একতা দাঁড়াতে সহায়ক আর বিভক্তিই বিনাশ।
লিখেছেন লিখেছেন মহিউডীন ১১ মে, ২০১৩, ০৬:৩৩:৫৮ সন্ধ্যা
ইংরেজির এই প্রবাদ কার না জানা।একতা দাঁড়াতে সহায়ক আর বিভক্তিই বিনাশ।সূরা আনাআমের ১৫৯ আয়াত ও স্পষ্টভাবে বর্ননা করেছে,'নি:সন্দেহে যারা তাদের ধর্মকে বিভক্ত করেছে ও বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়েছে তাদের জন্য তোমার কোন দায়িত্ব নেই।তাদের ব্যাপার আল্লাহর কাছে,তিনিই তাদের জানাবেন যা তারা করে চলত.' এই আয়াত স্পষ্ট হওয়ার পরও কিভাবে ইসলামের দল তৈরি হলো তা আমার জানা নেই।তবে এটা যে ঘটেছে বিধর্মিদের অনুসরন করে ও দুনিয়ার স্বার্থে তা বুঝতে কোন অসুবিধা নেই।যারা ইসলাম ধর্মকে অনুসরন করে না অথচ মুসলমান তাদের প্রতি আমার কোন অভিযোগ নেই কারন তারা ইহুদি খৃষ্টানদের অনুসরন করছে যা সূরা ফাতিহার শেষ দু'টো আয়াতে আল্লাহ বলেছেন মুসলমানদের মধ্যে এ দু'ভাগ আছে।এরা মুসলিম বলে দাবি করলেও তাদের পরিনতি ভোগ করতে হবে ইহুদি ও খৃষ্টানদের মতই। আমাদের জীবন তিল তিল করে পেরিয়ে যাছ্ছে।একটি দিন যায় আর আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করি।এ সংকট ও দুরবস্হা আমরা ও আমাদের পূর্ব পূরুষেরা তথা ৯০% জন গন দেখে দেখে অভ্যস্হ হয়ে গেছে।একটা দরিদ্র দেশ হিসেবে পরিচিত দেশের মাঠে ঘাটে এখনও কৃষকদের পুরো শরিরে পোষাকের ব্যবহার দেখা যায় না।কারো কারো ছদরটা ঢাকার কাপড়টা সংগ্রহ করা কঠিন।সেই দেশে নব্য ধ্বনীদের যে অবস্হান স্বাধীনতার পর থেকে তৈরি হয়েছে ও হছ্ছে তা এই জ্বরাজীর্ন , ক্ষুধাতুর মানুষগুলোর রক্তে অর্জিত আয় থেকে শোষন করেই হছ্ছে।তারা সমাজের বৃহৎ অংশ অবিরাম তাদের দায়িত্ব পালন করে যাছ্ছে আর তাদেরই শ্রম থেকে অর্জিত আয় শোষক শ্রেনি হাত বদলের মাধ্যমে দেশে বিদেশে তাদের বংশধরদের জন্য দীর্ঘ জীবনের আয়েশের আয়োজন করছে যাতে তারা বংশ পরম্পর নেতৃত্ব দিয়ে যেতে পারে।যারা রাজনীতির কথা বলে,দেশের উন্নয়নের কথা বলে এটা আসলে বুর্জুয়া ও সমাজপতিদের মানুষকে শোষনের একটা হাতিয়ার।অনেকে এগুলো বুঝে আবার অনেকে না বুঝে জীবনের স্বপ্ন দেখার জন্য ছুটে বেড়ায় এদের পিছনে।সমাজের এই নিতান্ত সহজ সরল মানুষগুলো যখন নিষ্পেষিত হয় তখন আমাদের অনেকের টনক নড়ে কিছু সময়ের জন্য আবার কিছু পরে হাওয়ায় মিলিয়ে যায়।
সূরা আ'রাফের ৩৪ আ্য়াতে আল্লাহ বলেন,'আর প্রত্যেক জাতির জন্য রয়েছে এক নির্ধারিত কাল,কজেই যখন তাদের নির্ধারিত কাল এসে পড়ে তখন তারা দেরি করতে পারে না ঘন্টাকাল আর তারা এগিয়ে ও আনতে পারবেনা ' মৃত্যু আমাদের জন্য নির্ধারিত হয়েই আছে।এটা বিশ্বাসিরাই বেশি বুঝতে পারে।এই বিশ্বাসের আবার শ্রেনি বিন্নাস ও আজকাল চোখে পড়ে।একজন মুসলিম বিশ্বাসির কাজ হলো আল্লাহ ও তার রাসূল সা:কে বিশ্বাসের সাথে সাথে তাঁর প্রেরিত বিধানের কাছে মাথা নত করা যা সূরা মু'মিনের প্রথম ১০টি আয়াতে বর্ননা করা হয়েছে।আমাদের দেশে ৯২% মুসলিমের মধ্যে ২% নিয়মিত নামাজ কায়েম করে কিনা তা পর্যালোচনার ব্যাপার।রাসূল সা: বলেছেন,' মুসলিম ও কাফেরের মধ্যে পার্থক্য হলো নামাজ।তাহলে মুসলিম যারা নামাজ কায়েম করেনা তারা নিশ্চয়ই কাফেরের ভাই এই হাদিস অনুসারে।ইসলামকে নিয়ে আমাদের অনেক তথাকথিত বুদ্ধিজীবি যাদের জীবনের কোন ক্ষেত্রেই ইসলামের প্রাধান্য নেই তারাও যখন ইসলাম সম্পর্কে কটুক্তি করেন তাদের নিশ্চয়ই বলা উচিত অনুগ্রহ করে ইসলামকে জানুন কুরআন ও ছহি হাদিস পড়ে।বিদাআতিদের কাছ থেকে ধার করে কথা বলে আপনারা নিজেদেরই ক্ষতি করছেন।সারাটা জীবন আল্লাহর বিরোধিতা করে মৃত্যুর পর যখন সেই আল্লাহর পথে এদের দাফন সম্পন্ন হয় তখন সবার মনেই প্রশ্ন জাগে এর কারন কি? ইসলাম তো এসেছে জীবনের উৎকর্ষ সাধনের জন্য।একটি মানুষ শিশু হয়ে জন্ম নিয়ে জীবনের ২০/২২ টি বছর বাবা মা'র আশ্রয়ে বর্ধিত হয়।এর পর যখন আয় রোজগার করতে শিখে তখন সেই বাবা মাকে তো ভুলে সাথে সাথে তার রবকেও ভুলে যায়।এই ভুলে যাওয়ার পিছনে যে জিনিসটি কাজ করে তা হলো তার লালন পালনে দুর্বলতা।রাসূল সা: বলেছেন,'প্রতিটি মানুষ জন্মায় প্রকৃতির দয়ায় আর তার পিতা মাতা তাকে ইহুদি খৃষ্টানে পরিনত করে।' আমাদের মুসলিম সমাজকে পর্যালোচনা করলেও খুব সহজে অনুমান হয় অধিকাংস পরিবারে ইসলামের কোন চর্চা নেই।আর সন্তানদের লালন পালনও হছ্ছে ইহুদি খৃষ্টানের অনুসরনে।
বিগত ৪১ বছর মনে হছ্ছে গোটা জাতি এই দেশকে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে লিজ দিয়ে দিয়েছে যে যখন আসবে তাদের মত করেই দেশ শাসন করবে।জনমতের সময় যে যার মত করে জন গনের কাছে উপস্থিত হয়।জনমত শেষ হলে আর তাদের ৫ বছরের জন্য মানুষ দেখে না।একজন গ্রামীন একবার এভাবেই তার কথা বলেছেন,'আন্ডা ভোট আইলে হেতারগলাই জান দেই আর হেতারা ভোট শেষ ঐলে চামচাগ চিনে আমগ চিনে না।" এই রাজনৈতিক দলগুলোর চরিত্র এক ও অভিন্ন।তাদের একে অন্যের সাথে সখ্যতা বিদ্যমান।হরতাল ,বিক্ষোভ বা অবরোধ তাদের রাজনৈতিক হাতিয়ার।আর এর জন্য ব্যবহৃত হয় খেটে খাওয়া মানুষগুলো।পর্যালোচনা করে দেখবেন যারা মরে যাছ্ছে তাদের মধ্যে উপরের শ্রেনীর কোন নেতা নেই।তারা মিডিয়ায় বসে বসে আদেশ করছে আর পঙপালের মত নির্বোধ সাধারন মানুষগুলো মিৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাছ্ছে।কোরআন এদের ব্যাপারে সূরা আহযাবের শেষে কঠিন জাহান্নামের আযাবের ঘোষনা দিয়েছে।প্রত্যকটা বিভক্ত দলে তাদের কিছুটা একতা কাজ করছে কিভাবে একে অন্যকে পরাস্ত করবে।এর পিছনে রয়েছে সিংহাসন দখল।একবার জাতীয় সংসদে যেতে পারলে জীবনের জন্য কামিয়াব, এমনকি দু'চার পুরুষ খেয়ে পরে বাঁচতে পারবে।হায় নির্বোধ! যদি সে জানতো তার পরিনতি কি হবে কখনো সেখানে যাওয়ার চিন্তাই করতোনা।এটা কতবড় দায়িত্বের ব্যাপার যা রাসূল সা: এর হাদিস থেকে জানা যায়।আবু জর রা: একদিন সহজ সরলভাবে রাসূল সা:কে একটি পদ দেয়ার জন্য বললে রাসূল সা: বলেছিলেন ,হে আবুজর এটা বড় দায়িত্বের ব্যাপার।তুমি দুর্বল,কেয়ামতের দিন এ দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন না হলে তাকে নাজেহাল হতে হবে।
আমাদের সামনে কোন সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।সাভার ট্রাজেডির পর জাতি স্তম্ভিত হয়েছে কিন্তু আমাদের রাজনীতিতে এর কোন প্রভাব আমরা লক্ষ্য করিনি।কারন তাদের কাছে এ রকম বিপর্যয় সাধারন।এখানে যাদের মৃত্যু হয়েছে তারা সমাজের এমন শ্রেনী যাদের কোন শক্তি নেই।আর তাদের কোন একক গোষ্ঠীও নেই যারা তাদের সাহায্য করবে।আমরা যারা আছি,তাদের হৃদয় নিংড়ানো কথা লিখে যাছ্ছি শুধু এতটুকু প্রবোধ দেয়ার জন্য যে , আল্লাহ যদি প্রশ্ন করেন তুমি তোমার কি অবদান রেখেছিলে? হয়ত সেদিন এ কাজ কিছুটা সহায়ক হবে এই আশায়।হেফাজতে ইসলামের উপর রাষ্ট্রের যে হামলা তা কতটা নেক্যারজনক তা আন্তর্জাতিকভাবে প্রমানিত হয়েছে।সরকারের কাছে সব মানুষের অধিকার রয়েছে তাদের দাবি দাওয়ার।জন গন সরকারকে সংসদে পাঠিয়েছে তাদের কল্যানের জন্য।তারা তো জন গনের জীবনকে অতিষ্ঠ করছে তার উপর মানুষ হত্যা করে তারা প্রমানিত করছে তারা মানুষের প্রতিনিধি নয়।সব সরকারের সময়ই এটা প্রতিবিম্বিত হছ্ছে।গত ৬ই মে মধ্যরাতে যে হুন্কার দিয়ে সাধারন মানুষের উপর সরকার ঝাঁপিয়ে পড়েছে এতে প্রমান করছে বিজাতীয়দের সময়েও মানুষ ভাল ছিল।এ গনহত্যা কেন করা হলো? বিভিন্ন মিডিয়ার মন্তব্য থেকে যা পাওয়া যায় তা ছিল ইসলামের বিরুদ্ধে এক ধরনের অস্ত্র নিক্ষেপ।প্রথমে বলবো,হেফাজত যে দাবি করেছে সরকারের কাছে তা অপাত্রে কন্যা দানের মত।ইসলামের ১০০০ বছরের ইতিহাসে মুহাদ্দিছিন গন কিভাবে ইসলামের প্রচার সম্প্রচার করেছিলেন তা হয়ত তাদের জানা নেই।মানব রচিত গনতান্ত্রিক যে সংবিধান ও তার পিছনে যারা কাজ করছেন তাদের সিংহভাগ ইসলাম বিদ্বেষি।আর গন তন্ত্রের আবরনে ইসলামের মোড়ক দেয়া কিভাবে সম্ভব? যারা এই গনতন্ত্রের ভিতরে ইসলামের স্বপ্ন দেখে তারা বোকার স্বর্গে বাস করছে।রাজতান্ত্রিক ব্যবস্হায় যেখানে ইসলামের মৌলিক অনেক দিক রয়েছে সেখানেও কোরান ও সূন্নাহর আলেমগন ইসলামের পথে হাঁটছেন।ইসলামকে ক্ষত বিক্ষত করছেন না।আলাপ আলোচনার মাধ্যমে যতটা সম্ভব আদায় করে নিছ্ছেন।আর হেফাযত হঠাৎ করে তাদের যে দাবি নিয়ে সাধারন এই এতিম মানুষগুলোকে মৃত্যুর মুখামুখি করলো তার দায় নিতে হবে? আর যারাই হত্যা করলো তারা তো ক্ষমতাশীন, কোন উপায় নেই আল্লাহর কাছ থেকে ফসকে যাওয়ার।কোন আন্দোলন সংগ্রাম করতে হলে যে প্রজ্গা থাকা দরকার তা হেফাজতে ছিল না।ইসলামি আন্দোলন করার মত সে মানুষ জাতি এর আগে দেখে নি।রাসূল সা: ১৩ বছর মক্কায় মানুষ তৈরি করেছিলেন।ক্কাবায় ৩৬০টি মূর্তি সমানে রেখে নামাজ আদায় করেছিলেন।দীর্ঘ পর মদিনায় ইসলামি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন।দশ হাজার সাহাবি নিয়ে মক্কা বিজয় করেছিলেন।যারা ইসলামের ঘোর শক্রু ছিল তাদের মাপ করে দিয়েছিলেন।আজকের মুসলমানরা নামাজ পড়ে না কিন্তু আল্লাহ ও রাসূলের নামে কটুক্তি হলে জীবন দিতে প্রস্তুত।এটার নাম ইসলাম নয়।রাসূল সা:কে ভালবাসার অর্থ হলো তার যথা যথ অনুসরন করা।
বাংলাদেশে ইসলাম বিভক্ত।যার যার মত দল তৈরি করে ইসলাম প্রচার করছে যা ইসলামি মূল শ্রোত থেকে দূরে।যারা ইসলামের কথা বলেন তাদের সামান্যই কোরআন ও সূন্নাহ সম্পর্কে পারদর্শি।যেখানে ইসলামের কোন ঐক্য নেই,ইসলামের সঠিক অনুশীলন নেই,ইসলামি দলগুলোর মধ্যে শির্ক ও বিদাআত ভরপুর তার পিছনে কাজ না করে অসামান্য জিনিসের পিছনে ছুটা বোকামি ছাড়া কিছুই নয়। সূরা তাওবার ২৪ আয়াতে আল্লাহ বলেন,'যদি তোমাদের পিতারা,তোমাদের পুত্ররা,তোমাদের ভাইরা,তোমাদের পরিবাররা,তোমাদের আত্মীয়স্বজন, তোমাদের মাল আসবাব যা তোমরা অর্জন করেছ,আর ব্যবসা বানিজ্য যার অচলাবস্হা তোমরা আশংকা কর,আর বাড়ি ঘর যা তোমরা ভালবাস-তোমাদের কাছে আল্লাহ , তার রাসূল ও তার পথে সংগ্রামের চেয়ে যদি অধিকতর প্রিয় হয় তা হলে অপেক্ষা কর যে পর্যন্ত না আল্লাহ নিয়ে আসেন তার আদেশ।' জিহাদের প্রতি ভালবাসা থাকবে প্রত্যেক মু'মিনের অন্তরে।তবে যেখানে ইসলামি হুকুমাত কায়েম নেই সেখানে চূড়ান্ত কোন জিহাদ নেই।বোম্ব ব্লাষ্ট করে মানুষ হত্যা, জান মালের ধ্বংস সাধন এগুলো কোন ইসলামের কাজ নয়।আমাদের দেশে মুসলিম শাসক হলেও যেহেতু ফাসেক সরকার সেখানে আপনার দাবি দাওয়া আদায় করতে হবে সহনশীলতার সাথে।আপনার কথা বিবৃতির মাধ্যমে , লেখার মাধ্যমে , বই পুস্তক প্রকাশের মাধ্যমে আপনি জিহাদের কাজ করবেন।আপনি একজন মুসলিম,আপনার কাজ হলো মানুষকে কোরআন ছহি হাদিস তথা ইসলামের মূল স্তম্ভগুলো সম্পর্কে সজাগ করে তোলা।যেখানে মানুষ তাদের নামাজের মত মূল ফরয আদায় করে না ,জাকাত আদায় করে না,রমজান মাসের রোজা রাখে না, যাদের হজ্জ ফরয হয়েছে অথচ হজ্জ করে না সে সমাজের মানুষের পিছনে কাজ করা ইসলামি উলামাদের কাজ।জিহাদ হলো ইসলামের চূড়ান্ত রুপ।এ রুপকে বাস্তবায়ন করার আগে ইসলামের মৌলিক আনুষঙিক বিষয় গুলো দিয়ে জীবনকে ঢেলে সাজানো জরুরি।আমাদের দেশে ইসলামি দলগুলো যা করছে তার নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে ইসলামের উপর।ইসলামকে কায়েম করতে হলে ইসলামের একটি শক্তিতে রুপান্তরিত করতে হবে।বরং জাতি যেন সুসংবদ্ধ হতে পারে তার জন্য জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার কাজে সাহায্য করতে হবে।
সমস্যার সমাধান কোন সংঘর্ষের মাধ্যমে হতে পারে না।যারা গতদিনে মানুষকে নৃসংস ভাবে হত্বা করেছে তাদের কথা এখন মিডিয়ায় আসছে।যে সরকারই ক্ষমতায় থাকে তারাই এর জন্য প্রধানত দায়বদ্ধ।হেফাজতের সাথে পায়জামা ও টুপি পরে হাজার হাজার লোক একত্রিত হয়েছিল যাদের হেফাজতের লোকরা চিনতনা।এরা কারা নিশ্চয়ই সরকার জানে।আর এদেশে কওমি মাদ্রাসার লোকজন কোরআনকে পোড়াবে এটা অবিশ্বাসযোগ্য।সে কারনে তার তদন্ত হওয়া দরকার।আর শেষ তদন্ত তো আল্লাহর হাতে যার কাছ থেকে রেহাই পাওয়া কারো পক্ষে সম্ভব নয়।হেফাজত যদি তাদের দাবি দাওয়া পেশ করতে চায় তাদেরকে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের মত প্লাটফর্ম তৈরি করে সামনে এগুতে হবে।তবে ইসলামের শক্তি আহরন করার জন্য এটা সঠিক পথ নয়।গ্রামে গন্জে রাসূল সা: এর আদর্শে থেকে মানুষ তৈরি করুন।ইতিহাস দেখুন ঈমাম গন কিভাবে ইসলামের কাজ করেছেন।যারা আল্লাহ ও তার রাসূলকে গালি দেয় আল্লাহ তাদের জন্য যথেষ্ট।আমাদের সহনশীলতার সাথে তার প্রতিবাদ করতে হবে।কোন ধ্বংসাত্মক কাজ করা বা যেখানে দাবি আদায় হওয়ার মত নয় সেখানে গিয়ে সংঘর্ষ বাধানো নিছক বোকামি ও মানুষের জান মালের ক্ষতি ছাড়া আর কিছুই নয়।এ থেকে যদি হেফাজত তথা ইসলামের দলগুলো শিক্ষা না নিতে পারে তাহলে ভাবতে হবে তাদের ইসলামি দৈন্য তাদের পাকড়াও করেছে।সংকট মোকাবিলায় আমাদের প্রজ্গাকে সবার উপরে স্হান দিতে পারলে হানাহানি থেকে অনেকটাই মুক্ত থাকতে পারবো বলে আমার বিশ্বাস আর সে জন্য ঐক্যবদ্ধ হতে হবে আমাদের জাতিকে।
বিষয়: বিবিধ
১২৫৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন