ছায়া সুনিবিড় শান্তির নীড় ছোট ছোট গ্রামগুলো
লিখেছেন লিখেছেন মহিউডীন ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩, ০৮:২৯:২৩ রাত
মাঝে মাঝে ভেবে অনেক অবাক লাগে,পিছনে তাকালে হৃদপিন্ড হড় হড় কেঁপে উঠে।জীবন থেকে এতগুলো বছর পার করে দিলাম।কি স্বার্থপর আমাদের জীবন? এই যে বছরগুলো পেরিয়ে গেলো কি দিলাম সমাজকে।একটি চাকুরি , একটি ব্যবসা, ক'টি ইমারত,কিছু যায়গা জমিন ও একটি সংসারের মালিক।ধার্মিকতা করি কিন্তু প্রকৃত ধার্মিক এখনো হতে পারিনি।কোরআন হাদিস যতটুকু পড়েছি তাতে মনে হয় এর আঙিনায় ও প্রবেশ করতে পারিনি।তবে হতাশ হইনি কারন আল্লাহ পাক বলেছেন হতাশ হয় মুজরিম লোকেরা।সে জন্য আশা ও ভয়ে তাঁকে স্মরন করি যাতে করে আমার পাহাড় পরিমান গুনাহগুলো ক্ষমা করে দেন।যে বিষয়টি আমাকে নাড়া দিয়েছে তা উপরের বিষয়টি পড়লেই বুঝতে পারবেন।অনেক দিন হলো আমার এলাকায় এ ব্যাপারকে কেন্দ্র করে একটি চিঠি লিখেছিলাম ও পরামর্শ দিয়েছিলাম।দু'এক জন ছাড়া ওন্য কারো কাছ থেকে উত্তর মিলে নি।ভাবলাম মানুষ হিসেবে আমাদের যে মুল্যবোধ থাকা দরকার ছিল তার নিশ্চই অবক্ষয় হয়েছে। এখন আর কেউ কাউকে নিয়ে ভাবে না।এমনকি যে প্রকৃতির দয়ায় মানুষ বেঁচে আছে তাকেও উপেক্ষা করে চলছে।আমরা বস্তুবাদকে এমনই আঁকড়ে ধরেছি যে এ থেকে বের হওয়া বড্ড কঠিন।আমাদের অন্তত: এতটুকু ভাবা দরকার ,আমি স্বাবলম্ভী হয়ে কি করবো যদি প্রকৃতি আমার সাথে বৈরিতা করে। আমি গায়েবকে যেমন বিশ্বাস করি তেমনি কিছুটা হলেও বিশ্বাস করি জ্ঞানীদের।ভবিষ্যতের বিষয় জানেন একমাএ আল্লাহ পাক।কিন্তু জ্ঞানীদের জ্ঞানতো আল্লাহ পাকই দান করেছেন।
গত কয়েক বছর থেকে বিজ্ঞানীগন পৃথিবীর আবহাওয়া সম্পর্কে যে তথ্য দিয়েছেন তার ফলাফল কিছুটা হলেও আমরা পেতে বসেছি।আমাদের এই স্বার্থপরতার পিছনে যে পৃথিবীর আবহাওয়া কটাক্ষ করছে তা বুঝতে হলে যেমন কোরআন হাদিসের জ্ঞান থাকা দরকার তেমনি জ্ঞান থাকা দরকার ভূপ্রকৃতি সম্পর্কে।মহাশুন্য়ে ভাসমান পৃথিবী নামক গ্রহে কেন এবং কিভাবে এই জীব জগৎ সৃষ্টি হলো এবং এই জীব জগতের স্হায়িত্ত রক্ষায় মানুষের ভূমিকা কি হওয়া দরকার সেই জ্ঞান না থাকায় আবহাওয়া বিপর্যয়ের অশনীসংকেত দিছ্ছে আবহাওয়া বিজ্ঞানীরা।পন্ডিতগন প্রতিনিয়ত তাঁদের জ্ঞানগর্ব কল্পকাহিনী ছেপে যাছ্ছে। কে আছে শোনার? কে আছে বাস্তবায়ন করার? বিজ্ঞানীগন বলে আসছেন আবহাওয়া এক ভয়ন্কর অবস্হা সৃষ্টি করবে বিশ্বজুড়ে। এই অবস্হা থেকে মুক্তি পেতে হলে প্রথমে প্রয়জন গোটা বিশ্বের মানুষকে আল্লাহর রজ্জু আঁকড়ে ধরা। দ্বিতীয়ত বিশ্বের শির্ষস্হানীয় রাজনীতিবিদদের ফলপ্রসূ আলোচনা করা।কারন এই বৈরি অবস্হার সমাধান আল্লাহই করবেন তবে যাদের হাতে শাসন ক্ষমতা তারা যদি পজিটিভ রোল প্লে না করে তাহলে জাতির অস্তিত্ত্ব রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়বে।আমরা প্রতি মুহূ্র্তেই প্রকৃতির বৈরি স্বভাব লক্ষ্য করছি।বেশ কয়েক বছর আগে একটি আর্টিকেল পড়েছিলাম।সেখানে বলা হয়েছিল,২০১০ থেকে ২০৫০ সালের মধ্যবর্তী সময়ে ভয়ন্কর অবস্হায় পড়বে এই গ্রহটি।আমরা ইত্যবসরে অনুভব করতে শুরু করেছি পৃথিবীর তাপদগ্ধতা। যার ফলে কোথাও ঘন ঘন বারি বর্ষন হছ্ছে,পানি বন্দী হছ্ছে বিভিন্ন অন্চল।বায়ুর গতিবেগ বেড়ে যাছ্ছে এবং ঘূর্নিঝড়ে রুপান্তরিত।ভূপাতিত হছ্ছে বড় বড় গাছপালা। এতে করে মানুষের অক্সিজেন ধারন ক্ষমতা কমে যাছ্ছে।অতীতের সারা দিনের বৃষ্টিপাতের গড় পরিমান হবে বর্তমানের আধাঘন্টার বৃষ্টি।আমরা এখনি লক্ষ্য করছি আভহাওয়ার পূর্বাভাষ ও কার্যকর করা কঠিন হছ্ছে।মানুষকে যেমন সজাগ থাকতে হবে তেমনি সরকারকে ও বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে হবে।পাহাড় পর্বত থেকে প্রবাহিত নদীর পানি ধারন ক্ষমতা হারাবে। একেতো আমাদের নদী নালা পলীতে ভরাট হয়ে গেছে।এ অবস্হায় ড্রেজিং এর ব্যাবস্হা না করলে তীব্র বেগে পানি নিম্নান্চলে এসে মহাপ্লাবন দেখা দিবে।প্রকৃতির এই বিপর্যয় আমরা দেখতে পাছ্ছি। আল্লাহ পাক সূরা আল ইমরানের ১৯০ আয়াতে বলছেন, আসমান ও জমিনের সৃষ্টি দিন ও রাতের আবর্তন, এ দু'এর মাঝে জ্ঞানীদের জন্য নিদর্শন রয়েছে।অধিকাংশ মানুষের এখনো হূঁশ ফিরে নি।তারা বিভোর অত্যাচার ও সম্পদ লুন্ঠনে।এ যেন চোরাবালিতে তলিয়ে যাবার মৃর্তু ক্ষূধা আমাদের পেয়ে বসেছে।একটু ভেবে দেখুন, কার জন্য এ জমির লড়াই , কার জন্য অস্এ সাধনা,জাতি সাধনা।সবকিছুতো মুহূর্তে ধুলিসাৎ করতে জটিল হয়ে উঠছে আবহাওয়া।
পরিবেশ রক্ষার জন্য বৃক্ষ রোপন একটি অভিজানের নাম।আপনি বা আমি ক'টি বৃক্ষ রোপন করেছি।এই দায়িত্বতো আমার আপনার।আপনার সুন্দর প্রাসাদ থেকে কি হবে যখন আপনাকে দাবদাহ জ্বালাবে বা পানি ভাসিয়ে নিয়ে যাবে।শিল্প কারখানার নির্গত কার্বন এবং বারুদের ধোঁয়ায় আকাশ আছ্ছন্ন হয়ে যায় আর তখন তামাসিকতা্য় আছ্ছন্ন থাকে বোধহীন মানুষগুলো।বিলাসি জীবন যাএায় থেকে যে পৃথীবিকে সুন্দর ও স্বর্গ বলে মনে করছি তা যে মোটেই সুন্দর নয় তা প্রকৃতির এই বৈরিতা দেখে অনুমান করা যায়।বিশ্বের সাথে আমাদের বন্ধুত্ব জোরদার করে সুচিন্তার বিকাশ ঘটাতে হবে।আমরা সাধারনত এতটুকু বুঝি পরিবেশকে রক্ষা করে চলে বনান্চল।বনবিভাগকে আরো যত্নশিল হতে হবে আর সে সাথে জনাগনকে যার যার এলাকায় বৃক্ষ্য রোপন করে দেশ কে প্রাকৃতিক দু্র্যোগ থেকে বাচানোর চেষ্টা করতে হবে।অযথা যেন গাছ কাটা না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
আমাদের ভুলে গেলে চলবে না প্রকৃতি থেকেই এই জীব ও জগৎ।পৃথিবী ও সূ্র্যের মধুর সম্পর্ককে বজায় রাখার দিকে আমদের সজাগ দৃষ্টি যতদিন না থাকবে ততদিন দুর্ভোগ আমাদের চাড়বেনা।আধুনিক বিজ্ঞানের যন্এ সভ্যতার ক্রমবিকাশ মানুষকে তার স্বাভাবিক কাজ কর্ম থেকে প্রকৃতি থেকে বিছ্ছিন্ন করে শিল্পদানবের দাস করে ফেলেছে।যার ফলে বনান্চল সংরক্ষনের প্রয়োজনীয়তা হ্রাস পেয়েছে।নির্জন প্রকৃতির সংরক্ষনই যে মানব সভ্যতা টিকে থাকার কষ্টিপাথর তা নিয়ে কেউ ভাবছে না।বর্তমান মানব সমাজ আবাসনের নামে যে অপরিকল্পিত বাসস্হান নির্মান করছে তা ভবিষ্যতের জন্য এক অশনি সংকেত।খাল বিল ,নদী নালা ও ঝর্নাকে যদি
বন দিয়ে ঘিরে দেয়া যায় তাহলে প্রকৃতি আবারো সজিব হয়ে উঠবে।জীববিদ্যার বিশেষজ্ঞরা ভেবেছিলেন সভ্যতার বিকাশ প্রাকৃতিক পরিবেশকে পরিবর্তন ছাড়া অসম্ভব। কিন্তু ক্রমাগত হস্তখেপ কখনো বিপর্যয়ের সূচনা করতে পারে এই আশংকাটি বর্তমানে অনেক বিজ্ঞানীকে চিন্তিত করে।পৃথিবীর সমস্ত প্রানীর সুস্হভাবে বেঁচে থাকার দিকে দৃষ্টি না দিয়ে শুধু মানুষ নামক প্রআনীর অবস্হান এবং সুখ সুবিধার কথা বর্তমান সুসভ্যতা বলে মেনে চলার এই অন্তিম পরিনতিই আজ দেখা যাছ্ছে।আধুনিক শিল্পজাত ও কৃষিজাত দুষনকে সিমিত রাখতে নতুন সমাজ গঠন ও মুষলমানের জীবন দর্শন কোরান ও সূন্নাহর প্রয়োজনীয়তা খুবই গুরুত্বপুর্ন।
বিষয়: বিবিধ
২০৯৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন