আমার প্রিয় সোনামনি ও ছাত্র-ছাত্রী বন্ধুরা তোমরা কি মেনে চলছো পড়ার কিছু নিয়মনীতি? যা মেনে চললে সৃজনশীল পদ্ধতিতে শতকের কাছাকাছি পৌঁছা যায়।
লিখেছেন লিখেছেন মহিউডীন ২২ জানুয়ারি, ২০১৪, ০২:১১:২৪ দুপুর
আমার প্রিয় সোনামনি ও ছাত্র বন্ধুরা তোমরা কি মেনে চলছো পড়ার কিছু নিয়মনিতি? যা মেনে চললে সৃজনশীল পদ্ধতিতে শতকের কাছাকাছি পৌঁছা যায়।
আমার সোনামনি ও ছাত্র বন্ধুরা,তোমরা যারা আজ ডিজিটাল যুগে পদার্পন করেছ নিশ্চ-ই তোমরা সৌভাগ্যবান।আমাদের যুগে অর্থাৎ আমরা যখন স্কুলে পড়তাম তখন দেড় মাইল পথ যা ছিল কাঁচা রাস্তা তা পেরিয়ে গ্রাম্য বাজারে নিউজ পেপার পড়তে যেতাম।আমাদের সময়ে ভাল শিক্ষক থাকলেও আজকের মত জ্গানী গুনি শিক্ষক কম ছিল তবে শিক্ষক গন ছিলেন নৈতিক শিক্ষায় বলবান যা আজ কম দেখা যায়।তোমাদর মত আমাদের এত পরীক্ষা ছিল না।এসএসসি পরীক্ষার আগে প্রাইমারি বৃত্তি বা অষ্টম শ্রেনি শেষে বৃত্তি ছাড়া আর তেমন পরীক্ষা ছিল না। আর তাও ভাল ছাত্র হলে দু'চার জন প্রতিযোগিতা করতো।তখন পরীক্ষা আসলে আমরা ভীত থাকতাম।আমার মনে আছে অনেক পরীক্ষার রাতে আমার ঘুম আসতো না।এখন তোমরা এসএসসি পরীক্ষা দেওয়ার আগে পিএসসি পরীক্ষা দিচ্ছ, জেএসসি পরীক্ষা দিচ্ছ, তাই তোমাদের ভয় কিংবা আতঙ্ক নিশ্চয়ই অনেক কমে গেছে। কমারই কথা, আমাদের সময় যে রকম ঝেড়ে মুখস্থ করে আসতে হতো।আমরা এক একটি প্রশ্নের উত্তর লিখতাম ৪/৫ পৃষ্ঠা।এখন তো সে রকম কিছু নেই, পাঠ্য বইটি মনোযোগ দিয়ে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ে এলেই হয়, পরীক্ষার হলে চিন্তাভাবনা করে উত্তর বের করা যায়, পরীক্ষায় ফল বের হওয়ার সময় নম্বর নিয়ে চুলচেরা টানাটানি নেই, সবাই এখন একটা গ্রেড পায়। এখন যারা পিএসসি, জেএসসি, এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছ, তোমাদেরকে নিয়ে আমার রীতিমতো হিংসা হচ্ছে।
তার পরও আমি অনুমান করতে পারি, এই পরীক্ষাটা নিশ্চয়ই ছেলেমেয়েরা খুব গুরুত্ব দিয়ে দেখে। তার কারণ, স্কুল মানেই ছোট সোনামনিরা আর কলেজ মানেই আমার ছাত্র-ছাত্রী বন্ধুরা। এই এসএসসি পরীক্ষা দিয়েই ছেলেমেয়েরা স্কুল শেষ করে কলেজে যায়, ছোট সোনামনি থেকে বড় মানুষ হয়ে যাবে তোমরা। কাজেই পরীক্ষাটা নিশ্চয়ই গুরুত্বের সঙ্গে নিতেই হবে।এ বছর যারা পিএসসি কিংবা জেএসসি পরীক্ষা দিয়েছ, তাদের খুব কষ্ট হয়েছে। মা-বাবারা অনেকে বলেছেন, তাঁরা ছেলেমেয়েদের ভালো পরীক্ষার জন্য ব্যস্ত ছিলেন না, ব্যস্ত ছিলেন কোনোভাবে পরীক্ষাটা শেষ করার জন্য। যারা এসএসসি দেবে, তারা অনেক সৌভাগ্যবান, এই মুহূর্তে মনে হচ্ছে তারা নিশ্চিন্ত-নির্ভাবনায় পরীক্ষা দিতে পারবে। তাদের জন্য শুভেচ্ছা, সবাই যেন তাদের সৃজনশীলতার পুরোটুকু এই পরীক্ষায় ঢেলে দিয়ে আসতে পারে। যাদের কাছে পরীক্ষার পুরো ব্যাপারটাকে এখনো একটা চাপের মতো মনে হচ্ছে, তাদের মনে করিয়ে দিই, পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর কী কী মজার কাজ করবে, সেটা নিয়ে ভাবতে থাকো।সামনে বইমেলা, তোমরা নৈতিক মানের বই কিনবে।তোমরা মনে রাখবে এ জীবনের পথ ভাল ও মন্দের সংমিশ্রন।ভালটাকে গ্রহন করবে মন্দটাকে পরিহার করবে।বই, একটি মানুষের সবচেয়ে বড় বন্ধু।সুতরাং সে বন্ধুকে চুজ করতে হেরে যাবে না।ভাল বন্ধুকে খোঁজার চেষ্টা করবে।যে বই তোমাদের জীবনের নৈতিক পরিবর্তন করবে সে বই-ই কিনবে।অযথা গল্লের বই যেমন-প্রেমের গল্প,প্রেমের উপাখ্যান ও আরো নীতি বিবর্জিত বই সেগুলো পড়া থেকে বিরত থাকবে।ধর্মের অনুশীলনে যে বইগুলো তা তোমাদের চরিত্রকে উন্নত করবে।তোমাদের জ্গানের পরিধিকে বাড়িয়ে তুলবে।নৈতিকা গড়ে উঠে গভীর জ্গানের মাধ্যমে।আর তা নিতে হবে ভাল লেখকদের বই পড়ে,উন্নত সাহিত্য চর্চা করে।
দেখতে দেখতে সৃজনশীল পদ্ধতি পঞ্চম বছরে পা দিয়েছে।যার শুরু হয়েছিল ২০১০ সালে বাংলা ও ধর্ম শিক্ষা বিষয়ের মাধ্যমে। বর্তমানে জেএসসি, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় প্রায় সব বিষয়ই সৃজনশীল পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এসএসসি পরীক্ষায়ও ২১টি বিষয়ে চালু রয়েছে। কাজেই এসএসসি পরীক্ষায় ভালো ফল করতে অবশ্যই কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। কতকগুলো বিষয়ে খেয়াল রাখলেই সৃজনশীল পদ্ধতিতে ভালো নম্বর পেতে পারো। সঠিক নিয়মে উত্তর লিখলে সৃজনশীল ও বহু নির্বাচনী অংশ মিলে শতকের কাছাকাছি নম্বর তুলে নেয়া তোমাদের পক্ষে সম্ভব।পাঠ্য বইয়ের বিভিন্ন বিষয় থেকে সৃজনশীল প্রশ্নের উদ্দীপক এবং সংশ্লিষ্ট চারটি করে প্রশ্ন থাকে। উদ্দীপকটি ভালোভাবে পড়ে প্রথমেই বুঝে নিতে হবে সেটি পাঠ্য বইয়ের কোন অধ্যায়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট।
সৃজনশীলের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, প্রশ্নের উত্তরে সৃজনশীলের প্রতিটি স্তর- জ্ঞান, অনুধাবন, প্রয়োগ ও উচ্চতর দক্ষতার উপস্থিতি। সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তরে পরিধি কোনো বিষয় নয়।এখানে বাড়তি বা অপ্রাসঙ্গিক কথা লেখার সুযোগ নেই। উত্তর হবে সহজ-সরল ও সাবলীল।জ্ঞানমূলক প্রশ্নের উত্তর একটি শব্দে দেওয়া যায়, তবে পূর্ণাঙ্গ বাক্য লিখলে ভালো। অনুধাবনে প্রথমে এক বাক্যে জ্ঞানমূলক অংশটি লিখে তা বিশ্লেষণ করবে, পরে পাঁচ-সাত লাইনের এক প্যারায়।
প্রয়োগ অংশে এক প্যারায়ই সব তথ্য থাকতে পারে, তবে এতে জ্ঞান, অনুধাবন ও উদ্দীপকের সঙ্গে পাঠ্য বইয়ের সমন্বয় ঘটাতে হবে। উচ্চতর দক্ষতা মানেই একটি সিদ্ধান্তের ব্যাপার। এ ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা জ্ঞান, অনুধাবন ও প্রয়োগ অংশ লেখার পর একটি সিদ্ধান্তে উপনীত হবে।
ছাত্র বন্ধুরা, তোমরা পরীক্ষা আসলে ঘাবড়ে যাবে না।যারা ঘাবড়ে যায় তারা ভাল ফলাফল করতে পারে না।তোমাদের ভাবতে হবে আমি-ই বছরের সেরা ছাত্র।এ মনোভাব নিয়ে বছরের প্রতিটি সময় একটি সুচিন্তিত পরিকল্পনার মাধ্যমে ছক তৈরি করতে হবে।যদি প্রস্তুতি শেষ হয়ে যায় তাহলে সামনে যে সময় থাকবে তা আরো বিশেষ অনুশীলনের মাধ্যমে কাজে লাগাতে হবে।সবচেয়ে ভাল, পরীক্ষার দু'মাস আগে প্রস্তুতি শেষ করা।বাকি সময়টা রিভিশন দিতে পারলে পরীক্ষায় দৃড়তা আসবে।পরীক্ষার আগের সময়টাতে নতুন কোন পড়া না পড়ে পুরনো পড়া ঝালাই করাই উত্তম।বাসায় বসে মডেল টেস্ট দেওয়া, নমুনা উত্তর লেখার চেষ্টা করাই বিচক্ষনতার কাজ বলে আমি মনে করি।পরীক্ষার আগে বিরতি কম এমন সব বিষয়ের রিভিশন করে রাখা, যাতে পরে সমস্যায় পড়তে না হয়।একাডেমিক প্রস্তুতির পাশাপাশি শারীরিক প্রস্তুতিও জরুরি।যে সময় ধরে পরীক্ষা হবে,এই সময়ে শারীরিক দিক থেকে সুস্থ থাকাটা জরুরি। পড়াশোনার পাশাপাশি খাওয়া, ঘুম, বিশ্রাম- এগুলোও নিয়মমতো করতে হবে। বেশি রাত জাগা ঠিক হবে না। অতিরিক্ত পরিশ্রম করলে অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি থাকে। শরীর সুস্থ না থাকলে ভালো প্রস্তুতি নিয়েও পরীক্ষায় তা প্রয়োগের সুযোগ পাওয়া যাবে না। টানা পড়াশোনা অনেক সময় বিরক্তির জন্ম দেয়। তাই কিছু সময় রাখবে সুস্হ বিনোদনের জন্য।আশপাশের কারো কাছ থেকে সহায়তা পাবে এমন আশা নিয়ে পরীক্ষার হলে যাবে না আমার বন্ধুরা। নিজের ওপর শতভাগ বিশ্বাস রাখবে যে তোমরা একাই একশ।এ মনোবল না থাকলে তোমরা হেরে যাবে।এ সময়টাতে অভিভাবকদেরও অনেক করণীয় আছে। ছেলেমেয়েদের পাশে থেকে নানাভাবে সহযোগিতা করতে হবে, সাহস জোগাতে হবে। তবেই ওরা ভালো ফল করতে সমর্থ হবে।
আমার ছাত্র বন্ধুরা, বেশীর ভাগ ছাত্র ছাত্রীরা পরীক্ষাকেন্দ্রে যাওয়ার আগে যে নিয়মনীতিগুলো আছে তা মেনে চলে না।আমি তোমাদের বলবো নিছের বিষয়গুলো গুরুত্বের সাথে নিবে।কারন তোমরা যত ভাল প্রস্তুতি-ই নাও না কেন শেষের এ বিষয়গুলো না মানলে ভাল যেমন করতে পারবে না তেমনি হেরে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে:
১-রুটিন মাথায় রেখে পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে হবে।
২-পরীক্ষার প্রথম দিন অন্তত ৪৫ মিনিট আগে পরীক্ষাকেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে আসনবিন্যাস জেনে নিয়ে নির্ধারিত আসনে বসতে হবে। অন্য দিনগুলোতে কমপক্ষে ৩০ মিনিট আগে আসনে বসতে হবে।
৩-পরীক্ষাকেন্দ্রে যাওয়ার আগে সঙ্গে নিতে হবে প্রবেশপত্র, রেজিস্ট্রেশন কার্ড, একাধিক কলম, পেনসিল, ইরেজার, স্কেল, জ্যামিতি বক্স, ক্যালকুলেটর ও ঘড়ি। এগুলো স্বচ্ছ কোনো ব্যাগে নিলে ভালো হয়।
৪-পরীক্ষার হলে কোনো অবস্থায়ই মোবাইল ফোন সঙ্গে রাখা যাবে না। প্রবেশপত্র, রেজিস্ট্রেশন কার্ড ছাড়া কোনো নোট, কাগজ, বইপত্র সঙ্গে রাখা যাবে না।
মার্জিন সম্পর্কে জ্গান:
৫-উত্তরপত্রের ওপরে বাঁ পাশে কমপক্ষে এক ইঞ্চি পরিমাণ জায়গা রেখে মার্জিন দিতে হবে।
৬-মার্জিনে সিঙ্গল লাইন ব্যবহার করতে হবে। ডাবল লাইন দিতে গেলে সময় বেশি অপচয় হবে।
৭-ওএমআর শিট পূরণ করা হলে প্রশ্ন পাওয়ার আগে খাতায় মার্জিন আঁকতে হবে। মার্জিন দেওয়ার সময় কলম নয়, পেনসিল ব্যবহার করতে হবে। এ সময় সতর্ক থাকতে হবে, যেন খাতা ছিঁড়ে না যায়।
৮-বক্স মার্জিন পরিহার করতে হবে। কেননা এতে সময় ও জায়গা বেশি নষ্ট হয়। মার্জিনের ভেতর-বাইরে কোনো নম্বর দেওয়া বা কোনো কিছু লেখা যাবে না।
প্রশ্নপত্র হাতে পাওয়ার পর করনীয়:
৯-প্রশ্নপত্র হাতে পাওয়ার পর প্রতিটি প্রশ্ন মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে।
১০-যে প্রশ্নগুলো ভালো জানা আছে এবং যেগুলোর উত্তরে বেশি নম্বর পাওয়া যাবে, আগে সেগুলোর উত্তর করতে হবে।
১১-প্রশ্নপত্রে দাগানো যাবে না।
প্রশ্নের নম্বর লিখবে যেভাবে:
১২-প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর শুরুর আগে তার নম্বর সুন্দর হস্তাক্ষরে লিখতে হবে।
১৩-প্রশ্নপত্রে যেভাবে প্রশ্নের আউটলাইন (যেমন- ১।/১.(১) বা (ক)/ক)/ক. ইত্যাদি দেওয়া আছে, নম্বর লেখার সময় সেই আউটলাইন ব্যবহার করা উচিত। ইংরেজির ক্ষেত্রে লিখতে হবে Ans. to the Ques. No. 1(a)
১৪-নম্বরে কোনো কাটাকাটি, ওভাররাইটিং করা যাবে না। সামান্য কাটাকাটি হলে তা আড়াআড়িভাবে কেটে নতুনভাবে লিখতে হবে।
১৫-প্রশ্নের নম্বর লেখার পর প্রশ্নপত্রের সঙ্গে মিলিয়ে দেখতে হবে।
উত্তরপত্রের সাজসজ্জা করা ভাল নাম্বারের সহায়ক:
১৬-প্রশ্নের একটি উত্তর লেখা শেষ হলে সমাপ্তি চিহ্ন (#) দিয়ে দুই ইঞ্চি ফাঁকা রেখে নিচ থেকে পরবর্তী উত্তর শুরু করতে হবে।
১৭-যেভাবে চাওয়া হয়েছে, সেভাবে প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। 'অথবা' প্রশ্নের ক্ষেত্রে সতর্কতার সঙ্গে উত্তর দিতে হবে।
১৮-অতিরিক্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর লেখা যাবে না। বেশি লেখা হলে একটি কেটে দিতে হবে।
১৯-একটি প্রশ্নের সমগ্র উত্তর একসঙ্গে লিখতে হবে। আলাদা জায়গায় বিচ্ছিন্নভাবে লেখা যাবে না। প্রশ্নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে।
২০-উত্তর লেখার সময় ভুল করে পৃষ্ঠা ফাঁকা থাকলে তা লম্বাভাবে কলম দিয়ে কেটে দিতে হবে।
খাতার পরিচ্ছন্নতার দিকে খেয়াল রাখবে:
২১-হাতের লেখা সুন্দর হতে হবে। সুন্দর না হলেও যেন পরিচ্ছন্ন হয়। লিখতে হবে দ্রুত। হাতের লেখা যেন বাঁকা না হয়, সেদিকে নজর দিতে হবে।
২২-লেখার সময় অযথা কাটাকাটি বা ঘষামাজা করা যাবে না। কাটতে হলে এক টানে কাটতে হবে।
২৩-লেখায় শব্দ থেকে শব্দ বা একটি লাইন থেকে আরেকটি লাইনের দূরত্ব যেন বেশি বা কম না হয়।
২৪-লেখা মার্জিন ঘেঁষে শুরু করতে হবে এবং খাতার ডান প্রান্ত পর্যন্ত লিখতে হবে।
২৫-একটি পৃষ্ঠায় কমপক্ষে ১৫ থেকে ১৮টি লাইন লিখতে হবে।
প্রতিটি লাইনে শব্দসংখ্যা হবে সাত থেকে আট:
২৬-প্রতিটি পৃষ্ঠার নিচে কিছু জায়গা ছাড়তে হবে
খাতা জমা দেওয়ার আগে
পরীক্ষা শেষের অন্তত ১০ মিনিট আগে সব প্রশ্নের উত্তর শেষ করতে হবে। এরপর রিভিশন দিতে হবে। রিভিশনের সময় খেয়াল করতে হবে:
২৭-প্রশ্নপত্রের নম্বরের সঙ্গে উত্তরপত্রের নম্বরের মিল আছে কি না।
২৮-প্রতিটি পাতায় মার্জিন দেওয়া হয়েছে কি না।
২৯-অতিরিক্ত উত্তরপত্রের অংশ সঠিকভাবে পূরণ হয়েছে কি না। একাধিক অতিরিক্ত উত্তরপত্র নিয়ে থাকলে তার ক্রমিক নম্বর সঠিকভাবে লেখা হয়েছে কি না।
৩০-উত্তরপত্রের টপ শিটে বৃত্ত ভরাট এবং অতিরিক্ত
উত্তরপত্রের সংখ্যা লেখা হয়েছে কি না:
৩১-উত্তরপত্র সেলাই বা স্টেপল করা হয়েছে কি না। অতিরিক্ত উত্তরপত্রের কোনো অংশ খুলে পড়ার আশঙ্কা আছে কি না।
৩২-পরীক্ষার শেষ ঘণ্টা বাজার সঙ্গে সঙ্গে উত্তরপত্র কক্ষ পরিদর্শককে বুঝিয়ে দিতে হবে।
৩৩-উত্তরপত্র জমা দেওয়ার পর প্রবেশপত্র, কলম, পেনসিল, জ্যামিতি বক্স ইত্যাদি গুছিয়ে সুশৃঙ্খলভাবে পরীক্ষার কক্ষ ত্যাগ করবে।
আমার পরিক্ষার্থী বন্ধুরা, মনে রাখবে তোমরা জাতির ভবিষ্যৎ।তোমাদের দিকে তাকিয়ে আছে জাতি।তোমাদের মধ্যেই জন্ম নিবে জাতির কর্নধার।তোমাদের প্রজ্গা , সততা,কর্মদক্ষতা ও গভীর জ্গান তোমাদিগকে সাফল্য এনে দিবে নিশ্চই।তবে এর জন্য দরকার ফোকাস ও সাথে সাথে সময়ের সৎব্যাবহার।একজন সৎ মানুষ জীবনে সফল।পার্থিব জীবনে হয়ত অনেকে সফল নন তবে নিশ্চিত আখেরাতে সফল।কারন আল্লাহ আলকুরআনে অনেক আয়াতে বলেছেন,আমি কাউকে দেই আবার কাউকে মেপেজোখে দেই।সুতরাং একজন মানুষকে দুই অবস্হায়-ই সৎ থাকতে হবে ও আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করতে হবে।তোমরা জীবনের সর্বক্ষেত্রে নিয়মনীতি মেনে চলবে তাহলেই সফল হতে পারবে।অধ্যয়নের কোন বিকল্প নেই।অধ্যয়নের মাধ্যমেই জীবনের সব পরীক্ষায় তোমরা উত্তীর্ন হবে বলে আমি বিশ্বাস করি।তোমরা বড় হয়ে জাতি গঠনে আরো বেশি সহায়তা করবে যা তোমাদের পূর্ব প্রজন্ম করতে পারে নি।তোমাদের পূর্ব প্রজন্ম যা দিয়েছে সেটাকে ভিত্তি করে তোমরা এদেশকে আরো এগিয়ে নিবে এই আমাদের সবার প্রত্যাশা।
বিষয়: বিবিধ
১৮০৫ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
অনেক কষ্ট করে অনেক সময় ব্যয় করে লেখাটি উপহার দেয়ার জন্য অবশ্যই শুকরিয়া পাওয়ার হকদার।
আল্লাহ তায়ালা আপনাকে সুস্বাস্থ দান করুন। আমীন।
মন্তব্য করতে লগইন করুন