আধ্যাপক গোলাম আজম সাহেবের সাথে কিছুক্ষন।
লিখেছেন লিখেছেন মহিউডীন ২৬ মে, ২০১৪, ০৮:৩৪:১৭ রাত
২০১০ সালের জানুয়ারির সম্ভবত শেষের সপ্তাহ।আমার বড় মেয়ে নুসরাতের বিয়ের দিন তারিখ ঠিক হলো।দেশের যাওয়ার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করে ফেললাম।অনেকের সাথে কুশল বিনিময় হলো তার মধ্যে মামুন ভাই ও ছিলেন। তিনি বললেন ভালই হয়েছে আমি আব্বার জন্য কিছু টাকা পাঠাবো।আমি নি:সন্কোচে বললাম দিতে পারেন।৫০০০ রিয়াল দিয়ে বললেন টাকাটা আব্বার দরকার পৌঁছে দিবেন।সাধারনত কোন দায়িত্ব আসলে বা কমিটমেন্ট করলে তা পালনের চেষ্টা করি।ঢাকা গিয়ে পৌঁছালাম সকাল ১২ টার দিকে।বিকেলে আর দেরি না করে টাকাটা পৌঁছে দেয়ার জন্য আমার ছোট বোনের জামাতা (তৎকালীন ঈমাম-বাংলাদেশ মসজিদ মিশন-মসজিদ) সহ মগবাজারে চলে গেলাম।
পড়ন্ত বিকেলে বাড়ির ফটকে ঢুকতেই সিকিউরিটি জিজ্গেস করলেন আপনারা কোথা থেকে এসেছেন? আমি বললাম জেদ্দা থেকে মামুন সাহেব উনার পিতার সাথে দেখা করতে বলেছেন।তার পর সিকিউরিটি আমাদের যেতে বললেন।আমার ইসলামের অনুসারিদের সম্পর্কে একটা প্রকট ধারনা রয়ে গেছে।বিশেষ করে ছাত্র জীবন থেকে আমি প্রত্যক্ষ করেছি যারা ইসলামের কাজ করে।একজন মুসলিম হিসেবে তা পালন করার চেষ্টা করি যদিও অনেক সীমাবদ্ধতা রয়েছে জীবনে।আমি জীবনের প্রথমে যেমন কোন ভাল লেখকের লেখা পড়তে কার্পন্য করিনি তেমনি করিনি ইসলাম বিরোধী লেখকদের লিখাও।কখনো কখনো নীতি বিবর্জিত লেখকদের রচনাও পড়তে হয় লেখার কারনে।কারন হলো একটা খারাপ লিখা হলেও তা পড়া উচিত জাতিকে সতর্ক করার জন্য তবে এ লেখাগুলো জ্গানীদেরই পড়া উচিত। উনার(গোলাম আজম সাহেবের) ইসলামের উপর ছোট বড় বা চটি লেখা পড়েছি অনেক। জ্গানের পরিধি বাড়ানোর জন্য পড়তে হয় অনেক।এ ক্ষেত্রে যদি একজন লেখক বাচ বিচার করেন তাহলে সে লেখকের লিখায় সীমাবদ্ধতা থেকে যাবে।অনেকের মধ্যে দৈনিক পত্রিকা গুলো পড়ার ক্ষেত্রেও বাচ বিচার করতে দেখি।আপনি যদি প্রকৃত জ্গানী হয়ে থাকেন তাহলে লিখা পড়লেই বুঝতে পারবেন কোন আংগিক থেকে লিখা হয়েছে বা কেন লিখা হয়েছে।বাজারে অনেক পন্যের সমারোহ আপনি দেখতে পাবেন কিন্তু আপনি যখন পন্যটি খরিদ করবেন তখন সেটা নির্ভর করবে আপনার রুচি ও পছন্দের উপর।বাংলাদেশে জামাতে ইসলাম সম্পর্কে অনেকের অনেক কথা রয়েছে , ইতিহাস রয়েছে।উপমহাদেশে ইসলামের ক্ষতবিক্ষত হওয়ার অনেক কারন রয়েছে।মাযহাবকে কেন্দ্র করে ইসলামের বিভক্তি,বৃটিশদের ১৯০ বছরে শির্ক ও বিদাআতি সৃষ্টি করে ইসলামের মুল ধারা থেকে অনেক দলে ও উপদলে বিভক্ত করে যে ইসলামের ক্ষতি হয়েছে তা অনস্বীকার্য। তার পরও আমরা যেহেতু ইসলামকে ভালবাসি এবং ইসলামই আমাদের পথ - সে পথের সঠিক সন্ধান আমাদের করতে হবে লক্ষে পৌঁছার জন্য।আমাদের ভুলগুলো একজন মু'মিন হিসেবে শোধরে দিতে হবে এবং শোধরে নিতে হবে কুরআন ও সূন্নাহের আলোকে।
যাই হোক ১৯৭০ সালে আমি ছিলাম অনেক ছোট। যুদ্ধ দেখেছি কিন্তু সবকিছু বোঝার সামর্থ ছিল না।সেজন্য আমি ইতিহাসের আলোকে এবং আল্লাহ ওহির যে জ্গান আমাকে দিয়েছেন সে আলোকে বিচার করার চেষ্টা করে থাকি।আমি একজন ভাল মুসলিম হওয়ার যদি চেষ্টা করি তাহলে কুরআন ও সূন্নাহ হলো আমার মুল ভিত্তি।আর যারা এই পথ অনুসরন করেন তারাই ধারক ও বাহক।জীবন চলার ক্ষেত্রে মানুষের ভুল হতে পারে।শয়তান অংগিকার করে এসেছে সে মানুষের সবদিক থেকে ছোবল মারবে।কিন্তু যারা প্রকৃত ঈমানদার তাদের ক্ষতি করতে পারবে না।এদিক থেকে ঈমানদারদের ছবরের মধ্যে থাকতে হবে।আমার সাথে তাঁর(গালাম আজম সাহেব) মাত্র এক ঘন্টা আলাপ হয়েছে।আমার আলাপ চারিতার ৫ মিনিট ছিল ব্যাক্তিগত যা আমি সংকুচিত করেছি তাঁর কাছ থেকে কিছু তথ্য নেয়ার জন্য।আমি ভেবেছিলাম এই অশীতিপর বৃদ্ধের সাথে হয়ত আমার আর দেখা হবে না, তাই অনেকগুলো বিষয় আমার মাথার মধ্যে ঘুরফাক খাচ্ছিল।জ্গানীরা কখনো বেশি কথা বলেন না।তাঁদের একটি কথার ওজন অনেক অনেক বেশী।আমি মনে রাখতে চেষ্টা করেছিলাম।পরবর্তিকালে যখন পড়া ও লিখায় নিজেকে নিবদ্ধ করলাম তখন রেফারেন্স গুলোর গভীরে যাওয়ার জন্য আমাকে ভীষন সাহায্য করলো। ইসলাম সম্পর্কে আমাদের ধারনা অনেক ক্ষীন। ধরুন আপনার সামনে দুটো চৌবাচ্চা।দুটোতেই পানি আছে এবং আপনি অবগাহন করতে পারেন।একটির পানি ময়লা ও কর্দমাক্ত।আর একটি পরিচ্ছন্ন তবে সামান্য ময়লা আছে।নিশ্চয়ই আপনি দ্বিতীয় চৌবাচ্চাটিতে অবগাহন করবেন।উপমহাদেশে ইসলাম ও অনৈসলামিক সমাজে প্রধানত দুটো পথ রয়েছে।একটি হলো সেকুলার ও বাম ঘেষা আর একটি হলো ইসলামের বিভিন্ন দল।এখন একজন মুসলিম এ ক্ষেত্রে কি করবে? ইসলামের রোজ ক্কেয়ামত পর্যন্ত একটি দল রয়েছে যা আবুদাউদের হাদিসে পরিলক্ষিত হয়।আবার আল কুরআনও বলেছে মুসলিম হলো একটি উম্মাহ।এখন সাধারন একজন মুসলিম যদি ইসলামের একটি দলেও ভিড়ে থাকে, তাহলে সেটাও ভাল সেকুলার ও বামদের সাথে মিশার চেয়ে।কারন হলো সেকুলার ও বাম মানব রচিত বিধানেরই প্রাধান্য দিয়ে থাকে।ইসলামের কোন দল একজন মুসলিম অনুসরন করলে হয়ত বিদাআতি হবে এবং এর জন্য তাকে শাস্তি পেতে হবে কিন্তু আল্লাহ রহম করলে তার জান্নাতে যাওয়ার রাস্তা থাকবে এক বিন্দু ঈমানের কারনে।কিন্তু যার ঈমানই থাকবে না তার পক্ষে জান্নাতে প্রবেশ করা কি করে সম্ভব?
জামাতে ইসলামের সূচনা হয়েছিল ১৯৪১ সালে জনাব আবুল আ'লা মৌদূদি সাহেবের নেতৃত্বে।এই জামাতটি ভারত ও পাকিস্তানে রাজনীতি করে আসছে।বাংলাদেশে নেতৃত্বের ক্ষেত্রে বিতর্কিত হওয়ার একটাই কারন আর সেটা হলো রাজনৈতিক ইস্যু।আমি সেদিকে না গিয়ে ব্যাক্তি গোলাম আজম সাহেবকে দেখার চেষ্টা করেছি।তার কথাবার্তায় আমার মনে হয়েছে তিনি উঁচু মানের একজন দার্শনিক।একটি দেশে কিভাবে ইসলামের শাসন আসবে,দেশের মানুষ কিভাবে শান্তিতে থাকবে,সামাজিক বৈষম্যগুলো কিভাবে দূর হবে, কিভাবে মানুষকে সমাজে ইসলামের আলোকে গড়ে তুলতে হবে এবং একজন মুসলমান হিসেবে আমাদের দায়িত্ব কি এ বিষয় গুলোর উপর আমি জানতে চেষ্টা করেছি।আনৈসলামি রাষ্ট্রে কিভাবে অকল্যান হয় ও বিপর্যয় আসে তার একটি ফিরিস্তি তিনি সংক্ষেপে দিয়েছিলেন যার ভাবার্থ তুলে ধরলাম।
দুর্বৃত্ত মানুষ যখন হাতে লাঠি বা চাকু পায় তখনই সে অঘটন ঘটায়। তাদের লক্ষ্য যে শুধু মানুষের ধনসম্পদ লুন্ঠন -তা নয়। তারা তো সমাজ ও রাষ্ট্রে একচ্ছত্র প্রভু হতে চায়। লুন্ঠনের পরিধিকে এভাবে তারা সমগ্র রাষ্ট্রময় করতে চায়। রাষ্ট্র যখন পুলিশ, সেনাবাহিনী, আদালত ও প্রশাসনসহ তার প্রতিষ্ঠানগুলি নিয়ে এমন দুর্বৃত্তের হাতে অধিকৃত হয় তখন সমগ্র দেশবাসীর জীবনে মহা-অকল্যাণ নেমে আসে। হত্যা,ধর্ষণ, চুরিডাকাতির ন্যায় নানারূপ অপরাধকর্ম তখন রাষ্ট্রের নীতি বা সংস্কৃতি হয়ে দাঁড়ায়। ফিরাউন-নমরুদের ন্যায় দুর্বৃত্তরা যখন রাষ্ট্রের উপর তাদের দখলদারি প্রতিষ্ঠা করেছিল তখন নিজেদেরকে শুধু রাজা রূপে নয়,খোদা রূপেও প্রতিষ্ঠা করেছিল। এমন দুর্বৃত্তকবলিত রাষ্ট্রে সত্য,সুশিক্ষা ও সুবিচার মারা পড়ে। এমনকি হযরত ইব্রাহীম (আঃ) ও হযরত মূসা (আঃ)র মত মহা মানবগণও সে সমাজে ভাল আচরণ পাননি। বরং তাদেরকেও নির্মম হত্যা করার চেষ্টা হয়েছে। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা যখনই হালাকু-চেঙ্গিজ-হিটলারদের ন্যায় দুর্বৃত্তদের হাতে গেছে তখনই লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবনে নির্মম নির্যাতন ও মৃত্যু নেমে এসেছে। মানব ইতিহাসের বড় বড় বিপর্যয়গুলো গ্রামগঞ্জে বাসকরা চোর-ডাকাতদের হাতে হয়নি। রোগ-ভোগ, মহামারি বা ঝড় তুফানের হাতেও হয়নি। বরং হয়েছে দুর্বৃত্তদের হাতে রাষ্ট্র যাওয়াতে। মানব জাতির সবচেয়ে বড় দুষমন হলো এসব দুর্বৃত্তরা।মহান আল্লাহতায়ালা তাই এরূপ দুর্বৃত্ত নির্মূলকেও বাধ্যতামূলক করেছেন এবং নির্মূলের সে কাজকে পবিত্র জিহাদের মর্যাদা দিয়েছেন। যারা সে মহান কাজে প্রাণ দিবে তাদেরকে শহীদের মর্যাদা দিয়েছেন;সে সাথে বিনা হিসাবে জান্নাতদানের ওয়াদা দিয়েছেন।
মুসলমানগণ আজ বিশ্বশক্তির মর্যাদা হারিয়ে পদে পদে পরাজয়ের যে গ্লানি বইছে সেটিও রোগ-ভোগ, ভূমিকম্প বা ঝড়তুফানের কারণে নয়। বরং মুসলিম রাষ্ট্রগুলো দুর্বৃত্তদের হাতে অধিকৃত হওয়ায়। এবং সে বিপর্যয় যে কতটা ভয়ানক হতে পারে তারই আধুনিক উদাহরণ হলো আজকের বাংলাদেশ। বাংলাদেশের মানুষ আজ পথে ঘাটে লাশ হচ্ছে, গুম হচ্ছে,ধর্ষিতা হচ্ছে এবং নানা ভাবে নির্যাতিত হচ্ছে। সামপ্রতিক যে ঘটনাগুলো ঘটেছে নারায়ন গন্জ, ফেনি ও লক্ষিপুরে তা কি ইসলামের কোন দল ঘটিয়েছে? গতকাল একটি পত্রিকায়
দেখলাম ফেনির জয়নাল হাজারি একটি নিরেট সত্য কথা বলেছেন যা অনেকের দৃষ্টি কেড়ে থাকবে।জয়নাল হাজারি সম্পর্কে যুগ ধরে ফেনিতে অনেক আপকর্মের কথা আমরা শুনেছি।সেই জয়নাল হাজারি বলেছেন চুরি ,ডাকাতি,অপহরন ,গুম খুন ইসলামের লোকরা করতে পারে না।বিশেষ করে ছাত্র শিবিরের কথা উল্লেখ করেছেন যে আমার এলাকায় তাদের এগুলো করতে দেখিনি।সব দলেই কিছু দুর্বিত্ত থাকতে পারে তবে যারা ইসলামের কাজ করে তাদের পক্ষে সম্ভব নয় কোন খুনের সাথে সম্পর্ক রাখা।যে সমস্ত মুসলিম খুনি হিসেবে প্রমানিত হবে তারা নিশ্চই ইসলামের প্রতিনিধিত্ব করে না আর কোন ইসলামিস্ট কোন দুর্বিত্তির সাথে সম্পর্ক রাখতে পারে না। বরং মূল কারণঃ রাষ্ট্র অধিকৃত হয়েছে যে দুর্বৃত্তদের হাতে তারা।তাদের হাতে দেশের পুলিশ, সেনাবাহিনী, আদালত ও প্রশাসনসহ সমগ্র রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো পরিণত হয়েছে নির্যাতনের হাতিয়ারে। বনে জঙ্গলে মানুষ লাশ হলে বা ছিনতাইয়ের শিকার হলে যেমন বিচার হয় না, তেমনি বিচার হয় না বাংলাদেশেও। ফিরাউন-নমরুদ-হালাকু-চেঙ্গিজের আমলে মানুষ যেমন তাদের জানমালের নিরাপত্তা হারিয়েছিল,একই রূপ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে এদেশটিতেও।বাংলাদেশের মানুষের আজকের বড় দুষমন তাই যেমন রোগ জীবানূ নয়,তেমনি ঝড়-তুফান এবং চোরডাকাতও নয়। বরং সে ভয়ানক শত্রুটি হলো খোদ সরকার।
ইসলামই একমাত্র ধর্ম যা রাষ্ট্রের শক্তি-সামর্থ ও গুরুত্বকে সঠিক ভাবে সনাক্ত করেছে। অন্য ধর্মে রাজনীতি ও রাষ্ট্রীয় ক্ষমতাকে দখলে নেয়ার নির্দেশ নেই। কিন্তু ইসলামে সে নির্দেশটি বার বার এসেছে। ইসলামের নবী তাই শুধু ধর্মপ্রচারকই ছিলেন না, তিনি রাষ্ট্রের প্রধানও ছিলেন। এরূপ ভিন্নতর নির্দেশের কারণ, ইসলাম যে মহাজ্ঞানী মহান আল্লাহতায়ালা থেকে এসেছে তাঁর মহান দৃষ্টি থেকে রাষ্ট্রের সে প্রবল ক্ষমতাটি গোপন থাকার কথা নয়। এজন্যই ইসলামে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নেককর্ম নফল নামায-রোযা বা দানখয়রাত নয়।মহল্লার ছিঁছকে চোর-ডাকাতদের ধরাও নয়। বরং দুর্বৃত্তদের হাত থেকে রাষ্ট্রকে বাঁচানো। ইসলামে সেটি সর্বোচ্চ ইবাদত। ইসলামে সে চেষ্টাকেই জিহাদ বলা হয়েছে। নবীজী (সাঃ) ও তার সাহাবাদের জীবনে সবচেয়ে বড় কোরবানী দিতে হয়েছে সে জিহাদে। রাষ্ট্রকে নিজেদের দখলে রাখতে নবীজী (সাঃ)র শতকরা ৭০ ভাগ সাহাবী প্রাণ দিয়েছেন। একটি দেশ কতটা সভ্য রূপে গড়ে উঠবে সে ফয়সালাটি দেশের কলকারখানা, রাস্তাঘাট বা কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা থেকে নির্ধারিত হয় না। বরং সেটি নির্ধারিত হয় রাষ্ট্রকে ইসলামি করার কাজে কতটা জিহাদ হলো তা থেকে। যে দেশে সে জিহাদ নাই সে দেশ যে দুর্বৃত্তির সয়লাবে ভেসে যাবে সেটিই হলো নিয়ম। আর তারই প্রমাণ হলো আজকের বাংলাদেশ। আবর্জনা এমনিতে সরে না। সেটি সরানোর কাজ না হলে সমগ্র দেশ তখন আবর্জনার স্তুপে পরিণত হয়। বাংলাদেশে বিগত ৫০ বছরে যত কলকারখানা, রাস্তাঘাট, হাসপাতাল বা কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে উঠেছে তা দেশটির সমগ্র ইতিহাসেও নির্মিত হয়নি। কিন্তু তাতে কি বাংলাদেশের মানুষের সভ্য মানুষ রূপে বেড়ে উঠাটি নিশ্চিত হয়েছে? বরং নির্মিত হয়েছে বাংলার হাজার বছরের ইতিহাসের সবচেয়ে কদর্যকর ইতিহাস। সেটি যেমন ভিক্ষার তলাহীন ঝুড়ির খেতাব পেয়ে তেমনি বিশ্বমাঝে ৫বার সবচেয়ে দুর্বৃত্তকবলিত দেশ রূপে প্রতিষ্টা পেয়ে।
জাতির একজন ক্ষুদ্র সন্তান হিসেবে, রাসূল সা: এর একজন অনুসারি হিসেবে আমি জাতির কাছে প্রশ্ন রাখতে চাই? আপনারা আপনাদের বিবেক কে প্রশ্ন করুন।একটু ভাবতে চেষ্টা করুন।আল্লাহ কুরআনে বলেছেন জাতের চক্ষু আছে আর যারা তারা কি এক? যারা দীর্ঘকাল মানুষকে ইসলামের দিকে ডেকেছেন ও ডাকেন,যাদের দ্বারা কলুষিত সমাজ নিষ্কলুষ হয়,যাদের কথায় মানুষ ঈমান নিয়ে আসে,যাদের দ্বারা সমাজ বিনির্মান হয়,যাদের জলছাতে আল্লাহ ও রাসূলের কথা প্রচারিত হয় তারা সমাজে নিকৃষ্ট, না যারা বেনামাজি,সুদ ঘুষের সাথে জড়িত,হত্মা ও নৈরাজ্যে,জুলুম নীপিড়নের সাথে জড়িত তারা নিকৃষ্ট। একজন মু'মিনকে ভাল কাজের মাধ্যমে আল্লাহ তার গুনাহ মাপ করে দেন।আবার জেল জুলুমের মাধ্যমেও গুনাহ মাপ করে দেন।আমরা জানি না কোনটা সঠিক আল্লাহই ভাল জানেন।ঈমাম আবু হানিফা (র) কে জেলেই মৃত্যুবরন করতে হয়েছিল একটি কারনে আর সেটা হলো উমায়্যা খেলাফতের শেষ দিকে এবং আব্বাছিয় খেলাফতের প্রথম দিকে প্রধান বিচারপতির আসন অলংকৃত করতে বলা হয়েছিল এবং তিনি তা প্রত্যাক্ষান করেছিলেন।ইসলামের ইতিহাসে নবী রাসূলদের হত্মা করা হয়েছিল,তাঁদের অনুসারিদের ঈমান আনার কারনে হত্মা করেছিল সমকালিন শক্তি কিন্তু তারা এক আল্লাহর ঝান্ডা উড়িয়ে জীবন দিয়েছিলেন এবং এ ছিলছিলা রোজ ক্কেয়ামত পর্যন্ত চলবে।সুতরাং প্রকৃত ঈমানদারদের ইসলামের এই ইতিহাস ভুলে গেলে চলবেনা।বাংলাদেশেও ইসলাম একদিন প্রতিষ্ঠিত হবে এবং তার জন্য দরকার ইসলামের একটি শক্তি।বিভক্ত থেকে ইসলামকে জয় করা যায় না।আর যারা ইসলামের খেদমতে জীবন দেয় বা জেল জুলুম সহ্য করে ঈমানকে বাঁচিয়ে রাখে তারা যেমন দুনিয়াতে কামিয়াবি তেমনি আখেরাতে হবেন মহাসম্মানিত একথা নিশ্চিত করে বলতে পারি।
বিষয়: বিবিধ
১৪১২ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এই ধরনের কঠিন সিদ্ধান্ত যারা নিতে পারে তারাই ইতিহাসের অংশ হয়। রাসুল (সাঃ) এই ধরনের দুঃসাহসী কিছু সঙ্গী পেয়েছিলেন বলেই সত্যের আলো ছড়িয়ে দেয়ার ক্ষেত্র পেয়েছেন। তাই নিশ্চিত এ জাতি একদিন গোলাম আযমদের শ্রদ্ধাভরেই স্মরণ করবে।
মন্তব্য করতে লগইন করুন