যদি মরনের পরে কেউ প্রশ্ন করে কি দেখেছি , আমি বলবো চোখের কাছে নাও না জেনে , ওখানে বাংলাদেশের রুপ এঁকে রেখেছি।
লিখেছেন লিখেছেন মহিউডীন ২৮ নভেম্বর, ২০১৩, ০৫:৫০:১২ বিকাল
আমি আল্লাহর কাছে বিনীত হৃদয়ে ক্ষমা চাই যে আমার অতিতের গুনাহগুলো তিনি তার অসীমতা দিয়ে ক্ষমা করে দেন।উপরের শিরোনামে যে পংক্তিগুলোর অবতারনা করা হলো এই গানটি লিখেছেন গীতিকার রফিকুজ্জামান ও গানটি
পরিবেশন করেছেন সাবিনা ইয়াসমিন।আমার ছেলেবেলায় যেখানে বেড়ে উঠেছি অর্থাৎ আমার পরিবারটি ছিল কিছুটা কনজারভেটিভ।বাবা ছিলেন গান বাদ্যের বিরুদ্ধে। আমাদের তখন একটি রেডিও ছিল যা থেকে খবর ও অন্যান্য অনুষ্ঠান আমরা ভাই বোনরা মিলে অবসর সময়ে শুনতাম।বিশেষ করে স্বাধীনতার গান বা মা বোনরা আব্দুল আলিমের গাওয়া গান শুনতো।বড় হয়ে যখন ইসলামের অনুশীলন করলাম বিশেষ করে শির্ক ও বিদা'আত সম্পর্কে জানতে শুরু করলাম তখন দেখলাম আমাদের কথা ও কাজের মধ্যে অনেক শির্ক লুকিয়ে আছে যা আমরা জানি না।এ গানের কলিগুলোতেও তার গন্ধ আছে বিশেষ করে একজন মুসলিমের কাছে তো জানার কথা তার মৃত্তুর পরের অবস্হান কি হবে।রাসূল সা: বলেছেন,' প্রতিটি মানুষ জন্মায় ইসলামের ফিতরাতের উপর তার বাবা মা তাকে ইহুদি খৃষ্টানে পরিনত করে।মানব সন্তানের প্রথম যে জ্গান আহরনের যায়গা সেটা হলো পরিবার। অনেকে একে মানুষ গড়ার কারখানাও বলেছেন।যদি পরিবারটি নামে মুসলিম হয় ও কাজে কর্মে ইসলামিক না হয় তাহলে না জানারই কথা।মৃত্তুর উপর যতগুলো হাদিস বর্নিত হয়েছে তা বারা ইবনে আজিব বর্ননা করেছেন।হাদিস অনক বড় তবে সংক্ষেপে এভাবে বলা যায় , কোন মানুষের যখন মৃত্তুর সময় উপস্হিত হয় তখন মালাকুল মওত সে মৃত ব্যাক্তির শিওরে এসে বসে তার দলবল সহ।মৃত্তু হয়ে গেলে তাকে সৎকার করে কবরে নিয়ে যাওয়া হয়। তখন দুই জন ফেরেস্তার আগমন ঘটে।এ সময় মৃত ব্যাক্তির রুহ ফিরিয়ে দেয়া হয়।তারা মৃত ব্যাক্তিকে তিনটি প্রশ্ন করেন। তোমার রব কে? তোমার দ্বীন কি ছিল? তোমার রাসূল কে? যদি এই তিনটি প্রশ্নের জবাব দিতে পারে তাহলে আল্লাহর পক্ষ থেকে বলা হয় তাকে জান্নাতের পোষাক পরিয়ে শুইয়ে দাও যতদূর সে দেখতে পায়। আর যদি উত্তর দিতে না পারে তাহলে জাহান্নামের সাথে তার কবরকে সংযুক্ত করে দেয়া হয়।বিচারদিবসের আগ পর্যন্ত এ সময়টাকে বারজাখ জীবন বলা হয়। এ সময়টা মৃত ব্যাক্তিকে কি অবস্হায় রাখা হবে বা কি রকম শাস্তি দেয়া হবে বা কবরকে কতটুকু প্রশস্ত না সংকীর্ন করা হবে এটা পরকালীন বিষয় যা আল্লাহ ভাল জানেন।রাসূল সা: আমাদের যতটুকু জানিয়েছেন ততটুকুই আমাদের জেনে এ জীবন যাপন করতে হবে। এ নিয়ে কোন বাড়াবাড়ির প্রয়োজন নেই।
সূরা লোকমানের ৬ আয়াতে আল্লাহ বলেন,'আর লোকদের মধ্যে কেউ কেউ আছে যারা খোশ গল্পের কেনা বেচা করে যেন সে আল্লাহর পথ থেকে বিচ্যুত করতে পারে কোন জ্গান না রেখেই।আর যে সে এগুলোকে ঠাট্টা বিদ্রুপ আকারে গ্রহন করে।এদের জন্য রয়েছে লান্চনা দায়ক শাস্তি।" ইবনে আব্বাস রা: বলেছেন, অর্থহীন কথা হলো লাহু আল হাদিস। হাসান আল বাসরি ও ইবনে আব্দুল কাইয়ু্ম ও একই মত দিয়েছেন এ ব্যাপারে।গানের মাধ্যমে মানুষ আসৎকাজে প্রলুব্ধ হয়,চরি্ত্র হনন হয় ও জ্বেনা ব্যাবিচারের দিকে ধাবিত হয়।আর সবচেয়ে বড় কথা হলো আল্লাহর রাস্তা থেকে মানুষ সরে গিয়ে অন্যায় ও অবিচারের দিকে ধাবিত হয়। ঈমাম আবু হানিফার ছাত্ররা পরিষ্কারভাবে বর্ননা করেছেন গানের সব সরন্জাম হারাম এবং এগুলো ফাসেকদের কাজ। ঈমাম আবু হানিফার এক নাম্বার ছাত্র ঈমাম আবু ইউছুফ বলেন,'যে ঘরে গান বাদ্য হয় সে ঘরে অনুমতি ছাড়াই রেইড হওয়া উচিত কারন তারা ভালকে বর্জন করে খারাফ জীনিসের আবির্ভাব ঘটিয়েছে।অন্য তিন ঈমামও একই মত পোষন করেন।
সুতরাং আমাদের উচিত যে কথাগুলো বললে বা শুনলে জীবনের উপর ভাল কোন প্রতিফলন হবে না তা বর্জন করা ও অন্যদের এ কাজে সহযুগিতা না করা।আমাদের কাজ মানুষকে ভাল কাজ করার আদেশ দেয়া ও অন্যায় কাজ থেকে বিরত রাখা। আমাদের সমাজে প্রতিটি ঘরেই টিভির মাধ্যমে যে সমস্ত গানগুলো পরিবেশিত হয় তা ছোট ছোট সোনামনিদের জীবন কেড়ে নিছ্ছে অরাধের দিকে। আমাদের সব পিতামাতাদের এ বিষয়ে সতর্ক হওয়া ও তাদের সুন্দর পরিবেশে রাখার দায়িত্ব পালন করতে হবে।আমরা যদি সভ্য জাতি তথা ইসালমি পরিবেশ গড়ে তুলতে চাই এখনি আমদের অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।আর যারা এ কাজগুলোর সাথে জড়িত আমরা দোয়া করি আল্লাহ যেন তাদের সঠিক হেদায়েত দান করেন। আল্লাহ আমাদের তাওফিক দিন।
I
বিষয়: বিবিধ
২০৫৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন