স্মৃতির কথামালা অনেক সময় আমাকে ভাবিয়ে তোলে।
লিখেছেন লিখেছেন মহিউডীন ১১ ডিসেম্বর, ২০১৩, ১২:৫৪:৪০ দুপুর
ঘড়ির কাঁটার সাথে আমদের জীবন ঘূর্নায়মান।কাজের ফাঁকে , অবসর সময়ে আমার লিখার অভ্যাস গড়ে তুলেছি।শুধু আজ নয় ছোট বেলা থেকে আমি লিখতে পছন্দ করতাম। আমার বাবার লিখা ছিঠি ও ভাষার প্রান্জল আমাকে বেশ উদ্বুদ্ধ করেছে।সেজন্য সাহিত্যে আমি কখনো ক্লাসে ৭০ বা ৭৫ নম্বরের নিছে পেতাম না।যাই হোক, দেখতে দেখতে এবং লিখতে লিখতে কীভাবে যে আমার সময় কেটে যায় তা ভাবতে খুবই চমৎকার লাগে। আমার কথা হলো, আমি তো লিখছি। কী নিয়ে লিখছি সেটা বড় কথা নয়। বড় কথা হলো, লিখেই দিন পার করে দিচ্ছি সময়।আমার এই লেখাটি "ক" জন পড়বে বা কেউ অপেক্ষা করে আছে বা কঠোর সমালোচনা করছে সেটা ভেবে আমি লিখি না।লিখার যার অভ্যাস তৈরি হয়েছে সে এখান থেকে পিছনে যেতে পারবে বলে আমার মনে হয় না।যিনি লিখেন তিনি সেই লিখার রাজ্যের অধিপতি।তাকে বারন করা যায় না।তাঁর উপর জেল জুলুম হলেও তাঁর কলম হয়ে উঠে আরো শানিত তরবারির মত। আমি কারো কারো কথা আজ না লিখে পারছিনা যারা আমাকে সব সময় অনুপ্রেরনা যোগায়,অভিবাদন জানায়, লিখার ভাব রচনা পড়ে চমৎকারিত্বের বর্ননা করে এতে আমি আরো বেশি লিখায় উদ্বুদ্ধ হই। একজন সমাজ সংস্কারক আমাকে বলেছিলেন,তোমার কথায় , তোমার লিখায় যদি একজন মানুষের জীবনে পরিবর্তন আসে তাহলে তুমি স্বার্থক।পরবর্তি সময়ে হাদিস অধ্যয়ন করতে গিয়ে দেখলাম রাসূল সা: আলী রা: কে বলেছেন, হে আলী! তোমার কথায় যদি কেউ দ্বীনের অর্ন্তর্ভুক্ত হয়ে যায় তাহলে তুমি লাল উট পাবে" লাল উটের অর্থ হলো সে যুগে মানুষের একমাত্র বাহন ছিল উট।আর লাল উট হলো সবচেয়ে দামি যেমন আজকালকার লেটেষ্ট মডেলের গাড়ি।আমার সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ এবং বয়োজেষ্ঠ এমন অনেক জ্গানী গুনী রয়েছেন যাদের মধ্যে আব্দুল্লাহিল মামুন আল আজামি অনেক প্রিয় ব্যক্তিত্ব।যাঁর কাছ থেকে সব সময় অনুপ্রেরনা পাই তিনি লিখছেন আমার একটা টপিক পড়ে " Your bangla writing is wonderful with feeling and nice narrative" আসলে উনি যা বলতে চেয়েছেন তার এক শতাংশের উপযুক্ত আমি নই।তবে দেশ ও মানুষের স্বার্থে ব্রত হিসেবে নিয়েছি জীবনে যে 'ক' দিন বেঁচে থাকি লিখে যাব এবং তা-ই করছি।আমরা অনেকে বলছি আমাদের সময় নেই।এ সব মিথ্যে কথা।আপনি ঘড়ির কাঁটার সাথে নিজেকে মনিটর করুন আপনি দেখবেন অনেক কিছুই সমাজকে দিতে সমর্থ হবেন।
আমার জন্ম হয়েছিল একটি মফস্বল শহরের পাশে। নাম হাজিকন্জ। এই শহরে বড় মসজিদের কারনে মানুষের আগমন ছিল দেখার মত।প্রায় প্রতি শুক্রবারে বাবার সাথে ওখানে যেতাম। বাবা মা ধর্মিকতা করতেন।তাঁর ইছ্ছে থাকলেও আমার বন্ধুদের সাথে চলন বলন দেখে হিফজে দিতে পারেন নি তবে তাঁর কাছ থেকে ছহি শুদ্ধ কুরআন শিখেছি।ক্লাস নাইনে তিনি আমাকে পড়ার ব্যাপারে স্বাধীন করে দিয়েছিলেন ও বলেছিলেন যে বিষয়ে পড়বে ভাল করবে।তবে বেশী লিখবে পড়ার ছেয়ে।বাবার কথাগুলো রাখার চেষ্টা করেছি মাত্র।আর সেটাই মনে হয় আজ প্রতিফলিত হচ্ছে।হিসাব বিজ্গানের ছাত্র হয়ে লিখাটা কঠিন কারন এ বিষয়টা অনেকটা রসকষহীন ও সারাক্ষন ডিজিট নিয়ে নাড়া ছাড়া মাত্র।তবে সাহিত্বের উপর অবিরত পড়াশুনা আমাকে কখনো এর থেকে বিছ্ছেদ ঘটাতে পারেনি।আজকে আমার মনে হয় লেখক হওয়া ভাগ্যের-ই ব্যাপার।এটা কোন গর্বের ব্যাপার নয়।এর মাধ্যমে পৌঁছে যাওয়া যায় কোটি মানুষের হৃদয়ে।অনেকে যেভাবে ছাপিয়ে তাক ভরে ফেলেন সে পরিকল্পনা নেই এখনো।তবে পৃ্থিবীর আনাছে কানাছে পৌঁছে দেয়ার মত সম্ভাবনা আজ মিডিয়াগুলো করে দিয়েছে বলে আল্লাহকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।আমরা মুসলমানরা ইছ্ছে করলে এর ভাল দিককে আলিংগন করে মানবজীবনের যে সব পংকিলতা আছে অবশ্যই কিছুটা অপসারন করতে সমর্থ হব বলে আমি বিশ্বাস করি।
একটা লিখার জন্য অনেক সময় শিরোনাম কি হবে? তথ্যগুলো কিভাবে পাব? কত সুন্দর করে তথ্যগুলো উপস্হাপন করা যায় তা নিয়ে ভাবতে হয়।লিখাটা আল্লাহর নামে শুরু করে যখন শেষ করতে সমর্থ হই তখন সত্যিই নিজেকে ভাবতে ভাল লাগে।আমাদের নিজের কাজকর্মের প্রতি শ্রদ্ধা থাকা উচিত। আমি লেখক হিসেবে সবসময়ই একটা জিনিস বলতে ভালবাসি, আমি লিখি,পাঠকরাও লিখতে চেষ্টা করুন।আমরা যদি সমাজে লেখক সৃষ্টি করতে পারি তাহলে সমাজের পন্কিলতা দূরিকরনে সহায়ক হবে। অনেকে হয়ত এতে অবাক হয়ে অট্টহাসি হাসবেন তাতে আমি মোটেও ঘাবড়ে যেতে চাই না।কারণ মানুষের সৃজনশীলতার প্রতি আস্থা সহজে সৃষ্টি হয় না। সেটা আঙুল দিয়ে অনেক সময় দেখিয়ে দিতে হয়।অনেককে দেখেছি তাদের জন্মদিনে ঘটা করে বই এর অনুষ্ঠান করেন ও শুভাকান্খিদের ডাকেন। আমার বাবা মা জন্মদিন পালনে বিশ্বাসী ছিলেন না।তবে যখন অন্যরা জন্মদিন আসলে হৈ হুল্লোড় করতো তখন আমার মা আমাকে ডেকে বলতেন,এ তো মুসলমানরা করতে পারে না।তবে এক ছেলে বলে ঐ দিনটি আসলে রান্না করে সবাইকে ডাকতেন ও দোয়া করতেন।আজও সেই স্মৃতির কথা মনে হলে আমি ভাবি, মা সঠিক কাজটিই করেছেন।
বিষয়: বিবিধ
১৬০৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন