দেশকে স্হায়ী ও টেকসই গনতান্ত্রিক দেশ হিসেবে রুপ দেয়ার জন্য একদল সৎ পার্লামেন্টারিয়ান দরকার।

লিখেছেন লিখেছেন মহিউডীন ০৮ জানুয়ারি, ২০১৪, ০২:৪৭:৪৩ দুপুর

এ দেশ আমার দেশ।পরাধীনতার শৃংখলে আবদ্ধ ছিল এ দেশ বছরের পর বছর।অবশেষে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করলাম ১৯৭১ সালে অনেক রক্তের বিনিময়ে। আমরা নিপিড়িত হয়েছিলাম, আমাদের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছিল বিদেশী শক্তি কিন্তু তারা আমাদের দমাতে পারেনি।যে গনতন্ত্রের জন্য দেশ স্বাধীন হয়েছিল সে গনতন্ত্র আজো আমরা প্রতিষ্ঠিত করতে পারিনি কারন বিদেশী শক্তি ও শত্রুকে আমরা পরাভূত করলেও আমরা তাদের দোষরদের চিহ্নিত করতে পারিনি।দেশীয় শক্রু হিসেবে জামাতকে অনেকে চিহ্নিত করলেও তাদের চেয়েও অধিক গনতন্ত্রের শক্রু ছড়িয়ে আছে বড় ছোট দলগুলোতে।যারা ঘাপটি মেরে বসে আছে কখন সুবিধা আদায়ের সময় আসে।এ দেশের প্রতিটি শস্যকনায় যে মানুষের অধিকার রয়েছে তা শাসক শ্রেনী ভুলে গেছে।তারা আজ অধিকার বন্চিত।এ দেশের রাজনীতিবিদরা তাদের করুনা করছে, না তারা এই অধিকার বন্চিত মানুষের করুনার পাত্র।রাজনীতির বেড়াজালে তারা যে তান্ডবের শীকার হচ্ছে তার বিচার কেউ করতে সক্ষম হয় নি।প্রতিদিন সাধারন মানুষ ঝরে পড়ছে সহিংসতায়,পুড়ে ভষ্ম হচ্ছে তাদের ঘরবাড়ি,ঝলসে মারা যাচ্ছে অগনিত মানুষ।এ কোন অপরাজনীতি? সরকার কি এদের বিচারের আওতায় আনতে পেরেছে? প্রকৃত দোষীদের ধরতে ব্যার্থ হচ্ছে প্রশাসন।পাশে পুলিশ ষ্টেশনে গিয়ে কোন লাভ হচ্ছে না।পুলিশ জনগনের বন্ধু না হয়ে শত্রুতে পরিনত হয়েছে।আইনশৃংখলার চরম অবনতি মানুষকে ভাবনায় ফেলে দিয়েছে।

সদ্য সমাপ্ত দশম সংসদ নির্বাচন নিয়ে সারাদেশে যে আলোচনা ও তর্ক বিতর্ক হচ্ছে তাতে সরকারের কিছুই যায় আসে না।সরকার তার পথে চলছে।তাদের জনগনের ভোটের দরকার নেই কারন প্রশাসন তার সাথে আছে।উন্নয়নশীল দেশগুলোতে শক্তি যার যত বেশি সেই সরকার গঠন করতে পারে তবে টেক সই হবে কি হবে না সেটা ভাবার তেমন দরকার নেই।এ সমস্ত সরকারগুলো ঘিরে যারা থাকে তারা ধূর্ত প্রকৃতির আমলা ও কপট রাজনীতিবিদই বেশি থাকে।তারা তাদের বর্তমান ফায়দা লুটে নেয়ার জন্য সরকার প্রধানকে নানা রকম বুদ্ধি পরামর্শ দেয়।তবে এতে করে রাজনৈতিক দল যে তার ইমেজ হারিয়ে ফেলে সেটা কর্নধাররা দেরিতে হলেও বুঝেন।আমাদের দেশে দল দু'টি প্রধান হওয়ায় ও তাদের জনপ্রিয়তা থাকার কারনে পালা বদল করে আসে।আর শেষের দিকে এসে আর ক্ষমতা ছাড়তে চায় না।গনতান্ত্রিক দেশে ভয় থাকার তো কথা নয়।যদি কেউ সততার সাথে ৫ বছর কাজ করে তাহলে পরবর্তি ৫ বছর তো জনগন তাদেরই ভোট দেয়ার কথা।কিন্তু শাসকদল তো তা করে না।তারা এসেই লুটপাটে ব্যস্ত হয়ে পড়ে আর শেষের দিকে কিছু কাজ করার জন্য মনোনিবেশ করে।এই কারনে তারা বুঝতে পারে আর তো ক্ষমতায় আসা সম্ভব নয়। তাই তারা ছলচাতুটির ব্যবস্হা করে ও এতে যোগ দেয় অসৎ কলাকুশলিরা।

ডিসেম্বর আসলে আমরা সবাই কম বেশী আবেগাপ্লুত হয়ে পড়ি কিন্তু এ বছর সেটা লক্ষ্য করিনি আমরা অনেকে।এবার মানুষ অবরোধ ও হানাহানিই দেখেছে।এ যেন স্বাধীনতা যুদ্ধের মহড়া ছিল স্বদেশে।আমাদের তারা বুঝিয়ে দিয়েছে আর একটা যুদ্ধ দরকার।৪২ বছরে তেমন কোন পার্লামেন্টারিয়ান তৈরি হয় নি যারা দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।সংসদে সামান্য কতেক ছাড়া আইনজ্গ নেই যারা সংবিধানের চুলচেরা বিশ্লেষন করবেন।বরং যারাই ক্ষমতায় আসে একে কাটাছিঁড়া করে ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করার সনদে পরিনত করে।সাংসদ ও দল যদি সৎ হয় তাহলে কেন এই প্রতিযোগিতা? কারন হলো এটা একটা ব্যবসায়িক রুপ নিয়েছে।একবার এমপি হতে পারলে তার চৌদ্দ পুরুষের অভাব মিটানো সম্ভব।তবে কিছু সাংসদ তো আছে উদাহরন সৃষ্টির জন্য যারা একে ব্যাবহার করে না।

আমাদের পাশের দেশে দিল্লী বিধান সভা নির্বাচনে কংগ্রেস ও বিজেপিকে হারিয়ে 'আমআদমি' নামে মাত্র এক বছরের একটি সংগঠন তৃতীয় শক্তি হিসেবে নির্বাচিত হয়ে কি তাক লাগিয়ে দেয় নি? নিরন্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলেও কংগ্রেস সদস্যদের সমর্থনে সরকার গঠন করেছে দিল্লিতে।এই সাধারন একটি দল যার এখনো তেমন রাজনৈতিক পরিচয় নেই,সাধারন মানুষ মুখ্যমন্ত্রি নির্বাচিত করেছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে রাজধানির মত একটি আসনে।তিনি পরাজিত করেছেন পর পর তিন দফায় নির্বাচিত দিল্লির মুখ্য মন্ত্রি , সৎ রাজনীতিক বলে পরিচিত শীলা দীক্ষিতকে।কংগ্রস নগন্য সংখ্যক আসন পেয়েছে।বিজেপি আমআদমির চেয়ে তিনটি আসন বেশি পেলেও সরকার গঠনের সুযোগ পায়নি ও তারা বোরোধী দলে অবস্হান নিয়েছে।এবারের দিল্লির নির্বাচন কোন গতানুগতিক নির্বাচন ছিল না।এর মাধ্যমে দিল্লিবাসি কঠোর সতর্কবার্তা দিয়েছে বৃহৎ দলগুলোকে এবং তার প্রতিফল তারা দেখতে পেয়েছে।আমাদের দেশে ভোটাররা ঐ রকম লায়েক হয় নি এখনো তাদের শিক্ষা ব্যাবস্হার কারনে।তেমনি যারা শুশিল বলে পরিচিত তারা সভা সেমিনার ও ইদানিং টকশো'র মধ্যে খই ফোটানোতে ব্যাস্ত।অবশ্য তারা তো কোন পরিবর্তন করতে পারবেন না শুধু পরামর্শ দিতে পারেন।যারা সৎ পরামর্শ দিচ্ছেন তাদের জনগন চিনেন ও বুঝেন।সরকার ও বিরোধীদল এগুলোতে তাদের কথায় কর্নপাত করে কিনা তাতে সন্দেহ আছে।এর কারন হলো আমরা কোন পরিবর্তন দেখতে পাচ্ছিনা। তবে যারা সৎ বুদ্ধিজীবি তাদের তো পরামর্শ দিতেই হবে কেউ নিক বা না নিক।

নির্বাচনে জয় পরাজয় হবেই।তবে রাজনীতিবিদদের ভাবতে হবে দেশের মানুষকে নিয়ে,দেশের সার্বভৌমত্ত নিয়ে, দেশের উন্নয়ন নিয়ে,বিদেশের সাথে কুটনৈতিক কাঠামো মজবুত করা নিয়ে।আমাদের বিরোধী রাজনীতিবিদদের এখন ভাবার সময় এসেছে।তারা যদি এখন সবাই সমস্ত হানাহানি বাদ দিয়ে নিজেদের একটি সৎ ও দায়িত্বশীল শক্তি হিসেবে দাঁড় করতে পারে তাহলে ৬ মাস সময় লাগবেনা একাদশ নির্বাচনকে নিয়ে আসতে।তাদের এখন সংগঠিত করতে হবে দেশের কল্যনাকে সামনে রেখে।যা আমরা হারিয়েছি তা কত দ্রুত আমরা অর্জন করতে পারবো।তার জন্য সামাজিক কাজে তাদের লেগে যেতে হবে।কোন রকম রাজনৈতিক অস্হিতিশীলতা যেন কৃষক , ব্যবসায়ি,জাতীয় অর্থনৈতিক কর্মকান্ডকে ক্ষতিগ্রস্ত না করে তার জন্য সহযোগিতা করতে হবে।যেহেতু আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে এ নির্বাচনের কোন আস্হা সৃষ্টি হয় নি সেহেতু বিরোধীদলের একটা প্লাস পয়েন্ট রয়েছে।আর সরকার নির্বাচন করলেও তারা মনের দিক থেকে শান্তিতে নেই।যে কোন কাজের পদ্ধতি হলো দু'টি।একটি নিয়মতান্ত্রিক ও আর একটি অনিয়মতান্ত্রিক।সরকার যেহেতু জনগনকে বাদ দিয়ে নির্বাচন করেছে সেহেতু বিরোধী দলকে জনগনকে নিয়েই সামনে এগুতে হবে।দেশের মানুষের এখন আর হরতাল ও অবরোধ করার ক্ষমতা নেই। সেজন্য এ সব কর্মসূচি না দিয়ে বিকল্প ভাবতে হবে।আর সরকারকে বিরোধী দলের উপর কঠোরতা বন্ধ করে বন্ধুত্বের হাত সম্প্রসারিত করতে হবে।সরকার যদি আইনশৃংখলা বাহিনীকে দমন পীড়নের কাজে ব্যাবহার করে তাহলে সহিংসতা বাড়তেই থাকবে।

জামাতে ইসলাম সংবিধান অনুযায়ি এনলিষ্টেড একটি রাজনৈতিক দল।১৯৭১ সালের পর সব সরকার গুলো তাদের রাজনৈতিক দুর্বলতার কারনে ব্যবহার করেছে এ দলটিকে।যুদ্ধ অপরাধ একটি আন্তর্জাতিক ইস্যু।সব দেশেই এ ব্যাবস্হা রয়েছে।আমাদের দেশেও বিচারবিভাগ রয়েছে।যেহেতু সরকারগুলো দুর্বল সেহেতু জুডিশিয়ারিকে তাদের লেজুড়ে পরিনিত করে রাখে তারা।আর বিচারবিভাগকে আলাদা সচিবালয় না করে দেয়াতে তারা নির্ভর করে আইনমন্ত্রনালয়ের উপর।এরই পরিনতিতে বিচারকরা হয়ে পড়েন লেজুড় বৃত্তিতে।আর ফলে বিচার কার্যক্রম হয়ে পড়ে বিতর্কিত। বিচারিক কাজ দির্ঘায়িত করার জন্য সব সরকারই দায়ী।যেহেতু রাজনৈতিক ইস্যুতে তারা ১৯৭১ সালে বিরোধিতা করেছে ও যারা এর জন্য দায়ি তাদের স্বচ্ছ বিচার করে ফেলার দায়িত্ব ছিল তখনকার সরকারের।যখন শেখ মুজিবুর রহমান সাধারন ক্ষমা করলেন তখন কেউ প্রতিবাদ করে নি কারন শেখ মুজিবুর রহমান বুদ্ধিমানের পরিচয় দিয়েছিলেন।তিনি হয়ত ভেবেছিলেন যুদ্ধ বিদ্ধস্ত দেশ বাঁচাবেন, না দেশে আর একটি ক্রাইসিস তৈরি করবেন।কিন্তু যদি আওয়ামিলীগ বিচারই করবেন ও যুদ্ধাপরাধী হিসেবেই জানেন তাহলে তাদের সাথে আঁতাত করলেন কেন? এখান থেকে আমরা বুঝতে পেরেছি যে তারা দেশের স্বার্থে কাজ করে নি বরং তারাই একে দীর্ঘায়িত করে।আর বিএনপি একই অর্থে সে সুবিধা গ্রহন করেছে।যদি সেদিন এই বিচারটি হয়ে যেত দেশ বেঁচে যেত হানাহানি থেকে।সামান্য 'ক' জনের জন্য ১৯৭১ সালের পর জন্ম নেয়া তাদের নেতা কর্মিদের অত্যাচার করা সমিচীন নয়।একবার বিচার হয়ে গেলে এদেশের মানুষ যেমন বেঁচে যাবে তেমনি নতুন প্রজন্ম ও রেহাই পাবে।এর জন্য সমস্ত রাজনৈতিক দল ও দেশের বুদ্ধিজীবিগন মিলে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।শুধু কোন রাজনৈতিক দল প্রতিহিংসাবশত একে অন্যকে বললেই হবে না যে তারা কোন দলে থাকতে পারবে না।কারন তারা ক্ষুদ্র দল হলেও ৪২ বছরে একটা % সমাজের সব সেক্টরে তাদের অবস্হান নিয়েছে।আর তারা যেহেতু এদেশের নাগরিক সেহেতু গনতান্ত্রিক অধিকার তাদের রয়েছে রাজনীতি করার।তবে ইসলামকে তাদের সঠিক অর্থে ব্যবহার করতে হবে।ইসলাম যেহেতু সহিংসতা চায় না সেহেতু তারা যদি ইসলামকে ব্যবহার করতেই চায় তাহলে ইসলামের পদাংক তাদের অনুসরন করতে হবে।সব রাজনৈতিক দলগুলোকে অংগিকার করতে হবে রাজনীতির কারনে যেন কোন সহিংসতা না হয় , কোন মৃত্যু ঘটে, কোন ঘর বাড়ি প্রজ্বলিত না হয়,সংখ্যালঘু বা সংখ্যাগুরু কেউ যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়,দেশের কোন সম্পদ যেন কেউ ক্ষতিগ্রস্ত না করতে পারে তার জন্য সরকার ও বিরোধীদল কে দায়িত্ব নিতে হবে।

যারা সংসদে যাবে তাদের নির্বাচন করার দায়িত্ব ভোটারদের।সব দলের সমন্বয়ে অবাধ ও নীরপেক্ষ নির্বাচন হলে মানুষ সৎ লোক নির্বাচন করতে পারবে।আর যারাই নির্বাচিত হয়ে যাবেন তাদের সৎ থাকার আদর্শ স্হাপন করতে হবে।যারা ইতিপুর্বে পড়াশুনা করেন নি তাদের উচিত সংসদে যাওয়ার পূর্বে সংশোধীয় আইন কানুন তথা সংবিধান সম্পর্কে গভীর পড়াশুনা করা।আমি মনে করি প্রত্যেক সচেতন নাগরিক কে তার সংবিধান সম্পর্কে জানা ও পড়া উচিত।আমাদের দুর্ভাগ্য যারা সংসদে যান তাদের বৃহৎ অংশ সংসদে এলাকা সম্পর্কে কথা বলতে পারেন না।একটা কাজ তারা ভাল করতে পারেন সেটা হলো যারা কথা বলেন তাদের বাহবা দেয়া ও হাঁ না'র জবাবে হাত তোলা।এ জন্যতো একজন সাংসদকে মানুষ পাঠান না।যিনি সংসদে যাবেন তিনি এলাকার লাখ লাখ মানুষের প্রতিনিধি।তার কাজ হলো মানুষের অধিকার আদায় করে এলাকার উন্নয়ন করা।কিন্তু অনেককে ভোটের পরে জনগন আর দেখে না।তিনি ব্যাস্ত হয়ে পড়েন তার ব্যাক্তিগত কাজে ও দলীয় লোকদের পুনর্বাসনের কাজে।আমি সরকারকে একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে বলবো,আপনারা আমাদের জাতির প্রতিনিধি। যখন সরকার গঠন করবেন তখন শুধু আপনারা পার্টির জন্য নন।গোটা দেশের জন্য কাজ করুন।বিরোধীদলকে আপনাদের কাছে ডাকুন।তাদের সাথে পরামর্শ করুন। এমনকি দেশের প্রতিথযাশা ব্যাক্তিদের সাহায্য নিন যদিও তারা প্রত্যন্ত অন্চলে বাস করেন।এতে আপনাদের সরকার টেকসই হবে।তবে আপনাদের যারাই দুর্নীতির সাথে যুক্ত হবেন প্রধান মন্ত্রীর দায়িত্ব তাদের জনসমক্ষে বিচার করা।একটি সরকার যদি নজির দেখাতে পারেন যে তারা নিজেদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করতে পেরেছেন সেদিনই আপনারা আশা করতে পারবেন সততার উদাহরন দেখিয়েছেন।যদি তা করতে পারেন তখনই জনগনের আস্হা অর্জন করতে সমর্থ হবেন।আর যদি বিপরীত পন্হা অবলম্বন করেন তাহলে আজকের জাতি আপনাদের ক্ষমা করবে না কারন এখন আগুন প্রজ্জ্বলিত হচ্ছে ঘরে ঘরে ও আমাদের সন্তানরা খুব-ই সচেতন।

বিষয়: বিবিধ

১২০২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File