বাংলাদেশের রাজনীতি সাধারন মানুষের ভাগ্যের সাথে সম্পৃক্ত নয়।

লিখেছেন লিখেছেন মহিউডীন ০৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, ০৩:২৯:২৪ দুপুর

রাজনীতি হলো সমাজেকে সুনিতির সাথে পরিচালনা।কিন্তু আমাদের রাজনীতি ৪২ বছর ধরে অর্থবহ হয়ে উঠে নি অসৎ ও স্বার্থপর রাজনীতিবিদদের কারনে।আর এই রাজনীতিবিদদের যে সংগঠনই ক্ষমতায় এসেছে তারা আশ্রিত হয়েছে এক ধরনের কুচক্রি আমলা ও কু-শুশিলদের দ্বারা, যারা তাদের কায়েমি স্বার্থ ও কিছু উচ্ছিষ্টের জন্য ক্ষমতাশীন রাজনীতিবিদ ও সরকারের পদলেহন করেছেন।কোন দেশে রাজনীতি যদি প্রশ্নবিদ্ধ হয়, রাজনৈতিক প্রক্রিয়া, নির্বাচন যদি নীতিগতভাবে অগ্রহণযোগ্য হয়, তাহলে প্রশাসনে সুনীতি প্রতিষ্ঠা হবে কী করে? পাঁচ-ই জানুয়ারি নির্বাচন এবং আওয়ামিলীগ সরকার নতুনভাবে ক্ষমতায় আসার পর যে প্রশ্নটি দেশে-বিদেশে রাজনৈতিকমহলে গুঞ্জরিত হচ্ছে তা হলো এই সরকারের মেয়াদ কতোদিন এবং বিএনপি কি আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারবে কিনা? বাংলাদেশের রাজনীতি হলো ক্ষমতার রাজনীতি।এখানে গনতন্ত্রের কথা যারাই বলে এটা তাদের মুখের বুলি মাত্র।এটি উন্নয়নশীল একটি দেশ।তাছাড়া এদেশের সিংহভাগ মানুষ অশিক্ষিত যাদের গনতন্ত্রের 'গ' বুঝার অবস্হান নেই।যারা গ্রামে গন্জে ঘুরেছেন বা মানুষের সাথে মিশেছেন ও প্রশ্ন করেছেন তারাই বুঝতে পারবেন।অধিকাংশ মানুষ বলবে আমরা খেটে খাওয়া মানুষ।সকাল থেকে সন্ধা মাঠে কাজ করে তিন বেলা খাবার যোগাড় করে রাতে শান্তির সাথে ঘুমুতে পারলেই শান্তি। দেশে কি হলো তা আমাদের দেখার কিছু নাই।৫ বছর পর ভোট আসলে একটি ভোট দিব আর না দিতে পারলে নাই।আমাদের কু-রাজনীতির হোতারা এই সাধারন মানুষগুলোকে স্হানীয়ভাবে পালিত তাদের সাংগদের দ্বারা যে ভাবে বুঝায় সেভাবে বুঝে।অর্থাৎ মানুষকে তারা বিভিন্ন দলে উপদলে ভিভক্ত করে এক বিশৃংখল অবস্হার তৈরি করে রেখেছে।তার সাথে আছে অনৈতিক অনেক দিক।একবার একটি স্হানীয় নির্বাচনে গিয়ে দেখলাম টাকার খেলা চলছে।ভোটের আগেরদিন রাতে গ্রামের পরিবারগুলোতে গোপনে টাকার বান্ডিল দিচ্ছে।যারা দিচ্ছে তাদের তো নৈতিকতা নেই আবার যারা নিচ্ছে তাদেরও নেই।নিজের একটা ভোটের মুল্য সম্পর্কে জনমনে চিন্তার বিকাশ যেখানে প্রতিষ্ঠিত হয় নি , সে সমাজে ভোট হয়েই বা কি লাভ? আর যারা নির্বাচিত হয়ে আসেন তাদের আপাদমস্তক অনৈতিকতায় মোড়া।যারা নির্বাচনে লড়েন তারা শিক্ষার দিক থেকে সু-শিক্ষিত নন।এখন যাদের নমিনেশন দেয়া হয় তাদের যোগ্যতার থেকে দেখা হয় কার কত বেশী টাকা ও সমাজে অনৈতিক শক্তি সামর্থ রয়েছে।সংগত কারনে তারা নির্বাচনে জয়ের জন্য তখন খরচ করেন কোটি কোটি টাকা।নির্বাচিত হওয়ার পর তাদের প্রধান কাজই হলো সে টাকা তুলে নেয়া।

যিনি নির্বাচিত হলেন তার কাজ কি? মানুষ ভোট দেয় তাদের নির্বাচনী ইশতেহার দেখে।যে দলের ইশতেহার যত বেশী জনমুখি ও কল্যানকর তাদেরই জনগন ভোট দেয়।এমপিদের কাজ হলো এলাকার মৌলিক সমস্যাগুলোর লিস্ট তৈরি করে ৫ বছর সময়ের একটা বাস্তবমুখি পরিকল্পনা তৈরি করা।সরকার থেকে যে অনুদান আসে তার যথাযথ ব্যাবহার করে উন্নয়নের গতিশীলতা নিয়ে আসা।এলাকার চেয়ারম্যান,মেম্বার, বুদ্ধিজীবি এমনকি বিরোধীদলকে সম্পৃক্ত করে তাদের সহযোগিতা নিয়ে দ্রুত উন্নয়নের কাজে এগিয়ে যাওয়া।আমরা কি দেখেছি তাদের এভাবে কাজ করতে? যে কোন দলই ক্ষমতায় আসে তারা পূর্বের সরকারের কাজগুলোকে স্হগিত করে তাদের দলের মেনিফেষ্টোর আলোকে কাজ করে।উন্নয়নের ধারা যদি প্রবাহমান না থাকে তাহলে সমাজের কোন উন্নতি সম্ভব নয়।রাজনীতিবিদরাই দেশ চালাবে।দেশের স্বার্থে তাদের উন্নয়নের একটা রুপরেখা তৈরি করতে হবে। যে সরকারই ক্ষমতায় আসবে,যেখানে পূর্বের সরকার কাজ শেষ করেছে সেখান থেকেই নতুন সরকার কাজ শুরু করবে।পরিকল্পিত ব্যাবস্হা যদি এরকম না হয় সেখানে কল্যানমুখি উন্নয়ন হবে না।চুরি,তছরুপ ও অনৈতিক কাজ যদি বন্ধ না হয় কখনো উন্নয়ন সম্ভব নয়।বর্তমান রাজনীতিবিদদের অবস্হান কি? প্রথমত: রাজনীতিবিদরা প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে বেড়ে উঠছে না।মানুষকে বেড়ে উঠতে হবে নৈতিকতার আলোকে।যারা রাজনীতি করবে তাদের দলের স্বার্থে কর্মিদের ক্রনলোজিকেল অর্ডারে প্রশিক্ষিত করে গড়ে তুলতে হবে।কারন যারাই জিতে আসবে তারাই মন্ত্রিত্বের ভূমিকা পালন করবে।এই এমপি বা মন্ত্রীদের যদি জ্গানের গভীরতা,নৈতিকতা,দেশীয় ও আন্তর্জাতিক রাজনীতির অভিজ্গতা না থেকে তার পক্ষে সম্ভব নয় উন্নয়নকে গতিশীল করা।সে কারনেই আমরা দেখছি তাদের অসংযত কথা ও কাজ।উন্নয়নে ও দেশের মানুষের সমস্যার কথা না বলে উসকানিমুলক ও অশ্লিল কথা,অনৈতিক কর্মকান্ড করতে দেখা যায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে।যে রকমই হোক আমাদের একটি সংবিধান রয়েছে।কারো ক্ষমতায় আসতে হলে মানুষের মতামত নিয়েই আসতে হবে।ক্ষমতা কারো জন্য চিরস্হায়ি নয়।এটা অর্জনের ব্যাপার।আর একটা হলো ক্ষমতা কুক্ষিগত করা।কেউ ক্ষমতা জোর করে ধরে রাখতে পারে না।নিরন্কুশ ক্ষমতার একমাত্র মালিক আল্লাহ।যেহেতু আল্লাহ মানুষকে তার প্রতিনিধি হিসেবে দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন সেহেতু মানুষের কাজ হলো তার সঠিক প্রতিনিধিত্ব করা।তারা সংবিধানের আইন মেনে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করবে এটাই স্বাভাবিক।আর যারা প্রতিনিধি হয়ে আসবেন তারা জনগনের আশা আকাংখার বাস্তবায়ন করবেন।

দেশের বর্তমান সরকার যেভাবেই এসেছে তা জাতির নখদর্পনে আছে।কিন্তু আমাদের প্রশ্ন হলো তারা কি তাদের অতীত থেকে শিক্ষা নিতে পারে না? আমি সব দলের কথাই বলছি।এখন যারা ক্ষমতায় আসলেন তারা কি নজির হয়ে থাকতে পারেন না? তোফায়েল আহমেদ সাহেবকে বলতে শুনেছি আমরা পাঁচ বছর থাকবো।আবার কেউ কেউ হন্য হয়ে পথে ঘাটে ঘুরে বেড়াচ্ছেন বক্তৃতা বিবৃতি দিচ্ছেন।এগুলো তো জাতিকে শুনানোর দরকার নাই।৪২ বছর ধরে জাতি আজ নিগৃহীত ও অত্যাচারিত হয়ে আসছে।মন্ত্রী এমপিদের কাজ হলো নিজ নিজ ডিপারর্টমেন্ট থেকে সমস্ত অনৈতিক কাজ বন্ধ করা।এই অনৈতিক কাজ বন্ধ করতে হলে প্রথমে নিজেকে নীতিবান হতে হবে।অন্যায়ের মুল উৎপাটন যদি কেন্দ্র থেকে না হয় তাহলে যতই আপনি চিচকে চোর ধরতে যান ততই চোরের সংখ্যা বাড়তে থাকবে।আমার কাছে মাঝে মাঝে হাস্যস্কর মনে হয় যখন দেখি একজন ক্ষুধার্ত ব্যাক্তি চুরি করেছে আর তাকে মারধোর করে জেলে পুরে দেয়া হয়েছে।আপনি কি দেখছেন না সরকারের বড় প্রতিষ্ঠানগুলোতে বড় চোরগুলো কিভাবে জনগনের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে? বিদ্যুত বিভাগ,কাস্টমস,সিটিকর্পোরেশন,বিআরটিএ,ব্যাংকিং ইনিষ্টিটিউশন, পুলিশ এডমিনিষ্ট্রেশন , জুডিশিয়ারি ও সব মন্ত্রনালয় সহ অন্যান্য অধস্তন প্রতিষ্ঠানের অনৈতিক কর্মকর্তারা বিপুল পরিমান সরকারের অর্থ আত্মসাৎ করেন।কোন সরকার কি মন্ত্রী আমলাদের হিসাব নিয়েছে বা মনিটর করছে? কিভাবে তারা ৩০ বছর চাকুরির মেয়াদে বা সরকারের ৫ বছর মেয়াদে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়ে যান। কোথাও কোথাও তৃতীয় শ্রেনীর কর্মচারিরা পর্যন্ত ২/৩ টি বাড়ির মালিক ও হয়েছেন যা পত্রিকাতে প্রকাশিত হয়েছে ইতিপূর্বে।

সুতরাং সরকারের প্রথম কাজ হলো আইনের শাসন বলবৎ করে নিজেদের আগে সংযত করা ও সমস্ত অন্যায় কাজকে তরান্নিত করা।এ জন্য সরকারের স্ব স্ব বিভাগ বিশেষ করে জুডিশিয়ারিকে স্বায়ত্ব শাসন দেয়া যেন যারাই আইনের আওতায় আসবে তাদের সঠিক বিচার হয়।এই উদাহরন তৈরি বর্তমান সরকারও করতে পারে।তাদের দেশ ও জনগনের কল্যান মুলক কাজের উপরই নির্ভর করবে স্হায়িত্ব।স্হায়িত্ব কোন মুখের কথা নয় এটা সম্পুর্ন নির্ভর করবে তাদের পারফরমেন্সের উপর।তাদের এনালাইসিস করতে হবে আমরা কতটুকু ভাল কাজ করেছি আর কি কি খারাপ অর্জন করেছি।সেই ব্যার্থতা গুলো যদি সফলতায় নিয়ে আসতে পারে তাহলে স্হায়িত্ব যেমন সম্ভব এবং উন্নয়ন ও সম্ভব।তবে এটা হতে হবে আমাদের নিজস্ব চিন্তা চেতনায়।বাইরের কথায় যদি আমরা কাজ করতে যাই তাহলেই তৈরি হবে সমস্যা।মন্ত্রী ও এমপিদের মনিটর করা অত্যাবশ্যক।অনেক মন্ত্রী এমপি প্রধানমন্ত্রীকে খুশী করার জন্য অতি উৎসাহি হয়ে যে সমস্ত অনৈতিক কথা ও কাজ করেন তার জন্য তাদের শাসিয়ে দিতে হবে বা তাদের পদ থেকে বরখাস্ত করতে হবে।আমরা উন্নয়ন ছাড়া কোন কথা তাদের কাছ থেকে শুনতে চাইনা।তাদের কাজের সাথে কথার মিল থাকতে হবে।মন্ত্রী আমলাদের পাশে তাদের কলিগরা কাজ করে। তারা কি করেন, কোথায় যান, কি কথা বলেন, কার সংগে চলেন সবই জনগন মনিটর করে।শুধুমাত্র মিডিয়ায় কথা বললেই মানুষ বিশ্বাস করবে না।

এই সরকারকে একটি কথা বলতে চাই, ক্ষমতায় থাকার প্রবল ইচ্ছা ব্যাক্ত না করে বা বিরোধী দলকে বিভিন্ন ভাবে হেয় না করে এবং উপজেলা নির্বাচনে আসার অশোভন কথাবার্তা না বলে এই সরকারের উচিত হবে, স্বল্পতম সময়ের মধ্যে দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠার সূচনা করা অথবা তারা যে দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে যাচ্ছেন, দ্রুত সাধারণ মানুষের মধ্যে সেই আস্থা সৃষ্টি করা। মন্ত্রিসভার সদস্যরা অনবরত বিরোধী দলের প্রতি কটূক্তি না করে আত্মসমালোচনা করুন এবং আত্মশোধন দ্বারা মানুষের কাছে একটি সৎ ও কার্যকরি সরকার প্রতিষ্ঠার দৃষ্টান্ত তুলে ধরুন। এটা করতে পারলে অবৈধতার যে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে তা হয়ত অনেকটা প্রশমিত হবে।এতে করে এ সরকারের জনসমর্থন বেড়ে যেতেও পারে।তবে এর ভিত্তি হতে হবে নৈতিকতার বহিপ্রকাশ।এমন নয় যে মন্ত্রী স্কুল বা বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে নৈতিকতার কথা বলবেন আর অনুষ্ঠানে বসে ধূম পান করবেন।বর্তমান সরকারকে অতিদ্রুত যে কাজগুলো করতে হবে তাহলো সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনের কিছু শ্বাসরোধকারী সমস্যার সমাধান করা।রাজনৈতিক স্হিতিশীলতা আনয়ন বিরোধীদের কাছে টানার মাধ্যমে, বাজার ব্যাবস্হা নিয়ন্ত্রন, বিদ্যুত্ সমস্যার সমাধান, কৃষককে ভর্তুকি দিয়ে কৃষির উন্নয়ন যেন দেশের কোথাও একটু যায়গাও অনাবাদি পড়ে না থাকে, শহরে জানজট কমানো, সেই সঙ্গে ছিনতাই, রাহাজানি, গুপ্তহত্যার নিত্য বিভীষিকা থেকে জনজীবনকে মুক্ত করা,যে সমস্ত বড় বড় আইনি কার্যক্রম রয়েছে তা সঠিক আইন ও আইনের শাসনের মাধ্যমে জনজীবনের জন্য উদাহরন তৈরি করা যাতে ভবিষ্যতে কেউ এ কাজগুলো করতে না পারে।পুলিশ , রেব ,আর্মি সহ অন্যান্য অংগ সংগঠংনগুলোকে কার্যকরি করা ও তাদের সুবিধাবৃদ্ধি ও কাজের যথাযথ পুরস্কার প্রদান করা।যারা আপরাধের সাথে জড়াবে সাথে সাথে তাদের বিচারের আওতায় এনে সাথে সুবিচার করার ব্যাবস্হা করা। শুধু সামাজিক অপরাধ নয়, রাজনৈতিক সন্ত্রাস দমনেও সরকারকে আরও কঠোর হতে হবে। নারী ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন অব্যাহত থাকলে এটা কেবল বিএনপি ও জামায়াতের কাজ এই ধুয়া না তুলে সরকারি দল জড়িত আছে কিনা এবং যদি থাকে,সে যে দলেরই হোক আইনের আওতায় এনে বিচার করতে হবে এবং যে-ই ক্ষতিগ্রস্ত হোক তাদের স্থায়ী নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে।প্রত্যেকটি নাগরিকের সমান অধিকার, হউক সে সংখ্যাগুরু বা সংখ্যালঘু, প্রত্যেকের সমান নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।

বিরোধীদল বিএনপি অনেকটাই কার্যকরি ভূমিকা পালনের দিকে যাচ্ছে।এ কাজগুলো তারা যদি গত পাঁচ বছর সংসদে বহাল থেকে করত ও নির্বাচনে অংশগ্রহন করতো তাহলে গত দিনগুলোতে যে মানব ও দেশের সম্পদের ক্ষতি হয়েছে তা হয়তো হতো না।এটা তাদের রাজনৈতিক দৈন্যতা কিনা ভেবে দেখতে হবে।কেউ খারাপ কাজ করলে তার কাছে যেতে হয় তাকে ভাল করার জন্য।দুই নেত্রী ব্যাক্তিগত কোন্দলকে জাতীয় ইস্যুতে পরিনত করায় সহিংসতা বেড়েছে।দেশ শাসনে সরকারি ও বিরোধীদল একে আপরের পরিপূরক। এ ভাবনা যদি রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের মননে না থাকে তাহলে কখনো দেশে শান্তি আসবে না।সেজন্য আসন্ন এই নির্বাচনে বিএনপির যোগ দেয়ার সিদ্ধান্ত তাদের সুমতির লক্ষণ বলে আমি মনে করি।যদি তারা ক্ষমতাশীন সরকারকে স্হানীয় এই নির্বাচনে হারাতে পারে তাহলে তাদের একটা রাজনৈতিক ইমেজ তৈরি হবে।এর ফলশ্রুতিতে হয়ত বা বিদেশী যে চাপ আছে সরকারের উপর আর একটি নির্বাচনের জন্য তা প্রশমিত হতে পারে অচিরেই।এই উপজেলা নির্বাচনে সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনের রেজাল্টের পুনরাবৃত্তি হলে আগামী ছ'মাসের জন্যই আরেকটি সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠতে পারে।

এখন প্রশ্ন হলো, আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে যে চরিত্রভ্রষ্ট নব্যধনী গোষ্ঠী প্রভাব বিস্তার করে রেখেছে তারা আওয়ামী লীগকে দুর্নীতিমুক্ত সুশাসন প্রতিষ্ঠায় কতটুকু মুক্ত হয়ে একটি প্রকৃত গণতান্ত্রিক দলে পরিণত হতে সুযোগ দেবে কিনা। যদি দুই দলের উপর থেকে এই নব্যধনী গোষ্ঠীর অসাধু প্রভাব দূর করা না যায়, তাহলে বাংলাদেশে গণতন্ত্র নিরাপদ হবে না। দেশটিতে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আসবে না। সন্ত্রাস দূর হবে না কারন এই আসাধু ব্যাবসায়িরা হলো সন্ত্রাসের যোগানদার।আর সংসদের একটি বিরাট অংশ ব্যাবসায়ি হওয়ায় সরকার তাদের কতটুকু নিয়ন্ত্রন করতে পারবে সেটাই বিবেচ্য বিষয়।তবে সরকার যদি কঠোর হয় ও আইনের শাসন বলবৎ করে তাহলে তাদের সোজা করা সম্ভব।সংসদকে প্রানবন্ত করার জন্য ব্যাপক আইনজ্গ দরকার যা এখন অপ্রতুল।শুধুমাত্র অর্থের যোগানের জন্য অপদার্থদের জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করলে দেশের উন্নয়নের কোন সম্ভাবনা থাকবে না।সুতরাং দুর্নীতি অপ-শাসন, দেশ শাসনে অযোগ্যতা ইত্যাদি নানা অভিযোগে যদি কোন দল ক্ষতিগ্রস্ত হতে থাকে তাহলে তাদের পক্ষে দেশ শাসন করা সম্ভব নয়।আর বাংলাদেশের সমস্ত শুশিল সমাজ শুশিল থেকে রাজনৈতিক দলগুলোকে সু-পরামর্শ দিবেন।শুশিলরা যদি সাময়িক সুবিধার জন্য কু-শুশিল হয়ে যান তাহলে নিজেরাই আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপিত হবেন।সাধারন জনগনের ভাগ্য যেমন থাকার তেমন-ই থাকবে বা আরো খারাপ হবে তবে আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে বাংলাদেশের রাজনীতি আপামর জনগোষ্ঠির অনুকূলে নয়।--

বিষয়: বিবিধ

১২৩১ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

172439
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৪:২৪
মেঘ ভাঙা রোদ লিখেছেন : আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে বাংলাদেশের রাজনীতি আপামর জনগোষ্ঠির অনুকূলে নয়

সত্যি বৈ কি । ভালো লিখেছেন।
172447
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৪:৪৬
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : বাংলাদেশের রাজনীতিই হল নিজের আখের গোছানো। জনগণের গরীবি সমস্যাকে পুঁজি করে এরা কোটি কোটি বানায়।
172457
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৫:০৫
জাগো মানুস জাগো লিখেছেন : you are 100% correct. AL,BNP,JP all are same..all doing politics for Holuya-roti.
Only some islamic parties like Jamat e islami,islami okkojot,heyajot,islami andolon,shoshontontro doing activites for welfare of people still we see.
Still we donot see hope for our nation even if BNP will come power.So what will be fate of our people ???

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File