হে বিশ্বমানব! দেখে নাও বিপর্যস্ত শৈশব, বিপন্ন ভবিষ্যৎ।
লিখেছেন লিখেছেন মহিউডীন ২৩ এপ্রিল, ২০১৪, ০৯:১৬:২৪ রাত
কিছুতেই ভুলতে পারছি না। দৃশ্যটি চোখের সামনে ভাসলেই মনে হয় কেউ আমার গায়ে ছুরি মারছে।' সিরিয়ায় নিজের বাড়ির পাশে সাতটি লাশ দেখে আসার স্মৃতি না ভুলতে পারার কথা এভাবেই জানায় ১৫ বছরের তা'হা। সিরিয়ার প্রায় তিন বছরের সহিংসতায় আশপাশের দেশগুলোতে শরণার্থী হওয়া প্রায় ১০ লাখ শিশুর অনেকের অবস্থাই তাহার মতো। যুদ্ধের বিভৎস স্মৃতি, আপনজন ও আশ্রয় হারানোর যন্ত্রণা, জীবনযুদ্ধের ভার লাখো শিশুর জন্য দুঃসহ শারীরিক-মানসিক পীড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে।
গত ২০ বছরের ইতিহাসের দিকে তাকালে রুয়ান্ডার পরে সিরিয়ার সংকটই সবচেয়ে মারাত্মক। মানুষের এই দুর্দশা ভোলার মতো নয়। শিশুদের দিকে তাকালে এই সংকট আরো স্পষ্টভাবে বোঝা যায়। বড়রাই মেনে নিতে পারে না এমন ভীতিকর অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে তাদের।'
গত তিন বছরের সংঘাতে অন্তত দুই কোটি ২০ লাখ মানুষ সিরিয়া ছেড়ে পালিয়েছে। এ সংখ্যা তিন কোটি হতে পারে বলে অনুমান করছে পার্শ্ববর্তী দেশগুলো। শরণার্থী হওয়া বিশাল এ জনগোষ্ঠীর প্রায় অর্ধেকই শিশু। তাদের বেশির ভাগই আশ্রয় নিয়েছে প্রতিবেশী দেশ জর্দান ও লেবাননে। আশ্রয়দাতা দেশগুলো বাড়তি চাপ মোকাবিলা করে শিশুদের মৌলিক চাহিদা মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে। পরিবারে উপার্জনের মতো লোক না থাকায় অল্প বয়সেই কাজে নামতে বাধ্য হচ্ছে শরণার্থী শিশুরা।চোখের সামনে পরিবারের লোকদের হত্যার ঘটনা দেখেছে অনেক শিশু। নিহত স্বজনদের দাফনের ব্যবস্থাও করতে হয়েছে অনেককে। বারবার যুদ্ধের স্মৃতি ফিরে আসার মতো মানসিক আঘাতে ঘুম না হওয়া, সারাক্ষণ কান্নাকাটি করা, কথা বলতে না পারা বা বিছানা নষ্ট করে ফেলার মতো সমস্যা সাধারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে শরণার্থী শিশুদের মধ্যে। কেউ কেউ দেশে ফিরে গিয়ে যুদ্ধে যোগ দিতে চাচ্ছে। শারীরিক আঘাতও রয়েছেংত বছরের প্রথম ছয় মাসে লেবাননে ৭৪১ যুদ্ধাহত শিশুকে ও জর্দানের জাতারি শরণার্থী শিবিরে প্রায় এক হাজার যুদ্ধাহত শিশুকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।বাড়তি জানগোষ্ঠীর খাবার, পানি, চিকিৎসা, বাসস্থানের ব্যবস্থা করতে আশ্রয়দাতা দেশগুলো হিমশিম খাচ্ছে। সেখানে শরণার্থী শিশুদের শিক্ষার ব্যবস্থা করা অনেকটাই দুঃসাধ্য কাজে পরিণত হয়েছে। লেবাননে স্কুলে পড়ুয়া ১০ লাখ শিশু রয়েছে এবং সিরীয় শরণার্থী শিশুর সংখ্যা এর কাছাকাছি পৌঁছে গেছে।
হাজার হাজার শরণার্থী শিশু তাদের বাবা অথবা পরিবারের প্রধান উপার্জনকারী হারিয়েছে। নিজের ও পরিবারের জীবন ধারণের জন্য তারা কাজ করতে বাধ্য হচ্ছে। গত বছরের মার্চে ইউনিসেফের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রতি ১০ সিরীয় শরণার্থী শিশুর একজনই শিশুশ্রমে বাধ্য হচ্ছে। জর্দানে শ্রমবাজারে প্রাপ্ত বয়স্কদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কাজ করতে হচ্ছে তাদের। জর্দান শ্রম মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শক মাইসুন আল রেমাউয়ি বলেন, তাঁদের শিশুশ্রমিকদের ৬০ থেকে ৭০ শতাংশই সিরীয়।জর্দান ও লেবাননের মতো সিরীয় শরণার্থীদের আশ্রয়দাতা দেশগুলোকে আন্তর্জাতিক সহায়তা না দিলে পরিস্থিতি আরো খারাপের দিকে যাবে।
আমার শরিরে একনো কাঁটা বিধে যখন মনে হয় উপসাগরিয় যুদ্ধের কথা,যখন মনে হয় ১৯৭১ এ স্বাধীনতা যুদ্ধের কথা,যখন মনে হয় হিরসিমা নাগাসাকির কথা,হিটলারের ৬ মিলিয়ন মানুষ বধ করার কথা, আরো অনেক যুদ্ধ বিগ্রহ যা ছিল শুধু ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করা , এতে ছিল না কোন মানব কল্যান।যুদ্ধ কোন কল্যান বয়ে আনে না।বয়ে আনে নিশ্পেষন,বিকলংগতা,মানুষকে করে ক্ষুধার্ত,জীবনের প্রয়োজনে নারিদের নিক্ষেপ করে পতিতাবৃত্তিতে।অমুসলিমদের কথা বাদই দিলাম যাদের পরকালের কোন চিন্তা নেই,এ জীবনই যাদের ভোগের জীবন। মুসলিম দেশগোলোর এ অবস্হা কেন? যাদের হাতে রয়েছে কুরআনের মত হাতিয়ার,রয়েছে রাসূল সা: এর মুখনিসৃত ভবিষ্যৎ বানি।আরব স্প্রিং এর নামে অমুসলিম শাসকদের কালো হাতের থাবা ধংস করেছে মানুষ ও লুন্ঠন করছে সম্পদ ও হাজার বছরের সংস্কৃতি।হে পরাজিত মানবতা! তোমাদের ঘুম ভাংবে কবে? তোমার পাশে নির্যাতিত হছ্ছে তোমার মা বোন,তোমার বাবা ও ভাইদের হত্মা করছে বেয়োনেটে।আর তুমি অঘোর ঘুমে নিমজ্জিত।ঘুম থেকে উঠে তোমার নাস্তায় হরেক রকমের খাবারের স্বাদ গ্রহন কর, আর তোমার মা বাবা ভাই বোন, তখন ডাষ্টবিনের অতল গভিরে খুঁজে বেড়ায় খাবার ক্ষুধার যন্ত্রনায়।এক টুকরো রুটি নিয়ে কাড়াকাড়ি কুকুর আর বিড়ালের সাথে।কে বলেছে তুমি একজন সভ্য মানব? কি করে তুমি নামাজ , রোজা ,যাকাত ও হজ্জের মত ইবাদাত কর? পৃথিবির যেখানেই নির্যাতিত হোক, মানবতা হলো তোমার সেখানে ঝাঁপিয়ে পড়া যা আছে তা-ই নিয়ে,তোমার সাহায্যের হাত প্রসারিত করা।হোক সে মুসলিম ,খৃষ্টান, ইহুদি,হিন্দু ,বৌদ্ধ , যৈন বা আর কেউ। বিধাতা তো তোমাকে মানব হত্মার আদেশ দেন নি।তাহোলে কেন তোমার কাল হাতের থাবায় নিস্পেষিত করছো এই জরাজীর্ন মানুষগুলোকে।হাতিয়ার তুলে দিছ্ছ নিষ্পাপ শিশুর হাতে।তুমি মানুষ নামের কলন্ক।তোমার কোন ক্ষমা নেই।ফিরে দেখ কি হয়েছিল আবুগারিব ও গুয়ান্তেনামো কারাগারে।২০০৪ সালে আমি শুনেছি মা বোনের বিভৎস চিৎকার।এখনো ওয়েভসাইটগুলো সাক্ষি আছে।মাসের পর মাস , বছরের পর বছর ধর্ষনের শিকার হয়েছিল অসংখ্য যুবতি ও মা বোনেরা।যখন তাদের ডার্করুমে নিয়ে যেত চিৎকার করে বলতো কে আছে,আমাদের গুলি করে হত্মা কর , ঝাঁঝরা করে দাও আমাদের বক্ষ।মাসের পর মাস গোছল নেই তার উপর চালিয়েছিল ধর্ষনের মত পাশবিক অত্যাচার। তারা মানুষ বাঁচাতে আসে নি , এসেছে মানবতা নিধন করতে।উপসাগরে নারিদের কান্নার রোল থামেনি।সিরিয়া আজ নি:শ্বেষপ্রায় । কি করে তুমি ৩ বার , কেউ ৫ বার খাবার খাও।বছরের পর বছর চলছে মানুষ নিধন।কারো কোন নিরাপত্তা নেই।যে শিশুর হাতে বই কলম আর গন্ডদেশে বাবা মা'র স্নেহমাখা চুম্বন থাকার কথা, সে শিশুর হাতে অস্ত্র।জীবনের প্রয়োজনে অস্ত্রহাতে তুলে নিয়েছে শিশু ,নারি ,বৃদ্ধ সবাই।জিবিকার তাড়নায় বাবার সামনে পর পুরুষের সামনে দাঁড়িয়েছে নারিরা, স্বামি খুঁজে বেড়াছ্ছে খদ্দের তার স্ত্রির জন্য।শরনার্থি শিবিরগুলো চেয়ে দেখ খাবারের জন্য অস্হির কান্না।কি করে আমি সংবরন করি আমার অশ্রু।আমার মেয়ের বয়সী ১৯ বছরের নাদা পরিবারে হাল ধরতে বিক্রি করছে তার যৌবন আর পাশন্ডরা তা লুটিয়ে নিছ্ছে তার ভার্জিনিটি।শরনার্থি শিবিরের অনেকে এ পথ বেছে নিয়েছে তাদের বাবা মা ভাই বোনদের সাহায্য পাঠানোর তাগিদে।
আন্তর্জাতিক স্ংস্হাগুলোর অবস্হান অপ্রতুল কারন তাদের হাত পা বাঁধা।হে মানবতা! ঘুমিয়ে থেকোনা।তোমার চোখ খোল। অপচয় বন্ধ কর।তোমার খাবার থেকে ২/৪ জনকে সম্পৃক্ত কর।তোমরা কি দেখনি মদিনায় আনসাররা মুহাজিরদের কি করে সাহায্য করেছিল।যার দু'জন স্ত্রী ছিল ডিভোর্স দিয়ে একজন দিয়েছে তার মুহাজির ভাইকে ,যার দু'টো জমি ছিল একটি জমি দিয়েছিল তার মুহাজির ভাইকে, যার দু'জনের খাবার ছিল সে সম্পৃক্ত করেছে আর একজনকে।কেন তোমরা ইতিহাস স্মরন করনা।তোমরা কি মনে কর চিরদিন এখানে থেকে যাবে।কখনো নয়।এক জবাবদিহিতা অপেক্ষা করছে আর তোমরা দেখতে পাবে নিশ্চিত যা দেখছ এখন প্রভাতের প্রখর সূর্যকিরনে।
বিষয়: বিবিধ
১৩১৫ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন