'জারজ সংসদ সদস্য'নামা
লিখেছেন লিখেছেন সত্য বয়ান ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৩, ০২:৪৬:০৪ দুপুর
গ্রামের কোনো প্রেমিক, প্রেমিকা যদি বিয়ের আগে সেক্সের মাধ্যমে সন্তান জন্ম দেন, তবে আমাদের সমাজ সাধারনত তা সহজে মেনে নেয় না। ওই প্রেমিক যুগল, সন্তানকে সমাজ বিভিন্ন নেতিবাচক অভিধা দিয়ে থাকে।
আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটের ১৪ দলের 'অবৈধ সেক্স' তথা একতরফা নির্বাচনের মাধ্যমে ভোটের আগে তাদের দেড় শতাধিক প্রার্থীকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত করার সব আয়োজন সম্পন্ন করতে যাচ্ছে। বিশ্ব ইতিহাসের কোনো নির্বাচনে এতো বেশি 'জারজ এমপি'র খোঁজ খুব সহজে পাওয়া যাবে না। সহজভাবে বললে, বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক 'জারজ এমপি' উৎপাদন করে বিরল রেকর্ড গড়ার পথে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। তবে দু:খজনক হলেও সত্য এ 'অবৈধ সেক্স' দেখার জন্য কোনো প্রতিনিধিদল পাঠাবে না বিশ্ব সম্প্রদায়।
ধর্মীয় কৃষ্টি, কালচারের জন্য আমাদের সমাজ না মানলেও পশ্চিমা বিশ্ব সাধারণত 'অবৈধ সেক্স', বা এর ফসল মেনে নেয়। তবে তারা এটা মানলেও 'সেক্সুয়াল ইলেকশন' মানতে নারাজ। ইতোমধ্যে তারা এটা সরকারকে জানিয়েছেন। সরাসরি, প্রতিনিধি, ফোনের মাধ্যমে তারা বার বার বলছেন, 'সেক্সুয়াল ইলেকশন' বন্ধ করুন। কিন্তু তাদের উপদেশ, অনুরোধকে এরা গ্রাহ্যই করছেন না। কথায় আছে, 'সেক্সের নেশা নাকি বড় নেশা।' তার তা যদি হয় বিয়ের আগে তাহলে তো কথাই নেই।
তবে এবার ধর্ষিতার ভূমিকায় অভিনয় করছেন একসময়ের দেশ কাঁপানো বাস্তবের 'ধর্ষক', সাবেক পতিত স্বৈরাচার। আর 'ধর্ষকের' চরিত্রটাও সবার জানা। এরপর চিত্রনাট্য অনুযায়ী অভিনয়। অভিনেতা, অভিনেত্রী পাক্কা খেলোয়াড়। 'সেক্সের দৃশ্য' ফুটিয়ে তোলছেন ভালোভাবেই। তবে আবেগের জন্য দৃশ্য বাস্তবায়ন হয় না মাঝে মধ্যে। আবার ধর্ষণ হলেওতো 'সেক্স সিন'। তাই অনেক সময় একটু বেশিও হয়। এজন্য দুই বছরের 'সেক্সের ফসল' দেড় শতাধিক, যেখানে দশ মাসে হয় একজন। বেশি হলেও দু'জন, যাকে সমাজ যমজ বলে। একেই বলে 'হাইব্রিড সেক্স'।
বৈধ হোক, আর অবৈধ হোক বর্তমান সময়ে সিজারের মাধ্যমে সন্তান ডেলিভারির জন্য হাসপাতাল লাগে। আর সেটা যদি হয় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল, তাহলে তো কথা নেই। বিশ্বমানের এ হাসপাতালে 'হাইব্রিড সেক্স'র ফসল দেড় শতাধিক 'জারজ' ডেলিভারি কোনো ব্যপারই না।
কথায় আছে 'গরিবের বউ সবার ভাবী।' ভাবীর সঙ্গে সবাই মজা করতে চায়। কোমল হাতটা একটু ছুঁয়ে দেখতে চায়। এর মধ্যে দেবর, ভাবীর মনের লেনদেন হলে তো কথাই নেই। ধর্ষিতার ভূমিকায় যিনি অভিনয় করছেন, তিনি নাকি পরিস্থিতির শিকার হয়ে এটা করছেন। 'পেটের দায়ে' করছেন। সুতরাং তার বউ এখন সবার ভাবী। মন কাকে দেয়া যায়, তার পরীক্ষা নেয়ার জন্য ভাবী ইতোমধ্যে দলের, দলের বাইরে অনেকের সঙ্গে একান্ত বৈঠকে মিলিত হচ্ছেন। মিলিত না হয়ে উপায় কী। সময় না দিলে নেতাকর্মীরা দলে থাকবেন কেনো? তাদেরকেও সময় দিতে হবে।
চলবে...
বিষয়: রাজনীতি
৩৬০৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন