বাঙ্গালি জাতিকে আর কত দিন রক্ত প্রবাহের স্বীকার হতে হবে? বন্ধ কি হবে না লাশের রাজনীতি?
লিখেছেন লিখেছেন মহিউডীন ০৮ ডিসেম্বর, ২০১৩, ০৯:৫৫:০২ রাত
আর কত রক্ত দিতে হবে বাঙ্গালি জাতিকে, রাজনীতির নামে আর কত নিরীহ প্রাণ ঝরবে প্রতিদিন বাংলার বুকে। বোমা মেরে হত্যা আর পেট্রোল বোমায় পুড়ে মরছে সহজ, সরল, নিরীহ ব্যাংক কর্মচারী, পরিবহন চালক, খেটে খাওয়া দিনমজুর, স্কুল ছাত্রসহ অসংখ্য প্রাণ। বাঙ্গালি জাতির তাজা রক্তের প্রতীক, লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রমের প্রতীক, বাঙ্গালি জাতিসত্তা ও কৃষ্টির প্রতীক, স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের প্রতীক আমার জাতীয় পতাকায় ভর করেছে পাক হানাদারদের প্রেতাত্ত্বারা। আমি অশ্রুসিক্ত নয়নে দেখতে পাই আমার জাতীয় পতাকার উপর সওয়ার হয়েছে ৭১-এর পরাজিত শক্তি ও তাদের দোষররা। দেখতে পারছি আমার জাতীয় পতাকায় ছোপ-ছোপ রক্তের দাগ। লাল সবুজের পতাকা সম্পূর্ণ লাল করে দেয়ার পাকাপোক্ত নীল নকশা। ১৬ কোটি বাঙ্গালি জেগে ওঠো, রুখে দাঁড়াও সকল ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে, রুখে দাঁড়াও এই রক্তপিপাসু ও ক্ষমতা কুক্ষিগতকারিদের বিরুদ্ধে। জেগে ওঠো ৭১-এর চেতনায়, রুখে দাও এই হায়েনাদের।
আজকের এই দুর্বিষহ ভয়াবহ পরিস্থিতি মূল্যায়ন করতে হলে আমাদেরকে একটু অতীতে যেতে হবে, কারণ অতীতই আমাদের পরিচয়। অতীতকে যদি আমরা মনে রাখতে না পারি তাহলে বুঝতে পারবো না কে আমাদের বন্ধু, কে আমাদের শত্রু, কেন দেশ স্বাধীন হলো, কি আমাদের করণীয়।দেশ স্বাধীন হতেই তাদের শুরু হয় আর এক ধাপ শোষনের পালা।এরা কারা? তাই তো সেদিন শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিল আমার কম্বলটি কোথায়? তারা দেশ স্বাধীন করেছিল এদেশের খেটে খাওয়া মানুষের জন্য নয়।নিজেদের গদিকে পাকাপোক্ত করার জন্য যা তারা করতে পারেনি স্বাধীনতার পূর্বে।এরা শেখ মুজিবুর রহমানের পৃষ্ঠপোষক ও তাঁকে ঘিরে ছিল।হয়ত তিনি এদের ছিনতে পারেন নি।হয়ত তিনি মিসগাইডেড হয়েছিলেন। এ মুখোষধারিদের গত ৪১ বছরে মানুষ হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছে।একের পর এক রাজনীতির পঠ পরিবর্তন।নায়কের পর নায়কের আগমন।সেনাবাহিনী নিধন , বিরোধী রাজনৈতিক নেতা কর্মি নিধন ,সাধারন মানুষের নীগৃহীত করা , মানুষকে অভুক্ত রাখা এসবই এদেশের মানুষ সয়ে আসছে বছরের পর বছর। এদেশের অর্থে তারা যার যার প্রয়োজনে ইউরোপ , এমেরিকায় , ফারইষ্টে বিলাস বহুল অট্টালিকা ও লাখ লাখ ডলার পার করেছে।আর দেখানো ভালবাসার জন্য রাজনীতি নিয়ে জন গনের দ্বারে ভিক্ষা চাইছে।এরা কারা যাদের মহাপরিকল্পনার অংশ হিসেবে টার্গেট হয় কোমলমতি মাদ্রাসার শিশু ও বাংলার সহজ সরল ধর্মভীরু মানুষ।জাসদের ৩০ হাজার নেতা কর্মিকে সেদিন হত্বা করা হলো আর এখন ইনু সাহেব সে রক্তকে উপেক্ষা করে মহাজোটে ভিঁড়ে সামান্য উছিষ্টের জন্য পদলেহন করছেন। সেদিন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে হত্যা করা হয়েছিল চার জাতীয় নেতা-স্বাধীনতা যুদ্ধকালীন বাংলাদেশ সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদ, মন্ত্রিসভার সদস্য ক্যাপ্টেন মনসুর আলী ও এ এইচ এম কামরুজ্জামানকে। দ্বিতীয় ধাপ কার্যকর করা হয় এর চারদিন পর ৭ নভেম্বর। তথাকথিত সিপাহী বিপ্লবের নামে সেদিন হত্যা করা হয়েছিল বহু সামরিক অফিসারকে। অনেককে পরিবারসহ। সেদিন বিপ্লব ও প্রতিবিপ্লবের মধ্য দিয়ে আমরা হারাই অনেক বীর মুক্তিযোদ্ধাকে। এ সবই ছিল প্রতিক্রিয়াশীল শক্তির ষড়যন্ত্রের নীল নকশার অংশ।
মাননীয় প্রধান মন্ত্রী ও মাননীয় বিরোধী দলীয় নেত্রীর কাছে আমার প্রশ্ন, আপনারা তো রাজনীতি করেন এদেশের মানুষের কল্যাণের জন্য, এদেশের উন্নয়নের জন্য। যদি তা-ই হয় তাহলে একটি প্রানও তো ঝরার কথা নয়।একটি প্রানও তো পুড়ে ভস্ম হওয়ার কথা নয়।হাসপাতালের বেড এ যারা কাতরায় তারা কি কোন রাজনীতি করে? আপনাদের এজেন্ডা যারা বাস্তবায়ন করে তাদের আপনারাই প্রতিপালন করেন বিশাল অন্কের টাকা দিয়ে যা তারা ধরা পড়ে প্রমান দিছ্ছে।আপনারা পালা করে আসেন, লাভ যা হয় তা আপনাদের আর লোকশান যা হয় তা আমাদের।আমরাই জালানো পোড়ানোর শীকার হই।এটাই কি আমাদের নিয়তি? আপনারা একে অন্যকে সহ্য করতে পারেন না।বিরোধীদলীয় নেত্রির আল্টিমেটামের ডেডলাইন শেষ হওয়ার আগেই যখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনাকে ফোনে সংলাপের জন্য আমন্ত্রণ করেছিল তখন আপনাদের হরতাল কর্মসূচি প্রত্যাহার না করে বরং এই মানুষ হত্যার কর্মসূচির দোহাই দিয়ে আপনি আমন্ত্রণ গ্রহণ করেননি। বলেছিলেন কর্মসূচি শেষ হওয়ার পর দেখা করতে পারবেন। তর্কের খাতিরে ধরে নিচ্ছি, সরকার সংলাপের নামে লোক দেখানোর প্রহসন করছে বা করেছিল। কিন্তু আপনিতো আমাদের মতো সাধারণ মানুষ নন। আপনি দেশনেত্রী। কয়েকবার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়ে দেশ পরিচালনার অভিজ্ঞতা আপনার আছে। আপনি সেই প্রহসন করার সুযোগ সরকারকে দিলেন কেন? আপনি যদি একগোছা গোলাপ নিয়ে আপনাদের কর্মসূচি শেষ হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রীর ফটকে যেয়ে দাঁড়াতেন উনি নিশ্চয়ই আপনাকে অভ্যর্থনা না জানিয়ে পারতেন না। বহু প্রতিক্ষিত সংলাপ শুরু হত। আমরা সমগ্র বাঙ্গালি জাতি একটু স্বস্তি পেতাম। তারপর আপনি আপনার দাবি-দাওয়া তুলে ধরতেন, বাংলার জনগণ সেটা দেখত এবং যদি সরকার আপনার যৌক্তিক দাবি না মানতো, তাহলে দেশের চিত্রই বদলে যেত, জনস্রোতে ভেসে যেত এই সরকার। সরকার যেমন গোয়র্তুমি করছে বিরোধীদলে থেকে আপনারাও করছেন।পাটা পুতা ঘষাঘষি মরিচের দফা শেষ।
একের পর এক হরতাল আর অবরোধ দিয়ে প্রতিদিন প্রাণ ঝরছে নিরীহ মানুষের। কি বিচিত্র এই রাজনীতি? জনগণের নেতা হয়ে জনগণকেই মারছেন?আপনারা বড় দু'দল যা করছেন, তার অংশীদারিত্ব এখন গ্রহন করছে তৃতীয় আর এক অপশক্তি।এখন আপনারা আর থামাতে পারবেন না , আপনাদের হাত থেকে আন্দোলন সরে পড়ছে ও আন্দোলনের কলকাঠি নাড়ছে দেশের ও সার্বভৌমত্ব বিরোধী ধর্মীয় উগ্রবাদ ও প্রতিক্রিয়াশীল শক্তি যারা ধর্মের নামে এ অনাচার করে বেড়াছ্ছে।
আপনারা দু'দল ক্ষমতায় এসেছেন দীর্ঘ সময় ধরে কিন্তু এদেশের এক শ্রেনীর মানুষ যারা প্রকৃত দ্বীনদার যারা মাদ্রাসাগুলোতে পড়ে।যাদের ভোটে আপনারা নির্বাচিত হন।সে মাদ্রাসাগুলো ও তাদের শিক্ষার জন্য তেমন কিছুই করেন নি।এই উগ্রবাদিরা আপনাদের দেয়া সুযোগ নিয়ে একের পর এক কিছু কিছু মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার নামে এবং অর্থায়িত স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়কে তারা তাদের ক্যাডার তৈরির কারখানা হিসাবে প্রতিষ্ঠা করেছে। সবচেয়ে আশ্চর্য বিষয় হচ্ছে, এই মাদ্রাসার শিক্ষা কার্যক্রমের উপর সরকারের কোন নিয়ন্ত্রণ না থাকায়, অতি সহজে এই অপশক্তি ইসলামের মিথ্যা অপব্যাখ্যা দিয়ে ছাত্রদের দীনতার সুযোগ ও অর্থনৈতিকভাবে সাহায্য করে আজকে সারা দেশে লক্ষাধিক ধর্মীয় উগ্রবাদের মন্ত্রে দীক্ষিত 'মগজ ধোলাই বাহিনী' এর সদস্য তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে।
আর এরা আপনাদেরই ছত্রছায়ায় বসবাস করে মানুষের ক্ষতি করছে। এদেরকে তুচ্ছভাবে দেখার কোন অবকাশ নেই। স্বাধীনতার সপক্ষের শক্তির অনেক ভুল সিদ্ধান্ত ও রাজনৈতিক অদূরদর্শিতার কারণেই আজ এরা মানুষের জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে আর আপনারা রাজনৈতিকভাবে তাদের একে অন্যের স্বার্থে প্রতিপালন করছেন।
আজকে জাতির এই ক্রান্তিকালে এদেশের জনগণ, এদেশের নতুন প্রজন্ম, সবাইকে গভীরভাবে ভাবতে হবে, আমাদের এই মুহূর্তে করণীয় কি? ৫২-তে বাংলা ভাষার দাবিতে আমরা রক্ত দিয়েছি, ৬৯-এ আইয়ুব বিরোধী আন্দোলনে রক্ত দিয়েছি, ৭১-এ বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে এক সাগর রক্তের বিনিময়ে আমরা স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়েছি। কি ছিল আমাদের লক্ষ্য? কি ছিল আমাদের উদ্দেশ্য? লক্ষ্য ছিল আমরা বাঙালি জাতি হিসাবে পৃথিবীর বুকে স্বাধীন দেশ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হব। লক্ষ্য ছিল পরাধীনতার শৃংখল থেকে মুক্ত হব। লক্ষ্য ছিল ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বাঙালি জাতির নিজস্ব সত্তা ও কৃষ্টি নিয়ে বেঁচে থাকব। স্বাধীনতা অর্জনের মাধ্যমে আমাদের সে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য পূর্ণ হয়েছিল। আমরা ভুলে যাইনি ৭১-এর ২৫ মার্চের ভয়াল রাতের কথা, পাক হায়েনারা সেদিন আছড়ে পড়েছিল বাংলার বুকে। সে রাতে নির্বিচারে হত্যা করা হয়েছিল হাজার হাজার বাঙালিকে। আমরা ভুলে যাইনি দীর্ঘ ৯ মাস পাক হানাদার ও তাদের দোসর আলবদর-রাজাকাররা কিভাবে একের পর এক গণহত্যার হলিখেলায় মেতে উঠেছিল। আমরা ভুলতে পারি না স্বজন হারানোর সেই গগন বিদারী আর্তনাদ।সেদিনের সেই শ্লোগান 'বীর বাঙালি অস্ত্র ধর, বাংলাদেশ স্বাধীন কর'।
আজকে সমগ্র বাঙালি জাতি কঠিন পরীক্ষার সম্মুখীন। আমাদের সুচিন্তিত সিদ্ধান্তই আগামী প্রজন্মকে উপহার দিতে পারে একটি সুন্দর সোনার বাংলা। আমাদের অনেক ভুল ও প্রতিকুলতা থাকা স্বত্বেও যদি আমরা একটু গভীরে যাই, তাহলে লক্ষ্য করবো দেশের মানুষ ব্যাপক উন্নয়নে সহায়তা করছে।খেটে খাওয়া মানুষ যার যার যায়গায় ভূমিকা রাখছে। পিলখানায় নৃশংস হত্যাকাণ্ডের বিচার হয়েছে তবে জন মনে সন্দেহ রয়েছে প্রকৃত বিচার হয়েছে কিনা। আমরা জানি দেশে দুর্নীতি এখনো বিদ্যমান, আমরা জানি সামাজিক অবক্ষয়ে এ সমাজ জর্জরিত। তবে এ মুহূর্তে জনগণের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব এদেশের অস্তিত্ব তথা মাতৃভূমিকে রক্ষা করা। এরপর দুর্নীতি ও সামাজিক অবক্ষয়ের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা যাবে।
আজকে উগ্রবাদীদের বীভৎসতার শীকার হচ্ছে এদেশের নিরীহ জনগণ, রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে পুড়িয়ে মারা হচ্ছে মানুষকে, উপড়ে ফেলা হচ্ছে রেললাইন, স্থবির করে দেয়া হচ্ছে দেশের অর্থনীতিকে সুপরিকল্পিতভাবে পোড়ানো হয়েছে Standard Garments। রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে অবরোধের কারণে কৃষক পারছে না তার ফসল বিক্রি করতে, শ্রমিক পারছে না তার কর্মস্থলে যেতে, স্কুল-কলেজের লাখ লাখ ছাত্র-ছাত্রী সকলে এই অপরাজনীতির স্বীকার। রাজনীতি মানুষের কল্যাণের জন্য। যে রাজনীতি মানুষকে হত্যা করে, যে রাজনীতি সমগ্র জাতিকে দুর্বিষহ যন্ত্রণায় নিক্ষিপ্ত করে, যে রাজনীতি দেশের অর্থনীতি অচল করে দেয়, আমরা জনগণ কোনক্রমেই সেই রাজনীতি করতে দিতে পারি না। আরো আঁতকে উঠি যখন দেশি-বিদেশি সংবাদপত্রে বিভিন্ন গোয়েন্দা রিপোর্টের উদ্ধৃতি দিয়ে লেখা হচ্ছে ধর্মীয় উগ্রবাদীদের লোমহর্ষক ষড়যন্ত্রের নীল-নকশার চিত্র। আজকে আমাদের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আকুল আবেদন, আপনি জাতির জনকের কন্যা, আপনার পিতা যেভাবে শত ভয়- ভীতি, ষড়যন্ত্র, জেল-জুলুম উপেক্ষা করে সাড়ে সাত কোটি বাঙালিকে সঙ্গে নিয়ে এদেশকে স্বাধীন করেছিল, ঠিক তেমনি আজকে জাতির এই ক্রান্তিলগ্নে আপনার যা করনীয় তা করতে ব্যার্থ হছ্ছেন।আপনি প্রধানমন্ত্রীত্তের আসন আসীন করেছিলেন অনেকদিন। জাতি আপনার কাছে থেকে আশা করে আপনি একটি সুন্দর নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করুন,দেশের মানুষকে সম্মান করুন।সেজন্য জন গনকে উপেক্ষা করে নয় বরং তাদের নিয়ে অতি দ্রুত সমস্যার সমাধান করুন।যেভাবে মানুষ মারা যাছ্ছে বা দেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হছ্ছে তার দায় আপনাদের দু'জনকেই নিতে হবে আগে। সঠিক ও নির্ভুল সিদ্ধান্তই রক্ষা করতে পারে এ দেশকে, এ দেশের মানুষকে। রক্ষা করতে পারে প্রতিদিন ঝরে পড়া অসংখ্য নিরীহ মানুষের প্রাণ।
বিষয়: বিবিধ
১২৫১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন