আমাদের জীবনের উদ্দেশ্য যদি হয় একটি আলোকিত গ্রাম তৈরি করা তাহলে নিজেকে গ্রামের সাথে নিবিড় করুন।
লিখেছেন লিখেছেন মহিউডীন ২৪ মার্চ, ২০১৪, ০২:০০:৪৫ দুপুর
মাঝে মাঝে ভেবে অনেক অবাক লাগে,পিছনে তাকালে হৃদপিন্ড হড় হড় কেঁপে উঠে।জীবন থেকে এতগুলো বছর পার করে দিলাম।কি স্বার্থপর আমাদের জীবন? এই যে বছরগুলো পেরিয়ে গেলো কি দিলাম সমাজকে? আমরা অনেকে একটি চাকুরি , একটি ব্যবসা, ক'টি ইমারত,কিছু যায়গা জমিন ও একটি সংসারের মালিক। আমাদের অধিকাংশই এখন শহর মুখি।সামাজিক অবস্হান একটু ভাল হলেই গ্রাম ছেড়ে দিচ্ছি।আবার অনেককে বলেতে শুনি ওখানে দুর্বিত্ত বাস করে সেখানে যাওয়া যাবে না।একথা কি ঠিক? আজ শহরের পরিধি যেভাবে বাড়ছে আগামী পন্চাশ বছরে আমার তো মনে হয় প্রতিটি গ্রামই শহরে পরিনত হবে।আসলে আমার বলার কথা হলো আমরা ছোট বেলা যে গ্রাম দেখেছি তা ছিল " ছায়া সুনিবিড় শান্তির নীড় ছোট ছোট গ্রামগুলো।' আমি বহু দূরে থাকলেও গ্রামের সাথে আমার লিখার মাধ্যমে সম্পর্ক রাখার চেষ্টা করছি।তবে খুব কম মানুষই যোগাযোগ রাখার চেষ্টা করে।এটা আমাদের শিক্ষার এক দৈন্যতা, আর এজন্য আমরা যাদের শিক্ষিত বলে দাবি করছি তারাই অনেকাংশে দায়ি।প্রতিটি গ্রামের উন্নয়ন হলেই গোটা দেশের উন্নয়ন হবে এটাই আসল কথা। আর এর জন্য আমাদের সবাইকে কাজ করতে হবে।একজন মানুষ হিসেবে আমাদের যে মুল্যবোধ থাকা দরকার ছিল তার নিশ্চই অবক্ষয় হচ্ছে দিন দিন। এখন আর কেউ কাউকে নিয়ে ভাবে না।এমনকি যে প্রকৃতির দয়ায় মানুষ বেঁচে আছে তাকেও উপেক্ষা করে চলছে।আমরা বস্তুবাদকে এমনই আঁকড়ে ধরেছি যে এ থেকে বের হওয়া বড্ড কঠিন।আমাদের অন্তত: এতটুকু ভাবা দরকার ,আমি স্বাবলম্ভী হয়ে কি করবো যদি প্রকৃতি আমার সাথে বৈরিতা করে। আমি গায়েবকে যেমন বিশ্বাস করি তেমনি কিছুটা হলেও বিশ্বাস করি জ্ঞানীদের।ভবিষ্যতের বিষয় জানেন একমাএ আল্লাহ পাক।কিন্তু জ্ঞানীদের জ্ঞানতো আল্লাহ পাকই দান করেছেন।গত কয়েক বছর থেকে বিজ্ঞানীগন পৃথিবীর আবহাওয়া সম্পর্কে যে তথ্য দিয়েছেন তার ফলাফল কিছুটা হলেও আমরা পেতে বসেছি।আমাদের এই স্বার্থপরতার পিছনে যে পৃথিবীর আবহাওয়া কটাক্ষ করছে তা বুঝতে হলে যেমন কোরআন হাদিসের জ্ঞান থাকা দরকার তেমনি জ্ঞান থাকা দরকার ভূপ্রকৃতি সম্পর্কে।মহাশুন্যে ভাসমান পৃথিবী নামক গ্রহে কেন এবং কিভাবে এই জীব জগৎ সৃষ্টি হলো এবং এই জীব জগতের স্হায়িত্ত রক্ষায় মানুষের ভূমিকা কি হওয়া দরকার সেই জ্ঞান না থাকায় আবহাওয়া বিপর্যয়ের অশনীসংকেত দিছ্ছে আবহাওয়া বিজ্ঞানীরা।পন্ডিতগন প্রতিনিয়ত তাঁদের জ্ঞানগর্ব কল্পকাহিনী ছেপে যাছ্ছে। কে আছে শোনার? কে আছে বাস্তবায়ন করার? বিজ্ঞানীগন বলে আসছেন আবহাওয়া এক ভয়ন্কর অবস্হা সৃষ্টি করবে বিশ্বজুড়ে। এই অবস্হা থেকে মুক্তি পেতে হলে প্রথমে প্রয়োজন গোটা বিশ্বের মানুষকে আল্লাহর রজ্জু আঁকড়ে ধরা। দ্বিতীয়ত বিশ্বের শির্ষস্হানীয় রাজনীতিবিদদের ফলপ্রসূ আলোচনা করা।কারন এই বৈরি অবস্হার সমাধান আল্লাহই করবেন তবে যাদের হাতে শাসন ক্ষমতা তারা যদি পজিটিভ রোল প্লে না করে তাহলে জাতির অস্তিত্ত্ব রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়বে।আমরা প্রতি মুহূ্র্তেই প্রকৃতির বৈরি স্বভাব লক্ষ্য করছি।বেশ কয়েক বছর আগে একটি আর্টিকেল পড়েছিলাম।সেখানে বলা হয়েছিল,২০১০ থেকে ২০৫০ সালের মধ্যবর্তী সময়ে ভয়ন্কর অবস্হায় পড়বে এই গ্রহটি।আমরা ইত্যবসরে অনুভব করতে শুরু করেছি পৃথিবীর তাপদগ্ধতা। যার ফলে কোথাও ঘন ঘন বারি বর্ষন হছ্ছে,পানি বন্দী হছ্ছে বিভিন্ন অন্চল।বায়ুর গতিবেগ বেড়ে যাছ্ছে এবং ঘূর্নিঝড়ে রুপান্তরিত।ভূপাতিত হছ্ছে বড় বড় গাছপালা। এতে করে মানুষের অক্সিজেন ধারন ক্ষমতা কমে যাছ্ছে।অতীতের সারা দিনের বৃষ্টিপাতের গড় পরিমান হবে বর্তমানের আধাঘন্টার বৃষ্টি।আমরা এখনি লক্ষ্য করছি আবহাওয়ার পূর্বাভাষ ও কার্যকর করা কঠিন হছ্ছে।মানুষকে যেমন সজাগ থাকতে হবে তেমনি সরকারকে ও বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে হবে।পাহাড় পর্বত থেকে প্রবাহিত নদীর পানি ধারন ক্ষমতা হারাবে। একেতো আমাদের নদী নালা পলীতে ভরাট হয়ে গেছে।এ অবস্হায় ড্রেজিং এর ব্যাবস্হা না করলে তীব্র বেগে পানি নিম্নান্চলে এসে মহাপ্লাবন দেখা দিবে।প্রকৃতির এই বিপর্যয় আমরা দেখতে পাছ্ছি। আল্লাহ পাক সূরা আল ইমরানের ১৯০ আয়াতে বলছেন, আসমান ও জমিনের সৃষ্টি দিন ও রাতের আবর্তন, এ দু'এর মাঝে জ্ঞানীদের জন্য নিদর্শন রয়েছে।অধিকাংশ মানুষের এখনো হূঁশ ফিরে নি।তারা বিভোর অত্যাচার ও সম্পদ লুন্ঠনে।এ যেন চোরাবালিতে তলিয়ে যাবার মৃর্তুক্ষুধা আমাদের পেয়ে বসেছে।একটু ভেবে দেখুন, কার জন্য এ জমির লড়াই , কার জন্য অসৎ সাধনা,জাতি সাধনা।সবকিছুতো মুহূর্তে ধুলিসাৎ করতে জটিল হয়ে উঠছে আবহাওয়া।
পরিবেশ রক্ষার জন্য বৃক্ষ রোপন একটি অভিজানের নাম।আপনি বা আমি ক'টি বৃক্ষ রোপন করেছি।এই দায়িত্বতো আমার আপনার।আপনার সুন্দর প্রাসাদ থেকে কি হবে যখন আপনাকে দাবদাহ জ্বালাবে বা পানি ভাসিয়ে নিয়ে যাবে।শিল্প কারখানার নির্গত কার্বন এবং বারুদের ধোঁয়ায় আকাশ আছ্ছন্ন হয়ে যায় আর তখন তামাসিকতা্য় আছ্ছন্ন থাকে বোধহীন মানুষগুলো।বিলাসি জীবন যাএায় থেকে যে পৃথীবিকে সুন্দর ও স্বর্গ বলে মনে করছি তা যে মোটেই সুন্দর নয় তা প্রকৃতির এই বৈরিতা দেখে অনুমান করা যায়।গ্রামের সাথে আমাদের নিবিড়তা ও বন্ধুত্ব জোরদার করে সুচিন্তার বিকাশ ঘটাতে হবে।আমরা সাধারনত এতটুকু বুঝি পরিবেশকে রক্ষা করে চলে বনান্চল।বনবিভাগকে আরো যত্নশিল হতে হবে আর সে সাথে জনগনকে যার যার এলাকায় বৃক্ষ্য রোপন করে দেশ কে প্রাকৃতিক দু্র্যোগ থেকে বাচানোর চেষ্টা করতে হবে।আর এ কাজের জন্য আমাদের গ্রামমুখি হওয়া জরুরি।
আমাদের ভুলে গেলে চলবে না প্রকৃতি থেকেই এই জীব ও জগৎ।পৃথিবী ও সূ্র্যের মধুর সম্পর্ককে বজায় রাখার দিকে আমদের সজাগ দৃষ্টি যতদিন না থাকবে ততদিন দুর্ভোগ আমাদের চাড়বেনা।আধুনিক বিজ্ঞানের যন্ত্র সভ্যতার ক্রমবিকাশ মানুষকে তার স্বাভাবিক কাজ কর্ম থেকে প্রকৃতি থেকে বিছ্ছিন্ন করে শিল্পদানবের দাস করে ফেলেছে।যার ফলে বনান্চল সংরক্ষনের প্রয়োজনীয়তা হ্রাস পেয়েছে।নির্জন প্রকৃতির সংরক্ষনই যে মানব সভ্যতা টিকে থাকার কষ্টিপাথর তা নিয়ে কেউ ভাবছে না।বর্তমান মানব সমাজ আবাসনের নামে যে অপরিকল্পিত বাসস্হান নির্মান করছে তা ভবিষ্যতের জন্য এক অশনি সংকেত।খাল বিল ,নদী নালা ও ঝর্নাকে যদি
বন দিয়ে ঘিরে দেয়া যায় তাহলে প্রকৃতি আবারো সজিব হয়ে উঠবে।জীববিদ্যার বিশেষজ্ঞরা ভেবেছিলেন সভ্যতার বিকাশ প্রাকৃতিক পরিবেশকে পরিবর্তন ছাড়া অসম্ভব। কিন্তু ক্রমাগত হস্তখেপ কখনো বিপর্যয়ের সূচনা করতে পারে এই আশংকাটি বর্তমানে অনেক বিজ্ঞানীকে চিন্তিত করে।পৃথিবীর সমস্ত প্রানীর সুস্হভাবে বেঁচে থাকার দিকে দৃষ্টি না দিয়ে শুধু মানুষ নামক প্রানীর অবস্হান এবং সুখ সুবিধার কথা বর্তমান সুসভ্যতা বলে মেনে চলার এই অন্তিম পরিনতিই আজ দেখা যাছ্ছে।
চারদিকে এত সব সমস্যা- রাজনৈতিক হানাহানি, সন্ত্রাস, অসহিষ্ণুতা, ঘুষ, দুর্নীতি ইত্যাদি মাঝেমধ্যেই মনকে বড় পীড়া দেয়, হতাশ লাগে। কেমন যেন একটা অনিশ্চয়তা ও ভীতির পরিবেশ! মানুষের অসহায়ত্ব যেন স্পষ্ট তাদের কথায়, তাদের চোখেমুখে! এসবের মধ্যে আমরা হয়তো ঠিক সেভাবে খেয়ালই করছি না- আমাদের দেশটা কিভাবে নীরবে বদলে যাচ্ছে। আমি ইতিবাচক বদলের কথাই বলছি। এই বদলে যাওয়া শহরের চেয়ে গ্রামে আরো বেশি স্পষ্ট। বেশ কয়েক বছর আগে আমি আমার এলাকা কুমিল্লা-চাঁদপুরের হাজিগন্জে গিয়েছিলাম যেখানে আমার অতীতের ১৬টি বছর কাটিয়েছিলাম। গ্রামের নাম পাঁচই। বর্তমান অবস্হা দেখে আমার ছোট বেলার প্রতিচ্ছবি হৃদয়পটে ভেসে উঠলো।গ্রামের পর গ্রাম ঘুরে দেখলাম সবই পরিবর্তন হয়েছে আধুনিকতার ছোঁয়ায়।আমার নিজের গ্রামের সব দিকগুলো ঘুরে দেখলাম। কিন্তু যে হৃদ্যতা ছিল অতীতে,মানুষের মধ্যে তার ভাটা পড়েছে।মানুষ ভীষনভাবে স্বার্থপর হয়ে পড়েছে।স্কুলে আমার অধিকাংশ সহপাঠীই এসব গ্রাম থেকে আমার মতোই ধুলা-কাদা-জল ভেঙে নিয়মিত ক্লাসে আসত। সন্ধ্যা ৭টা অথবা ৮টার পর আমার গ্রামসহ এসব গ্রামের মেঠোপথগুলো জনমানবশূন্য হয়ে যেত। অমাবস্যার রাতে গ্রামগুলোকে মনে হতো অন্ধকূপ; চারদিকে বীভৎস ভুতুড়ে পরিবেশ! গ্রামবাসীর সাড়াশব্দ তেমন একটা মিলত না। পূর্ণিমার রাতে গ্রামগুলো জ্যোৎস্নার আলোতে চিকচিক করত। রাস্তাঘাটে থাকত সুনসান নীরবতা। কখনো ভাবিনি, এসব গ্রাম একদিন এভাবে বদলে যাবে। আমি যেন নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছিলাম না, এসব গ্রামে নীরব বিপ্লব ঘটে গেছে। প্রতিটি গ্রামে পাকা রাস্তা হয়েছে, বিদ্যুৎ গেছে, নতুন স্কুল হয়েছে। মাটির ঘর প্রায় নেই বললেই চলে, অধিকাংশই পাকা বাড়ি- ইটের তৈরি। ঘরে ঘরে টেলিভিশন, কম্পিউটার এবং প্রত্যেকের হাতে মোবাইল ফোন। প্রায় সব ছেলেমেয়ে স্কুলে যায়। অধিকাংশের বাড়িতেই পাকা স্যানিটেশন, বাথরুম ও টিউবওয়েল। কৃষিকাজের পাশাপাশি গ্রামের মানুষ ব্যবসা-বাণিজ্য ও নানা অকৃষিজাত পেশার সঙ্গেও সম্পৃক্ত। প্রতিটি গ্রাম থেকে অনেক যুবক বিদেশে অদক্ষ শ্রমিক হিসেবে কর্মরত এবং তাদের প্রেরিত রেমিট্যান্স পরিবারগুলোতে সচ্ছলতা এনে দিয়েছে। গ্রামগুলোতে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। এত সব পরিবর্তন দেখে আমার বুকটা আনন্দে ভরে গেছে। তবে সামাজিক এই বিপ্লবের সাথে নৈতিক বিপ্লব না থাকায় সামাজিক অনাচারগুলো বৃদ্ধি পেয়েছে। যে কোন সমাজে যদি বুদ্ধিজীবিদের পদচারনা না থাকে আর অশিক্ষিতদের অবস্হান বেড়ে যায় সে সমাজ উছৃংখল হতে বাধ্য। তাহলে আমাদের জীবনের উদ্দেশ্যকে সফল করে তোলার জন্য কাজ করা চাই।
আমাদের সামনে একটি মুখ্য বিষয় রেয়েছে তা জানা আমাদের সকলের জন্যই জরুরি।আর বিষয়টি হলো " জীবনের উদ্দেশ্য ,শান্তির সমাজ ও আলোকিত গ্রাম প্রতিষ্ঠা" আমরা সবাই শান্তি চাই।শান্তির জন্য প্রতিনিয়ত লড়াই করি।আসলে শান্তিতে কি আছে? কেউ বলবে আমরা ভালভাবে বেঁচে থাকতে চাই।প্রতিনিয়ত মিডিয়া পর্যবেক্ষন করলে দেখবেন যারা পৃথিবীতে নেতৃত্ব দিছ্ছে তারা সেমিনার করছে শান্তির জন্য, শান্তির কথা বলছে,শান্তির জন্য যুদ্ধ করছে।এই যে আমরা ৪২ বছর পার করে দিলাম স্বাধীনতার পর কেউ কি আমাদের শান্তি দিতে পেরেছে? মানব ধর্ম হলো সে শান্তির সাথে বসবাস করতে চায়।এ একটি কারনে আল্লাহ নবী রাসূল পাঠিয়েছেন অসংশোধিত মানুষগুলোকে সংশোধন করে সমাজকে পুষ্ট রাখার জন্য।নবী রাসূলদের আগমন শেষ হয়েছে নবী মোহাম্মদ সা: এর আগমনের মাধ্যমে।আর এ দায়িত্ব এখন মুসলিম উম্মাহর উপর যারা তাকে সঠিকভাবে অনুসরন করে।প্রশ্ন হলো এ মানুষগুলো কোথায়? মুসলিম উম্মাহর কোথাও কোরআন ও সূন্নাহর আইন দ্বারা দেশ পরিচালিত হছ্ছে না একমা্ত্র সৌদি আরব ছাড়া।বর্তমান পৃথিবিতে ইসলামিক মডার্নিজমের নামে অধিকাংশ দেশে গনতন্ত্রের ছায়ায় কেউ কেউ ইসলামকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলেও আসলে সেটা ইসলামের সঠিক পথ নয়।যাই হোক সমাজকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য সমাজের হৃদয়বান মানুষগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে।এ মানুষগুলো ধর্মিয় মুল্যবোধের উপর প্রতিষ্ঠিত হবে,সত্যবাদিতা থাকবে,ন্যায় অন্যায় বোধ জাগ্রত থাকবে,পরোপকারি হবে,মানুষকে কল্যানের দিকে ডাকবে ও অকল্যাণ থেকে দূরে রাখবে। এ মানুষগুলোর সংখ্যা যদি সমাজে একজনও হয় তাও অনেক।এর দ্বারা সমাজ আলোকিত হতে পারে।রাসূল সা: ২৩ বছর নবুওতি জীবনে একটা অন্ধকার জাতিকে আলোকে রুপান্তরিত করেছিলেন।এ জীবনটাই আমাদের একমাত্র অনুসরনীয় পথ।
আমাদের জীবনের একটা উদ্দেশ্য রয়েছে।কেন আমরা মানুষ হয়ে জন্মালাম? আমরা কেন অন্য কোন প্রানী বা বস্তুর মত জন্মালাম না সে প্রশ্ন কি আমরা নিজেদের করেছি?অধিকাংশ মানুষই চিন্তা করে না।রাসূল সা: বলেছেন,ঈসা ইবনে মারিয়াম বলেন এ পৃথিবি একটা বৃদ্ধা মহিলা যে সজ্জিত হয়ে মানুষকে ডাকছে।আর মানুষ তার দিকে ছুটে গিয়ে প্রতারিত হছ্ছে।পৃথিবির অন্য প্রানী বা বস্তু জানে তার সৃষ্টির উদ্দেশ্য কি আর সে জন্য প্রতিটি জিনিস চলে তার আপন গতিতে।শুধু মানুষের একটি অংশ তা করে না।মানুষকে সৃষ্টি করে তার স্বাধীনতা দেয়া হয়েছে একটি নির্দিষ্ট কালের জন্য।আর মানুষ হলো সৃষ্টির সেরা জীব।একটি শ্রেনী তাদের অজ্গতার কারনে অবমুল্যায়িত হয়েছে।এই অজ্গ মানুষগুলোকে পথ দেখানোর জন্য আর একটি শ্রেনী দিন রাত কাজ করে যাছ্ছে কোরআন ও সূন্নাহর আলোকে তাদের সংশোধন করার জন্য।মানুষ কি ভেবে দেখেছে তাকে যে জীবন দেয়া হয়েছে শুধুমাত্র ক'টি দিন জীবন যাপন করে চলে যাওয়ার জন্য? রাসূল সা: বলেছেন মানুষের জীবন হলো একাটা পথিকের জীবন যে পথ চলতে চলতে সামান্য বিশ্রাম নিবে আবার পথ চলবে এর মধ্যেই তার জীবনবসান হবে।মানুষের জন্ম নেয়ার যে কারন রয়েছে প্রতিটি ধর্ম , মতবাদ ও দর্শন কোন না কোনভাবে এই মৌলিক প্রশ্নের উত্তর দিতে ছেয়েছে।এক কথায় বলা যায় ,আমরা যে পৃথিবিতে বাস করি এটা বস্তুবাদি ও ধর্মনীরপেক্ষ পৃথিবী।পৃথিবীর অনেক দেশ যেমন-ভারত ,বৃটেন ,ফ্রান্স,এমেরিকা ও ইউরোপের বেশির ভাগ গনতান্ত্রিক দেশ দাবি করে তারা ধর্ম নীরপেক্ষ রাষ্ট্র।সোভিয়েত ইউনিয়ন এক সময় দাবি করতো তারা একটি নাস্তিক সমাজ যাদের চিন্তাধারা পুরোপুরি বস্তুবাদি।বস্তুবাদি সমাজ বলে আমাদের জীবনের উদ্দেশ্য এ জীবনটাই।Theory of evolution ও একথাটিই বলে।আর এক শ্রেনীর মানুষ এ থিয়রি অবলম্বন করেই জীবন পরিচালনা করছে।তারা ভাবে আমরা মানব জাতি প্রকৃতির একটি পন্য।তাদের মতে এখানে আল্লাহর কোন অস্তিত্ব নেই।তারা বলে মানবজাতির পূর্ব পুরুষ ছিল বানর জাতীয় প্রানী।তাদের মতানুসারে বুঝা যায় পশু আর মানুষে কোন পার্থক্য নেই।একটু লক্ষ্য করলে দেখবেন আজকের পৃথিবিতে ইসলামিক ও অনৈসলামিক সমাজে মানুষের বসবাস কিরুপ।একটি পশু যেমন একটি বাসস্হান , খাদ্য ও একটি সঙি পেয়ে সুখ অনুভব করে , মানুষের মধ্যেও একটি শ্রেনী এ জিনিসগুলো পেলেই তারা সুখী।তাহলে মৌলিকভাবে মানুষ ও পশুর মধ্যে তেমন ব্যাবধান নেই শুধু মানুষের পরিবেশটা একটু আলাদা।বস্তুবাদের আসল কথা এখানেই আর Theory of evolution ও এ কথাটিই বলে।অবাধ যৌনতা,নগ্নতা,ব্যাভিচার, সমকামিতা এসবই মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি।আমাদের বেশিরভাগ মানুষ এর মধ্যে আটকা পড়েছে।
আমরা বলি আমরা মুসলমান কিন্তু বাস্তবে আমরা বশিরভাগই এ দুনিয়াকে উপাসনা করি।আজকের পৃথিবিতে
মানুষের ভাবনা হলো একটু স্বছ্ছন্দে থাকা।একটা সুন্দর বাড়ি,একটি সুন্দরি স্ত্রী ও দু'টো সন্তান।তারা একটা ধর্ম পালন করে যা তাদের পূর্ব পূরুষ থেকে পেয়ে এসেছে যদিও তাদের পূর্ব পূরুষরা অজ্গ।একজন মুসলিমের জন্য তার স্রষ্টাকে জানা জরুরি।পৃথিবির বিভিন্ন ধর্ম পর্যালোচনা করলে দেখা যায় মানুষ তাদের দেবতাদের উপাসনা করে।তাদের একটা বিশ্বাস রয়েছে যে,এই দেবতারা তাদের অভাব অভিযোগ মেটাতে পারে।প্রকৃত বিশ্বাস হলো যার কাছ থেকে কিছু চাওয়া হয় তার কাছ থেকে কিছু পাওয়া।এ ছাড়াও মানুষ আরো কিছুর উপাসনা করে।যেমন-টাকা , ডলার , পাউন্ড , ইউরো ইত্যাদি।অনেকে ভাববে টাকাকে আবার কিভাবে উপাসনা করা হয়।রাসূল সা: বলেছেন,ধীক সেই সব মানুষকে যারা উপাসনা করে দিনার ও দিরহামকে।' টাকাকে উপাসনা করা হয় কারন মানুষ টাকার উপরই নির্ভর করে।আর টাকা না থাকলে হা হুতোশ করতে থাকে।এমনকি শির্ক পর্যন্ত পৌঁছে যায়।ধরুন আপনি একটি বিপদে পড়লেন কারো কাছে টাকা পাছ্ছেন না।হঠাৎ আপনার এক বন্ধু টাকা দিয়ে আপনার সমস্যার সমাধান করলো।আপনি বলতে শুরু করলেন বন্ধুটি না থাকলে আপনি মরেই যেতেন।বিপদ থেকে আল্লাহই উদ্ধার করলেন অথচ আপনি ক্রেডিট টি দিয়ে দিলেন আপনার বন্ধুকে। এভাবে আপনি শির্ক করে ফেললেন। আমাদের ইবাদাতে এ রকম অনেক শির্ক আছে যার আমরা খবর রাখি না।রাসূল সা: আরো বলেছেন ধীক তাদের যারা পছন্দ করে কারুকার্য করা জামা কাপড়কে।'বর্তমান সময় এটা বেশ পরিলক্ষিত হছ্ছে।সমাজে এখন এর প্রতিযোগিতা চলছে। কোন লেটেষ্ট জিনিস বাজারে আসলে তার প্রতিযোগিতায় মানুষ মেতে উঠে।আর এভাবে ফেশনের উপর বিশ্বাস জন্মে যায়।ক্ষমতা ও সম্মান কাউকে নিয়ে যেতে পারে আল্লাহর সমকক্ষে।প্রশ্ন করুন আমাদের নিজ নিজ অবস্হান থেকে।আমরা কি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কাজ করছি না অন্য কিছুর জন্য।আমাদের সমস্ত ইবাদাত করতে হবে আল্লাহর জন্য।আশা করতে হবে আল্লাহর কাছে,চাইতে হবে আল্লাহরই কাছে।এটাই জীবনের উদ্দেশ্য।
আমাদের গভীরভাবে ইবাদাতকে বুঝতে হবে।এর অর্থ অনেক ব্যাপক।অধিকাংশ মানুষ ইবাদাতকে না বুঝেই করে থাকে আর সে কারনে নিমজ্জিত হয় শির্ক ও বিদাআতে।আরবি ভাষা থেকে যখন কোন কিছু অনুবাদ করা হয় অন্য কোন ভাষায়,দুর্ভাগ্যজনক ভাবে শব্দগুলোর অনেক অর্থ হারিয়ে যায়।উপাসনাকে ইংরেজিতে worship বলা হয়।আর এই শব্দটি সংকীর্ন অর্থ প্রকাশ করে।একজন বিশেষজ্গ ইবাদাত শব্দটি ব্যাখ্যা করেছেন এভাবে,সবকিছু আল্লাহ যেগুলো ভালবাসেন ও সন্তুষ্ট থাকেন, আমাদের হৃদয় ও অঙ প্রত্যঙ যে কাজগুলো করে এই ই হলো ইবাদাত।ইবাদাত সারাজীবন ও জীবনের সর্বক্ষেত্র জুড়ে।জীবনের প্রতিটি কাজ ভিতর ও বাইরে থেকে এমনভাবে করতে হবে যেন আল্লাহ খুশি হয়ে যান।হৃদয়ের প্রধান একটি কাজ হলো নি্য়্যাহ বা অভিপ্রায়।আমাদের অভিপ্রায় অনুযায়ি কর্মের ফল দেয়া হবে।এই অভিপ্রায়কে অনেকে মুখে উচ্চারন করে থাকে যা রসূল সা: করেন নি। এটা করে তারা বিদাআর কাজ করে থাকে । আর বিদাআ হলো ভ্রষ্টতা , এই ভ্রষ্টতার জন্য আগুনে জ্বলতে হবে।আমরা যখন কোন কাজ করবো তখন আল্লাহকে সবার উপরে রাখবো।এটা আমার দেখার দরকার নেই যে কে কি বলছে।আামার কাজ হলো আল্লাহকে সন্তুষ্ট করা ও আখেরাতে মুক্তি পাওয়া।হৃদয়ের আর একটি কাজ হলো আশা বা নির্ভর করা।এই নির্ভরতা থেকে জন্ম নেয় আস্হা।আমার একটি ব্যাংক এ্যকাউন্ট আছে। আমি কি এই এ্যকাউন্টের উপর আস্হা রাখবো না আল্লাহর উপর।এই পরিক্ষাটি হয়ে যায় যখন আমার কাছে কেউ টাকা চাইতে আসে।আল্লাহ বলছেন ব্যায় কর হে আদমের সন্তানেরা আমিও তোমাদের জন্য ব্যায় করবো।রাসূল সা: বলেছেন তোমরা সদাকা দিয়ে কখনো ক্ষতিগ্রস্হ হবে না।'তিনি আরো বলেছেন যখন তুমি ব্যায় করবে কোন ভাল কাজে আল্লাহ পূরস্কৃত করবেন দশ থেকে সাতশত গুন।আমাদের বিনিয়োগ বাড়াতে হবে আল্লাহর কাজে।আপনার সম্পদ , বাড়ি ,টাকা পয়সা ,ব্যাংক এ্যাকাউন্ট আপনাকে কল্যানকামি করবে না যদিনা এগুলো আল্লাহর পথে ব্যায় হয়।আল্লাহ বলছেন সুদ নেয়া হারাম , সুদের ব্যবসা করা হারাম।আমরা ভেবে দেখেছি কি আমাদের মধ্যে কতজনের মর্টগেজ লোন আছে? সুদি ব্যাংকে কতটা এ্যাকাউন্ট আছে? এগুলো আমরা কেন করেছি যখন আমরা জানি আল্লাহ এগুলোকে হারাম করেছেন।আমরা ভাল কাজও করছি আবার খারাফ কাজও করছি।আল্লাহ পবিত্র তিনি চান পবিত্র মাল ও পবিত্র হৃদয়।ইউরোপের এক সময়ের পপ সিংগার ইসলাম পূর্ব নাম Cat Steven বর্তমান নাম ইসমাইল ইউছুপ।তাকে বলতে শুনেছি " আমি ইসলাম গ্রহন করার আগে ইসলাম সম্পর্কে পড়েছি , বুঝেছি এর পর ইসলাম গ্রহন করেছি।আমি যদি বর্তমান মুসলিমদের চরি্ত্র ও আচরন দেখতাম তাহলে ইসলাম গ্রহন করা কঠিন হতো।' হৃদয়ের আর একটি কাজ হলো ভালবাসা।ভালবাসা সঠিক পথে পরিচালিত হলে তা হবে ইবাদাত।আর বিপরীত পথে পরিচালিত হলে হবে শির্ক।অতিরিক্ত ভালবেসে করে ফেলতে পারেন শির্ক ও বিদাআত।যেভাবে ভারত উপমহাদেশে গজে উঠেছে পিরতন্ত্র।এ পথগুলো ইসলামের পথ নয়।লাখ লাখ মানুষ অন্ধের মত তাদের অনুকরন করছে যেভাবে ইহুদি ও খৃষ্টানদের পাদ্রিরা তাদের জন গনকে শোষন করছে ও দ্বীন থেকে দূরে সরিয়ে ফেলছে।আল্লাহ ভালবাসার ব্যাপারে সূরা আল ইমরানে একটি শর্ত দিয়ে দিলেন।আল্লাহ রাসূল সা: কে বলেন, ' বলুন যদি তোমরা আল্লাহকে ভালবাস তাহলে আমার অনুসরন কর তাহলে আল্লাহ তোমাদের ভালবাসবেন ও গুনাহ মাফ করে দিবেন।'হৃদয়কে সিক্ত করতে হবে আল্লাহর ভয় ও রাসূল সা: এর অনুসরনের মাধ্যমে।আমাদের কাউকে ভালবাসতে হবে আল্লাহর জন্য,শক্রুতা করতে হবে আল্লাহর জন্য,কাউকে কিছু দিতে হবে আল্লাহর জন্য আবার কাউকে বন্চিত ও করতে হবে আল্লাহরই জন্য।এই গুন যতক্ষন অর্জিত না হবে ততক্ষন বুঝা যাবে না আমাদের এই ইসলাম ধর্ম কত মধুর ও কত চিরন্তন।এই অবস্হা অর্জন করতে হবে বাস্তব কাজের মাধ্যমে।সূরা আল ইমরানের ১৭ আ্য়াতে আল্লাহ বলেন তারা হবে,'ধৈর্যশীল,সত্যবাদি,অনুগত,দানশীল ও রাত জাগরনকারি।'আমাদের অঙ প্রত্যঙের মাধ্যমে এর বহিপ্রকাশ ঘটবে।নামাজ কায়েম করা, যাকাত দেয়া,রমজানের রোজা রাখা, হজ্জ করা,ভাল কাজের আদেশ ও অন্যায় কাজ থেকে মানুষকে বিরত রাখা,পোষাকের শালিনতা বজায় রাখা, একে অন্যের সাথে সুন্দর আচরন করা ইত্যাদি।বস্তুবাদিরা তাদের আত্মাকে হারিয়ে ফেলে পাপের কারনে।সে জন্য পার্থিব সম্পদ আহরনে তারা বিভোর থাকে।
মুসলমানদের একটি অংশ এখন কাফের মুশরিকদের অনুসরন করে জীবন যাপন করছে। কবি আল্লামা ইকবাল একবার মুসলিমদের সম্পর্কে বলেছিলেন,'হায় মুসলমান! কাটিং সাটিং মে তোম খৃষ্টান,কালসারমে তোম হনুদ,তোমকো দেখ কে শরমায়া ইয়াহুদি।' এ হলো আজ মুসলমানদের অবস্হা।আমাদের দৈনন্দিন জীবনে হিসাব নিকাশ কষতে হবে।আল্লাহর কাছে বিরাট জবাব দীহিতা রয়েছে আমাদের।আজকে মুসলিমদের এক অংশ ইসলামকে না বুঝার কারনে সমাজকে অস্হির করে তুলছে। রাসূল সা: যে যুদ্ধগুলো করেছেন তা কাফের ও মুশরিকদের বিরুদ্ধে।আর তিনি প্রতিরোধ করেছেন। নিজের থেকে যুদ্ধে জড়ান নি। দুর্ভাগ্যবশত আজ মুসলিম অন্চলগুলোতে মুসলিমরা নিজেরা নিজেদের মুসলিম ভাইদের হত্মা করছে।এটা ইসলামকে জয়ি করার জন্য নয়।ইসলামিক মডার্নিজম ইসলামের পূর্নাঙ পথ নয়।গনতন্ত্রের অধিনে ইসলাম কখনো জয়ি হতে পারে না।এটা শুধু মা্ত্র ক্ষমতার দখল।মুসলিম উম্মাহ একটি উম্মাহ। একে ভাগ করা চলবে না।সবাইকে এক হয়ে আল্লাহ ও রাসূল সা: এর আদর্শের কাছে মাথা নত করে এক পতাকার নিছে আসলেই ইসলামের বিজয় আসবে।এর বাইরে কোন পথ নেই।
শান্তি স্হাপনের কাজ যে যেখানে থাকবে সেখান থেকেই চেষ্টা করতে হবে। তবে বাংলাদেশের প্রান্তিক মানুষগুলোর অবস্হানের কথা কোন সরকার যেমন ভাবছেনা তেমনি ভাবছেনা গ্রাম থেকে উঠে আসা স্বাবলম্বিরাও। এর জন্য কিছু পদক্ষেপ নিতে সরকারকে অবশ্যই।আর যারা গ্রামের অধিবাসি তাদের মধ্যে যারা আলোকিত তাদের এগিয়ে আসতে হবে। গ্রামগুলো ভিজিট করলে এখনো দেখা যায় অনেক পরিত্যাক্ত যায়গা পড়ে আছে।আপরিকল্পিত ভাবে বাড়ি ঘর তৈরি করছে।পরিবেশকে সুন্দর করার জন্য গাছপালা লাগানো হচ্ছে না। প্রতিটি বাড়িতে অপরিত্যাক্ত যায়গা গুলো ফেলে না রাখে ফল ও উন্নত মানের গাছ গাছড়া লাগানো যায় তাহলে মানুষ স্বয়ংসম্পুর্ন হতে পারে।কুটির শিল্প স্হাপন করে, নালা ও পুকুর গুলো সংস্কার করে গরীব ও অসহায় মানুষদের স্বাবলম্বি করা যেতে পারে।এর জন্য সরকারি ও ব্যাক্তিগত উদ্দোগ থাকতে হবে। মানুষকে শিক্ষার দিকে ঝুঁকিয়ে দিতে হবে।এর জন্য দরকার পাড়ায় পাড়ায় লাইব্রেরি করা ও নৈতিকতার সংস্কার করা।আমরা ছোটবেলায় দেখেছি মক্তব ছিল।আজ সেগুলো নেই। মসজিদের সাথে মক্তবগুলোকে যদি সংস্কারে নিয়ে আসা যায় তাহলে মানুষ নৈতিকভাবে বলিয়ান হবে। আলোকিত মানুষ তৈরি না হলে কখনো আলোকিত সমাজ তৈরি হবে না।সেজন্য আমাদের সবাইকে এ কাজ করার উদ্দোগ নিতে হবে।শুধুমাত্র সরকারের দিকে তাকিয়ে থাকলে নৈরাজ্য বৃদ্ধি পাবে। এ সমাজ ও দেশ কে বাঁচানোর দায়িত্ব আমার আপনার সবার।সে জন্য আপনার জীবনের উদ্দেশ্যকে ঠিক করুন সর্বাগ্রে তাহলেই আপনি বাঁচবেন ও জাতি বাঁচবে।
বিষয়: বিবিধ
২৫৪৭ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন