আলোকিত মানুষ তৈরি না হলে সমাজে সুড়ঙ্গের পর সুড়ঙ্গ তৈরি হবে।
লিখেছেন লিখেছেন মহিউডীন ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, ০২:৫৭:১০ দুপুর
ভাষার মাসে চারদিকে উচ্ছ্বাস ও ভাষিক চেতনার উন্মাদনা মূলত বইমেলা ও বাংলা একাডেমির অনুষ্ঠানমালা ঘিরে, বলতে গেলে রাজধানী ঢাকায়। বাকি দেশ যে এ বিষয়ে খুব একটা সরব, তা মনে হয় না। বরং রাজনীতির দলীয় দ্বন্দ্ব, নির্বাচনের প্রক্রিয়া ও ফলাফল নিয়ে কাটাছেঁড়া, উপজেলা নির্বাচন নিয়ে সাজ সাজ রব রাজধানীর বাইরে মানুষজনকে তাঁতিয়ে রেখেছে। বিশেষ করে লক্ষণীয় যে বরাবরের মতো প্রধান বিরোধী দল আগের ভুল শোধরাতে এখন উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। ট্রেন 'মিস' করে 'বাস' ধরার চেষ্টা। তবুও ভালো, কথিত গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার পথ ধরে এক পা এগোনো।কিন্তু কথিত গণতন্ত্র আর আকাঙ্ক্ষিত গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার মধ্যে গত চার দশক কেবল সোনার হরিণই খোঁজা হচ্ছে। অবশ্য যাঁরা খুঁজছেন তাঁরা সংখ্যায় ছোট না হলেও প্রভাবশালী তো নন বটেই। সমাজের প্রভাবশালী শ্রেণী, রাজনৈতিক শাসক শ্রেণী সেসব নিয়ে মাথা ঘামাতে আগ্রহী নন। কারণ স্বাধীন বাংলাদেশ ওই শ্রেণীবিশেষের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করেছে তাঁদের দুই হাত উপচিয়ে। তবু তাঁদের চাওয়া-পাওয়ার শেষ নেই।সেই চাওয়া-পাওয়ার একটি ছোট্ট অপ-উদাহরণ 'ক্রেস্ট না, ক্যাশ চাই' বলেছি উদাহরণটি ছোট এবং তা সদ্য নির্বাচিত একজন সংসদ সদস্যের কণ্ঠে উচ্চারিত; কিন্তু এ দৃষ্টান্তের তাৎপর্য সীমাহীন। সংসদীয় গণতন্ত্রের অগণতান্ত্রিকতায় দুর্নীতির শিকড়-বাকড় যে কতভাবে কত দিকে প্রসারিত, তা গত চার দশকের, বিশেষ করে দুই দশকের কথিত গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় সামাজিক-রাজনৈতিক অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতিতে স্পষ্ট হয়ে আছে। এর অবসান ঘটা দূরে থাক, বিস্তারই বরং সত্য।
আমাদের সমাজবিজ্ঞানী, রাষ্ট্রবিজ্ঞানী বা ইতিহাসবিদরা গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার চরিত্র নিয়ে কলামে কলামে চুলচেরা বিচার-বিশ্লেষণ করে চলেছেন। দৈনিক সংবাদপত্রের সংখ্যা দিনের পর দিন যতই বাড়ছে ততই বাড়ছে কলামিস্টের সংখ্যা। অবসরপ্রাপ্ত বেসামরিক, সামরিক আমলাতন্ত্রের সদস্যরা অনেকে এ যাত্রায় নিয়মিত শরিক। বিশ্লেষণ, মতামত বা পরামর্শের পর পরামর্শ সত্ত্বেও অবস্থার কোনো পরিবর্তন ঘটছে না।ক্ষমতাসীনরা এসবের কোন তোয়াক্কাই করছে না কারন হলো, গনতন্ত্রে যে একজন মানুষের মতকে মুল্যায়ন করে সে পথইতো বন্ধ হয়ে গেছে।মানুষের মতামত হরন করে যে শাসক আসে সে তো স্বাভাবিকভাবে তাদের কোন লিখাকে তোয়াক্কা করবে না সেটাই স্বাভাবিক।তার পরও কলামিষ্টরা লিখেন তাদের হৃদয়ের যন্ত্রনার তাগিদে।একজন লেখকের কলম বন্ধ হয়ে গেলে সমাজ অবরুদ্ধ হবে সে তাগিদই তাদের লিখতে তাড়া করে। গণতন্ত্রের সূচক ও মূল্যবোধ ক্রমাগত হেঁচকি তুলছে, কখনো হোঁচট খাচ্ছে- এভাবেই চলছে সমাজ ও রাজনীতিতে গণতন্ত্রের ব্যবহার।তবে এ বিষয়ে ইতিহাসবিদরা একটি কাজ করতে পারতেন, যা আমাদের সমাজ ও রাজনীতিকে আত্মদর্শনে সাহায্য করতে পারত। আর তা হলো, গত চার দশকে সমাজ ও রাজনীতিতে সংঘটিত গণতন্ত্রবিরোধী অঘটনের তালিকাবদ্ধ ইতিহাস রচনা ও প্রকাশ।যদি এই বিশেষ শ্রেনীর অপকর্মের তালিকা তৈরি করে ক্রোড়পত্র প্রচারিত হতো বা কোন স্হায়ি বই লিখা হতো তাহলে তাদের উত্তরসূরিরা জানতে পারতো ও সংশোধনের একটা পথ তৈরি হতো। দর্পণে আপন মুখ দেখতে পেত, বিভিন্ন দলীয় রাজনৈতিক নেতা এবং সমাজের প্রভাবশালী বিত্তবান শ্রেণী, যাদের হাত ধরে ঘটনাবলি আবর্তিত হয়।তেমনই একটি ইতিহাস আমাদের বারবার স্মরণ করিয়ে দিত যে বায়ান্ন ও একাত্তরের চেতনা নিয়ে উচ্ছ্বাসের যোগ্য নই আমরা। সেসব ন্যায়নীতি বা আদর্শবাদ এরই মধ্যে বুড়িগঙ্গায় ভাসিয়ে দিয়েছি। ভাসিয়ে দিয়েছি গণতন্ত্রকে। তাই গণতন্ত্রের নামজপ করার অধিক কিছু করতে আগ্রহী নই আমরা। বাংলাদেশের এমন এক সামাজিক-রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বিদেশি কাগজে বা বিদগ্ধদের কলমে লেখালেখির কমতি নেই। কিন্তু এসব থোড়াই স্পর্শ করে আমাদের রাজনৈতিক মহলকে। করে না সমাজকে। সেখানে সাময়িক আলোড়ন দেখা দিলেও রাজনীতির চাপে তা স্তব্ধ হয়ে যায়।
গত ৫ জানুয়ারির একতরফা নির্বাচনের পর একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের সময় ও পদ্ধতি নিয়ে কোনো রাজনৈতিক সমঝোতা না হওয়ায় শান্তি কত দিন স্থায়ী হবে, তা নিয়ে মানুষ অস্বস্তিতে আছে।তাই সাধারণ মানুষ সুড়ঙ্গের শেষে আলো দেখতে পাচ্ছে না।সম্প্রতি দেশবাসী ভিন্ন এক সুড়ঙ্গের খবর পেয়েছে, যার শেষে আলো কিংবা নতুন সুড়ঙ্গ নয়, রয়েছে টাকা। টাকাগুলো বস্তাবন্দি করে সুড়ঙ্গ পথে নিয়ে আসতে পারলে পরবর্তী কয়েক প্রজন্ম আর্থিকভাবে ঝলমলে আলোকিত জীবন যাপন করতে পারবে। এ সুড়ঙ্গের এক প্রান্ত কিশোরগঞ্জ সোনালী ব্যাংকের ভল্ট রুমে, অন্য প্রান্ত ব্যাংকের পাশের বাসার একটি রুমে। এ সুড়ঙ্গপথে ব্যাংক থেকে উধাও হয়েছিল ১৬ কোটি ৪০ লাখ টাকা।রাজনীতির অন্ধকার সুড়ঙ্গপথে অনেকেই অর্থ, বিত্ত ও ক্ষমতার মালিক হয়েছেন। সমাজে তাঁদের দোর্দণ্ড প্রতাপ। এ দৃশ্যগুলো সমাজের দুর্বলচিত্তের বেশির ভাগ মানুষকে প্রভাবিত করে যেকোনোভাবে অর্থের মালিক হতে। একজন বিসিএস ক্যাডার যখন তাঁর এলাকায় এসে দেখেন ক্লাসের সর্বশেষ বেঞ্চে বসা সহপাঠী আমাদের রাজনৈতিক দেউলিয়াত্বের সুযোগে অনেক টাকার মালিক হয়েছেন, পরে হয়তো জনপ্রতিনিধি হিসেবে তাঁর মতো অন্য কোনো কর্মকর্তার ওপর খবরদারির দায়িত্ব পেয়েছেন, তখন ওই মেধাবী কর্মকর্তা নিজের অজান্তে অবৈধ টাকা অর্জনের বাঁকা পথ খুঁজতে দ্বিধা করেন না এবং সরকারি চাকরি শেষে রাজনীতিতে যোগদানের উদ্দেশ্যকে লক্ষ্য হিসেবে বিবেচনা করেন।এখন আমলাদের সিংহভাগই দলীয় আনুগত্য করেন।সুতরাং সেখানে দেশের কল্যান থোড়াই আশা করা যায়।কিন্তু কেন সমাজের এই আলোকিত মানুষেরা অ-নালোকিত জীবন বেচে নেয়? যাদের আলোকিত বলবো তারা তো কোন অন্যায়ের কাছে মাথা নত করবে না।আসলে এরাও ঐ সুড়ঙ্গ খননকারির চেয়ে নিকৃষ্ট।প্রকৃত আলোকিত মানুষ সেই যে অবিচল থাকবে তার সততা,ধৈর্য ও কর্মদক্ষতার উপর।কোন অন্যায়ের কাছে মাথা নত করবে না।ধনী ও দরিদ্র আল্লাহর সৃষ্টি।আল্লাহ কাউকে দেন আবার কাউকে মেপে ঝোখে দেন।সততার উপর অবিচল থেকে নিজের কর্মদক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে যা অর্জিত হয় তার উপর নির্ভর করাই একজন আলোকিত মানুষের কাজ।তাহলে আমার পাশে একজন ধনী হলেও আমার চিন্তা করার কোন কারন নেই সে কোথা থেকে টাকা পেল।আল্লাহ তাকে দান করেছেন বা সে যেভাবে অর্জন করেছে তার জন্য তাকে জাবাদীহি করতে হবে। তবে সমাজে কোন অন্যায় সংঘঠিত হলে তার দায় সরকারের।সরকারের বিভিন্ন বিভাগ যদি তাদের দায়িত্ব পালন না করে তাহলে তাদের জাবাদীহি করতে হবে। অনেকের মধ্যে দেখা যায় যখন সে বিদেশ থেকে এসে দেখে তারই পাশের বাসার ছেলেটি শুধু রাজনীতি করে বাড়ি-গাড়ির মালিক হয়েছে, তখন নিজেকে ব্যার্থ ভাবতে শুরু করেন।একসময় অ-নালোকের কারনে প্রভাবিত হয়ে হয়তো প্রতিযোগিতায় টিকতে গিয়ে অন্ধকার পথে পা বাড়াতে পারে।এভাবে আমাদের সমাজ-রাজনীতি বেশির ভাগ মানুষকে অবৈধ লোভের জলে সাঁতার কাটতে প্রভাবিত করছে। প্রভাবিত হয়ে কেউ কেউ উত্তাল জলরাশি পাড়ি দিয়ে সত্যি সত্যি টাকার পাহাড়ে উঠতে সক্ষম হচ্ছে। বেশির ভাগই মাঝপথে হাবুডুবু খাচ্ছে কিংবা ডুবে মরছে। অথচ আমরা যদি মানুষের সামনে মেধা, সৃজনশীলতা ও পরিশ্রমের মাধ্যমে সম্পদ ও সুনাম অর্জনের উদাহরণ সৃষ্টি করতে পারতাম, তাহলে হয়তো সোহেল সুড়ঙ্গ খুঁড়তে শুরু করতেন না।এই সোহেলের কর্ম আর একজন সাংসদ বা আমলার কর্ম কি এক? অ-নালোক সোহেলকে যদি কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয় তাহলে-তথাকথিত আলোকিত সাংসদ ও আমলাদের পুকুর চুরির জন্য কেন কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয় না।আসলে গরীব দেশগুলোতে বিচার হলো নীপিড়িত জনগনের জন্য।তানাহলে হলমার্ক ও বিসমিল্লাহ গ্রুপের কেলেঙ্কারি,সাগর রুনির হত্মাকান্ড,ত্বকি হত্মাকান্ড,গুম-খুন কারিদের খুঁজে বের করা ও তাদের বিচার হচ্ছে না কেন? গলির মুখে আড্ডারত বখাটে ছেলেটি আগ্নেয়াস্ত্র হাতে নিয়ে অবৈধ সম্পদ অর্জন,বিশ্ববিদ্যালয়ের মত প্রতিষ্ঠানে ছাত্রনেতা তার রুমে মেয়ে নিয়ে রাত্রি যাপন আমাদের মনে করিয়ে দেয় সমাজ ও শিক্ষায়তনে কোথায় স্বস্তি নেই, কোথাও আলোকিত জীবন তৈরির চেষ্টা নেই।
এখন প্রত্যেক সচেতন নাগরিকের দায়িত্ব হচ্ছে নিজের সন্তানের সামনে কোন উদাহরণ উপস্থাপন করবেন তা ঠিক করা। আমরা কি গলাবাজ ওই সব রাজনীতিককে আদর্শ হিসেবে নেব- যাঁদের হলফনামায় হাজার হাজার গুণ সম্পদ বৃদ্ধির স্বীকারোক্তি রয়েছে। যাঁরা জাতিকে সংঘাতের অন্ধকার পথে নিয়ে যাচ্ছেন শুধু নিজেদের অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ক্ষমতাভোগের নেশার কারণে। দেশ ও সন্তানের সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য অবশ্যই আমরা তাঁদের আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করব না। তবে আমাদের দেশে ও বিদেশে কিছু সন্তান আছেন যাঁরা সারা বিশ্বে মেধা, সৃজনশীলতা ও পরিশ্রমের মাধ্যমে নিজে সম্পদ ও সুনাম অর্জনের সঙ্গে সঙ্গে দেশের ভাবমূর্তিও উজ্জ্বল করেছেন। তাঁদের পরিচয় করিয়ে দিতে পারি আমাদের সন্তানদের সামনে। এমনই একজন হচ্ছেন বরিশালের ছেলে সালমান খান। বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আমেরিকান এ যুবক বর্তমান বিশ্বের প্রায় এক কোটি মানুষকে শিক্ষা দিচ্ছেন খান একাডেমির মাধ্যমে। ইউটিউবে তাঁর সুন্দর লেকচারগুলো থেকে উপকৃত হচ্ছে বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ। সম্পদ, সম্মান ও ক্ষমতার দিক দিয়ে বিশ্বের অনেক সরকারপ্রধানের চেয়ে তিনি প্রভাবশালী। কিংবা আমরা অনুসরণ করতে পারি ইউটিউবের সহপ্রতিষ্ঠাতা জাওয়েদ করিমকে। যাঁরা বাংলাদেশ নয়, বলতে গেলে সারা বিশ্বকে প্রভাবিত করছেন মেধা ও সৃজনশীলতা দিয়ে। অথচ আমরা তাঁদের কীর্তি দেখে উৎসাহিত হচ্ছি না, সন্তানদের কাছেও উপস্থাপন করতে পারছি না। আমাদের তরুণ প্রজন্ম এখন অনুসরন করছে তথাকথিত রাজনীতিবিদদের যাদের কোন আলোকিত জীবন নেই বা ঐসব নেতা-নেত্রীর অনুসারী সেজে সহজে সম্পদ ও ক্ষমতার অংশীদার হতে চাচ্ছে। সমাজে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই ও প্রতারণা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সৃষ্টি হচ্ছে হলমার্ক, বিসমিল্লাহ গ্রুপ ও সুড়ঙ্গ সোহেল।এসবই হচ্ছে আমাদের নষ্ট রাজনীতির ফলাফল। সাধারণ মানুষ রাজনীতিকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না, রাজনীতিই আমাদের মতো মানুষের জীবনযাত্রাকে নিয়ন্ত্রণ করে।আমরা আর ভুল রাজনীতির অন্ধকার সুড়ঙ্গে থাকতে চাই না। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সুড়ঙ্গের শেষে আলোর সন্ধান দিতে চাই।এ ক্ষেত্রে মিডিয়া বড় ভূমিকা পালন করতে পারে।কিন্তু তারাও অপসংস্কৃতির মোড়কে যুবক যুবতিদের নষ্ট করেছে অনেক ক্ষেত্রে। দেশের আলোকিত মানুষ, যাঁরা দেশ ও দেশের বাইরে ছড়িয়ে আছেন তাঁদের জীবনকে সুন্দরভাবে তরুণ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে পারে, যাতে সংঘাতময় দোষারোপের বর্তমান অপরাজনীতির অন্ধকার সুড়ঙ্গ পেরিয়ে আমাদের তরুণ প্রজন্ম মেধা ও সৃজনশীলতার প্রতিযোগিতার মাধ্যমে সত্যিকার স্বপ্নের বৈষম্যহীন উদার গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারে।
বিষয়: বিবিধ
১১৮৯ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন