যারা বলে আল্লাহ ছাড়া কোন মা'বুদ নেই তাদের উচিত সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধে এগিয়ে আসা।

লিখেছেন লিখেছেন মহিউডীন ১৩ মে, ২০১৩, ০৪:০২:৫৪ বিকাল

প্রতিটি মুসলিম মুসলমানিত্ব লাভ করে ও অমুসলিম মুসলিম হয় "লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ" অর্থাৎ আল্লহ ছাড়া সত্য কোন মা'বুদ বা সৃষ্টিকর্তা নেই,কোন রিজিকদাতা নেই - এই কালিমাটি পাঠ করে।এই কালিমাটি এমনকি শিশুদেরও মুখস্ত থাকে।যা দিয়ে ঈমানকে শক্ত করা হয় ও ঈমানের স্বাধ গ্রহন করে তা কি শুধু এই বলার মধ্যেই সীমাবদ্ধ? এর কি কোন উদ্দশ্য নেই? মা'বুদ শব্দের প্রকৃত অর্থ হলো যার ইবাদাত করা হয়।মুসলিমরা যার ইবাদাত করে তিনি হলেন সত্য মা'বুদ অর্থাৎ আল্লাহ। একজন মুসলিম ইসলমের অন্তর্ভুক্ত।ইসলাম হলো শান্তি আর মুসলিম হলো যে ইসলামের কাছে মাথা নত করে দিয়েছে।সূরা আলিমরানের ১৯ আায়াতে আল্লাহ বলেন,'নিসন্দেহে আল্লাহর কাছে ধর্ম হলো ইসলাম।' ধর্ম একটি বিশ্বাসের ব্যাপার।আল্লাহ এই আসমান ও জমিন ও তার ভিতরে যা আছে সবই সৃষ্টি করেছেন ও তার পর আরশে অধিষ্ঠিত হয়েছেন।সূরা সেজদার ৪ আয়াতে আল্লাহ বলেন,'আল্লাহ তিনি যিনি মহাকাশমন্ডলি ও পৃথিবী ও এ দুয়ের মধ্যে যা আছে তা সৃষ্টি করেছেন ছয় দিনে তার পর তিনি অধিষ্ঠিত হলেন আরশে।সেই আরশ থেকে তার ইলম ও ক্ষমতার দ্বারা তিনি তার সাম্রাজ্য নিয়ন্ত্রন করেন। মানুষকে তিনি আশরাফুল মাখলুকাত বা শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি হিসাবে আমাদের আদি পিতা-মাতা আদম ও হাওয়া আ: এর মাধ্যমে রোজ ক্কিয়য়ামত পর্যন্ত বংশ বিস্তারের ব্যবস্হা করেছেন যা সূরা আ'রাফের ১১-২৫ আ্য়াত পর্যন্ত এক বিস্তৃত বর্ননা দিয়েছেন।তিনি শুধু মানুষকে সৃষ্টি করেই ছেড়ে দেন নি।তার সাথে যুগে যুগে আসমানি কিতাব ও তার প্রশিক্ষনের জন্য মানুষের মধ্য থেকে নবী ও রাসূল পাঠিয়েছেন যে তারা মানুষের চলার পথকে সহজ করে দিতে পারেন।আর মানুষকে এই জীবনের একটা নির্দিষ্ট সময় স্বাধীনতা দিয়েছেন যেন আখেরাতে তার হিসাব নিতে পারেন।সূরা মুলকের ২ আয়াতে আল্লাহ এর কারন হিসেবে বলেন,'তিনি মৃত্যু ও জীবন সৃষ্টি করেছেন যেন তোমাদের যাচাই করতে পারেন তোমাদের মধ্যে কে শ্রেষ্ঠ।'

আল্লাহ এই উম্মতকে শ্রেষ্ঠ উম্মত বলেছেন।এই উম্মত আসার আগে বনি ইসরাইলকে শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছিলেন কিন্তু তারা তাদের পাপের কারনে তাদের শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রাখতে পারেনি।তার পর এই ফযিলত দান করেছেন শেষ নবী মোহাম্মদ সা: এর উম্মতদের।এই উম্মতকে কেন শ্রেষ্ঠত্ব দিলেন? তাদের রুপ চেহারা দেখে নয়,জাতীয়তার ভিত্তিতে নয়,বর্নের ভিত্তিতে নয় বরং শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছেন আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্যের কারনে।সূরা হাশরের ২১ আয়াতে আল্লাহ মানুষের কুরআন গ্রহনের দায়িত্বকে সম্মানিত করেছেন এভাবে যদিও মানুষের একটি শ্রেনি আজ জাহেল হয়ে গিয়েছে,'আমরা যদি এ কুরআনকে কোন পাহাড়ের উপর অবতীর্ন করতাম তাহলে তুমি দেখতে পেতে আল্লাহর ভয়ে তা নুয়ে পড়েছে ,ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে।' সমস্ত সৃষ্টি জগতকে বলা হয়েছে এই কুরআন গ্রহন করার জন্য কেউ রাজি হয় নি কিন্তু মানুষ তা গ্রহন করে সম্মানিত হয়েছে।তাহলে যে মানুষ সম্মানিত সে আবার অধম হয় কি করে? সূরা আ'রাফের ১১ আয়াত থেকে বলা হয়েছে,আল্লাহ আদম আ: কে সৃষ্টি করে সমস্ত ফেরেস্তাদের সেজদা করতে বললেন।তারা সবাই সেজদা করলো কিন্তু ইবলিশ করলোনা।আল্লাহ তাকে পথভ্রষ্ট করলেন ও সে আল্লাহর কাছ থেকে অঙিকার করলো ক্কেয়ামত পর্যন্ত তাকে হায়াত দেয়ার জন্য যাতে সে মানুষকে পথ ভ্রষ্ট করতে পারে।সে মানুষের সামনে ,পিছনে ,ডানে ,বাঁয়ে থেকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে কিন্তু আল্লাহর অনুগত বান্দাদের উপর তার কোন ক্ষমতা নেই।কাদের ক্ষতিগ্রস্ত করবে? সূরা আহযাবের ৭২ আয়াতে আল্লাহ বলেছেন মানুষের একটি শ্রেনী এই কুরআনকে অস্বীকার করেছে যারা অত্যাচারি ও বড় অজ্গ,'

সেজন্য দেখা যায় সারা দুনিয়ায় মানুষের একটি শ্রেনি জালেম ও অজ্গ হিসেবে অত্যাচার ও অবিচারে নিমজ্জিত হয়ে আছে।পৃথিবীর কোন মুসলিম দেশেই ইসলামি শরিয়ার শাসন নেই একমাত্র সৌদি আরব ছাড়া।এখানে ইসলামের মুল বিষয়গুলো বর্তমান।খোলাফায়ে রাশেদার পর রাজতন্ত্র আসলেও সাহাবাগন ,তাবেঈগন ও তাবে-তাবেঈগন কুরআন ও ছহি সূন্নাহ চর্চার মাধ্যমে শরিয়তের বিধি বিধান শিক্ষা দিয়েছেন মানুষদের।কোন রাষ্ট্রশক্তির লোভ লালসা তাদের কাজ করেনি।ঈমাম আবু হানিফা (র) এর জন্ম ৮০ হিজরিতে।তার পরও ৩ জন প্রখ্যাত ঈমাম সমাজকে দিক নির্দেশনা দিয়েছেন।উমায়্যা শাসনের শেষ দিকে ও আব্বাছিয় শাসনের প্রথম দিকে দু'বারই তাকে প্রধান বিচারপতির আসন অলংকৃত করতে বলা হয়েছিল কিন্তু তিনি প্রত্যাখ্যান করেছিলেন কারন তারা আল্লাহকে ভয় করতেন ও ক্কেয়ামতের হিসাব নিকাশকে ভয় করতেন। তারা তাকে কারাগারে নিক্ষেপ করেছিলেন।তাদের অনুসারি অনেক ঈমাম ও মুহাদ্দিস তাদের পরে দ্বীনের সম্প্রসারন করেছিলেন সূন্নাহে আমলের ভিত্তিতে।ঈমাম বুখারি ও মুসলিম ও তাদের সমসাময়িক মুহাদ্দিসিন গন সমাজে ইসলামের কাজ করে গেছেন।আমরা সেই হাজার বছরের ইতিহাসে তো ইসলামের পদস্খলন দেখিনি।ইসলামের পদস্খলন শুরু হয়েছিল ঈমামদের মৃত্যুর ৩/৪ শ বছর পর মাযহাবকে কেন্দ্র করে।মুসলমানরা তাদের জ্গান যখন কমতে থাকলো ও ছহি সূন্নাহ থেকে দূরে সরে গেল তখন শয়তান তাদের উপর সওয়ার হলো। আমাদের ভারত উপমহাদেশে মুসলিমদের অবস্হা কি? ইংরেজদের ১৯০ বছরের রাজত্বের সময় তারা তাদের শাসনকে বলবৎ করার কারনে মুসলমানদের মধ্য থেকে এক ধরনের কবর পুজারিদের ব্যাবহার করলো যারা ইসলামকে ক্ষতবিক্ষতই করলো না , ইংরেজদের দ্বারা ছহি আক্কিদার উলামাদের হত্যা করা হয়েছিল।

তাদের " ডিভাইড আন্ড রুল" এই নীতির ভিত্তিতে শাসন শুরু হলে হিন্দুরা সবচেয়ে বেশি সুবিধা গ্রহন করলো।কারন মুসলমানরা ছিল তাদের শক্রু। আর মুসলমানদের মধ্যে ইংরেজি শিক্ষার অনমনিয়তার কারনে তারা পশ্চাদপদ হয়ে গেল।প্রকৃত ইসলামের যায়গায় প্রবেশ করলো শির্ক ও বিদাআত।মুসলিমদের মধ্যে গ্রুপ ও বিভক্তি আনা হলো।যে দু'জনকে তারা ব্যবহার করলো তারা হলো আহম্মদ রেজা খান (কবর পুজারি) ও গোলাম আহম্মদ (যে নবী দাবি করেছিল)। প্রধান দলগুলো হলো এক- দেওবন্দি যার পুরহিত রশিদ আহমেদ গাঙুহি , দুই-বেরুলেবি যার পুরহিত আহম্মদ রেজা খান,তিন-ইলিয়াসি তাবলিগ যার পুরহিত মাউলানা ইলিয়াস,চার- মওদুদি জামাত যার পুরহিত আবুল আলা মাওদুদি, পাঁচ ক্কাদিয়ানি যার পুরহিত গোলাম আহম্মদ ও বিভিন্ন তরিকতের পিরতন্ত্র।এ সমস্ত দলগুলোর সবই ভারতে উৎপত্তি।প্রতিটি দল ইসলামকে ব্যাবহার করে তাদের কিতাবে শির্ক ও বিদাআত দিয়ে লাখ লাখ মানুষকে ইসলামের নামে পথ ভ্রষ্ট করা হয়েছে ও হছ্ছে।

ইসলামের কাজই হলো মানুষকে ভাল কাজের আদেশ ও খারাপ কাজ থেকে বিরত রাখা।প্রথমত এটা প্রেত্যেকটি মুসলিমের দায়িত্ব।এই দায়িত্ব পালনে ক্ষমতার সীমাবদ্ধতা আছে।সরকারের যেমন ক্ষমতা সে রকম ক্ষমতা কোন ব্যাক্তির নয়।ইসলামিক শরিয়ার দ্বারা দেশ শাসিত হলে রাষ্ট্রের দায়িত্ব ইসলামের আঙিকে দেশ শাসন করা।সূরা হজ্জের ৪১ আয়াতে আল্লাহ বলেন,'আমরা যদি তাদের পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠা করি তাহলে তারা নামাজ কায়েম করবে,যাকাত আদায় করবে,সৎ কাজের আদেশ করবে ও অসৎ কাজ থেকে বিরত রাখবে।' এগুলো হলো ইসলামি শরিয়ার শাসকদের কাজ।যদি ইসলামি সরকার না থাকে তাহলে মুসলিমদের দায়িত্ব হলো ইসলামের মৌলিক বিষয়গুলো ব্যাক্তি ও পরিবারে পালন করা ও সাথে সাথে সমাজে প্রচার করা।এই পরিস্হিতিতে কাউকে ইসলামের কোন ব্যাপারে জোর জবরদস্তি করা যাবে।যেখানে বিভিন্ন ধর্মের বাস যে যার ধর্ম পালন করবে।প্রচার সম্প্রচার করবে কিন্তু কেউ কাউকে তাদের ধর্ম পালনে অন্যকে জবরদস্তি করবে না।কেউ যদি কোন ধর্মের প্রতি বুঝেশুনে ধর্মান্তরিত হয় সেটা যার যার ব্যাপার।এ ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের কাজ হলো প্রতিটি ধর্মের সুরক্ষা দেয়া।কোন মুসলিম যদি ঘোষনা দেয় আল্লাহ ছাড়া কোন মা'বুদ নেই,তার পক্ষে কখনো সম্ভব নয় সে ইসলাম বিরোধি কাজ করবে।এখানেই কালিমা লা ইলাহার তাৎপর্য।আজ যে সামাজিক অনাচার তার কারন হলো মুসলিমরা ইসলাম সম্পর্কে বা ইসলামের আঙিনা থেকে অনেক দূরে।পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে যারা ইসলামি হুকুমাত কায়েম করতে চায় গনতন্ত্রের আওতায় এটা তাদের এক ধরনের মুর্খতা।এটা ইসলামের পথ নয়।এটা হলো ক্ষমতার লোভ।ইসলামের ইতিহাসে দেখা যায় যাদের দ্বারা ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হয়েছে সে মুসলিমরা ছিল একতাবদ্ধ ও কুরআন ও সূন্নাহর চরিত্রে বলিয়ান।বর্তমানে যারা নেতৃত্ত দিছ্ছে তাদের ইসলামি চরিত্র নেই।আর দেশ শাসন করার মত যে প্রজ্গা দরকার সে ধরনের লোকের অভাব।

বাংলাদেশের মত দেশে যেখানে ইসলামের এতগুলো দল , কুরআন ও ছহি হাদিসের কোন ভিত্তির উপর থেকে তারা বিভক্ত হয়েছে তা আমার জানা নেই।ইসলামে কোন বিভক্তি নেই।সূরা আন'আমের ১৫৯ আয়াত ও সূরা রুমের ৩২ আয়াতে আল্লাহ বলেছেন ইসলামকে যারা বিভক্ত করবে তাদের কোন দায়িত্ব নেই তার রাসূলের।আর ইসলামের বাইরের দলতো হিসাবের বাইরে যা মানবরচিত বিধানের অন্তর্ভুক্ত।সুতরাং প্রকৃত ইসলামকে বুঝতে হলে রাসূল সা: এর ২৩ বছরের নবুওতি জীবন ও ইসলামের তিনটি সোনালি যুগকে অবলম্বন করতে হবে।ইসলামকে রক্ষা করার দায়িত্ব আল্লাহর।মানুষকে চলতে হবে রাসূল সা: এর আদর্শ অনুসারে।এখানে ইমোশনের কোন ব্যাপার নেই।আল্লাহ ও রাসূল সা: কে যারা কটাক্ষ করবে মুসলমান মাত্রই অন্তরে বিদ্ধ হবে।তাই বলে ইমোশনাল হয়ে ধ্বংসাত্মক কাজে অংশগ্রহন করা যাবে না।আমাদের দেশে যেহেতু ইসলামের সরকার নেই সেহেতু যারা ইসলাম ভাবাপন্ন তাদের উচিত একতাবদ্ধ হওয়া ও ইসলামের কাজ করা।আমাদের ২% মুসলমান এখনো শরিয়তের ব্যাপারগুলো জানেনা।তারা যে ইবাদাত করছে তা শির্ক ও বিদাআত মিশ্রিত।আলেম সমাজের কাজ সরকারের সাথে সহযোগিতার মাধ্যমে যতটুকু দাবি দাওয়া আদায় করা যায় তা আদায় করে মানুষকে প্রশিক্ষিত করা।তাদের মনে রাখতে ফাসেক সরকার গুলো সব সময় ইসলাম পরিপন্থি কাজ করে।এর জন্য ইসলামের জনমত তৈরি করে তাদের সাথে ইস্যুগুলো নিয়ে বসতে হবে।এমন আবদার করা যাবে না যাতে মানুষকে মুল্য দিতে হয়।সরকারের ক্ষমতা আর সাধারন মানুষের ক্ষমতা এক নয়।ইসলাম প্রতিষ্ঠার নামে জামাতে ইসলামে এ যাবত কত মানুষের মৃত্যু হয়েছে ও জান মালের ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে ও হছ্ছে তা তাদের ভেবে দেখতে হবে।ইসলামের আলোকে আখেরাতে এর কি জবাবদীহি তা যদি না ভাবা হয় তাহলে যুগ যুগ ধরে এর দায় দায়িত্ব বহন করতে হবে।হেফাজতে ইসলাম যে কাজটি করেছে তাতে তাদের প্রজ্গা ছিল কিনা তাদেরও ভাবা উচিত।সরকার এসেছে জন গনের কল্যান সাধন করার জন্য।যদি তারা বিপরিতমুখী কাজ করে জন গন অবশ্যই তাদের দাবি দাওয়া পেশ করবে।এই দাবি পেশ করার মধ্যে জন গনের যেমন সহনশীলতা থাকবে তেমনি সরকারের ও আন্তরিকতা থাকবে।আর সরকারেরই উচিত তাদের মর্যাদা রক্ষায় সমস্যাগুলোর সমাধান করা।কোন মানুষকে হত্মা করার অধিকার আল্লাহ মানুষকে দেন নি।এখানে সরকারের প্রজ্গাহীন নীতি যে নিয়েছে তা জাতি লক্ষ্য করেছে।সরকারের কোন কোন মন্ত্রি উছৃংখল কথা বলে সরকারেরই ক্ষতি করেছে।এ ক্ষেত্রে মাননীয় প্রধান মন্ত্রির নীরবতা সম্মতির লক্ষনই মনে হয়েছে। সরকারের যে সমঝোতা করার দরকার ছিল তা না করে সাধারন মানুষের উপর যে পাশবিক অত্যাচার করা হয়েছে তার জন্য তাদের এ জীবনে তো মুল্য দিতে হবে বাকী জীবনে তো আল্লাহই ভাল জানেন।আর হেফাজতকে আল্লাহ এ রকম দায়িত্ব দেন নি যে জোর করে দাবি আদায় করতে হবে।এ জীবন যেহেতু পরীক্ষার যায়গা ইসলামের আলোকে আমাদের সকলকে এগিয়ে যেতে হবে।যদি তা না করা হয় তাহলে আরো মুল্য দিতে হবে ও ইসলামকে এভাবে ক্ষতবিক্ষত করা হবে।

সমজোতার কোন বিকল্প নেই। আমদের অর্থনীতি এখন চরম ধ্বসের দিকে।সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলোকে হানাহানি বন্ধ করে জাতির কল্যানে এগিয়ে আসতে হবে।আমাদের উপর একটার পর একটা বিপর্যয় আমাদেরই কর্মের ফল।সাংবাদিক জনাব মাহফুজুল্লাহ এক টক শোতে আক্ষেপ করে বলেছিলেন,এ বিপর্যয় কেন আমাদের মত প্রভাবশালী মানুষদের উপর আসে না।আসলে এ বিপর্যয় গুলো আমাদের অনেক শিক্ষা দেয় কিন্তু আমরা সে শিক্ষা গ্রহন করতে বার বারই ব্যার্থ হছ্ছি।এই ব্যার্থতাগোলো যতই বেড়ে যেতে থাকবে আমরা অপেক্ষা করবো আরো বড় বিপর্যয়ের।আমাদের সরকার গুলোর অচিরেই বোধদয় হউক সে প্রত্যাশা জাতির।

বিষয়: বিবিধ

১৮৮১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File