ধ্বংসাত্মক রাজনীতির কাছে জন গন জিম্মি ও হেফাজতের উত্থ্যান।
লিখেছেন লিখেছেন মহিউডীন ১৫ এপ্রিল, ২০১৩, ০৪:৫৪:৫৮ বিকাল
আমাদের দেশে বিগত বছর গুলোর ধারাবাহিক রাজনীতি ও সমাজনীতি পর্যালোচনা করলে ক্রমেই এর অবনতিই লক্ষ করা যায়।রাজনীতিবিদরা যতই মশলামিশ্রিত কথা বলুক তাদের কর্মে এর কোন প্রতিফলন জন গন দেখছেনা।যেখানে সহমর্মিতা নেই,ভিন্নমতের প্রতি শ্রদ্ধা নেই , আলেম উলামাদের প্রতি শ্রদ্ধা নেই সেখানে উন্নয়ন হবে কেমন করে। উন্নত দেশের রাজনীতিবিদরা যেমন প্রফেশনাল তেমনি কর্মঠ।বিরোধীদের সাথে বিরোধ থাকলেও জাতির স্বার্থে তারা একসাথে বসে জাতীয় ইস্যুগুলো সমাধান করে।আমাদের যে সরকারই ক্ষমতায় আসুক তাদের কাজ হলো অতীত ঘাটা ও বিরোধী দমন। যদি এ কাজেই ব্যাস্ত থাকে তাহলে দেশের উন্নতি হবে কি করে? সহিংসতার কারণে প্রতিটি সরকারের শেষ প্রান্তে এসে প্রবৃদ্ধি কমে যায় এবং জিডিপির অনুপাতে বিনিয়োগ কমে যায়। তাই প্রবৃদ্ধিও কমে যায়।
হরতালে কোন দলের কতটুকু লাভ বা ক্ষতি হয় তা আমার জানা নেই তবে জনজীবন যে মহাবিপর্যয়ের দিকে ধাবিত হয় তা প্রান্তিক জন গনের বুঝতে কোন অসুবিধা হয় না।তারাই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় যারা ক্ষুদে ব্যাবসায়ি ও দিন মজুর।রাজনীতিবিদদের উত্থান পতনের সাথে বুরুক্রেসির ব্যাপার থাকে।তাদের খাওয়া পরার কোন অসুবিধে নেই।টাকার কোন অভাব নেই।তাদের অধিকংশের পরিবার ছেলে মেয়ের অবস্হান বিদেশে ও পড়াশুনার গন্ডিটাও সেখানে।যাদের নিয়ে তারা রাজনীতি করে তাদের কত % এ কথাগুলো বুঝতে পারে তা তাদের ভাবার সময় এসেছে।যে সরকাই ক্ষমতায় আসুক তাদের কাজ হলো দেশের প্রান্তিক মানুষগুলোর উন্নয়নে সহায়তা করা।তা না করে তারা বিরোধীদের ক্ষেপিয়ে তোলে।আর বিরোধীদের কাছে তখন থাকে দিনের পর দিন হরতালের পরিকল্পনা,অগ্নিসংযোগ, গাড়ি ভাংচুর,দোকানপাট লুন্ঠন ইত্যাদি।আর সরকারের লেজুড়গোষ্ঠীর সন্ত্রাস,দুর্নীতি, ধর্ষন ব্যাবিচারের মত চরম পরাকাষ্ঠা।দীর্ঘ হরতালের কারনে জনজীবন হাঁপিয়ে উঠে।শহুরে জীবনের ভোগ্যদ্রব্য আসে গ্রাম থেকে।পরিবহন ব্যায় বেড়ে যাওয়ায় জিনিসপত্রের দাম হু হু করে বেড়ে যাছ্ছে আর এর ঘানি টানতে হছ্ছে মধ্যবিত্ত ও সমাজের গরীব প্রান্তিক জন গনকে। আর সে জন্য শিল্প ও কৃষিসহ উৎপাদনের সব ক্ষেত্রে স্হবিরতা দেখা যায়।
শুধু কি তাই,আমাদের তরুন ছেলেমেয়েরা যারা পড়ুয়া ও পরিক্ষার্থি তারা প্রতিদিনই এক অনিশ্চয়তার দিকে ধাবিত হছ্ছে।নিয়মিত পরিক্ষার প্রস্তুতি থাকলেও হরতালের কারনে বাধাগ্রস্ত হছ্ছে।এতে কচি মনে রাজনীতির উপর বিরুপ প্রতিক্রিয়া জন্ম নিছ্ছে।আমাদের যখন একটি মিডিয়া ছিল তখন যে মান ছিল এখন বহু মিডিয়া আসলেও মান নিছের দিকেই ধাবিত হছ্ছে।আমাদের তরুনরাও এখন মধ্যরাতের টক শো গুলো দেখে বিভ্রান্ত হছ্ছে।যারা নিজেদের বুদ্ধিজীবি বলে দাবি করছে তাদের অনেকেই এখন দলবাজিকে কেন্দ্র বিন্দু করে কথা বলেন।তাদের কাছ থেকে তো জাতি শিখবে।তারা যদি নীরপেক্ষ না থাকেন তাহলে জাতির পক্ষে কথা বলবে কারা।এর মধ্যে যারা সত্যের পতাকা বহন করেন তাদের উপর নেমে আসে খড়গ।রাজনীতিবিদরা হবেন প্রফেশনাল ও সফিষ্টিকটেড।তারা উন্নত দেশের আদলে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন।দেশে যারা প্রথিতযশা জ্গানী গুনী তারা দেশের যে প্রান্তেই থাকুক তাদের সাহায্য ও পরামর্শ নিবেন।রাজনীতিবিদরা যদি দমন পীড়ন , সম্পদ লুন্ঠেনে ব্যাস্ত থাকেন তাহলে তারা যেমন ক্ষমতায় টিকতে পারবেন না তেমনি দেশের উন্নয়ন ও হবে ব্যাহত।
সরকারি অফিস আদালত গুলোর এমন যায়গা নেই যেখানে ঘুষ দুর্নিতি ও স্বজনপ্রীতি না আছে।আমার নিজের অনেক আত্মীয় স্বজন বাধ্য হয়ে ভাল রেজাল্ট করা স্বত্বেও জীবনের প্রয়োজনে ৫/১০ লাখ টাকা ঘুষ দিয়ে চাকুরি নিয়েছে।যে লোকটি জীবনের প্রথমেই জড়িয়ে পড়েছে ঘুষ বানিজ্যে তার সারাটা জীবন কি চলবে এভাবে? চাকুরি পাওয়ার পর তার চিন্তা থাকবে কখন তার টাকাটা উঠাবে।আর তখন তার কাছে পেশার কোন গুরুত্ব থাকবেনা।প্রতিটি সেক্টরে আজ একই অবস্হা।ভয়াবহ ব্যাপার হলো, এ রকম অবস্হা চলতে থাকলে দেশ এক সময় মেধাশূন্য হয়ে পড়বে।বর্তমান প্রজন্মের যারাই একটু ভাল করে বাবার সংগতি থাকলে বিদেশে পাঠিয়ে দেয়।যাদের সামর্থ থাকে না তারা দেশে পড়লেও চাকুরিতে এই অনিয়মের কারনে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ে।যার ঘানি টানতে হয় সমাজকে।
আমাদের রাজনীতিবিদদের সচেতনতার সময় এসেছে।জন গন ফুঁসে উঠছে কারন তাদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে।দেশ ধ্বংস হলে কি নিয়ে তারা রাজনীতি করবেন? তারা কেন বিভক্তির দিকে জাতিকে ঠেলে দিছ্ছেন? তাদের কাছ থেকে জাতি ভাল কিছু শিখবে, জাতিকে পথ দেখাবেন। তা না করে দেশের মানুষগুলোকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিছ্ছেন।যে মানুষগুলো তাদের মুল্যবান রায় দিয়ে তাদেরকে সংসদে পাঠাছ্ছে তাদের কতটুকু দায় পরিশোধ করছেন? তারা লেটেস্ট মডেলের গাড়ি চালিয়ে যখন ফুটপাথের কাছ দিয়ে যান তখন কি তাদের চোখে পড়েনা ডাষ্টবিনের পাশেই সে মানুষগুলো খাছ্ছে তাদের খাবার।সময় এসেছে তাদের জবাবদিহীতার।ভাবুন আর ফিরে আসুন।আমাদের দেশে তৃতীয় শক্তির আবির্ভাব হয়েছে।এরা ক্ষমতা দখল করবেনা।আপনাদের দুর্ভিসন্ধি তারা বুঝতে সক্ষম হয়েছে অনেক পরে।গোটা দেশের
নীপিড়িত জন গন এক শক্তিতে রুপান্তরিত হয়েছে।তারাই আপনাদের চলার পথকে সহজ করে দিবে।হেফাজত দুর্বারগতিতে এগুছ্ছে।তবে তারা যদি রাজনীতিবিদদের খপ্পরে পড়ে যায় তাহলে তাদের সর্বনাশা নিজেরাই ডেকে আনবে।অতিতে আমরা দেখেছি যে সব নেতারা হাঁক ডাক দিয়ে এসেছে তারা টাকার কাছে মাথা নত করে দিয়েছে।ইসলামের পথে থাকলে ইসলামের নীতি ও আদর্শের কাছে মাথা নত করতে হবে।আর তার সাথে প্রয়োজন নিজেদের যোগ্য করে গড়ে তোলা।শুধু শোডাউন করলেই চলবে না তাদের কাজ দেশের জন গনকে ইসলামি ঐতিহ্যের তালিম দেয়া।আমাদের সরকারগুলো যদি ইসলামকে মেনে নেয় তাহলে তো সোনায় সোহাগা।কিন্তু সে পথ অনেক দূর।তবে যদি গনতন্ত্রই অনুসরন করে তাহলে গনতান্ত্রিক নীতিমালার তো চর্চা করেই এগুতে হবে।গনতন্ত্রে মত ও পথের পার্থক্য থাকবে কিন্তু এর অর্থ এই নয় যে একে অন্যের বিরুদ্ধে হানাহানি করবে।হানাহানি করা হলো একটি পশুর জীবনের দিকে প্রত্যাবর্তন।আমরা এখন এমন এক অবস্হায় আছি যা গোটা পৃথিবি আমাদের পর্যবেক্ষন করছে কটু দৃষ্টিতে।দেশকে বাঁচাতে হলে,উন্নতির শিখরে নিতে জ্গান বিজ্গান চর্চার কোন বিকল্প নেই।আমরা সে পথ থেকে দূরে সরে পড়ছি।আমাদের রাজনীতিবিদরা একে অন্যকে যে ভাষায় কথা বলেন গ্রামের একজন অজ্গ কৃষকও আর একজন কৃষককে এভাবে কথা বলেনা।একজন প্রথম সারির নেতাকে হেফাজত সম্পর্কে বলতে শুনলাম তারা নাকি লেজ গুটিয়ে ঢাকা ছেড়ে চলে গেছে।এ জাতীয় কথাগুলো কখনো ভদ্রচিত কথা নয়। এ কথাগুলো অন্যায়কে উসকে দেয়।আর এ কারনে অনেক নেতা লান্চিত হয়।আমাদের দেশে এখনো অনেক নেতা আছে যারা মার্জিত ভাষায় কথা বলেন। তবে এখন অধিকাংশের মধ্যেই একে অন্যকে হার্ট করেন নোংরা কথা দিয়ে।
আমরা কি দেশের কল্যানে এক যায়গায় আসতে পারি না? দেশ তো আমাদের কারো একার নয়।দেশ গড়ার দায়িত্ব আমার আপনার সবার।শুধু সরকারের উপর যেমন নির্ভর করা যাবেনা তেমনি সরকারকেও জন গনকে সাথে নিয়ে এগুতে হবে।আমরা যদি যার যার কর্মক্ষেত্রে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়ে কাজ করি তাহলে দেশকে অল্প সময়ে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব।মুসলিম ভাইদের বলি,গোটা বিশ্বে এখন মুসলিমরা তাদের ব্যাক্তি জীবনে ইসলামের চর্চা করছে না।আমাদের দেশের প্রতিষ্ঠান গুলোতে ক'জন অমুসলিম আছেন।ঘুষ ,দুর্নিতি,রাহাজানি,ব্যাভিচার ও অন্যান্য অসামাজিক কাজের সাথে এক শ্রেনীর মুসলিমরা জড়িত।আমরা ধিক্কার জানাই তাদের আর তার সাথে তাদের বলবো নিজের ধর্মকে যেন বুঝার চেষ্টা করে যাতে অমুসলিমরা তাদের সমালোচনা না করতে পারে।মানুষ হিসেবে বেঁচে থাকার যে সামাজিক নীতি ও আদর্শ থাকা দরকার তা যদি আমরা সবাই অর্জন করতে পারি তাহলেই দেশ এগিয়ে যাবে আর তা না হলে অন্ধকার গলিতেই আমাদের থাকতে হবে যুগের পর যুগ।
হরতালের মতো রাজনৈতিক কর্মসূচি দেশের অর্থনীতির ওপর কীভাবে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে, তার চিত্র এই প্রবন্ধে তুলে ধরা হয়। এতে বলা হয়, হরতালের মতো রাজনৈতিক সহিংসতায় যদি ১ শতাংশ বা সাড়ে চার হাজার কোটি মূলধন সরবরাহ কমে যায়, তাহলে অর্থনীতিতে বেশ কিছু খাতে দীর্ঘমেয়াদি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। ২০১১-১২ অর্থবছর ধরে গণনা করে দেখা গেছে, এতে জিডিপির বাজারমূল্য আট হাজার ২৩৩ কোটি টাকা কমে যায়। আর রপ্তানি কমে ৫৮ কোটি ৩০ লাখ ডলারের, আমদানি কমে ২৮ কোটি ৪০ লাখ ডলারের। পাঁচ হাজার ৪৮৭ কোটি টাকার ভোগ কমে যায়। সরকারের রাজস্ব ক্ষতি হয় দুই হাজার ২৮০ কোটি টাকার।
মূল প্রবন্ধে বলা হয়, রাজনৈতিক সহিংসতা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে নেতিবাচকভাবে বাংলাদেশ চিত্রায়িত হচ্ছে, যা বিদেশি বিনিয়োগে প্রভাব ফেলবে।
সহিংসতার কারণে প্রতিটি সরকারের শেষ বছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমে যায় উল্লেখ করে এতে আরও বলা হয়, শেষ বছরে জিডিপির অনুপাতে বিনিয়োগ কমে যায়। তাই প্রবৃদ্ধিও কমে যায়।
আলোচনা: রেহমান সোবহান বলেন, সংঘাতময় রাজনীতি দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে। আর বিশ্বের নানা প্রান্তের সম্পদ স্থানান্তর হচ্ছে। এই সম্পদ, বিশেষ করে বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে বাংলাদেশ যে দরজা খুলেছে, সেই প্রক্রিয়ায় বাধাগ্রস্ত হবে। সংঘাতময় পরিস্থিতি এড়িয়ে এই বিনিয়োগ আনতে সবাইকে ঐকমত্য হতে হবে।
রাজনৈতিক সংঘাত উত্তরণ ও আগামী নির্বাচন সম্পর্কে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘আমি কোনো সংলাপের সম্ভাবনা দেখি না। বিএনপির অবস্থান হচ্ছে, আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি মানতে হবে। আর সংবিধানে সেই সুযোগ নেই বলে এতে আপস করা হবে না, এটা আওয়ামী লীগের অবস্থান।’ তিনি আরও বলেন, আবার জামায়াতকে ত্যাগ করে সংলাপ বিএনপি মানবে না।
তোফায়েলের মতে, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু না হলে এই সংঘাতময় পরিস্থিতি তৈরি হতো না। কিন্তু যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করা আওয়ামী লীগের নির্বাচনী অঙ্গীকার। তিনি বলেন, ‘রাজনীতিতে যখন পারি না, তখন “ভারত” ও “ধর্ম” ইস্যুতে নিয়ে আসি।’
বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য এম ওসমান ফারুক বলেন, বর্তমান রাজনৈতিক সংকট সমাধানে বিরোধী দল অংশগ্রহণ করতে পারে। এ জন্য ‘অতিকথন’ বন্ধ করতে হবে। হাঁটি হাঁটি পা করে সরকারি দলকেই এগিয়ে আসতে হবে।
ওসমান ফারুকের মতে, যেহেতু এটি একটি শাসনতান্ত্রিক সংকট, তাই সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে উদ্যোগ আসতে হবে। তিনি বলেন, অর্থবহ সংলাপ হতে হবে, বিষয়বস্তুহীন নয়। তৃতীয় শক্তির কথা বলা হচ্ছে, এমন হলে কেউ রেহাই পাবেন না। বিরোধী দলকে রাজনীতির সুযোগ দিতে হবে। অন্তরে অগণতান্ত্রিক চেতনা, আর মুখে ‘ওয়েস্ট মিনস্টার’ পদ্ধতির গণতন্ত্রের কথা বলবেন, এটা ঠিক নয়। তিনি সরকারি দলের উদ্দেশে বলেন, ‘হরতাল সহিংসতার বোধ করি এখনো পুরোটা দেখেননি।’
বর্তমান রাজনৈতিক সংকটে তোফায়েল আহমেদের মতো সরকারি দলের বড় নেতাদের মুখ খোলার আহ্বান জানান গণফোরাম সভাপতি ও সংবিধানপ্রণেতা ড. কামাল হোসেন। এ প্রসঙ্গে তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘আমি কথা বলে কি আপনাদের মতো অবস্থানে চলে যাব? যদি দল ছাড়ি, তখনই মুখ খুলব। সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আওয়ামী লীগ করেই কবরে যাব।’
কামাল হোসেন বলেন, পরিকল্পিতভাবে সংবিধানকে উপেক্ষা করা হচ্ছে। সরকার নিরপেক্ষ থাকার কথা, তারা তা না পারায় আস্থার সংকট তৈরি হয়েছে।
মহাজোটের একটি আচরণবিধি থাকা উচিত বলে মনে করেন কামাল হোসেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এরশাদ সাহেব হেফাজতে ইসলামকে সহায়তা দিচ্ছেন।
ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেন, যখন যাঁরা সরকারে থাকেন, তাঁরাই বলেন, গণতন্ত্র বিরাজমান। ক্ষমতায় না থাকলে বলেন, গণতন্ত্র নেই। বর্তমান অস্থির রাজনীতি কীভাবে ঠিক করতে হবে, তাই নিয়ে আলোচনার উদ্যোগ নেওয়া উচিত।
রাজনীতিবিদদের উদ্দেশে এফবিসিসিআইয়ের সাবেক আরেক সভাপতি এ কে আজাদ প্রশ্ন রাখেন, ‘হরতাল গণতান্ত্রিক অধিকার হলেও আমাদের (ব্যবসায়ী) পুড়িয়ে মারার অধিকার কি আপনাদের আছে?’ অর্থনীতির স্বার্থে সহিংস রাজনীতি বন্ধের আহ্বান জানান তিনি।
বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্য এখন রাজনীতিবিদদের হাতে চলে যাচ্ছে। রাজনীতিবিদেরাই ব্যাংক, বিমা, বিদ্যুৎকেন্দ্র, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় পান। তিনি আরও বলেন, বিরোধীদলীয় নেতাদের জেলে রেখে আলোচনা হয় না।
বিষয়: বিবিধ
১২৯০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন