গনতন্ত্রের মোড়কে - ধর্ষিত বিশ্ব।
লিখেছেন লিখেছেন মহিউডীন ১৪ জুন, ২০১৪, ০৪:৫৯:৫১ বিকাল
গত ২০ বছরের ইতিহাসের দিকে তাকালে রুয়ান্ডার পরে সিরিয়ার সংকটই সবচেয়ে মারাত্মক। মানুষের এই দুর্দশা ভোলার মতো নয়। শিশুদের দিকে তাকালে এই সংকট আরো স্পষ্টভাবে বোঝা যায়। বড়রাই মেনে নিতে পারে না এমন ভীতিকর অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে তাদের।'গত তিন বছরের সংঘাতে অন্তত দুই কোটি ২০ লাখ মানুষ সিরিয়া ছেড়ে পালিয়েছে। এ সংখ্যা তিন কোটি হতে পারে বলে অনুমান করছে পার্শ্ববর্তী দেশগুলো। শরণার্থী হওয়া বিশাল এ জনগোষ্ঠীর প্রায় অর্ধেকই শিশু। তাদের বেশির ভাগই আশ্রয় নিয়েছে প্রতিবেশী দেশ জর্দান ও লেবাননে। আশ্রয়দাতা দেশগুলো বাড়তি চাপ মোকাবিলা করে শিশুদের মৌলিক চাহিদা মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে। পরিবারে উপার্জনের মতো লোক না থাকায় অল্প বয়সেই কাজে নামতে বাধ্য হচ্ছে শরণার্থী শিশুরা।চোখের সামনে পরিবারের লোকদের হত্যার ঘটনা দেখেছে অনেক শিশু। নিহত স্বজনদের দাফনের ব্যবস্থাও করতে হয়েছে অনেককে। বারবার যুদ্ধের স্মৃতি ফিরে আসার মতো মানসিক আঘাতে ঘুম না হওয়া, সারাক্ষণ কান্নাকাটি করা, কথা বলতে না পারা বা বিছানা নষ্ট করে ফেলার মতো সমস্যা সাধারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে শরণার্থী শিশুদের মধ্যে। কেউ কেউ দেশে ফিরে গিয়ে যুদ্ধে যোগ দিতে চাচ্ছে। শারীরিক আঘাতও রয়েছে।গত বছরের প্রথম ছয় মাসে লেবাননে ৭৪১ যুদ্ধাহত শিশুকে ও জর্দানের জাতারি শরণার্থী শিবিরে প্রায় এক হাজার যুদ্ধাহত শিশুকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।বাড়তি জানগোষ্ঠীর খাবার, পানি, চিকিৎসা, বাসস্থানের ব্যবস্থা করতে আশ্রয়দাতা দেশগুলো হিমশিম খাচ্ছে। সেখানে শরণার্থী শিশুদের শিক্ষার ব্যবস্থা করা অনেকটাই দুঃসাধ্য কাজে পরিণত হয়েছে। লেবাননে স্কুলে পড়ুয়া ১০ লাখ শিশু রয়েছে এবং সিরীয় শরণার্থী শিশুর সংখ্যা এর কাছাকাছি পৌঁছে গেছে।হাজার হাজার শরণার্থী শিশু তাদের বাবা অথবা পরিবারের প্রধান উপার্জনকারী হারিয়েছে। নিজের ও পরিবারের জীবন ধারণের জন্য তারা কাজ করতে বাধ্য হচ্ছে। গত বছরের মার্চে ইউনিসেফের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রতি ১০ সিরীয় শরণার্থী শিশুর একজনই শিশুশ্রমে বাধ্য হচ্ছে। জর্দানে শ্রমবাজারে প্রাপ্ত বয়স্কদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কাজ করতে হচ্ছে তাদের। জর্দান শ্রম মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শক মাইসুন আল রেমাউয়ি বলেন, তাঁদের শিশুশ্রমিকদের ৬০ থেকে ৭০ শতাংশই সিরীয়।জর্দান ও লেবাননের মতো সিরীয় শরণার্থীদের আশ্রয়দাতা দেশগুলোকে আন্তর্জাতিক সহায়তা না দিলে পরিস্থিতি আরো খারাপের দিকে যাবে।
সুদানের শিশু যৌনদাসীদের কথা শুনে কেঁদেছিল পৃথিবী। সাবেক এক শিশু যৌনদাসী বিবৃতি দিয়েছিলেন, কিভাবে তাকে উগান্ডা থেকে অপহরণ করে অন্য আরও শিশুদের সঙ্গে শত মাইল দূরের সুদানে পাঠানো হয়েছিল। নগ্ন অবস্থায় পালিয়ে আসার পূর্ব পর্যন্ত তাকে বহুবার ধর্ষণ করা হয়েছে। তার নাম ইসথার রুথ আতিম। সংঘর্ষ ও সংঘাতপূর্ণ এলাকায় যৌন নির্যাতনবিষয়ক একটি বৈশ্বিক সম্মেলনে এসব বলছিলেন তিনি। ২০০৩ সালে মাত্র ৯ বছর বয়সে পূর্ব উগান্ডার কাবেরামাইদো জেলার একটি গ্রাম থেকে তাকে অপহরণ করে প্রায় ৩ বছর ধরে তার ওপর নৃশংসভাবে যৌন নির্যাতন চালায় কুখ্যাত লর্ডস রেসিসটেন্স আর্মি (এলআরএ) নামক উগান্ডার একটি সশস্ত্র বিদ্রোহী দলের সদস্যরা। এলআরএ প্রায় দুই যুগ ধরে উত্তর উগান্ডায় গেরিলা যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছিল। ইসথার রুথ বলেন, তিনি সুদানে এলআরএ বিদ্রোহীদের দ্বারা কতবার ধর্ষিত হয়েছেন, তা তিনি নিজেও জানেন না। তিনি আরও বলেন, ধর্ষণ ছিল প্রতিদিনকার চিত্র। ধর্ষণের পর আমি সাধারণ মানুষের মতো নাড়াচাড়াও করতে পারতাম না। খুব করুণভাবে হাঁটতে হতো, মনে হতো যেন কোন ব্যাঙ লাফিয়ে চলছে। তাদের সঙ্গে সব সময় দাসীর মতো আচরণ করতো বিদ্রোহীরা। তাদের কোমরে শক্তভাবে রশি বেঁধে রাখা হতো। এলআরএ সদস্যরা তাদের সাবধান করে দিয়েছিল, যদি তারা পালাতে চেষ্টা করে, তাহলে মেরে ফেলা হবে। সকল শিশু যৌনদাসীর সামনেই পালানোর চেষ্টাকালে ধরা পড়া একজনকে নিষ্ঠুরভাবে জবাই করে হত্যা করা হয়। তবুও অনেক শিশুই রাতের অন্ধকারে পালানোর চেষ্টা করতো। পালাতে গিয়ে বহু শিশুই বেঘোরে প্রাণ হারাচ্ছিল। বন্দি অবস্থায় তাদের পোশাক অশ্রুতে ভেজা থাকতো। তিনি অশ্রুবিগলিত কণ্ঠে বলেন, অনেক সময় আমাদেরকে খুব ঠান্ডা বা বৃষ্টি বা রোদের মধ্যে ঝোপঝাড়ের ভেতর দিয়ে হাঁটতে হতো। কোন খাবার এমনকি পানিও দেয়া হতো না। যদি তৃষ্ণা লাগে, তাহলে সঙ্গের আরেক শিশুকে প্রশ্রাব করতে বলা হতো, তারপর সেসব খেয়েই তৃষ্ণা নিবারণ করতে হতো। সবাই ছিল খুব তৃষ্ণার্ত। কেউ যদি প্রশ্রাব করতে না পারতো, তাহলে তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়া হতো। ইসথারের কাজ ছিল রান্না করা, কিন্তু নিজে সেই রান্না খেতে পারতো না। বাধ্য হয়ে গাছের পাতা খেয়ে ক্ষুধা নিবারণ করতে হতো। সকল বয়সের সৈনিক এসে ধর্ষণ করতো। যদি কোন শিশু এতে অস্বীকৃতি জানাতো, তাহলেই মৃত্যু। ৩ বছর পর ১২ বছর বয়সে তিনি পালিয়ে আসতে সক্ষম হন। কিন্তু তখন তিনি নতুন মানসিক সমস্যায় পড়েন। তখন তাকে কাউন্সেলিং করতে হয়েছিল। তখন সব সময় দুঃস্বপ্নের ভেতর দিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। এদিকে ঘরে ফিরে আসার পর তিনি উপলব্ধি করলেন সবকিছু আগের মতো নেই। বন্দিকালীন তার ভাইকে খুন করেছে এলআরএ, তার বাবার ওপর অত্যাচার চালিয়ে, তার মাকে করেছে গণধর্ষণ। তিনি অতঃপর স্কুলে ভর্তি হন। কিন্তু যৌনদাসত্বের শিকার হওয়া অন্যান্য শিশুর মতো, তাকেও পেতে হয়েছিল কলঙ্কিনী ও অলক্ষুণে অপবাদ। তিনি জানান, যেসব মেয়ে এলআরএ কর্তৃক অপহৃত হয়েছে, তারা নিজ ঘরে ফিরলে, নিজের সমপ্রদায়ের মধ্যে এখনও কলঙ্কিত মেয়ে হিসেবে পরিগণিত হয়। এছাড়া, অপহরণকালীন সময়ে শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হওয়ায়, জীবনযুদ্ধে তাদের নিরন্তর সংগ্রাম কখনই শেষ হয় না। তিনি এই ধরনের ধর্ষিতাদের শিক্ষা, প্রশিক্ষণ, আর্থিক সাহায্য ও এলআরএ বিদ্রোহীদের থেকে সুরক্ষা এবং অপহৃত শিশুদের এলআরএ’ হাত থেকে মুক্ত করার জন্য উগান্ডার সরকারের কাছে আহ্বান জানান। উল্লেখ্য, উগান্ডার সরকারের সঙ্গে যুদ্ধবাজ নেতা জোসেফ কনির নেতৃত্বাধীন এলআরএ’র সংঘাতের সময়ে বহু শিশু অপহৃত হয়। এদের অনেকে যোদ্ধা, কুলি, রান্না ও যৌনদাসী হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। এসব সংঘাত উগান্ডার প্রতিবেশী দেশসমূহেও বিস্তৃত হয়। বর্তমানে ইথার একটি সংগঠন দাঁড় করিয়েছেন, যেটি এই ধরনের সাবেক শিশু যৌনদাসীদের জন্য কাজ করে। তিনি এদের সাহায্যের জন্য উগান্ডা সরকারের কাছে আবেদন জানান। এলআরএ প্রধান জোসেফ কনি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত। বর্তমানে সে মধ্য আফ্রিকার জঙ্গলে পালিয়ে আছে বলে ধারণা করা হয়।
আমার শরিরে এখনো কাঁটা বিধে যখন মনে হয় উপসাগরিয় যুদ্ধের কথা,যখন মনে হয় ১৯৭১ এ স্বাধীনতা যুদ্ধের কথা,যখন মনে হয় হিরসিমা নাগাসাকির কথা,হিটলারের ৬ মিলিয়ন মানুষ বধ করার কথা, আরো অনেক যুদ্ধ বিগ্রহ যা ছিল শুধু ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করা , এতে ছিল না কোন মানব কল্যান।যুদ্ধ কোন কল্যান বয়ে আনে না।বয়ে আনে নিশ্পেষন,বিকলংগতা,মানুষকে করে ক্ষুধার্ত,জীবনের প্রয়োজনে নারিদের নিক্ষেপ করে পতিতাবৃত্তিতে।অমুসলিমদের কথা বাদই দিলাম যাদের পরকালের কোন চিন্তা নেই,এ জীবনই যাদের ভোগের জীবন। মুসলিম দেশগোলোর এ অবস্হা কেন? যাদের হাতে রয়েছে কুরআনের মত হাতিয়ার,রয়েছে রাসূল সা: এর মুখনিসৃত ভবিষ্যৎ বানি।আরব স্প্রিং এর নামে অমুসলিম শাসকদের কালো হাতের থাবা ধংস করেছে মানুষ ও লুন্ঠন করছে সম্পদ ও হাজার বছরের সংস্কৃতি।হে পরাজিত মানবতা! গনতন্ত্রের মোড়কে বিশ্ব আজ মহাধর্ষিত। তোমাদের ঘুম ভাংবে কবে? তোমার পাশে নির্যাতিত হছ্ছে তোমার মা বোন,তোমার বাবা ও ভাইদের হত্মা করছে বেয়োনেটে।আর তুমি অঘোর ঘুমে নিমজ্জিত।ঘুম থেকে উঠে তোমার নাস্তায় হরেক রকমের খাবারের স্বাদ গ্রহন কর, আর তোমার মা বাবা ভাই বোন, তখন ডাষ্টবিনের অতল গভিরে খুঁজে বেড়ায় খাবার ক্ষুধার যন্ত্রনায়।এক টুকরো রুটি নিয়ে কাড়াকাড়ি কুকুর আর বিড়ালের সাথে।কে বলেছে তুমি একজন সভ্য মানব? কি করে তুমি নামাজ , রোজা ,যাকাত ও হজ্জের মত ইবাদাত কর? পৃথিবির যেখানেই নির্যাতিত হোক, মানবতা হলো তোমার সেখানে ঝাঁপিয়ে পড়া যা আছে তা-ই নিয়ে,তোমার সাহায্যের হাত প্রসারিত করা।হোক সে মুসলিম ,খৃষ্টান, ইহুদি,হিন্দু ,বৌদ্ধ , যৈন বা আর কেউ। বিধাতা তো তোমাকে মানব হত্মার আদেশ দেন নি।তাহোলে কেন তোমার কাল হাতের থাবায় নিস্পেষিত করছো এই জরাজীর্ন মানুষগুলোকে।হাতিয়ার তুলে দিছ্ছ নিষ্পাপ শিশুর হাতে।তুমি মানুষ নামের কলন্ক।তোমার কোন ক্ষমা নেই।ফিরে দেখ কি হয়েছিল আবুগারিব ও গুয়ান্তেনামো কারাগারে।২০০৪ সালে আমি শুনেছি মা বোনের বিভৎস চিৎকার।এখনো ওয়েভসাইটগুলো সাক্ষি আছে।মাসের পর মাস , বছরের পর বছর ধর্ষনের শিকার হয়েছিল অসংখ্য যুবতি ও মা বোনেরা।যখন তাদের ডার্করুমে নিয়ে যেত চিৎকার করে বলতো কে আছে,আমাদের গুলি করে হত্মা কর , ঝাঁঝরা করে দাও আমাদের বক্ষ।মাসের পর মাস গোছল নেই তার উপর চালিয়েছিল ধর্ষনের মত পাশবিক অত্যাচার। তারা মানুষ বাঁচাতে আসে নি , এসেছে মানবতা নিধন করতে।উপসাগরে নারিদের কান্নার রোল থামেনি।সিরিয়া আজ নি:শ্বেষপ্রায় । কি করে তুমি ৩ বার , কেউ ৫ বার খাবার খাও।বছরের পর বছর চলছে মানুষ নিধন।কারো কোন নিরাপত্তা নেই।যে শিশুর হাতে বই কলম আর গন্ডদেশে বাবা মা'র স্নেহমাখা চুম্বন থাকার কথা, সে শিশুর হাতে অস্ত্র।জীবনের প্রয়োজনে অস্ত্রহাতে তুলে নিয়েছে শিশু ,নারি ,বৃদ্ধ সবাই।জিবিকার তাড়নায় বাবার সামনে পর পুরুষের সামনে দাঁড়িয়েছে নারিরা, স্বামি খুঁজে বেড়াছ্ছে খদ্দের তার স্ত্রির জন্য।শরনার্থি শিবিরগুলো চেয়ে দেখ খাবারের জন্য অস্হির কান্না।কি করে আমি সংবরন করি আমার অশ্রু।আমার মেয়ের বয়সী ১৯ বছরের নাদা পরিবারে হাল ধরতে বিক্রি করছে তার যৌবন আর পাশন্ডরা তা লুটিয়ে নিছ্ছে তার ভার্জিনিটি।শরনার্থি শিবিরের অনেকে এ পথ বেছে নিয়েছে তাদের বাবা মা ভাই বোনদের সাহায্য পাঠানোর তাগিদে।
আন্তর্জাতিক স্ংস্হাগুলোর অবস্হান অপ্রতুল কারন তাদের হাত পা বাঁধা।হে মানবতা! ঘুমিয়ে থেকোনা।তোমার চোখ খোল। অপচয় বন্ধ কর।তোমার খাবার থেকে ২/৪ জনকে সম্পৃক্ত কর।তোমরা কি দেখনি মদিনায় আনসাররা মুহাজিরদের কি করে সাহায্য করেছিল।যার দু'জন স্ত্রী ছিল ডিভোর্স দিয়ে একজন দিয়েছে তার মুহাজির ভাইকে ,যার দু'টো জমি ছিল একটি জমি দিয়েছিল তার মুহাজির ভাইকে, যার দু'জনের খাবার ছিল সে সম্পৃক্ত করেছে আর একজনকে।কেন তোমরা ইতিহাস স্মরন করনা।তোমরা কি মনে কর চিরদিন এখানে থেকে যাবে।কখনো নয়।এক জবাবদিহিতা অপেক্ষা করছে আর তোমরা দেখতে পাবে নিশ্চিত যা দেখছ এখন প্রভাতের প্রখর সূর্যকিরনে।
বিষয়: বিবিধ
১২৮৪ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন