হেফাজতের ৫ ই মে ঢাকা অবরোধ কর্মসূচি প্রসঙ।
লিখেছেন লিখেছেন মহিউডীন ২০ এপ্রিল, ২০১৩, ০২:৩৭:৫১ দুপুর
১৩ দফা দাবিতে আগামী ৫ই মে ঢাকা অবরোধ কর্মসূচি সফল করার লক্ষ্যে সারা দেশে গণসংযোগ করাসহ সাংগঠনিক প্রস্তুতি চালাচ্ছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। তবে ওই পর্যন্ত দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি কতটা অনুকূলে থাকবে, তা নিয়ে আশঙ্কায় থাকতে পারেন সংগঠনের দায়িত্বশীল নেতারা।আমি দূর থেকে যতটুকু অনুভব করি তা হলো,হঠাৎ করে হেফাজত আন্দোলনটি তৈরি হয় নি।যে কোন আন্দোলনই দানা বাধে যখন অনেকগুলো কারন সামনে আসে।এই উপমহাদেশে যারা আন্দোলন সংগ্রামের সাথে জড়িত তারা আম মুসলমানদের কথা ভেবেছে খুব কমই অথচ ফায়দা লুটেছে অনেক।ইসলামকে শিক্ষার দিক থেকে দুর্বল রাখার কারনে ইসলামিক শক্তি জেগে উঠতে পারেনি।আর যারা ইসলামি আন্দোল করেন ও ইসলামিক রাষ্ট্র করার বাসনা নিয়ে কাজ করেন তারা দেশ চালানোর মত ঐ রকম যোগ্য লোক তৈরি না করেই আন্দোলন সংগ্রামে নিয়োজিত আছেন।সেজন্যই তাদের লেজুড় হয়ে থাকতে হয়েছে মানবরচিত সংবিধানের সংগঠন গুলোর সাথে।
হেফাজতে ইসলামের আন্দোল , ইসলামের জন্য একটি যুগপযুগী আন্দোলন এতে কোন সন্দেহ নেই।ইসলাম চায় শান্তির সাথে যেন মানুষ বসবাস করতে পারে।তাদের ১৩ দফা আন্দোলন নিয়ে টক শো গুলোতে নানা বিতর্ক চলছে।যারা ইসলামের পক্ষে তারা সবাই চায় সরকার যেন মেনে নেয়।আর যাদের ইসলাম সম্পর্কে কানাকড়ি জ্গান নেই তারা এর বিরোধিতা করছে।এর কারন হলো ইসলামিক শারিয়ার আইন এসে গেলে মানুষ যে কু কর্মগুলো করে তা বাধাগ্রস্ত হবে।যেমন- চুরি রাহাজানি,অপরকে ঠকানো,জ্বেনা ব্যাবিচার।সুদ,গীবত,অপরের মাল বক্ষন,মানুষ হত্মা,লুন্ঠন ভাংচুর ও অন্যান্য অসমাজিক আচরন করতে পারবেনা।হেফাজত নেতাদের রাসূল সা: আদর্শে উদ্ভুদ্ধ হয়ে,তাঁর নীতি ও আদর্শ মোতাবেক সংগঠিত হতে হবে।কোন রকম বিশৃংখলা ও হানাহানির পর্যায়ে যেন না যায় তার খেয়াল রাখতে হবে।আমাদের দেশে যখন কেউ কোন ভাল কাজ করতে চায় তার বিরোধীতা করার লোকের অভাব নেই।৫ই মের হেফাজতের ঢাকা অবরোধ আন্দোলনের পাশা পাশি অন্য কাউকে যেন তাদের সাথে সংঘর্ষে লেলিয়ে না দেয়া হয় সরকার তথা বিরোধী দলগুলোকে সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। সুস্হ আন্দোলন করা প্রত্যেক নাগরিকের অধিকার।আন্দোলন করতে গিয়ে তারা যেমন কোন ধংসাত্মক কাজ করবেনা তেমনি অন্যরাও কোন ষড়যন্ত্রে লি্ত হবে না।এ কর্মসূচি সফল করার জন্য সকলের সহযোগিতার প্রয়োজন।আমরা সাধারন নাগরিকরা আর চাই না এই সভ্য সমাজে হানাহানি করে জান ও মালের ক্ষতি হউক।
এর আগে বিরোধীদলীয় কর্মসূচি সফল না হওয়ার সরকারি কৌশল আমরা লক্ষ করেছি।এ কৌশলগুলো সব সরকারই নিয়ে থাকে।সব সরকারকেই বলছি, জন গনের ভোটের মাধ্যমেই আপনারা নির্বাচিত হয়ে সাংসদ হয়ে থাকেন।কি করে সম্ভব সে জন গনের উপর নির্যাতন।রাজনীতি হলো আপামর গন গনের ভাগ্য নির্ধারন করা।আর সংসদে গিয়ে যারা নিজেদের ভাগ্য নির্ধারন করেন সে কারনেই আন্দোলনের সূত্রপাত হয়, এ কথা আমাদের শাসকদের বুঝা জরুরি হয়ে পড়ছে।জন গন যেমন কাউকে ক্ষমতায় বসাতে পারে আবার ক্ষমতা থেকে সরাতে ও পারে।সে জন্য তাদের প্রতি অনুগত ও তাদের ভাগ্য নির্ধারনে কাজ করতে হবে।সামনে জামাতে ইসলামের নেতাদের বিচারের রায় আছে।সরকার যদি এর মধ্যে রায় প্রকাশ করে তাহলে আবারো সহিংসতা ছড়ানোর সম্ভাবনা আছে।সে জন্য সরকারের উচিত হবে সূক্ষ বুদ্ধি বিবেচনায় রেখে কাজ করা।যাতে সমাজে সহিংসতা ছড়িয়ে না পড়ে সে ভাবে কাজ করা।আমি আগেই বলেছি দেশে একটা মহল আছে তারা চায়, যেন মানুষ শান্তিতে থাকতে না পারে।তারা সরকারেও থাকতে পারে বিরোধীতে ও থাকতে পারে।যারা সরকারে থাকবে তাদের মান সবল রাখার জন্য তাদেরই নৈতিক আচরন দেখাতে হবে ও সব ধরনের কার্যকরি ব্যাবস্হা নিতে হবে।আইনের শাসনে আমাদের প্রশাসনিক দুর্বলতার কারনে সুপ্রিম কোর্ট বিতর্কিত হয়ে আছে।এ ব্যাপারে জামাতে ইসলামকেও রায়ের প্রতি আনুগত্য রেখে সহিংসতায় না গিয়ে সরকারের সাথে নৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে হবে।বিচারের সাথে জানমালের ধ্বংসসাধন সম্পর্কিত নয়।হর্তাল করা জন গনের নৈতিক অধিকার কিন্তু মানুষ হত্মা ও সম্পদ ধ্বংসসাধন এর অঙীভূত নয়।লাঠি মিছিল , ঝাড়ু মিছিল,লগি বৈঠা ইত্যাদি সহিংসতার জন্ম দেয়।শোভাযাত্রা , শোডাউন ভদ্র উপায়ে হতে পারে।
আমরা আশা করবো সামনে আমাদের একটা সুন্দর ভবিষ্যৎ রয়েছে।আলোচনার মাধ্যমে , সহনশীলতার মাধ্যমে আমাদের সমযোতায় আশা উচিত।আমাদের একে অন্যের প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধার যে অভাব রয়েছে তা অচিরেই পুরন করতে হবে।আজ যারা প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে আগামি দিন অন্যরা যদি একই পথ অবলম্বন করে তাহলে তারাও এর শীকার হবেন।মতের অমিল থাকলে সামনে বসে কথা বলুন,মিডিয়ায় একে অন্যের উত্তর দিন।দৈহিক অত্যাচার করা মানবিক বিপর্যয় ও পশুত্বের আচরন। আমাদের এ থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।যারা অন্যায় করে আজ খুশিতে ডগমগ তারাই ভবিষ্যতে একই শীকারে পরিনত হবেন।তাই সময় থাকতে ভবিষ্যতের ভাবনা ভাবাই হলো জ্গানীর কাজ।হেফাজত যেহেতু একটি অরাজনৈতিক সংগঠন তাদের দাবি দাওয়া গুলো সংগত ও ইসলামের পক্ষে।নারীদের ব্যাপারে তাদের মতামতকে বিভিন্ন দিকে বিরোধীরা নিয়ে যাছ্ছে।ইসলামে নারিদের কাজ করতে কোন বাধা নেই তবে তাদের পরিবেশ দিতে হবে।শিক্ষা থেকে শুরু করে তাদের আলাদা কর্মক্ষেত্র তৈরি করতে হবে যাতে সামাজিক অনাচার ও ব্যাভিচার থেকে সমাজ রক্ষা পায়।আজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে তাদের উপর যে পাশবিক অত্যাচার চলছে তা থেকে সরকার বুঝতে পারছে না তাদের মান সম্ভ্রম নষ্ট হছ্ছে।ইসলাম নারির যে অধিকার দিয়েছে পৃথিবির কোন ধর্মই তা দিতে পারেনি।হিজাব ও মার্জিত পোষাকের মাধ্যমে তারা তাদের কাজ করতে কোন বাধা নেই।সে পরিবেশ বাস্তবায়ন করার দায়িত্ব সরকারের।আর হেফাজতকে সাংগঠনিক দক্ষতা ও বিচক্ষনতার সাথে সামনে এগুতে হবে যেন তাদের কাজ কর্ম সমাজকে কলন্কিত না করে।যেখানে বাধা আসবে নৈতিক আচরনের মাধ্যমে , রাসূল সা: এর আদর্শের উপর থেকে তাদের পথ চলতে হবে।সারা দেশের প্রকৃত ধার্মক ও মেহনতি মানুষ তাদের সাথে আছে এবং যদি তারা বাংলাদেশে তাদের অস্তিত্ব সততার সাথে বহাল রাখতে পারে কোন সরকারই অন্যায় করার সাহস পাবে না ও অন্যায় রোধে সমর্থ হবে।
বিষয়: বিবিধ
১৪৫৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন