেশে অবস্হানরত অনেকের অভিযোগ বাবা মা মেয়ে ঠিক করে রেখেছে,মোহর ধার্য করে রেখেছে কিন্তু ছেলের সাথে বা মেয়ের সাথে কোন বৈধ দেখা পর্যন্ত হয় নি।দেশে গেলেই বিয়ে পড়িয়ে দেয়া হয়।(নাউজুবিল্লাহ) এখানে একে অপরের দেখার ব্যাপার রয়েছে, নিজেদের জানা জানির ব্যাপার রয়েছে,মোহর ধার্যের ব্যাপার রয়েছে এগুলোর কোন খবরই নেই। সাহাবায়েকরাম জিজ্গেস করলেন কিভাবে একটি কুমারি মেয়ের সম্মতি নেয়া হবে।রাসূল সা: বললেন যদি কুমারি মেয়ে জিজ্গেস করার পর চুপ থাকে তাহলে বুঝতে হবে তার সম্মতি আছে।আর একটি বিষয় রয়েছে যে অমুকের ছেলে ওমুক বা ওমুকের মেয়ে ওমুক এভাবে নির্দিষ্ট করন।কারন অনেক অসৎ ঘটক রয়েছে তারা টাকার বিনিময়ে দেখায় একটা আর বিয়ে দেয় অন্যটা।ইসলামে বিয়ের এই রীতি পদ্ধতি প্রতিটি নরনারির জন্য জানা আবশ্যক।আমাদের এক ধরনের বিদাআতি মৌলবি ও মোল্লারা বিয়ের কাজগুলো সমাপন করে যার সাথে রাসূল সা: এর সূন্নাহের কোন মিল নেই।হক্কানি আলেমদের কাজ জুমআর দিনে মাঝে মাঝে সামজিক এ বিষয়গুলো মানুষকে জানিয়ে দেয়া। আর একটি স্বর্ত হলো ওয়ালি বা বৈধ অভিভাবক।বৈধ ওয়ালি ছাড়া যে বিবাহ হয় এবং সন্তান জন্ম নেয় তা অবৈধ সন্তান।আমাদের দেশে কোর্টে যে বিয়ে হয় সেখানে ওয়ালি থাকে মেজিস্ট্রেট বা কাজি।কারন ছেলে মেয়ে চুরি করে বিয়ে করতে আসে।এ বিয়ে সম্পুর্নরুপে হারাম।মোহর একটি স্বর্ত যা একজন পাত্রির পাওনা বরের কাছ থেকে যিনি এর বিনিময়ে তাকে ভোগ করবেন।আমাদের সমাজে এখন হয়েছে এর উল্টো।মোহর ধার্য করা হয় ৫ লাখ কিন্তু উসুল থাকে সামান্য বাকিটা বকেয়া।অথচ মোহর দেয়া ফরয।এটা দেয়া হয় নারিকে খুশি ও তার লজ্জাস্হানকে হালাল করার জন্য।এটা স্বামীর একটি দায়।যদি স্বামী মারা যায় ও মোহর না দিয়ে থাকে তাহলে তার রেখে যাওয়া সম্পদ থেকে আগে তা পরিশোধ করতে হবে।আজ সমাজে মোহর পুরুষের যায়গায় মহিলাকে দিতে হয়।এটা একটি জুলুম সে নারির পরিবারের প্রতি।এই অন্যায় কাজের জন্য অনেক বাবা মাকে বিপর্যস্ত হতে হয়।মেয়ের স্বামীর কাছে বাবা মা'কে কটু কথা শুনতে হয়। এই মোহর একটি ভালবাসার প্রতীক একজন পুরুষের জন্য।যতটুকু নগদ দেয়া সম্ভব ততটুকুই ধার্য হওয়া উচিত।অনেকের ভাষায় কিছুই চায় না তবে বরকনের ঘর সাজনোর কথা বলে যৌতুক নেয় এগুলোও সম্পুর্ন হারাম।কিন্তু কেউ যদি নিজেদের ইচ্ছায় মেয়েকে হাদিয়া হিসেবে অনেক কিছু দেয় তাহলে কোন দোষ নেই কিন্তু কোন ডিমান্ড করা চলবেনা।আমাদের উপমহাদেশে সার্কভুক্ত দেশগুলোতে দেখা যায় একটা সামাজিক রোগ হিসেবে দেখা দিয়েছে।যে পরিবারে ছেলে ডাক্তার,ইন্জিনিয়ার বা অন্য কোন ভাল প্রফেশনে কাজ করে ও বিয়ের উপযুক্ত হয়েছে সে পরিবারে মেয়ে বিয়ে দিতে বিরাট অংকের টাকা দিতে হয়।কারন হলো তাদের বাবা মাও মেয়ে দিতে একইভাবে টাকা দিতে হয়েছে।এই যে রাষ্ট্রীয় বা সামাজিক আইন তা মানব রচিত আইন।এই আইনের দহনে সেই সব জাতি ধংসিত।আর একটি স্বর্ত হলো ছেলে মেয়েকে দেখবে।এখানে শরিয়তে যারা বৈধ তারাই থাকবে।আজকের সমাজে ছেলে মেয়ের বন্ধু বান্ধব বা পাড়া প্রতিবেশী সবাই এখানে উপস্হিত থাকে।তাই শুধু ছেলেই দেখবে এবং কোন কামনা বাসনা ছাড়া বিয়ের উদ্দেশ্যেই দেখবে।ছেলের জন্য বৈধ হলো চেহারা ও হাতের কব্জি পর্যন্ত দেখা।এখন তো আর ওভাবে দেখা লাগে না।বিয়ের আগে সবকিছুই দেখে ফেলে।অনেকের সন্তানও জন্ম নেয় আর তাড়াহুড়ো করে বিয়ে দিয়ে দেয়।(নাউজুবিল্লাহ) আজ রক্ষনশীল কোন পরিবার দেখলে বলে এরা সমাজে অপাংক্তেয়।আর যত খোলামেলা চলে তার হলো সভ্য।পাঠক সমাজ আপনাদের বলি,কলা যত দেখতে সুন্দর আর পাকা হোক যদি এর বাকল ছুলে বাজারে আপনি বিক্রয় করতে নিয়ে যান তাহলে গ্রাহক আপনার কাছ থেকে সে কলা কিনবে কিনা? আজকে আমাদের মেয়েদের,বোনদের এই অবস্হা বিরাজ করছে।অসংখ্য ছেলে বা মেয়ে সমাজে।বিয়ে দিতে গেলে হাজার মেয়ে বা ছেলে খুঁজলে একটা ভাল ছেলে মেয়ে পাওয়া যায় না।আমাদের মনে রাখতে হবে যে জিনিস যত মুল্যবান হয় সে জিনিসের ততবেশী সিকিউরুটি থাকে।যে নারি যত পর্দার মধ্যে থাকে ও গোপনীয় থাকে সে তত মুল্যবান এবং সে ঘরে জন্ম নেয় সৎ প্রজন্ম।এক সময় ছিল ছেলের বাবা মা খরচ করে মেয়ে ঘরে তুলে আনতো আর এখন মেয়ের বাবা তার উল্টোটা করে কারন হয়ত মেয়েকে সেভাবে লালন পালন করতে পারে নি আর না হয় শীকার হয়েছে সমাজের।আল্লাহর নবী সা: বলেন চারটি জিনিস দেখে বিয়ে করবে,' মাল,সৌন্দর্য,বংশ ও দ্বীন।কিন্তু তিনি এও বলেছেন সবগুলো জিনিস একসাথে পাওয়া নাও যেতে পারে তবে দ্বীন দেখে বিয়ে কর তোমার কল্যান হবে।অনেক মানুষ আছে যারা মালদার ,বংশ ও সুন্দরি দেখে বিয়ে করেছে কিন্তু শান্তি নেই।সমাজে এমন স্ত্রীর কথা এসেছে যে,ঘরে সুন্দরি বউ সকালে স্বামী ঘর থেকে বের হওয়ার সময় নিজের শাড়ির আঁচল দিয়ে জুতো মুছে দিয়েছে আর পরক্ষনে অন্য পুরুষের সাথে মেলামেশা করে ধরা পড়েছে।এ রকম ভালবাসার কারন হলো ইসলামি মুল্যবোধ না থাকা ও ইসলামি পরিবার থেকে বেড়ে না উঠা।আল্লাহর নবী সা: এইজন্যই বলেছেন কোন দ্বীনদার ছেলে যদি আসে তার সাথে তোমরা মেয়ে বিয়ে দিয়ে দাও আর তা না হলে সমাজে বিপর্যয় সৃষ্টি হবে।আজকের সমাজে বিপর্যয়ের এটিই কারন।

আমাদের আজকের মুসলিম সমাজ দেখে সত্যিই আশ্চর্য হতে হয়।অনেক বাবা মা ইসলামকে না জানা ও বুঝার কারনে সন্তানের মধ্যে পার্থক্য নিরুপন করে থাকে।জাহেলিয়াতে যেমন মেয়েদের হত্বা করা হতো এখন তা করে না।নব্য জাহেলিয়াত হলো ছেলেকে মেয়ের চেয়ে প্রাধান্য দেয়া অর্থাৎ সুবিচার না করা।আধুনিক যে বিয়েগুলো হচ্ছে তার সিংহভাগ বিজাতীয় সভ্যতা ও হিন্দুয়ানি রীতিতে বিয়ে হচ্ছে।সূন্নাহ সমাজ থেকে উঠে যাওয়ার কারন এটি।কোন কোন সমাজে যদি এখন সূন্নাহের এই সহজ পদ্ধতির কথা বলা হয় তারা বলবে এতো স্পষ্ট বিদাআত।এভাবেই বিদাআত সমাজে স্হায়ী হয়ে যাচ্ছে আর যে মানব বিস্তার হচ্ছে তা হলো অবৈধ মানব বিস্তার।যদি এই সব মানব মানবী দ্বারা মুসলিম সমাজ গঠিত হয় সেখানে শান্তি আসবে কতটুকু।কুফরি,শির্ক,বিদাআত ও কুসংস্কারে যদি সমাজকে প্লাবিত করে সেখানে কোরআন ও সূন্নাহের বাস্তবায়ন অসম্ভব।অসংখ্য প্রমান মেলে সমাজে যারা সমাজ নিয়ে কাজ করেন,যারা মানুষের সুখ দু:খের কথা জানতে চান।এমন লোমহর্ষক কাহিনী উঠে আসে যা একজন মানুষের পক্ষে করা সম্ভব নয়।এ কারন গুলোর জন্য আমরা নিজেরাই দায়ী।আমরা এখন বিয়ের ব্যাপারে প্রথম খুঁজতে যাই ছেলে মালদার কিনা চরিত্র যাই হোক।অথচ রাসূল সা: দ্বীনদার দেখার কথা বলেছেন।সাঈদ ইবনু মুসাইয়েদ(সাহাবিদের পরে শেষ তাবেঈ) দেখলেন তার একজন ছাত্র ক্লাসে নেই বেশ কিছু দিন।হঠাৎ একদিন আসলো এবং জিজ্গেস করলেন তুমি এতদিন কোথায় ছিলে।সে উত্তর দিল আমার স্ত্রীবিয়োগ হয়েছে সেজন্য ব্যাস্ত হয়ে পড়েছিলাম।তিনি বললেন তুমি আর একটি বিয়ে কর।সে বললো কে আমার কাছে মেয়ে বিয়ে দিবে যার হাতে ২/৩ দিনার রয়েছে।তিনি বললেন,তুমি কি বিয়ে করতে চাও? সে বললো হাঁ করতে চাই।সাঈদ ইবনু মুসাইয়েদ-যার মেয়ের জন্য আব্দুল মালিক বিন মারোয়ানের ছেলে ওয়ালিদের জন্য প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল কিন্তু তিনি নাকোচ করে দিয়েছিলেন।একজন খলিফার ছেলের সাথে বিয়ে দিলেন না আর অন্য একজনের যার ২/৩ দিরহাম ছিল সে পাত্রকেই তিনি পছন্দ করলেন।তিনি বাড়ি গিয়ে তার মেয়েকে সংগে নিয়ে এসে সেই ছাত্রের বাড়িতে রাত্রিতে গিয়ে দরজায় কড়া নাড়লেন।ছাত্র উঠে জিজ্গেস করলো কে? তিনি বললেন সাঈদ ইবনু মুসাইয়েদ।তিনি তার মেয়েকে বিয়ে পড়িয়ে দিয়ে গেলেন ও বললেন আমি ভাবলাম তুমি একজন বিপত্নীক পুরুষ,তোমার হয়ত কষ্ট হয়।তুমি আমার মেয়েকে নিয়ে সুন্দর করে রাত্রি যাপন কর। এই ছিল ইসলামি জীবন।আজকে এগুলো কল্পনা করা যায় না।যারা ইসলামকে নিয়ে কটাক্ষ করে তাদের ইসলামের ইতিহাস জানতে হবে।ইসলাম সমাজকে শোষন করেনি।সর্বস্তরে শান্তির বারতা নিয়ে এসেছে।আজকে যারা ইসলামের কাজ করে তাদের কথা ও কাজের মধ্যে আকাশ ও পাতাল ব্যাবধান।আমাদের ছেলেমেয়ের বিয়ের ব্যাপারে সেজন্য ভাবতে হবে কার হাতে আমরা তুলে দিচ্ছি।কোন লম্পট,বাটপার,ব্যাবিচারি,যে পরিবারে নামাজ নেই,ইসলামি আক্কিদা নেই,ঘুষ,সুদ দুর্নীতে ভরা সে পরিবারের ছেলে বা মেয়ের সাথে সম্বন্ধ স্হাপন হলে জীবন বিপন্ন হতে বাধ্য।মেয়ে বড় হলেই ব্যাস্ত হয়ে পড়তে হবে না আল্লাহর কাছে চাইতে হবে,নামাজের মাধ্যমে সেজদা করতে হবে নিশ্চই আল্লাহ সুন্দর ব্যাবস্হা করে দিবেন।বিয়ের ব্যাপারটি খুব সহজ করে নিবেন।মেয়ের অভিভাবক অথবা অভিভাবক যদি কাউকে দায়িত্ব দেয়,ছেলে ও দুইজন সাক্ষী। যারা উকিল বাবা বানায় এগুলো সব জাহেলিয়াতি কাজ।মেয়ের বাবা মেয়ের অনুমতি সাপেক্ষে ছেলেকে বলবে আমি আমার মেয়েকে এত টাকা দেন মোহরে বিয়ে দিলাম আর ছেলে স্বীকার করে নিলেই বিয়ে হয়ে যাবে।এর পর ছেলে মেয়েকে নিয়ে যাবে ও তার সামর্থ অনুযায়ি ওয়ালিমা করবে।আর এখন যা হচ্ছে তা লোক দেখানোর জন্য বা মেয়ের বাবার উপর ছাপ প্রয়োগ করা আমার হাজার লোক খাওয়াতে হবে।এ সব শরিয়ত বিরোধী কাজ।আল্লাহ মুসলিম জাতিকে এ ভয়াভহ রোগ থেকে মুক্তি দিন।বাবা মা'কে দ্বীন অনুযায়ি পরিবার গঠন করার তাওফিক দিন।যুবক ও যুবতী সম্প্রদায়কে ইসলাম বুঝার তাওফিক দিন।সমস্ত সামাজিক ব্যাধি থেকে মুসলিম উম্মাহকে রেহাই দিন।আমিন--

বিষয়: বিবিধ

১৮৮০ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

255988
১৯ আগস্ট ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৪৯
বাজলবী লিখেছেন : অামিন। পড়ে ভালো লাগলো জাযাকাল্লা খাইর।
256016
১৯ আগস্ট ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৫৫
সন্ধাতারা লিখেছেন : Very nice post. Jajakallahu khair.
256024
১৯ আগস্ট ২০১৪ রাত ০৮:১১
সুশীল লিখেছেন : ভালো লাগলো ধন্যবাদ
256032
১৯ আগস্ট ২০১৪ রাত ০৮:২৫
বুড়া মিয়া লিখেছেন : ভালো লাগলো
256148
২০ আগস্ট ২০১৪ রাত ১২:৫০
নুর আয়শা আব্দুর রহিম লিখেছেন : ধন্যবাদ
256168
২০ আগস্ট ২০১৪ রাত ০২:১১
আফরা লিখেছেন : আমীন !

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File