মাহমুদুর রহমান এ সমাজে এক কিংবদন্তি পুরুষের উপাখ্যান।

লিখেছেন লিখেছেন মহিউডীন ২০ এপ্রিল, ২০১৩, ০৪:৫১:৫৪ বিকাল

মানুষ হিসেবে অনড় এক সাংবাদিক এ যুগে মিলা ভার। মৃত্যুর ভয়কে উপেক্ষা করে মানুষের কল্যানে কাজ করা এ এক অসামান্য কাজ।আমরা অনেকে ভয়ে তটস্হ থাকি কথা বলতে,লিখতে,পরিবার বাঁচাতে।কিন্তু একজন মানুষ কিসের লোভে রক্ত চক্ষুকে উপেক্ষা করে জীবন দিছ্ছে।রসূল সা: বলেছেন,আসমানের মালিক খুশি হবেন জমিনের মানুষকে যারা ভালবাসবে।দুনিয়ার লোভ লালসা যারা ত্যাগ করতে পেরেছে তারাই হয়েছেন পৃথিবীতে জয়ি।সত্যের পক্ষে কাজ করা ও কথা বলা মানব জীবনের ব্রত।সত্যকে লালন করলে একদিন না একদিন অসত্য মুছে যায়।আল্লাহ সূরা ইসরার ৮১ আয়াতে বলেন,'সত্য এসেই গেছে আর মিথ্যা অন্তর্ধান হয়েছে।নিসন্দেহে মিথ্যাতো অন্তর্ধানশীল।

আমাদের দেশে যে সব সাংবাদিক মুখ থুবড়ে পড়ে আছে তাদের সাংবাদিকতা নিয়ে,ভীত সন্ত্রস্ত সে সব সাংবাদিক জাতির কি উপকারে আসছে? যাদের কথার ধার নেই,লেখার ধার নেই,অন্যায়ের মোকাবিলা নেই,তাদের কোন ভাই বিপদে পতিত হলে তার প্রতি সহানুভূতি নেই এ কোন সাংবাদিকতা? অসংখ্য সাংবাদিক বিভক্তির জাল বুনে দুনিয়ায় কিছুদিনের বসবাস ও আরাম আয়েসের জীবন যাপন করছে।তারা কি ভেবে দেখে না মৃত্যু হলেই তাদের কি পরিনতি হবে? সূরা তাতফিকের ৩৪-৩৬ আয়াতে আল্লাহ বলেন,'কাজেই আজকের দিনে যারা ঈমান এনেছিল তারা অবিশ্বাসিদের প্রতি হাসাহাসি করবে,উঁচু আসনে চেয়ে চেয়ে দেখবে,অবিশ্বাসিদের কি সেই প্রতিফল দেওয়া হলো না যা তারা করতো।সেজন্য মু'মিনদের অপেক্ষা করতে হবে।যারা সত্য পথে থাকবে তাদের জন্য পরিক্ষা আসবে।যার অন্তরে কুটিলতা নেই সে তার কর্মের দ্বারা সাময়িক বিপর্যয়কে বুঝে নিবে।

রাসূল সা: বলেছেন, তোমার ঈমান আছে বুঝবে এভাবে , যদি তোমার ভাল কাজ তোমাকে আনন্দ দেয় ও খারাপ কাজ কষ্ট দেয়।আমাদের সামনে এমন অনেক অপকর্ম হছ্ছে যা আমাদের হাত দ্বারা আমরা বাধা দিতে পারবোনা কিন্তু আমাদের কথা , লিখা ও ঘৃনার মাধ্যমেও তো প্রকাশ করতে পারি।তা না হলে আমরা কোন ধরনের মুসলিম আমাদের ভাবা উচিত।ইতিমধ্যে অনেকে অনেক সুন্দর কথা বলেছেন।জনাব জাফর উল্লাহ চৌধুরি বলেছেন,কেউ চুরি করলে অপরাধী নয় আবার কেউ চুরি ধরিয়ে দিলে অপরাধী হয় কি করে।এ সত্য কথাটি যদি সবাই মেনে নিত তাহলে তো আর জুলুম নির্যাতনের অবস্হায় কাউকে পড়তে হতো না।তবে আমাদের জাতি যে এক অনিশ্চয়তার দিকে যাছ্ছে তা আমরা বুঝতে পারছি।যারা আজ প্রতিহিংসার দিকে ধাবিত হছ্ছে তাদেরও যে একই পরিনতি হবে না তা বলি কেমন করে।আমাদের সরকারি আমলা ও কর্মচারিরা প্রজাতন্ত্রের কাজে নিজেদের নিয়োজিত না করে দলবাজিতে যুক্ত হয়ে দেশে যে অরাজকতা সৃষ্টি করছেন তাদের পাশেই ভিন্ন মতাবলম্বিরা তাদেরই মনিটর করছেন।সময় আসলে তারাও এই হিংস্র থাবা তাদের উপর বসাবে।বিগত বছরগুলোতে আমরা এভাবেই দেখেছি।এ থেকে কেন শিক্ষা নিছ্ছে না সাধারন মানুষগুলো আমাদের তা বুঝে আসে না।এলিটরা যাদের ব্যাবহার করছে তারা সমাজের শোষিত শ্রেনী।এদের অধিকাংশ অশিক্ষিত।ভালমন্দ বুঝার তেমন উপায় নেই।শুধুমাত্র ডাকলেই তারা ঝাঁপিয়ে পড়ে।যারা নেতৃত্বে থাকে তাদের বেশির ভাগ আরাম আয়েশ করে।আমাদের দু:খ হলো যারা সরকারি কর্মচারি তাদের বিবেক কোথায়? তারা কেন নীরপেক্ষ থাকছে না? বিচারবিভাগ ও জন প্রশাসন( পুলিশ,রেব ,আর্মি) জন গনের বন্ধু না হয়ে সব সরকারের লেজুড়ে পরিনত হয়েছে।একজন সাধারন মানুষ কোর্ট কাচারি ও পুলিশ দেখলে এখন ভয় পায় কি জানি কখন তাকে কোন অজুহাতে ফাঁসিয়ে দেয়।

এ অবস্হা চলতে পারে না।আমাদের সকলের সহযোগিতার প্রয়োজন।অরাজকতার মধ্যে বেশীদিন মানুষ বাঁচতে পারে না।কারো নিরাপত্তা নেই।জান মালের নিরাপত্বা দেয়ার কাজ সরকারের। সেই সরকারগুলো এখন অপারগ তাদের কর্তব্য পালনে।মিডিয়ার কোন বক্তব্যই জনজীবনে প্রতিফলিত হছ্ছে না।দেশকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিয়ে কেউ নিরাপদ থাকতে পারে না।এ থেকে বাঁচতে হলে সবাই একযোগে কাজ করতে হবে।মানুষের মনুষত্বের বিকাশ হলে প্রশাসনের নজরদারি ও তেমন লাগে না।সে শিক্ষা আগে নিতে হবে সব সরকারকে।ইসলামের শাসকদের কোন ভয় ছিল না।কোন পাহারাদার ছিল না।ওমর ,ওসমান ও আলি রা: পাহারাদার ছাড়াই শহিদ হয়েছিলেন।ওমর রা: রাতে বেরিয়ে পড়তেন জন গনের অবস্হা দেখার জন্য।আল্লাহর উপর ভরসা করুন।সাধারন মানুষের কাতারে জীবন যাপন করুন কোন শক্রু পাবেন না।চারদিকে গাড়িবহরের প্রয়োজন হবে না , মানুষ আপন করে নিবে।মানুষের জন্য কাজ করলে আপনিই বুঝতে পারবেন।আর নির্যাতনের পথ বেচে নিলে মজলুমের আর্তনাদ আল্লাহ নিশ্চয়ই শুনবেন কারন মজলুম ও আল্লাহর মধ্যে কোন পর্দা থাকেনা।

বিষয়: বিবিধ

১২৪৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File