গণজাগরণ বনাম তেহরিক ই তালেবান
লিখেছেন লিখেছেন সত্য বয়ান ২১ ডিসেম্বর, ২০১৩, ০২:২৬:৫৫ রাত
একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের মতো স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে 'নিন্দা প্রস্তাব' অন্তত: পাকিস্তানের মুখে মানায় না। কেননা একাত্তরের ২৫ মার্চের কথা ভুলে যায়নি বাংলাদেশ, ভুলে যায়নি বিশ্ব। এ নয় মাস আমাদের ভোলার কথাও না। একাত্তরের বর্বর ভুমিকার জন্য তাদের ক্ষমা চাওয়া উচিৎ। দোষ স্বীকার করা কখনো লজ্জার না।
আবার আমার মা, বোনকে যদি আমি ভালোবাসি, তবে আমি অন্যের মা, বোনকে গালি দিতে পারি না। ঠিক তেমনি, আমার পতাকাকে যদি আমি ভালোবাসি, তবে আমি অন্যের পতাকা কিভাবে পোড়াই? কোনো বাংলাদেশী, বাঙ্গালি পতাকা পোড়াতে পারে না। কেননা পতাকার মর্ম তো আমাদের চাইতে আর কোনো জাতি বেশি বোঝে না। আমরাতো সেই জাতি, যারা শুধু একটি পতাকা, নিজস্ব মানচিত্রের জন্য লাখ লাখ তাজা জীবন হানাদারের বুলেটের সামনে উৎসর্গ করেছি।
তাই বলবো, আল কায়েদার মতো দূতাবাসে হামলার হুমকি, ঘেরাও, পতাকা পোড়াবেন না। পণ্য বর্জন করা যেতে পারে। আমাদের উচিৎ প্রতিবাদের শান্তিপূর্ণ ভাষা ব্যবহার করা। না হলে আল কায়েদা আর আমাদের মধ্যে পার্থক্য কি?
তবে একটা বিষয় লক্ষ্যনীয়, তেহরিক ই তালেবান কিন্তু কাদের মোল্লার ফাঁসির পর হামলার হুমকি দেয়নি। ঢাকায় অবস্থিত পাকিস্তানের দূতাবাসে হামলা, তাদের দূতাবাস হুমকির মধ্যে পড়ায় তারা পাল্টা হুমকি দিয়েছে। সুতরাং এটা প্রমাণিত যে, এক জঙ্গিগোষ্ঠির বিপরীতে আরেক জঙ্গিগোষ্ঠি পাল্টা হামলার হুমকি দিয়েছে।
http://www.priyodesh.net
বিষয়: বিবিধ
৩২৯৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন