বল্গার এলিজাবেথের দৃষ্টি আর্কষন : অস্ট্রেলীয় নারী এত অসহায়!

লিখেছেন লিখেছেন ওরিয়ন ১ ২৮ মার্চ, ২০১৩, ০৭:৫৬:৫৯ সকাল



link in here

সঙ্গী সোজা বলে দিচ্ছেন, এমন পোশাক পরা চলবে না। ধর্ষণ-নির্যাতন চলছে হরদম। ঘরে-বাইরে মেয়েদের যৌন হয়রানির শিকার হওয়া নিত্যদিনের ঘটনা। দেশের নাম কিন্তু ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্তান বা বাংলাদেশ নয়—অস্ট্রেলিয়া! বাইরে থেকে মনে হয় স্বর্গসুখে আছে অস্ট্রেলিয়ায় মেয়েরা। আসলে যে ঘরের কোণে, পথে-প্রান্তরে, অফিস-আদালতে তাদের সঙ্গে আর উপমহাদেশ, আফ্রিকা বা আরব অঞ্চলের নারীদের খুব বেশি পার্থক্য নেই, তা পরিষ্কার আইপিএসের এক প্রতিবেদনে। দেশটির ১৮ থেকে ৬৪ বছর বয়সি নারীদের অনেকে পাঁচ বছর আগেই জানিয়েছেন পুরুষ কতটা নির্মম আচরণ করে আসছে তাদের ওপর। সে দেশের ব্যুরো অব স্ট্যাটিসটিকস এক জরিপ চালিয়ে দেখেছে দেশময় নীরবে চলছে ভয়াবহ নারী নির্যাতন, ধর্ষণ, যৌন নিপীড়ন। শারীরিক নির্যাতন মুখ বুজে সহ্য করতে হচ্ছে নারীদের। এ ধরনের নির্যাতনের এক-তৃতীয়াংশই হয় বাড়িতে।

বিয়ে করলে বিবাহিত জীবনে নারীদের অনেক ক্ষেত্রেই স্বাধীনতা বলতে তেমন কিছু থাকে না। সন্তান হলে অস্ট্রেলিয়ার অনেক মেয়েও ছেড়ে দেয় চাকরি। তারপরই শুরু হয় বিপদ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকে বলেছেন, স্বামী সবরকমভাবে তাদের বন্দি করে রাখতে ক্রেডিট কার্ড কেড়ে নিয়ে বাতিল করেছে, মোবাইল ব্যবহারেও জারি করা হয়েছে নিষেধাজ্ঞা, যখন তখন বাইরে বেরুনো অনেক নারীর কাছে যেন বেশি কিছু চাওয়া, এমনকি বাবা-মায়ের কাছে যাওয়াও নিষিদ্ধ।

বিয়ে না করলেও রেহাই নেই। ‘বয়ফ্রেন্ড’ বা ‘পার্টনার’ও সম্পর্ক একটা পর্যায়ে গেলেই খুলে ফেলে মুখোশ। চলে অকথ্য নির্যাতন। নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা জরিপ সংস্থা আইভিএডব্লিউএস জানিয়েছে, অস্ট্রেলিয়ায় অবিবাহিত নারীরাও সাবেক বা বর্তমান ছেলেবন্ধু বা সঙ্গীর কাছে নানাভাবে নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন অহরহ। কোনো সম্পর্ক নেই এমন পুরুষের নির্যাতনের শিকার হারই বরং কম, কোথাও কোথাও নাকি ছয়জনে মাত্র একজন। নির্যাতকদের কদর্যতা ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্তান বা বাংলাদেশের কথাই মনে করিয়ে দেয়। প্রেমিকা বা সঙ্গিনীকে বলা হচ্ছে, শরীর দেখা যায় এমন পোশাক কখনও পরবে না; অন্য পুরুষদের সঙ্গে মেলামেশা করবে না, টেলিফোনে যার-তার সঙ্গে কথা বলা বন্ধ। এমন কথা অস্ট্রেলিয়ার পুরুষরা ভাবতেও পারে তা কি কল্পনা করা যায়!

অবশ্য নারীর অবস্থা এবং অনেক পুরুষের আচরণের সঙ্গে মিল দেখা গেলেও নারীর নিরাপত্তা বিধানে সরকারের ভূমিকা দেখলে ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্তান বা বাংলাদেশের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার পার্থক্য মানতেই হবে। পরিস্থিতি সামাল দিতে কিছু আইন করেছে অস্ট্রেলিয়া সরকার। ঘরে নির্যাতনের শিকার হয়েছে জানালে পুলিশি ব্যবস্থার নিশ্চয়তা তো আছেই, এ কারণে বিশেষ ছুটিও অচিরেই পাবেন নির্যাতিতারা। এছাড়া নারী এবং শিশুদের নিরাপদ জীবনের নিশ্চয়তা দিতে ১২ বছর মেয়াদি এক পরিকল্পনা নিয়ে কাজ শুরু করেছে অস্ট্রেলিয়া সরকার। উপমহাদেশ, আফ্রিকা বা আরব দেশগুলোতে এমন দিন আসবে কবে? সূত্র : ডিডব্লিউ

বিষয়: বিবিধ

১৫১২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File