রমযান মাস আত্মিক শুদ্ধতা ও জিকিরের মাস।
লিখেছেন লিখেছেন মহিউডীন ১৫ জুলাই, ২০১৪, ০৫:৪৪:০৪ বিকাল
পবিত্র মাহে রামাযানের এক মাস সিয়াম সাধনা মানবজীবনে শুদ্ধতা লাভের এক সূবর্ণ সুযোগ এনে দেয়। মহত্তর চারিত্রিক গুণাবলী অর্জন ও সত্যবোধকে জাগ্রত করার জন্য সংযম ও কৃচ্ছ্রতার ভূমিকা ব্যাপক। সওম মানে বিরত থাকা। কুকর্ম ও কুচিন্তা ও ইন্দ্রিয় পরিচর্যা পরিহার করে সংযমী হওয়াই রোযার শিক্ষা। রমযানের শাব্দিক অর্থ দগ্ধ করা। সিয়াম সাধনার উত্তাপে; ধৈর্যের অগ্নিদহনে মুসলমান মাত্রই এ মাসে কুপ্রবৃত্তিকে দগ্ধ করে শুদ্ধ পরিশোধিত মানুষে পরিণত হয়। তাই রমযানুল মুবারক দৈহিক, আত্মিক, নৈতিক ও সামাজিক পরিশুদ্ধির প্রশিক্ষণের মাস। দিনের বেলা রোযা ও রাতের বেলা ইবাদতের মাধ্যমে মানুষ দেহ-মনকে পরিশুদ্ধ করতে পারে এ রমযান মাসে। পবিত্রতা ও পরিশুদ্ধতার জন্য সিয়াম পালিত হয়ে থাকে। সিয়াম পালিত হয় কতগুলো কারনে।(১) চিত্তশুদ্ধির জন্য, (২) পরিচ্ছন্নতার জন্য, (৩) সত্যবোধকে জাগ্রত রাখার জন্য, (৪) পার্থিব আকাক্সক্ষাকে নিবৃত্ত রাখার জন্য, (৫) বিনয় এবং নম্রতা প্রতিষ্ঠার জন্য, সহমর্মিতার ও সৌহার্দের চেতনা উজ্জীবনের জন্য এবং (৬) সর্বোপরি মহান প্রভু আল্লাহর নিকট কৃতজ্ঞতা প্রকাশের জন্য।
সিয়াম সাধনার মাধ্যমে মানুষ আত্মশুদ্ধি ও অধ্যাত্মিক পবিত্রতা অর্জন করে থাকে। আল্লামা ইবনুল কায়িম আল-জাওযী (রহ.) বলেন, “মানুষের আত্মিক ও দৈহিক শক্তি সংরক্ষণে রোযা অত্যন্ত কার্যকর। এক দিকে তা মানুষের পাশবিক চাহিদার প্রাবল্য থেকে মুক্ত করে তার দৈহিক স্বাস্থ্য সুরক্ষার নিশ্চয়তা বিধান করে; অপরদিকে তা নৈতিক উৎকর্ষ সাধনের মাধ্যমে আত্মিক সুস্থতা সাধন করে।” মাসব্যাপী রোযার মাধ্যমে মানুষের জৈবিক চাহিদা ও পাশবপ্রবৃত্তি দুর্বল হয়ে যায়, মনুষ্যত্ব ও রূহানিয়ত সজীব ও জাগ্রত হয়। রিপুর তাড়নামুক্ত হয়ে মানুষ আল্লাহ প্রদত্ত বিবেক ও প্রজ্ঞার সদ্ব্যবহার করে সুউচ্চ মর্যাদার অধিকারী হতে পারে। সিয়াম সাধনার মাধ্যমে মানুষ সৎকর্মের প্রতি ধাবিত হওয়ার প্রণোদনা লাভ করে এবং অসদুপায়ে সম্পদ পুঞ্জিভূত করার মানসিকতা লোভ পায়। আমরা সিয়াম পালনের ক্ষেত্রে চিত্তশুদ্ধির কথা বলেছি। চিত্তশুদ্ধি কাকে বলে? মানুষের চিত্ত সততই চঞ্চল। আমাদের চিত্তে নানা ধরনের ইচ্ছা জাগে এবং সেসব ইচ্ছার ভালো-মন্দ দুই-ই আছে। কিন্তু চিত্তকে শাসনে রেখে অপরাধের আগ্রহ থেকে মুক্ত রাখা অত্যন্ত কঠিন। এখন এই কঠিন কাজটি কিভাবে সাধন করতে হবে? তার একটি প্রথাগত দিক-নির্দেশনা আমরা সিয়াম সাধনার মধ্যে পেয়ে থাকি। রমযানের ব্যবহারিক নিয়ম-কানুনগুলো আমরা যদি পরিপূর্ণভাবে পালন করি তাহলে তার মধ্যদিয়ে চিত্ত শাসন সহজেই কার্যকর হয়। একজন মানুষ যদি সারাদিন আহার্য এবং পানীয় গ্রহণ না করে এবং সে সময়টুকুতে যদি সে মহান প্রভু আল্লাহ তাআলার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার সর্ববিধ কার্যক্রম গ্রহণ করে তাহলে তার চিত্তে পার্থিব আকাক্সক্ষা জাগবে না এবং অশুদ্ধ ও বিকল চিন্তায় চিত্ত ভারাক্রান্ত হবে না
অতি ভোজন স্নায়ুকোষে বিষক্রিয়ার সৃষ্টি করে। রোযা দেহের জন্য প্রতিষেধকের কাজ করে থাকে।
রমযানে আর একটি বিষয়ের চর্চা প্রবল হয় যা সারা বছর মানুষকে শয়তান থেকে দূরে রাখতে সাহায্য করে, তা হলো জিকির। জিকির শব্দের অর্থ স্মরণ করা। যার সম্পর্ক হলো অন্তরের সঙ্গে। তবে জিহ্বা যেহেতু অন্তরের মুখপাত্র কাজেই মুখে স্মরণ করাকেও জিকির বলা যায়। এতে বোঝা যায়, সে মৌখিক জিকিরই গ্রহণযোগ্য, যার সঙ্গে মনেও আল্লাহর স্মরণ বিদ্যমান থাকবে। তবে কোনো লোক যদি মুখে তাসবি জপে; কিন্তু তার মন যদি অনুপস্থিত থাকে অর্থাৎ জিকিরে মন না বসে, তবুও তা একেবারে ফায়দাহীন নয়। হজরত আবু ওসমান (রহ.) এর কাছে এক ভক্ত এমনি অবস্থায় অভিযোগ করেছিল যে, মুখে মুখে জিকির করি বটে; কিন্তু অন্তরে কোনো মাধুর্য অনুভব করতে পারি না। তখন তিনি বললেন, তবুও আল্লাহর শুকরিয়া আদায় কর যে, তিনি তোমার একটি অঙ্গ জিহ্বাকে তো অন্তত তার জিকিরে নিয়োজিত করেছেন।
জিকির একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। জাহান্নাম থেকে মুক্তি লাভের সহজ উপায়। জিকির অন্তরকে যাবতীয় গোনাহ, অসৎ স্বভাব এবং কুরিপু থেকে মুক্ত ও পবিত্র রাখার একক মাধ্যম। উন্নতির শীর্ষস্থান লাভ করার নিকটতম উসিলা। মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনের সূরা আল আহজাবের ৪১ নম্বর আয়াতে বলেন, ‘হে মুমিনরা! তোমরা আল্লাহকে অধিক পরিমাণে স্মরণ করো।’ হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, আল্লাহ তায়ালা জিকির ব্যতীত এমন কোনো ফরজই আরোপ করেননি যার পরিসীমা ও পরিমাণ নির্ধারিত নেই। নামাজ দিনে পাঁচবার এবং প্রত্যেক নামাজের রাকাত নির্দিষ্ট। রমজানের রোজা নির্দিষ্ট। যাকাত বছরে একবার ফরজ হয়। হজ্ব জীবনে একবার ফরয বিশেষ স্থানে বিশেষ অনুষ্ঠানাদি ও সুনির্দিষ্ট কার্য-ক্রিয়ার মাধ্যমে। পক্ষান্তরে আল্লাহর জিকির এমন ইবাদত, যার কোনো সীমা বা সংখ্যা নির্ধারিত নেই। বিশেষ সময় ও কাল নির্ধারিত নেই। সুস্থ থাকুক বা অসুস্থ, রাত হোক বা দিন সর্বাবস্থায় আল্লাহর জিকিরের হুকুম রয়েছে। ইমাম আহমাদ (রহ.) হজরত আবু দারদা (রা.) থেকে বর্ণনা করেন, প্রিয় নবী (সা.) সাহাবায়ে কেরামদের লক্ষ্য করে বললেন, আমি কি তোমাদের এমন কোনো আমলের সন্ধান দেব না, যা তোমাদের যাবতীয় আমলের চেয়ে উত্তম, তোমাদের প্রভুর কাছে সর্বাধিক গ্রহণযোগ্য, তোমাদের মর্যাদা বিশেষভাবে বৃদ্ধিকারী, আল্লাহর রাস্তায় সোনা-রুপা দান করা এবং জেহাদ থেকেও বেশি পুণ্যজনক? সাহাবায়ে কেরাম আরজ করলেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ (সা.)! সেটা কোন আমল? প্রিয় নবী (সা.) বললেন, মহীয়ান-গরিয়ান আল্লাহ পাকের জিকির।
আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কালামে পাকে সূরা বাকারার ১৫২ আয়াতে বলেন, ‘তোমরা আমাকে স্মরণ করো, আমিও তোমাদের স্মরণ রাখব অর্থাৎ তোমরা যদি আমার হুকুমের মাধ্যমে আমাকে স্মরণ করো। তাহলে আমিও তোমাদের সওয়াব ও মাগফিরাতের মাধ্যমে স্মরণ করব।’ আল্লাহ তায়ালা সূরা আল ইমরানের ১৯১ আয়াতে ঘোষণা করেন, ‘যারা আল্লাহকে স্মরণ করে দন্ডায়মান, উপবেশন ও শয়ন অবস্থায় অর্থাৎ সর্বদা যারা আল্লাহকে স্মরণ করে, তার জিকিরে মশগুল থাকে, তারাই বুদ্ধিমান এবং তার প্রিয় বান্দা।’ এতে বোঝা গেল, মানুষ যে বিষয়টিকে বুদ্ধি এবং বুদ্ধিমানের মাপকাঠি বলে গণ্য করে নিয়েছে, তা শুধু ধোঁকা। বরং সেসব লোকই বুদ্ধিমান যারা আল্লাহকে সর্বাবস্থায় সর্বক্ষণ স্মরণ করেন। মহান আল্লাহ তায়ালা সূরা মুনাফিকুনের ৯ আয়াতে বলেন , ‘হে মু'মিনরা! তোমাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি যেন তোমাদের আল্লাহর স্মরণ থেকে গাফেল না করে। যারা এ কারণে গাফেল হয় তারা ক্ষতিগ্রস্ত। যেসব বিষয় মানুষকে দুনিয়াতে আল্লাহ থেকে গাফেল করে, এর মধ্যে প্রধান দুটি হলো ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি। কিন্তু সর্বদা খেয়াল রাখতে হবে, এসব বস্তু যেন মানুষকে আল্লাহর স্বরণ থেকে গাফেল না করে। যারা গাফেল হবে তারাই ক্ষতিগ্রস্ত। এক ব্যক্তি প্রিয় নবী (সা.)-এর কাছে আরজ করল যে, ইসলামের আমল তথা ফরজ ও ওয়াজিব তো অসংখ্য। আপনি আমাকে এমন একটি সংক্ষিপ্ত অথচ সবকিছু অন্তর্ভুক্তকারী আমলের কথা বলে দিন, যা সুদৃঢ়ভাবে উত্তমরূপে হৃদয়ঙ্গম করে নিতে পারি। প্রিয় নবী (সা.) বললেন, তোমার জবান যেন সর্বদা আল্লাহর জিকিরে তরতাজা থাকে। (মুসনাদে আহমদ, ইবনে কাসির)।
মৃত লোকদের মধ্যে জীবিত মানুষের যে অবস্থা, শুষ্ক তৃণলতার মধ্যে সতেজ-সবুজ বৃক্ষ যেমন, মোহমুগ্ধ ও গাফেল লোকদের মধ্যে আল্লাহ তায়ালাকে স্মরণকরী ব্যক্তির অবস্থা ঠিক তেমনি। হজরত আবু মুসা আশায়ারি (রা.) থেকে বর্ণিত, প্রিয় নবী (সা.) বলেন, ‘আল্লাহর জিকিরকারী জীবিত লোকের মতো এবং জিকির থেকে গাফেল ব্যক্তি মৃত লোকের মতো।’
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) প্রিয় নবী (সা.) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি প্রায় বলতেন, ‘প্রত্যেক বস্তু পরিষ্কার করার যন্ত্র রয়েছে, আর অন্তরকে পরিষ্কার ও পবিত্র করার যন্ত্র হলো জিকির। আল্লাহর জিকির অপেক্ষা তার আজাব থেকে অধিক মুক্তিদাতা আর কোনো ইবাদত নেই। হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, প্রিয় নবী (সা.) বলেন, ‘শয়তান আদম সন্তানের কলবের ওপর জেঁকে বসে, যখন সে আল্লাহ পাকের স্মরণ করে তখনই সরে যায়। আর যখন সে আল্লাহর স্মরণ থেকে গাফেল হয়ে যায়, তখন শয়তান তার দিলে ওয়াসওয়াসা (কুমন্ত্রণা) দিতে থাকে।’ (ছহি বোখারি)।জিকির শয়তানের জন্য দাহ। জিকির করলে এ তাপদাহে সে জলে যায় বলেই বনি আদমের অন্তর থেকে সরে যায়। পক্ষান্তরে জিকিরবিহীন অবস্থা শয়তানের জন্য আরামদায়ক। জান্নাত হলো পবিত্র জায়গা সেখানে ঈর্ষা, মোহ, হিংসা-বিদ্বেষ থাকবে না। তদ্রূপ দুনিয়ায় মানুষ যখন জিকিরের অবস্হানে থাকে তখন সেখানে ওইসব জিনিস থাকে না। আল্লাহ তায়ালা বলেন, যারা ঈমানদার, তারা এমন যে, যখন আল্লাহর নাম স্মরণ করা হয়, তখন তাদের অন্তর ভীত হয়ে পড়ে। (সূরা আনফাল আয়াত : ২)। অর্থাৎ তাদের সামনে যখন আল্লাহর স্মরণ করা হয়, তখন তাদের অন্তর ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে ওঠে এবং আল্লাহ তায়ালার মহব্বত ও প্রেমে ভরপুর হয়ে যায়। আল্লাহর জিকিরের দরুন অন্তরে সৃষ্ট ভয় তা থেকে সম্পূর্ণ আলাদা কারণ।
আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘আল্লাহর জিকির দ্বারাই (মু'মিন বান্দার) অন্তর প্রশান্তি লাভ করে। (সূরা রাদ : ২৮)। কোনো কোনো তাফসিরকারক বলেছেন, ‘এখানে আল্লাহর জিকির বা স্মরণ অর্থ হচ্ছে কোনো ব্যক্তি কোনো পাপ কাজে লিপ্ত হতে ইচ্ছা করছিল, তখনই আল্লাহর কথা স্মরণ হয়ে গেল এবং তাতে সে আল্লাহর আজাবের ভয়ে ভীত হয়ে গেল এবং সে পাপ থেকে বিরত রইল। এ ক্ষেত্রে ভয় অর্থ হবে আজাবের ভয়।’ জিকির দ্বারা উদ্দেশ্য ওইসব শব্দ বাক্য পড়া, যা পড়তে কোরআন ও হাদিসে উৎসাহিত ও উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে। তবে জিকিরের দ্বারা উদ্দেশ্য এও যে, ওইসব আমল, যা ওয়াজিব বা মুস্তাহাব তা সর্বাবস্থায় করা। হজরত জাবের (রা.) থেকে বর্ণিত, প্রিয় নবী (সা.) বলেন, সর্বোত্তম জিকির হলো লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু।’ (মুসলিম /তিরিমিজি)। আল্লাহ তায়ালা সূরা আনকাবুতের ৪৫ নম্বর আয়াতে বলেন, আল্লাহর স্মরণ সর্বশ্রেষ্ঠ। সার্বক্ষণিক জিকির আল্লাহ তায়ালাকে সন্তুষ্ট করে, শয়তানকে পরাভূত করে, দুশ্চিন্তা দূর করে, অন্তরে শান্তি সৃষ্টি করে, শরীর ও কলবকে শক্তিশালী করে, আল্লাহর ভয়ভীতি ও ভালোবাসা অর্জনে সহায়তা করে। আর জিকির হলো দ্বীন ইসলামের রূহ তথা মৌলিক প্রাণশক্তি। শুধু তাই নয়, সকাল-সন্ধ্যা জিকিরে পরকালে জিকিরকারী বিদ্যুৎ বেগে পুলসিরাত পার হয়ে পরম ও চরম সুখের স্থান জান্নাতে পৌঁছে যাবে। জিকির দ্বারা মহান আল্লাহ তায়ালা অন্তরের ময়লা দূর করে ঈমানি নূর দান করেন।’ঈমান আনার পরপরই প্রত্যেক মু'মিন মুসলমানের ওপর দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করা ফরজ। সামর্থ্যবানদের ওপর জাকাত, এরপর পবিত্র রমজান মাসের রোজা ও হজ্ব ফরজ করা হয়েছে। পাশাপাশি মহান আল্লাহ তায়ালার আরও নিকটবর্তী হওয়ার মাধ্যম হলো তাসবিহ তাহলিল পাঠ করা।
তাই রমযান হলো একমাত্র মাস যার মাধ্যমে মানব অন্তরের কলুষতা দূর হয়ে পাক পবিত্র হয়ে যায়।যে ব্যাক্তি নিজেকে এ মাসে পবিত্র করলো তার পক্ষে কখনো সম্ভব নয় বাকি মাসগুলোতে আল্লাহবিরোধী কাজে লিপ্ত হওয়া।আমাদের সামনে পবিত্র লাইলাতুল ক্কদর বর্তমান।রাসূল সা: বলেছেন,'তোমরা রমযানের শেষ বিজোড় রাতগুলোতে লাইলাতুল ক্কদর তালাশ করবে।' লাইলাতুল ক্কদর হলো হাজার মাস হতে উত্তম।আমাদের উচিত প্রতিটি সময় নামাজ,সাধ্যমত কুরআন তেলাওয়াত ও জিকির আযকারের মাধ্যমে আমাদের অন্তেরের রিপুগুলো দূর করা যাতে করে জান্নাতে 'রাইয়ান' নামক দরজা দিয়ে ঢুকার তাওফিক হয়।
বিষয়: বিবিধ
১৪৭৬ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন