যদি আপনার বিবেক নাড়া দেয় তাহলে অনাগত ভবিষ্যতের জন্য দৃড় পদে দেশকে এগিয়ে নিন।

লিখেছেন লিখেছেন মহিউডীন ৩০ এপ্রিল, ২০১৩, ০২:৩৫:২৫ দুপুর

সাভারে ভবনধসের সাথে সাথে আমাদের জাতীয় জিবনে যে ধস নেমে এসেছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।আমরা কাকে দায়ি করবো? এই গরীব মানুষগুলো অভাবের তাড়নায় দূর দূরান্ত থেকে এসেছিল নিজের জীবন ও পরিবারের মুখে দু'মুঠো খাবার সংগ্রহের তাগিদে।সকাল হলে যারা ছুটে চলে দুর্বার গতিতে।রাস্তায় থামার সময় নেই।হাতে একটি টিফিন কেরিয়ার ও ছোট বেনিটি বেগ।নির্মল হাসি, যেন এ অভাবেও সেই হাসি মলিন হওয়ার নয়।একটু দেরি হলে অপমান , লান্চনা ও মজুরি কর্তন।দীর্ঘ সময় দান ও তার উপর বাড়তি কাজ।ঘরে ফিরতে দীর্ঘ রাত।তার উপর বস্তির নোংরা পরিবেশে এসে সংসারের আন্জাম নিত্যদিনের কাজ।গত ২০/৩০ বছর ধরে এ ঘানি তারা বহন করছে।দেশের রপ্তানি আয়ের সিংহ ভাগ তাদের শ্রমে অর্জিত।সরকার ও মালিকদের অবহেলা দায়ি নয় কি? যখন কোন ঘটনা ঘটে আমরা সোচ্চার হয়ে উঠে তার পর পরই নিস্তেজ হয়ে যায় আমাদের উদ্যম।কতগুলো ঘটনার সাক্ষি এ জাতি অথচ কারোরই বিচার হয় নি।অনেকে দু:খ করে নিয়তিকে দোষ দিয়েছেন।কেই কারো ঘাড়ে দোষ নিতে চায় না।অথচ আমরা দেখি দোষিরা আইনের ফাঁক দিয়ে বেরিয়ে যাছ্ছে।কারন যাদের ক্ষমতা নেই , যাদের অর্থ নেই তাদের কাছে ন্যায় বিচার এক সোনার হরিন।গত কয়দিনে ৪০০ এর অধিক মৃত,নিখোজ এখনো ৯৫০, আহত ও পঙুত্ব নিয়ে কাতরাছ্ছে একটা বিরাট অংস।কি অন্যায় করেছিল তারা? শুধু মাত্র জীবন বাজি রেখে তারা আশ্রিত হয়ে গেল গভীর মৃত্যুকুপে।কি বিভৎস জীবন! কারো পা বেরিয়ে আছে , কারো হাত,কেউ পিলার ধরে দাঁড়িয়ে ,কেউ অর্ধ ভিমের নিছে।দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে বাতাসে।তাদের মৃত লাশ পাওয়ার অন্ধ আশায় আত্মীয় পরিজন আহাজারি করছে। সেটা ও এখন সম্ভব নয়।পোকা মাকড় ও ধুলো বালিতেই তাদের সমাধি হয়ে যাবে।

আমাদের কি এখনো ভাবার সময় আসে নি? হৃদয় যদি এখনো না জাগে বুঝতে হবে আমরা তাদের মতই মৃত।বহুতল ভবনটি নির্মাণে নিম্নমানের রড, সিমেন্ট, বালু প্রভৃতি ব্যবহারের কারণে এই ক্ষতি হয়েছে তা যেমন সত্য তার চেয়ে বড় সত্য আমাদের জ্গানের ও চিন্তার দৈন্যতা।বিল্ডিং নির্মানে যারা পরিকল্পনা করেন , যারা প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করেন, যারা পন্য সমাগ্রির যোগান দেন ও তার সাথে প্রশাসনের যারা জড়িত এই পুরো বডিই দায়ি কোন দুর্ঘটনার জন্য।যে সরকারের সময়ে যে প্রতিষ্ঠাংন গুলো এভাবে দাঁড়িয়ে যায় তারা নিশ্চয়ই এ দায় ভার নিবেন।আইনে জীবনের কিছু ক্ষতিপূরনের কথা থাকলেও প্রকৃত অর্থে একটি জীবন ঝরে পড়ার ক্ষতিপূরন দেয়া সম্ভব নয়।যে বাবা মা সন্তান হারিয়েছেন,যে সন্তান তার পিতামাতা হারিয়েছে,যে স্বামি তার স্ত্রী হারিয়েছে বা যে স্ত্রী তার স্বামি হারিয়েছে সে-ই বুঝে তার মর্ম যাতনা।বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রাকৃতিক অনেক দুর্যোগ এসেছে এর আগে।লাখ লাখ মানুষ মৃত্যু বরন করেছে।কিন্তু আমাদের সরকারের দুর্যোগ ব্যাবস্হাপনা দেখে আমরা মাঝে মাঝে হতাশ হয়ে যাই।আমাদের সামরিক ও আধাসামরিক বাহিনির জনবল ও ভারি যন্ত্রপাতি খরিদ করা যে কত জরুরি তা আমাদের অনুমান হয়েছে।যারা এই দুর্যোগে জীবন বাজি রেখে কাজ করেন তাদের কাছে আমাদের অন্তের গভীর শ্রদ্ধা রেয়েছে। ভয়াবহ ঘটনাটি ঘটার পর থেকেই স্থানীয় মানুষ বিশেষ করে, যুব সম্প্রদায় দুর্গত মানুষকে উদ্ধারে যেভাবে ঝাঁপিয়ে পড়েছে, তার তুলনাও খুব বেশি খুঁজে পাওয়া যাবে না। ফায়ার সার্ভিস, সশস্ত্র বাহিনী, পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি প্রভৃতির সদস্যের সঙ্গে তাঁরা দিন-রাত উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। কেউ তাঁদের ডেকে আনেনি, নিয়োগ দেয়নি অর্থের বিনিময়ে। তাঁরা স্বনিয়োজিত। নিয়োগ যদি তাঁদের কেউ দিয়েই থাকে তা তাঁদের বিবেক। যে বিবেক বাংলাদেশের অধিপতি শ্রেণীর অনেকের মধ্যে লেশমাত্র নেই। বৈশাখের তীব্র গুমোট, কাঠফাটা রোদ। তার মধ্যেই সাধারণ মানুষ নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে মৃতদেহ ও জীবন্মৃত মানুষকে উদ্ধারের কাজ করছেন, তা ঘরের মধ্যে বসে টেলিভিশনে দেখে শ্রদ্ধায় মাথা নত করছি। তাঁদের প্রশিক্ষণ তো নয়ই, অভিজ্ঞতাও নেই ত্রাণকাজের। কিন্তু আছে মনুষ্যত্ববোধ ও মানুষের জন্য অশেষ দরদ; আর আছে কর্তব্যবোধ। এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শত শত চিকিৎসক, সেবক-সেবিকা, শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের যে ভূমিকা দেখলাম, তার জন্য তাঁদের জানাই গভীর শ্রদ্ধা। তবে সরকার তাদের এই সংখ্যাকে আরো সুসজ্যিত করবে এটাই জাতি আশা করে।প্রত্যেক সাংসদরাও তাদের নিজ নিজ এলাকায় একটা দুর্যোগ বাহিনী যদি গঠন করার উদ্যোগ নেন তাহলে আমাদের বাইরের সাহায্য নিতে হবে না।তবে সরকার যদি ঘটনার সাথে সাথে আন্তর্জাতিক সাহায্য নিত তাহলে অনেক লোককে বাঁচানো যেত।এটা সরকারের অহংকারের বহিপ্রকাশ মাত্র।

আমরা যারা দুর থেকে দেখার সুযোগ পেয়েছি অর্থাৎ টিভি চ্যানেলের প্রতিবেদক ও ক্যামেরায় যাঁরা কয়েকটি দিন বিরামহীন কাজ করেছেন, তাঁদের কষ্টের বিষয়টি ঘরের মধ্যে বসে বোঝা সম্ভব নয়। অকল্পনীয় হূদয়বিদারক ও বীভৎস দৃশ্য তাঁরা নিজেরা অতি কাছে থেকে দেখেছেন। হাত-পা বিচ্ছিন্ন মানুষ, ভিমের চাপায় চ্যাপ্টা মৃতদেহ, অন্ধকূপে সেলাই মেশিনের নিচে চাপা পড়া মানুষের আর্ত-আকুতি, এক ফোঁটা পানি ও অক্সিজেনের জন্য তাঁদের নিস্তেজ কণ্ঠস্বর, তাঁরা নিজের চোখে দেখেছেন ও নিজের কানে শুনেছেন। তার পরও যে তাঁরা সুস্থ থাকতে পেরেছেন, সে জন্য তাঁদের মানসিক শক্তির প্রশংসা করছি ও তারা যেন তাদের সঠিক অবদান রাখতে পারেন তার জন্য দোয়া করছি। ভবনধসের সংবাদ প্রচারের সঙ্গে সঙ্গে যেসব তরুণ-তরুণী ও আপামর জনসাধারন স্বেচ্ছায় রক্তদান করতে এগিয়ে আসেন তা আমাকে স্মরন করিয়ে দেয় জগন্নাথ হল ধ্বসের পর রক্ত দেয়া ও টঙিতে ট্রেন দুর্ঘটনায় রক্ত দেয়ার মত, তাঁদের কাছে আমাদের ঋণ অপরিশোধ্য।এদেশের মানুষ এভাবেই স্বাধীনতা এনেছিল কিন্তু দুর্ভাগ্য, তাদের ভাগ্যের পরিবর্তন করার জন্য কেউ এগিয়ে আসেনি। যাঁরা পানির বোতল, অন্যান্য পানীয় ও শুকনো খাবার প্রভৃতি সরবরাহ করেছেন, তাঁদের কর্তব্যবোধ অতি প্রশংসার যোগ্য।নীরিহ কয়েকজনকে দেখলাম সামান্য কিছু নিয়ে হাজির হয়েছে তারাও আমাদের অনেকের চেয়ে মহৎ যারা ঘরে বসে টিভি দেখেছে বা টক শো করেছে।

আমাদের জাতি ধ্বংস হছ্ছে গুটি কয়েক মানুষ নামক পশুর দ্বারা।অধিকাংস মানুষই ভাল।কিন্তু এই মানুষগুলো প্রতিবাদ না করার কারনে তাদের হাতে জিম্মি।ভাল আর মন্দের দন্দ থাকবে কিন্তু আমরা যদি খারাপ মানুষগুলোকে বর্জন করা শিখি তাহলে আমরা নিশ্চয়ই জয়ী হব।সরকারের ক্রুটি থাকতেই পারে।তা ধরিয়ে দেয়ার দায়িত্ব আমাদের সচেতন জন গনের।আর বিরোধীদলকে সংসদে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করতে হবে।সব সরকারকেই ধ্বংসাত্মক রাজনীতি পরিহার করে জন গনের উন্নয়নে এগিয়ে আসতে হবে।আমাদের বিবেক যদি জাগ্রত না হয় তাহলে কোন কিছুই সম্ভব নয়।আমাদের প্রধান মন্ত্রি মহোদয়কে তার অনেক মন্ত্রিদের কথা বার্তার ব্যাপারে সজাগ করে দেয়া বোধ করছি।তারা মিডিয়াতে যে কথাগুলো বলেন এগুলো যে তার সরকারের বিরোধীতা করে ও ইমেজ নষ্ট করে তা হয়ত উনি বুঝতে পারেন না।ভবন ধসের পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ‘স্তম্ভ নাড়াচাড়া’র কথায় সরকারের যে ক্ষতি হয়েছে তা তিনি আগামি নির্বাচনে বুঝতে পারবেন।জ্গানী দেশকে এগিয়ে নিয়ে যায় আর জ্গান পাপি দেশকে ধ্বংস করে।

সোহেল রানার জীবনের ইতিহাস ইতিমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে। সংবাদপত্রে সামান্য লেখা হয়েছে। ‘অষ্টম শ্রেণী পাস কিশোর রানার সঙ্গে ১৯৯৪ সালে পরিচয় হয় সাভার কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি হেলালের গাড়িচালক জাকিরের। জাকিরের সহায়তায় সন্ত্রাসী কাজে জড়িয়ে পড়েন রানা।পরে রানার বড় বোন সুফিয়ার সঙ্গে বিয়ে হয় জাকিরের। ২০০৬ সালে জাকির র‌্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন। এতে রানার হাত রয়েছে বলে অভিযোগ আছে। সুফিয়ার দ্বিতীয় বিয়ে হয় র‌্যাবের এক কর্মকর্তার সঙ্গে।রানার মালিকানাধীন দুটি দোকান র‌্যাবের এক কর্মকর্তাকে উপহার দেওয়া হয়। হেলালের সৌজন্যে রানার উত্থান হলেও তাঁর মালিকানাধীন চৌধুরী এন্টারপ্রাইজের অফিস দখল করেন রানা। সেখানে আটতলা ‘রানা টাওয়ার’ নির্মাণ করা হয়। ২০০৮ সালে গুম হন হেলাল। এর সঙ্গে রানার সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ রয়েছে। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ছাত্রলীগে যোগ দেন রানা। ১৯৯৮ সালে সাভার পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মনোনীত হন তিনি। গত জানুয়ারিতে পৌর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক হন।’ তাঁর জীবনালেখ্য থেকে আরও জানা যায়, ‘১৯৯৬ সালে ছাত্রলীগের নেতা থাকার সময় থেকেই জমির ব্যবসা শুরু করেন রানা। শুরু হয় রানার উত্থান। ২০০৩ সালে গ্রেপ্তার হন তিনি। তাঁর বাবা আবদুল খালেক ওরফে কলু খালেক বিএনপিতে যোগ দিলে ১২ দিন পর জামিনে মুক্তি পান রানা। কলু খালেক গত ডিসেম্বরে আবার আওয়ামী লীগে যোগ দেন। বাবার বিএনপিতে যোগ দেওয়ার সুযোগ কাজে লাগিয়ে তখনকার ছাত্রলীগ নেতা রানা বাসস্ট্যান্ড-সংলগ্ন রবীন্দ্র সাহার ২৬ শতাংশ ডোবা জমি দখল করেন। এর সামনেই রানার বাবার ক্রয়সূত্রে আরও ২৬ শতাংশ জমি ছিল। বাবার জমি ও দখল করা জমিতে ২০০৬ সালে ‘রানা প্লাজা’ নির্মাণ করা হয়। ২০১০ সালে পৌরসভার অনুমোদনে ভবনটিকে পাঁচতলা থেকে নয়তলায় উন্নীত করা হয়।’[সমকাল, ২৮ এপ্রিল]

রাজনীতির অন্তরালে ও দুর্বৃত্তায়িত রাজনীতির কারণে সব দলের কত নেতা যে দুর্বল হিন্দুদের বাড়িঘর জোতজমি জবরদখল করেছেন তার একটি দৃষ্টান্ত রানা। আওয়ামী লীগের অসাম্প্রদায়িক ভাবমূর্তি নস্যাৎ করে দিয়েছেন এই নব্য ধনী যুবনেতা। টিভিতে দেখলাম, অসহায় রবীন্দ্রনাথের ভীতসন্ত্রস্ত মুখ। তিনি টিভি প্রতিবেদককে বলছেন, ‘আপনারা তো চইল্যা যাইবেন, আমার নিরাপত্তা কারা দিব।’ তিনি রানাকে ভালো চেনেন। এই সমাজকেও চেনেন। আরও ভালো চেনেন রাষ্ট্রকে। তিনি জানেন, রানা বেরিয়ে আসবেন। রবীন্দ্র বাবুর স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি কে দেবে? তাঁর অবস্থা যদি আমরা বিবেচনায় না রাখি, তাহলে ভবনধসের মর্ম উপলব্ধি করতে পারব না।

রাজনীতিকেরা উপলব্ধি করবেন, নষ্ট রাজনীতির ফলাফল শেষ পর্যন্ত শুভ হয় না। পোশাকশিল্পের নেতারা ভেবে দেখবেন শুধু মুনাফা অর্জনই বড় ব্যাপার নয়, শ্রমিকের জীবনেরও একটি মূল্য আছে। খুবই তাৎপর্যের বিষয়, গত ১০-১৫ বছরে পোশাকশিল্পে যত অগ্নিকাণ্ড হয়েছে বা ভবনধস, তাতে শুধু শ্রমিকেরাই নিহত হয়েছেন। কারখানার চেয়ারম্যান, পরিচালক, এমডি, ম্যানেজার মারা যাননি। কারখানায় কি শুধু শ্রমিকেরাই থাকেন, নাকি মালিক-কর্মকর্তারাও?

বিবিসি সংলাপে বিজিএমইএর সভাপতি বলেছেন, ভবনধসের সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশ করে সংবাদমাধ্যম দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে।তাকে বলি প্রতিবেদন যেন না আসে তার জন্য কি ভূমিকা আপনি শ্রমিকদের পক্ষে রেখেছেন? আমাদের কষ্ট হয় একটি কথা ভেবে যে বিজিএমইএর নেতারা জানেন না, পোশাকশিল্পের মালিকদের দেশের মানুষ খুবই মর্যাদা দেয়। যাঁদের কারখানার মানসম্মত ভবন রয়েছে, যাঁরা সময়মতো বেতন পরিশোধ করেন, তাঁদের সম্পর্কে মানুষের বা মিডিয়ার কোনো অভিযোগ নেই। অভিযোগ শুধু তাঁদের বিরুদ্ধে, যাঁরা মানসম্মত কারখানা তৈরি করে না ও শ্রমিকদের শোষন করে।যাঁরা নিয়মিত বেতন দেন না। যাঁরা শ্রমিকদের মনে করেন দাসদাসী। যাঁরা শ্রমিকদের পুড়িয়ে মারেন। দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করলে তারাই করেন।আজ যেভাবে শ্রমিক অসন্তোষ শুরু হয়েছে তা অতিসত্বর নির্বাপনের জন্য সরকার ও বিজিএমইএকে তাদের জীবনের নিরাপত্বা ও মানসম্মত বেতন ও অন্যান্য সুবিধা প্রদান করার অনুরোধ জানাছ্ছি। তাদের সম্পদ হিসেবে গড়ে তুলতে পারলে জাতি সম্পদশালী হবে নিসন্দেহে।

বিষয়: বিবিধ

১৫২৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File