সংসদে একজন মেধাবি শান্তশিষ্ট নবীন স্পিকার।
লিখেছেন লিখেছেন মহিউডীন ০২ মে, ২০১৩, ১২:৫৬:৩৭ দুপুর
মানুষ আসলে দোষে গুনে সৃষ্ট।কোন মানুষই বলতে পারবেনা আমার দোষ নেই।তবে সে দোষটা যত ক্ষীন হয় ততই ভাল আর মেপে মেপে কাজ করলে সে ছোট দোষও হারিয়ে যায় জীবন থেকে।তবে আমাদের যে সমাজ সেখানে ভাল মানুষ থাকলেও চরম খারাপ মানুষের অভাব নেই।তারা সামনে কারো সুখ্যাতি করলেও পিছনে কেটে দিতে পিছপা হয় না।জীবনে এ রকম বন্ধুও দেখেছি অনেক।তবে আমি সাফল্য কামনা করি প্রাক্তন মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রি ও বর্তমান নব নিযুক্ত স্পিকার সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি ড. শিরীন শারমিন চৌধুরিকে।প্রধান মন্ত্রি মহোদয়ের দেশ জুড়ে অনেক ক্রুটি আলোচনা হলেও এই বিষয়ে ধন্যবাদ দিছ্ছি তিনি পার্লামেন্টে একজন মেধাবী স্পিকার নিয়োগ দিয়েছেন। হউক সে নারি।আমাদের অনেক নারিই মেধাবি কিন্তু লালনের কারনে আর ইসলামি পরিমন্ডল না থাকায় তারা এগিয়ে আসতে পারছে না।যারা বলে ইসলামে নারির মর্যাদা নেই তারা ইসলামের "ই" সম্পর্কে ধারনা রাখে কিনা আমার জানা নেই।আমাদের দেশে ইসলামকে বিকৃত করে ফেলেছে এক ধরনের ধর্ম ব্যবসায়িরা।তাদের আমি বলবো দেখে যাও মক্কা ও মদিনায় কিভাবে ইসলামের চর্চা হয়।আর যারা এখানে হজ্জ্ব ও ওমরায় আসে তারা যে অন্ধত্ব নিয়ে আসে আবার সেটা নিয়েই দেশে ফিরে যায়।
যাই হোক ড. শিরীন শারমিন চৌধুরির বর্নাড্য কেরিয়ার সম্পর্কে আমার এর আগে জানা ছিল না।বাংলাদেশের ইতিহাসে তিনি সর্বকনিষ্ঠ ও প্রথম নারি স্পিকার।জাতি সংসদে চায় এ রকম সাংসদ যারা দেশকে তাদের মেধা দিয়ে এগিয়ে নিয়ে যাবে।আমাদের সংসদ কতটুকু উর্বর তা যারা সাংসদদের পর্যালোচনা করেন তারাই বুঝতে পারে।সংসদে এমন কিছু সাংসদও রয়েছে যারা মেধা বিহীন,বাকশক্তিবিহীন ও কুচক্রি চরিত্রের সমন্বয়ে তৈরি।ড. শিরীন শারমিন চৌধুরিকে তার মেধার ক্ষুর দিয়ে তাদের মোকাবিলা করতে হবে।কারন তারা চাইবে তাকে কিভাবে নাজেহাল করা যায়।তারা সামনে বলবে না পিছনের দরজায় ওৎ পেতে থাকবে।অভিজ্গতা আসে কাজের মাধ্যমে।কাজ না করলেও একজন মেধাবিও ভাল করেন না।তবে মেধাবী লোক যত তাড়াতাড়ি কাজকে রপ্ত করতে পারেন একজন অমেধাবি তা পারেন না।সেই হেতু আমার ধারনা তিনি উৎরিয়ে যাবেন।ইতিপূর্বে সংসদেও তাকে আমরা দেখেছি শান্তশিষ্ট একজন সাংসদ হিসেবে।তিনি নিশ্চয়ই জীবনের একটি অংস ব্যায় করে এসেছেন অধ্যয়নের মাধ্যমে।আমি বিশ্বাস করি একজন ভাল মানুষ যদি অধয়ানুরাগি হয় তার অন্য মানুষের সাহায্য তেমন নিতে হয় না তবে ভাল লার্নেডদের কাছ থেকে সহযুগিতা নিলে কোন অসুবিধে নেই।
মন্ত্রী হবার পর অনেক সমালোচনা শুনেছিলাম।যারা সমালোচনা করেছিল তারা ছিল পদের লোভী।কারন অধিকাংস এমপিরা রাজনীতি করে দেশকে ভালবেসে নয়, মন্ত্রিত্ব ও টাকার লোভে।যার ফলাফল আমরা দেখেছি পিছনের বছরগুলোতে।অপদার্থ বয়োজেষ্ঠ হলেও কি তাকে পদ দিতে হবে? যে যত মেধাবি ও দেশ ও জন গনের কল্যানে কাজ করবে তাকেই দিতে হবে পদ।আমাদের দেশে এ চর্চা না থাকায় আমরা পিছিয়ে যাছ্ছি।আমরা যেন ভালকে ভাল ও খারাপকে খারাপ বলার এ চরিত্র অর্জন করতে পারি তার জন্য আল্লাহর কাছে সাহায্য চাই।আওয়ামিলিগ একটি পূরনো সংগঠন ও এখানে সেকুলার মতে বিশ্বাসি লোকের বাস।স্বভাবতই প্রধানমন্ত্রি একজন নবীনকে যখন একটা গুরুত্বপুর্ন পদে স্হলাভিসিক্ত করেছেন সেখানে প্রবীনদের একটা অন্তর্জালা থাকতে পারে।কারন যাদের কাছে এ জালা আছে তারা রাজনীতি করছে পদ লাভ করার জন্য।আর তারাই নতুন স্পিকারের খুঁত ধরবেন।তবে আমি বলবো আপনারা এ না করে দেশের স্বার্থে তাকে সহযুগিতা করুন।একটা কথা প্রচলিত আছে 'যোগ্যতমের বিজয়।' তিনি তার যোগ্যতা দিয়ে এসেছেন,মেধা নিয়ে এসেছেন, নোংরা রাজনীতির উর্দ্ধে থেকে কাজ করবেন বলে আমার বিশ্বাস।আমার ধারনা তিনি পুর্বের প্রয়াত হুমায়ূন রশিদ চৌধুরী ও সামছুল হুদা চৌধুরী ও বর্তমান প্রেসিডেন্টের মতই কাজ করবেন যদিও বিরোধীদলের মতে এডভোকেট আব্দুল হামিদ সাহেব দলের হয়েই স্পিকারের কাজ চালাতেন।
আমাদের দেশ থেকে নোংরা রাজনীতির পাঠ্যাভাস কবে শেষ হবে আমাদের জানা নেই কারন রাজনৈতিক দলগুলোতে নৈতিকতার কোন দিক নির্দেশনা নেই।যেখানে ক্ষমতার লোভ কাজ করে সেখানে নীতি বলতে কিছু থাকেনা।রাজনীতি অঙনে যে ভাল মানুষগুলো আছে তারা খারাপ মানুষগুলোর কারনে তাদের ভাল কাজও করতে পারছেনা।রাজনীতিতে এমনও নিকৃষ্ট এমপি রয়েছে যাদের মানুষ হিসেবে গন্য করা কঠিন হয়ে পড়ছে।এ ক্ষেত্রে আমার মনে হয় ভাল মানুষগুলোকে একতাবদ্ধ হয়ে তাদের সংশোধনে এগিয়ে যেতে হবে।স্পিকারকে মনে রাখতে হবে ভাল আর মন্দের দ্বন্দ থাকবে চিরদিন তবে আখেরে ভালরই হয় জয়।ইতিহাসে যারা বাঁকা পথ অবলম্বন করেছে তারা অন্ধকুপে নিক্ষেপিত হয়েছে আবার ভাল মানুষগুলোকেও বরন করে নিতে হয়েছে অকাল মৃত্যু।তবে ভাল মানুষদের মৃত্যুকে স্মরন করে মানুষ যুগের পর যুগ।পরিশেষে আমি আশা করি ড. শিরীন শারমিন চৌধুরি তার মেধা , ব্যাক্তিত্ব ও শান্ত মেজাজ দিয়ে ধৈর্যের সাথে নিজেকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন আর জাতিও তা-ই আশা করে।
বিষয়: বিবিধ
১৭৬৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন