চেয়ারপার্সনের চেয়ারপ্রিতি সংকট বাড়াতে ও পারে কমাতেও পারে।

লিখেছেন লিখেছেন মহিউডীন ১৫ মে, ২০১৩, ০৪:৫২:০৫ বিকাল

বিশ পেরিয়ে একুশে পা রাখলো আমার চেয়ার।রাষ্ট্রের কোন চেয়ার নয় মাত্র একটি প্রথম শ্রেনীর বহুজাতিক কোম্পানীর একটা ডিপার্টমেন্ট হেডের চেয়ার। যোগ্যতা থাকলেও বিভিন্ন দেশের মানুষের সাথে প্রতিযোগিতা করে, অনেক পরিশ্রম করে,সততার সাথে দায়িত্ব পালন করে মেনেজমেন্ট এর আস্হাভাজন হয়েছি মনে করা যায়।আর একটি কারন তো রয়েই গেছে জাতীয়তা হিসেবে।দেশে যেমন আমাদের মালিকরা শ্রমিকদের রক্ত শোষন করে।বিদেশে কোন কোন প্রতিষ্ঠানও আমাদের মত জাতির লোকদের ঠকায় হেকমত অবলম্বন করে।উন্নত দেশের একজন এক্সিকিউটিভ যে ফেসিলিটি ভোগ করে আমরা আমাদের জাতিয়তার কারনে যোগ্যতা থেকেও হেরে যাই।তবে তারা যে কারনেই আমাদের সম্মান করুক তা প্রাকাশ না করলেও আমরা বুঝতে পারি।তাছাড়া আমাদের যাওয়ারই বা পথ কোথায়।আল্লাহ ও রাসূল সা: কে ভালবাসলে যে কোন মানুষই সৎ হতে বাধ্য।আর সততার ফল দুনিয়ায় ও ভোগ করা যায়।কারো খুব প্রাচুর্য না আসলেও কোনভাবে সৎ জীবন যাপন করে দুনিয়া থেকে চলে যেতে পারে।বলছিলাম চেয়ার প্রীতির কথা।আজো ছাড়তে ইছ্ছে হছ্ছে না চেয়ারটি।সে সম্পর্কের কারনে হোক বা নিজের প্রয়োজনের তাগিদে হোক।কিন্তু রাজনৈতিক চেয়ারতো ধরে রাখার কোন উপায় নেই।ইলেকশনে জিতে ৫ বছরের জন্য ক্ষমতায় আসে আমাদের সম্মনিত চেয়ারপার্সনগন।যদি ৫ বছর ভালভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারেন তাহলে আবারো জিতে আসার সম্ভাবনা থাকে।কিন্তু যদি এর বিপরিত মুখি হয় তাহলে তো আর থাকার উপায় নেই।এই চেয়ার আমাদের সাধারন চেয়ারের মত নয়,এখানে রয়েছে অনেক ক্ষমতা ও প্রাচুর্য যা ছেড়ে যাওয়া কঠিন।যদি চেয়ারের প্রতি সৎ আনুগত্য থাকে তাহলে সংকট থাকে না আর যদি অসৎ আনুগত্য থাকে তখন তাকে ঘিরে তৈরি হয় সংকট ও ক্ষমতা ধরে রাখার বাহানা।আল্লাহ ক্ষমতা সম্পর্কে সূরা আল ইমরানের ২৬ আয়াতে নবী সা: কে বলেন,' বলো, হে আল্লাহ! সাম্রাজ্যের মালিক! তুমি যাকে ইছ্ছে কর তাকে সাম্রাজ্য দান কর আবার যার কাছ থেকে ইছ্ছে কর রাজত্ব ছিনিয়ে নাও,আর যাকে খুশি সম্মানিত কর,আবার যাকে খুশি অপমানিত কর,তোমার হাতেই রয়েছে কল্যান।নি:সন্দেহে তুমি সব কিছুর উপর সর্বশক্তিমান।'

আমাদের ব্যার্থতা হলো দায়িত্ব পালনে সততার অভাব, অতীত থেকে না শেখার অভাব,একে অন্যের প্রতি শ্রদ্ধার অভাব,দেশের মানুষের প্রতি ভালবাসার অভাব সর্বোপরি ক্ষমতা কুক্ষিগত করার মনোবাসনা।জ্গানীরা হেরে গেলে অতীত নিয়ে চিন্তাভাবনা করে ও চুল চেরা বিশ্লেষন করে হেরে যাওয়ার কারন কি? আমাদের চেয়ারপার্সনদের তা করতে দেখিনি।বরং তাদের নির্ভরতা জন্ম নিয়েছে অনভিজ্গদের উপর।যার ফলে সংকট দূরিকরন না হয়ে বেড়েই চলছে দূর্বার গতিতে।আমাদের চেয়ারপার্সনরা যদি মনে করেন বাংলাদেশ তাদের কথায় উঠবে ও বসবে তাহলে সেটা হবে চরম দু:খ জনক।মানুষের পিঠ ঠেকতে এখন বাকি নেই।জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন সংলাপে বসার আহ্বান জানাছ্ছেন এবং তার রাজনীতি বিষয়ক বিশেষ দূত গত ১০ থেকে ১৩ই মে সর্বশেষ রাজনৈতিক অবস্হা পর্যবেক্ষন করে গেলেন।দেশের রাজনৈতিক বিশেষজ্গ গন অনেকদিন থেকে বলে আসছেন সংলাপের ব্যাপারে।তারা যদি দেশ ও উম্মাহর শান্তি চান তাহলে ধীরে চলছেন কেন।বিএনপি'র পক্ষ থেকে বলা হছ্ছে এজেন্ডা দেয়ার জন্য।এ ক্ষেত্রে সরকারকে নমনীয় হলে ক্ষতি কোথায়? তাদেরই তো সামনে এগিয়ে আসা উচিত।কোন বিচার পায়সালায় তৃতীয় পক্ষ হস্তক্ষেপ করা নিতান্তই লজ্জাজনক।তৃতীয় পক্ষ আসার অর্থ হলো প্রথম দু'পক্ষের ব্যাক্তিত্বহীনতা।আমরা স্বাধীন জাতি হিসেবে সব ব্যাপারে আমাদেরই বুঝা পড়া করে সমাধান করা উচিত।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের ইস্যু নিয়ে চলমান সংঘাত অতীতেরই একটি বিষয়। ১৯৯৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ষষ্ঠ জাতীয় সংসদের নির্বাচন মুক্ত ও নিরপেক্ষ করার শর্তগুলো নিয়ে ১৯৯৫ সালে প্রথম যে সংকট দানা বাঁধে সে সময় শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ তার হরেক রকম মিত্রের মধ্যে জাতীয় পার্টি (জেপি), জামায়াতে ইসলামী এবং বামপন্থীদের কয়েকটি দলকে নিয়ে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য অসহযোগ আন্দোলন চালায়। বর্তমান প্রধান মন্ত্রি শেখ হাসিনার যুক্তি ছিল যে বিএনপি পরিচালিত সরকার তো নয়ই, কোনো ক্ষমতাসীন সরকারের অধীনেই মুক্ত ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে বলে আস্থা রাখা যায় না। শেখ হাসিনার এই দৃষ্টিভঙ্গি দেশে ব্যাপক সমর্থন পায়। সুতরাং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দাবির পক্ষের আন্দোলন যথেষ্ট জনসমর্থন অর্জন করে। সে সময় তত্ত্বাবধায়কব্যবস্থার ব্যাপারে শেখ হাসিনার অভিমত তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া এবং ক্ষমতাসীন বিএনপির নেতারা গ্রহণ করেননি। এখন শেখ হাসিনা যেমন করে বলছেন, তখন বেগম খালেদা জিয়াও তেমন করে বলতেন যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন একই সঙ্গে সংবিধানের লঙ্ঘন এবং নির্বাচিত গণতন্ত্রের নীতির পরিপন্থী।১৯৯৫ সালের দ্বিতীয়ার্ধে সৃষ্টি হওয়া যে রাজনৈতিক অস্থিরতা দেশকে অচল করে ফেলেছিল, তা থেকে বেরিয়ে আসার উপায় খুঁজতে সিভিল সোসাইটির অধিকাংশের সমর্থনে পাঁচজনের একটি গ্রুপ গঠন করা হয়, যাদের বলা হয় জি-৫।' সমঝোতার মাধ্যমে গ্রহণযোগ্য সমাধান খুঁজতে দুই নেত্রীর কাছে যাওয়া-আসা করতে হয় তাদের। তাঁরাও তখন এ ধরনের মধ্যস্থতায় রাজি ছিলেন এবং আলোচনা করে সমস্যাগুলোর সমাধানে যথেষ্ট সময়ও দিয়েছিলেন।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনে সমঝোতা চুক্তিতে উপনীত হওয়ার উপযোগী সমাধান-সূত্রটি উদ্ভাবন করেছিলেন জি-৫-এর সদস্য প্রয়াত ব্যারিস্টার ইশতিয়াক আহমেদ। সম্প্রতি অন্তর্বর্তীকালীন/তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল যে প্রস্তাব তৈরি করেছে, ব্যারিস্টার ইশতিয়াকের প্রস্তাব ছিল তারই অনুরূপ। ইশতিয়াক মডেল এমনভাবে তৈরি করা হয়েছিল, যাতে তা একই সঙ্গে সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা ও গণতান্ত্রিক বৈধতা—দুটিই রক্ষা করে। এতে প্রস্তাব করা হয়েছিল, উভয় পক্ষ নির্বাচিত সাংসদদের মধ্য থেকে পাঁচজন করে মনোনীত করবে, কিন্তু তাদের নেতৃত্ব দেবেন উভয় পক্ষের কাছে গ্রহণযোগ্য একজন নির্দলীয় ব্যক্তি, যিনি বিশেষভাবে নির্বাচিত হয়ে সংসদে আসবেন। এটাই হলো সেই প্রস্তাব, যার প্রতিক্রিয়ায় বেগম খালেদা জিয়া বলেছিলেন, কেবল পাগল ও শিশু ছাড়া বাংলাদেশে নির্দলীয় কোনো ব্যক্তি নেই। অসাধারণ রাজনৈতিক প্রজ্ঞার পরিচয় দিয়ে জি-৫-এর প্রস্তাবে শেখ হাসিনা এক শর্তে সমর্থন দিলেন যে খালেদা জিয়াকেও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হিসেবে একজন নির্দলীয় ব্যক্তি নির্বাচনে সম্মত হতে হবে। বিএনপির জন্য দুর্ভাগ্যজনক, খালেদা জিয়া এই চূড়ান্ত শর্তটি মানতে নারাজ হলেন এবং সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে প্রধান তত্ত্বাবধায়ককে তাঁর দল থেকেই নিতে হবে বলে চাপ দিতে থাকলেন। এই চূড়ান্ত প্রশ্নে জি-৫-এর উদ্যোগ ভেস্তে যায় এবং বিএনপি এককভাবে ১৯৯৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রতারণাপূর্ণ অংশগ্রহনবিহীন নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যায়। ১৯৯১ সালের নির্বাচনে বিজয়ের মাধ্যমে দলটি যে গণতান্ত্রিক বৈধতা অর্জন করেছিল, এই নির্বাচন তাদের সেই অর্জন ম্লান করে দেয়। এর পরিণাম হয় ব্যাপক গণ-অসন্তোষ। সিভিল সোসাইটি বিরোধী দলের সঙ্গে যোগ দেয় এবং রাজনৈতিকভাবে বৈধতা হারিয়ে ফেলা বিএনপি সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় বাধ্য হয়। তা হলেও জনপ্রিয় দাবিকে আমলে নেওয়ায় এতই দেরি হয়ে গিয়েছিল যে ১৯৯৬ সালের জুনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে পরাজয়ের মাধ্যমে বিএনপিকে সেই বিলম্বের মূল্য পরিশোধ করতে হয়। সেই নির্বাচনে ২১ বছর ক্ষমতা থেকে নির্বাসিত থাকার পর আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতাসীন হয়।

রাজনীতির অদ্ভুত পরিহাস এই যে, বর্তমানের আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার বৈধতাকেই চ্যালেঞ্জ করছে, পূর্বে তারা যার জন্য লড়াই করেছিল।বর্তমান দেশব্যাপি যে সহিংসতা চলছে তার জন্য সরকার ও বিরোধীদলকেই দায়িত্ব নিতে হবে। যুদ্ধাপরাধের বিচার নিয়ে জামায়াতের বিক্ষোভের পাশাপাশি হেফাজতে ইসলামের আন্দোলন একটি স্থায়ী রুপ নিয়েছে।৫ইমের সহিংসতায় বিভিন্ন মিডিয়া হেফাজত কর্মিদের মৃতের যে পরিসংখ্যান দিছ্ছে তা এখনো পরিস্কার নয় তবে তা যে বেরিয়ে আসবে তা নিশ্চয় করে বলা যায়। উভয় পক্ষের রাজনৈতিক সমীকরণেই এই সহিংসতার উপাদান উপস্থিত।অনেকে বলছেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবির সুবিধা হবে ভেবে ১৮-দলীয় জোট দৃশ্যত এই হানাহানিকে উৎসাহিত, এমনকি উসকে দিয়েছে তা যদি হয় তাহলে বলতে হবে বিএনপি অদূরদর্শিতার পরিচয় দিয়েছে।আর হেফাজতের ভিতর কারা ঢুকে এই হত্মাযজ্গ চালালো তা বেরিয়ে আসার প্রয়োজন রয়েছে। এ ধরনের প্রচেষ্টা ও হানাহানিকে সরকারি বা বিরোধী জোট কারো জন্যই কল্যান বয়ে আনবেনা।পতন ঘটানোর যে রেওয়াজ শুরু হয়েছে তা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।যে কোন দল ক্ষমতায় আসুক তাদের অঙিকার করে আসতে হবে তারা জন গনের জন্য ৫ বছর সততার সাথে কাজ করবে।তারা যদি সৎ হয় হরতালের মত কালো মেঘ থেকে জাতি রেহাই পাবে।হরতালের জন্য সব সরকারকে দায়ি করছি।কোন ঠুনকো বিষয় নিয়ে হরতাল ডাকা যেন না যায় তার জন্য আইন পাস করতে হবে।আর বিরোধী দলকে সংসদে গিয়ে সংসদকে কার্যকরি করবে ও তাদের দাবি দাওয়া আদায় করবে।এ রীতি অবলম্বন না করলে জাতির মাথার উপর দুর্যুগ আসতেই থাকবে।সমঝোতার মাধ্যমে মুক্ত ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দিকে শান্তিপূর্ণ রূপান্তর ঘটানোর বন্দোবস্তে করেই পৌঁছতে হবে।

বিরোধী দলের মনে রাখা উচিত, ১৯৯১ সালে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার পর থেকে বিএনপির নেতৃত্বাধীন দুটি এবং আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন একটি মিলে মোট তিনটি সরকারই নির্বাচনের মাধ্যমে অর্জিত ক্ষমতার বৈধতা নিয়েই যার যার মেয়াদ শেষ করেছে। সরকার পতনের বড় বড় আন্দোলন চলা সত্ত্বেও মেয়াদের আগে তাদের কারোরই পতন হয়নি। মেয়াদের আগেই নির্বাচিত সরকারের উচ্ছেদ চাওয়ার মাধ্যমে বর্তমান বিরোধীদলীয় জোট কার্যত এমন এক বিপজ্জনক দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চাইছে, যা ভবিষ্যতের সরকারগুলোকে ক্ষমতাসীন হওয়ার প্রথম দিন থেকেই অস্থিতিশীলতার হুমকির মুখে ফেলতে পারে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগেরও বিএনপির ১৯৯৫-৯৬ এবং ২০০৬-০৭-এর অভিজ্ঞতা থেকে শেখা উচিত। বৈধ পন্থায় ক্ষমতায় ফিরে আসার বাসনা আওয়ামী লীগের থেকে থাকলে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপিকে অংশগ্রহণমূলক মুক্ত ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে পরাস্ত করার মাধ্যমেই তাদের সেই আশা পূরণের বাসনা রাখা উচিত। এ অবস্থায় সরকারের উচিত নির্দলীয় অন্তর্বর্তীকালীন/তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের যে আশু ও সমাধানযোগ্য চ্যালেঞ্জ হাজির হয়েছে, সবকিছুর আগে তার বিহিত করা। আর দেরি না করে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর উচিত আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে উভয় পক্ষের কাছে গ্রহণযোগ্য সুনির্দিষ্ট নির্বাচনী বন্দোবস্ত প্রণয়ন করা; এবং এর উদ্যোগ নিতে হবে সরকারি দলকেই।বিএনপিরও উচিত এ ধরনের যেকোনো আলোচনার আহ্বানে বিনা শর্তে সাড়া দেওয়াকেই অগ্রাধিকার হিসেবে সাব্যস্ত করা। একমাত্র এ ধরনের সংলাপের মধ্য দিয়ে গিয়েই বিরোধী দলের পক্ষে সরকারের সত্যিকার অভিপ্রায় সম্পর্কে স্পষ্ট হওয়া সম্ভব। এরপর বিরোধী দলও তাদের চূড়ান্ত পদক্ষেপের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম হবে।এক দল আর দলকে শাসানোর যে মনোভাব তৈরি হয়েছে আগামি নির্বাচনের আগে তাদের পরিশুদ্ধ করা জরুরি মনে করছি।সূরা আল আম্বিয়ার ১০৫ আয়াতে আল্লাহ বলেন,'আমরা যবুর গ্রন্থে লিখে দিয়েছি যে,দেশটা-এটাকে উত্তরাধিকারি করবে আমার সৎকর্মি বান্দারা।' অনেকে ভাবতে পারেন গনতন্ত্র তো আল্লাহর পথ নয়।যেহেতু মানুষ এ পছন্দ করেছে সেখানে ও মন্দের ভাল আছে।এদের মধ্যে যারা বিপর্যয় সৃষ্টি করবে আল্লাহ তাদের মধ্যে যারা ভাল তাদেরই রাষ্ট্র ক্ষমতা দান করবেন।

সুতরাং আমাদের চেয়ারপার্সন গন সংকটের এই সন্ধিক্ষণে উভয়ে মিলে যদি গঠনমূলক পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হন, তাহলে আমাদের গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা অপরিমেয় ঝুঁকির মুখে পড়বে ও জাতিকে বরন করতে ভয়াভহ দূরবস্হার।

বিষয়: বিবিধ

১২৫০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File