রাজায় রাজায় যুদ্ধ হয় উলুখাগড়ার প্রাণ যায়।

লিখেছেন লিখেছেন মহিউডীন ২০ জানুয়ারি, ২০১৪, ০৩:৩৬:২৩ দুপুর

আমাদের দেশ বাংলাদেশ।ভেবে অবাক হই বার বার এক অমিত সম্ভাবনাময় দেশ যা নিয়ে কবি সাহিত্যিকরা তাদের হৃদয়ে আল্পনা এঁকেছেন।আবার কেউ কেউ বলেছেন ছায়া সুনিবিড় শান্তির নীড় ছোট ছোট গ্রামগুলো।যাকে 'সোনার বাংলায়' আখ্যায়িত করে গান রচিত হয়েছে।সারা দেশে সবুজের সমারোহ এককালে আমাদের হৃদয়কে আন্দোলিত করতো।তার সাথে নদ নদী , হাওর , বাঁওড়,মাঠভরা ধানক্ষেত,কৃষকের গোলাভরা ধান।সে আজ অকল্পনীয় চিন্তা।যে কৃষকের হাতে ছিল তার সারা বছরের জীবনধারনের মেঠো জমি সে এখন অন্যের জমিতে খেটে খায় ।নদীগুলো শুকিয়ে একাকার,কৃষকের ধানের জমি আজ বিলীন প্রায়।হাওর বাঁওড় নেই আগের মত ,গাছপালা কেটে উজাড়।পরিবেশ দূষনে জনজীবন বিপর্যস্ত।মানুষ মেশিনের মত চলছে টানা পোড়নের জীবন যাত্রাকে অব্যাহত রাখতে।বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ দেশ।যদিও এর প্রাকৃতিক সম্পদ সীমিত তবুও এ দেশ পরিচালিত হচ্ছে ক্ষুদ্র মুক্ত অর্থনীতির কাঠামোয়। ১৬ কোটি মানুষের এই দেশের উন্নয়নযাত্রা তাই বিশ্বব্যাপী বিস্ময়ের সৃষ্টি করেছে। তিন দশকের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক, সামাজিক উন্নয়ন বেশ ইতিবাচক হলেও রাজনৈতিক আস্হিরতার কারনে পিছিয়ে পড়ছে।এদেশের মানুষ বড় বড় বিপর্যয়েও হেরে যেতে শিখেনি বরং নতুন উদ্যম নিয়ে সামনে এগিয়েছে।মানুষ হিসেবে আমাদের যে মুল্যবোধ থাকা দরকার ছিল তার নিশ্চই অবক্ষয় হয়েছে।এখন আর কেউ কাউকে নিয়ে ভাবে না।এমনকি যে প্রকৃতির দয়ায় মানুষ বেঁচে আছে তাকেও উপেক্ষা করে চলছে।আমরা বস্তুবাদকে এমনই আঁকড়ে ধরেছি যে এ থেকে বের হওয়া বড্ড কঠিন।আমাদের অন্তত: এতটুকু ভাবা দরকার ,আমি স্বাবলম্ভী হয়ে কি করবো যদি প্রকৃতি আমার সাথে বৈরিতা করে।আমাদের ছোটবেলায় রাস্তার ধারে যেমন ছিল গাছ গাছড়া তেমনি ছিল বসতবাড়ির আনাছে কানাছে ফুল ফলের গাছে পরিপূর্ন।সে যুগে সবাই গাছ লাগাতো নিজের ইচ্ছায়।বর্তমান বৈজ্গানিক উন্নতির সময়ে মানুষের মধ্যে তৈরি হয়েছে বৈরি ভাব।একে একে মানুষ উন্নতির জন্য শহরমুখি হয়ে পড়েছে।যারা গ্রামে আছে তাদেরও দেখা যায় না নতুন গাছ লাগাতে।বরং এখন বসত বাটির গাছ তো কাটাই হচ্ছে তার সাথে পতিত মেঠো জমি ভরাট হয়ে নগরায়নের আনণ্দে মেতে উঠেছে এক ধরনের মানুষ।

গত কয়েক বছর থেকে বিজ্ঞানীগন পৃথিবীর আবহাওয়া সম্পর্কে যে তথ্য দিয়েছেন তার ফলাফল কিছুটা হলেও আমরা পেতে বসেছি।আমাদের এই স্বার্থপরতার পিছনে যে পৃথিবীর আবহাওয়া কটাক্ষ করছে তা বুঝতে হলে যেমন আল-কোরআন হাদিসের জ্ঞান থাকা দরকার তেমনি জ্ঞান থাকা দরকার ভূপ্রকৃতি সম্পর্কে।মহাশুন্যে ভাসমান পৃথিবী নামক গ্রহে কেন এবং কিভাবে এই জীব জগৎ সৃষ্টি হলো এবং এই জীব জগতের স্হায়িত্ত রক্ষায় মানুষের ভূমিকা কি হওয়া দরকার সেই জ্ঞান না থাকায় আবহাওয়া বিপর্যয়ের অশনীসংকেত দিছ্ছে আবহাওয়া বিজ্ঞানীরা।পন্ডিতগন প্রতিনিয়ত তাঁদের জ্ঞানগর্ব কল্পকাহিনী ছেপে যাছ্ছে। কে আছে শোনার? কে আছে বাস্তবায়ন করার? বিজ্ঞানীগন বলে আসছেন আবহাওয়া এক ভয়ন্কর অবস্হা সৃষ্টি করবে বিশ্বজুড়ে। এই অবস্হা থেকে মুক্তি পেতে হলে প্রথমে প্রয়জন গোটা বিশ্বের মানুষকে আল্লাহর রজ্জু আঁকড়ে ধরা। দ্বিতীয়ত বিশ্বের শির্ষস্হানীয় রাজনীতিবিদদের ফলপ্রসূ আলোচনা করা।কারন এই বৈরি অবস্হার সমাধান আল্লাহই করবেন তবে যাদের হাতে শাসন ক্ষমতা তারা যদি পজিটিভ রোল প্লে না করে তাহলে জাতির অস্তিত্ত্ব রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়বে।আমরা প্রতি মুহূ্র্তেই প্রকৃতির বৈরি স্বভাব লক্ষ্য করছি।বেশ কয়েক বছর আগে একটি আর্টিকেল পড়েছিলাম।সেখানে বলা হয়েছিল,২০১০ থেকে ২০৫০ সালের মধ্যবর্তী সময়ে ভয়ন্কর অবস্হায় পড়বে এই গ্রহটি।আমরা ইত্যবসরে অনুভব করতে শুরু করেছি পৃথিবীর তাপদগ্ধতা। যার ফলে কোথাও ঘন ঘন বারি বর্ষন হছ্ছে,পানি বন্দী হছ্ছে বিভিন্ন অন্চল।বায়ুর গতিবেগ বেড়ে যাছ্ছে এবং ঘূর্নিঝড়ে রুপান্তরিত।ভূপাতিত হছ্ছে বড় বড় গাছপালা। এতে করে মানুষের অক্সিজেন ধারন ক্ষমতা কমে যাছ্ছে।অতীতের সারা দিনের বৃষ্টিপাতের গড় পরিমান হবে বর্তমানের আধাঘন্টার বৃষ্টি।আমরা এখনি লক্ষ্য করছি আবহাওয়ার পূর্বাভাষ ও কার্যকর করা কঠিন হছ্ছে।মানুষকে যেমন সজাগ থাকতে হবে তেমনি সরকারকে ও বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে হবে।পাহাড় পর্বত থেকে প্রবাহিত নদীর পানি ধারন ক্ষমতা হারাবে। একেতো আমাদের নদী নালা পলীতে ভরাট হয়ে গেছে।এ অবস্হায় ড্রেজিং এর ব্যাবস্হা না করলে তীব্র বেগে পানি নিম্নান্চলে এসে মহাপ্লাবন দেখা দিবে।প্রকৃতির এই বিপর্যয় আমরা দেখতে পাছ্ছি। আল্লাহ পাক সূরা আল ইমরানের ১৯০ আয়াতে বলছেন, আসমান ও জমিনের সৃষ্টি দিন ও রাতের আবর্তন, এ দু'এর মাঝে জ্ঞানীদের জন্য নিদর্শন রয়েছে।অধিকাংশ মানুষের এখনো হূঁশ ফিরে নি।তারা বিভোর অত্যাচার ও সম্পদ লুন্ঠনে।এ যেন চোরাবালিতে তলিয়ে যাবার মৃত্যু ক্ষূধা আমাদের পেয়ে বসেছে।একটু ভেবে দেখুন, কার জন্য এ জমির লড়াই , কার জন্য এ অসৎ সাধনা,জাতি সাধনা।সবকিছুতো মুহূর্তে ধুলিসাৎ করতে জটিল হয়ে উঠছে আবহাওয়া।

পরিবেশ রক্ষার জন্য বৃক্ষ রোপন একটি অভিযানের নাম।সরকারের বনবিভাগের একটি বিশেষ দায়িত্ব রয়েছে সারাদেশ ব্যাপি বৃক্ষ রোপনের উদ্যোগ নেয়ার ও জনগনকে উদ্যোগী করার।বনবিভাগ যতটুকু উদ্যোগ নিচ্ছে তার চেয়ে বেশি দেশের জনগন তাদের নিজের উদ্যোগে কাজ করছে।আপনি বা আমি ক'টি বৃক্ষ রোপন করেছি।এই দায়িত্বতো আমার ও আপনার।আপনার সুন্দর প্রাসাদ থেকে কি হবে যখন আপনাকে দাবদাহ জ্বালাবে বা পানি ভাসিয়ে নিয়ে যাবে।শিল্প কারখানার নির্গত কার্বন এবং বারুদের ধোঁয়ায় আকাশ আছ্ছন্ন হয়ে যায় আর তখন তামাসিকতা্য় আছ্ছন্ন থাকে বোধহীন মানুষগুলো।বিলাসি জীবন যাএায় থেকে যে পৃথীবিকে সুন্দর ও স্বর্গ বলে মনে করছি তা যে মোটেই সুন্দর নয় তা প্রকৃতির এই বৈরিতা দেখে অনুমান করা যায়।বিশ্বের সাথে আমাদের বন্ধুত্ব জোরদার করে সুচিন্তার বিকাশ ঘটাতে হবে।আমরা সাধারনত এতটুকু বুঝি পরিবেশকে রক্ষা করে চলে বনান্চল।বনবিভাগকে আরো যত্নশিল হতে হবে আর সে সাথে জনাগনকে যার যার এলাকায় বৃক্ষ্য রোপন করে দেশ কে প্রাকৃতিক দু্র্যোগ থেকে বাচানোর চেষ্টা করতে হবে।অযথা যেন গাছ কাটা না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

আশ্চর্যের ব্যাপার হলো বর্তমান রাজনৈতিক সন্কটের ধারাবাহিকতায় একটি বিশেষ মাত্রা যোগ হয়েছে গাছ নিধনের।স্বাভাবিক একটি প্রশ্ন আসে রাজনীতির সাথে গাছনিধন, মানুষের জানমাল নিধনের সম্পর্ক কি? শহর বা প্রান্তিক এলাকার রাস্তাঘাটের দিকে তাকালে হৃদয় খাঁ খাঁ হয়ে উঠে।রাস্তার দু'পাশে যেখানে ছিল গাছের সারি,ভোরে পাখি বসত, দুপুরে দিত ছায়া।দাবদাহে মানুষ এসে বসতো সে গাছগুলোর নিছে।গাছের বদলে এখন সেখানে কাটা গুঁড়ি।কিন্তু বয়স নয় বছর পেরোনোর আগেই রাজনৈতিক সহিংসতার বলি হলো হাজার হাজার গাছ। গত ১২ ডিসেম্বর মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াতে ইসলামীর নেতা কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকর করার দিন সহিংসতার শিকার হয় গাছগুলো।কাটা কিছু গাছ চুরি হলেও বেশির ভাগই বন বিভাগের লোকেরা এসে উদ্ধার করে নিয়ে যান।এ সব গাছগুলোর বেশির ভাগ গাছ সাধারন লোকজনই লাগিয়েছিল কিন্তু বনবিভাগ কি এ সবের ক্ষতিপূরন দিয়েছে বা ক্ষতিয়ে দেখেছে কারা এ গাছগুলোর মালিক?বৃক্ষনিধনের এ ধরনের ঘটনা আমাদের দেশে নতুন। তাই সামাজিক বনায়ন বিধিমালায় এ বিষয়ে কোনো কিছু বলা আছে কিনা বা অংশীদারদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার সুযোগ আছে কিনা তা বনবিভাগকে ক্ষতিয়ে দেখতে হবে।এভাবে গাছ নিধনের ঘটনাকে প্রকৃতির বিরুদ্ধে এক নতুন ধরনের সহিংসতার প্রকাশ বলে মনে করছেন অনেকেই।‘এত দিন আমরা বন বিভাগের যোগসাজশে দুর্বৃত্তদের হাতে বৃক্ষ ধ্বংস হতে দেখেছি। এখন রাজনৈতিক দলগুলো বৃক্ষনিধন তাদের কর্মসূচির অংশে পরিণত করছে। এ যেন “রাজায় রাজায় যুদ্ধ হয়, উলুখাগড়ার প্রাণ যায়” এ অবস্হায় পরিনত হয়েছে।সহিংসতা বন্ধের পাশাপাশি প্রকৃতি সম্পর্কে দৃষ্টিভঙ্গির বদল যদি না ঘটে তা হলে প্রকৃতির এক মহা বিভ্রাট ঘটবে নিশ্চই।

পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের হিসাবে, গত ১০ মাসে রাজনৈতিক সহিংসতার সময় ৫০ হাজারের বেশি গাছ কাটা পড়েছে।এ পর্যন্ত বন বিভাগ মাত্র সাত হাজারের মতো গাছ উদ্ধার করেছে। পরিণত হওয়ার আগেই কেটে ফেলা ওই গাছগুলোর প্রতিটির দাম ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা। আর পরিণত হলে তা কমপক্ষে ৩০ হাজার টাকায় বিক্রি করা যেত। সেই হিসাবে রাজনৈতিক সহিংসতায় মোট প্রায় ১০০ কোটি টাকার গাছ নিধন করা হয়েছে।কাটা গাছগুলোর মধ্যে ব্যক্তিগত ও সামাজিক বনায়ন কর্মসূচির আওতায় রোপণ করা হয়েছিল প্রায় ৪৫ হাজার। সামাজিক বনায়ন বিধিমালা ২০০৪ অনুযায়ী, এ ধরনের রাজনৈতিক সহিংসতায় কোনো গাছ কাটা পড়লে তার ক্ষতিপূরণের বিধান নেই। এর বাইরে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ এবং স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) মাধ্যমে রোপণ করা গাছের সংখ্যা প্রায় ছয় হাজার।বৃক্ষনিধনের এই হিসাবটি ৫ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনের আগে তৈরি করে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়। সে সময় মন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা হাছান মাহমুদ প্রথম আলোকে বলেন, নিধন হওয়া ৫০ হাজার বৃক্ষের মধ্যে ৪৫ হাজারই সামাজিক বনায়নের ও ব্যক্তিমালিকানাধীন। তিনি জানান, গত ১০ মাসে বন বিভাগ গাছ কাটার জন্য মোট ১৫০টি মামলা করেছে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, নিধন হওয়া গাছের মধ্যে বেশি রয়েছে গামার, জারুল, ইউক্যালিপটাস, মেনজিন। সাম্প্রতিক সময়ে গাছ কেটে তা রাস্তায় ফেলে অবরোধ সৃষ্টির হার বেড়ে যাওয়ার প্রধান কারণ বৈদ্যুতিক করাতের ব্যবহার। দেশের বিভিন্ন স্থানে গাছ-চোরেরা সাধারণত এই করাত ব্যবহার করে। সড়কের পাশে বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইন থেকে সংযোগ নিয়ে এই করাত দিয়ে ১০ থেকে ২০ মিনিটের মধ্যে একটি গাছ কেটে রাস্তায় ফেলে অবরোধ সৃষ্টি করা হয়।জামায়াতে ইসলামের নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ফাঁসির রায় ঘোষণার পর সবচেয়ে বেশি গাছ কাটা পড়ে নোয়াখালী ও সাতক্ষীরায়। সেখানে নিধন হয় প্রায় ১২ হাজার গাছ। আর গত দুই মাসের সহিংসতায় বেশি গাছ কাটা পড়েছে রংপুর, চট্টগ্রাম ও রাজশাহী বিভাগে।তবে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সামাজিক বনায়নের অংশীদারেরা গাছের কাটা অংশেরও দেখা পাননি। রাজনৈতিক সহিংসতায় নিধন হওয়া বেশির ভাগ গাছ উদ্ধার করতে পারেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

আমাদের ভুলে গেলে চলবে না প্রকৃতি থেকেই এই জীব ও জগৎ।পৃথিবী ও সূ্র্যের মধুর সম্পর্ককে বজায় রাখার দিকে আমদের সজাগ দৃষ্টি যতদিন না থাকবে ততদিন দুর্ভোগ আমাদের ছাড়বেনা।আধুনিক বিজ্ঞানের যন্ত্র সভ্যতার ক্রমবিকাশ মানুষকে তার স্বাভাবিক কাজ কর্ম থেকে প্রকৃতি থেকে বিছ্ছিন্ন করে শিল্পদানবের দাস করে ফেলেছে।যার ফলে বনান্চল সংরক্ষনের প্রয়োজনীয়তা হ্রাস পেয়েছে।নির্জন প্রকৃতির সংরক্ষনই যে মানব সভ্যতা টিকে থাকার কষ্টিপাথর তা নিয়ে কেউ ভাবছে না।বর্তমান মানব সমাজ আবাসনের নামে যে অপরিকল্পিত বাসস্হান নির্মান করছে তা ভবিষ্যতের জন্য এক অশনি সংকেত।খাল বিল ,নদী নালা ও ঝর্নাকে যদি

বন দিয়ে ঘিরে দেয়া যায় তাহলে প্রকৃতি আবারো সজিব হয়ে উঠবে।জীববিদ্যার বিশেষজ্ঞরা ভেবেছিলেন সভ্যতার বিকাশ প্রাকৃতিক পরিবেশকে পরিবর্তন ছাড়া অসম্ভব। কিন্তু ক্রমাগত হস্তখেপ কখনো বিপর্যয়ের সূচনা করতে পারে এই আশংকাটি বর্তমানে অনেক বিজ্ঞানীকে চিন্তিত করে।পৃথিবীর সমস্ত প্রানীর সুস্হভাবে বেঁচে থাকার দিকে দৃষ্টি না দিয়ে শুধু মানুষ নামক প্রানীর অবস্হান এবং সুখ সুবিধার কথা বর্তমান সুসভ্যতা বলে মেনে চলার এই অন্তিম পরিনতিই আজ দেখা যাছ্ছে।আধুনিক শিল্পজাত ও কৃষিজাত দুষনকে সিমিত রাখতে নতুন সমাজ গঠন ও মুষলমানের জীবন দর্শন কোরান ও সূন্নাহর প্রয়োজনীয়তা খুবই গুরুত্বপুর্ন।গাছ কাটা নয় বরং একটি গাছ লাগানোর পরিকল্পনা যদি আমরা প্রত্যেকে নেই তাহলে ১৬ কোটি গাছের জন্ম নিবে।আর সরকার ও বিরোধী দল সহ সবাইকে নেতিবাচক দিকে না গিয়ে ইতিবাচক দিকে এগিয়ে এসে দেশের স্বার্থের সুরক্ষা করতে হবে।দেশপ্রেমের মনোভাব না থাকলে শুধু গাছ গাছড়াই নয় সব কিছুই অন্কুরে বিনষ্ট হবে।আসুন আমরা সাবই মিলে গাছ লাগানোর পরিকল্পনা নেই ও দেশকে সবুঝের দেশে রুপান্তরিত করি।

বিষয়: বিবিধ

১৬২৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File