কি হতে পারে রাস্ট্র ধর্ম ইসলাম বাদ দিলে!

লিখেছেন লিখেছেন ওরিয়ন ১ ২৪ মার্চ, ২০১৬, ০৫:৫৮:৪৪ সকাল

দেশে ইসলামের আছে টা কি? মসজিদ মাদ্রাসা বন্দ্বের পাঁয়তারা চলছে। ওয়াজ মাহফিল বন্দ্ব করে দেয়া হচ্ছে। দাঁড়ি, টুপি, মোল্লাদের জংগী বানানো হচ্ছে, সংবিধান থেকে বিসমিল্লাহ বাদ দেয়া হচ্ছে। তাহলে কাগজে কলমে রাস্ট্র ধর্ম ইসলাম থাকলেই বা কি, আর না থাকলেই বা কি!

জ্বি ভাই, কিছু ইসলাম পন্হী ভাই হয়তবা এভাবে চিন্তা করছেন। আসলে ও তাই এদেশে ইসলামের আছেই বা কি? কিন্তু তাই বলে সংবিধান থেকে রাস্ট্র ধর্ম ইসলাম বাদ দিবে আর আমরা চুপ করে থাকবো আমি কোনমতেই সেটার পক্ষ নই।

কি হতে পারে রাস্ট্র ধর্ম ইসলাম বাদ দিলে আসুন দেখা যাক্:

১।এই যে বিটিভি কিংবা বেতারে আযান প্রচার করা হয়- এটা 'রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম' থাকার কারনেই বাধ্য হয়ে করা হয়। তা নাহলে আযানের সময়টাতেও নাচ-গান-সিনেমা দেখানো হত।

২। এখনো প্রশাসনের কোন কাজ শুরুর পূর্বে কুরআন তেলাওয়াত করা হয়, কেন জানেন? কেবলমাত্র 'রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম' থাকার কারনে। ৩।স্কুল-কলেজের ছাত্রীদের ইউনিফর্মে ওড়না রাখা অনেকটা বাধ্যতামূলক কেন জানেন? রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম থাকার কারনে।

৪। রমজানে স্কুল-কলেজ ছুটি কিংবা অফিস আদালত টাইম পরিবর্তন এসব শুধু রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম থাকার কারনে হয়।

৫। ঈদ বোনাস, ছুটি বিভিন্ন ইসলামিক ডে তে ছুটি সেতো কেবল মাএ রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম থাকার কারনে।

৬। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসায়-মসজিদে সরকারী ভূর্তকি রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম থাকার কারনে।

যারা বলছেন রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম থাকা না থাকা সমান আমি তাদেরকে বলতে চাই- থাকা এবং না থাকা যদি সমান হত- তাহলে নাস্তিকরা এটা অপসারন করার জন্য কোটি কোটি টাকা খরচ করত না, আদালতে রিট দায়ের করত না, এত প্রচার প্রচারনা চালাতো না। অবশ্যই এর গুরুত্ব আছে, যা আমরা পুরোপুরি অনুধাবন করতে না পারলেও ওরা পারছে।

এদেশের আইনকানুন পুরোপুরি ইসলামসম্মত নয়- এই অজুহাত দেখিয়ে যেটুকু আছে সেটুকুও বিসর্জন দিতে হবে এমন যুক্তির পক্ষে নই আমি।

সংবিধানে এই একটা পরিবর্তন ভবিষ্যতে আরো অসংখ্য ইসলামবিদ্বেষী আইন জারীর সুযোগ করে দেবে। আসলে এটা বাস্তবায়নের মাধ্যমে সেক্যুলাররা এক ধাপ এগোতে চাইছে, এতে সফল হলে পরবর্তী ধাপে চলে যাবে। নাস্তিকরা দেখতে চাইছে- দেশের মানুষ এটাকে কিভাবে নেয়। যখন তারা দেখবে সাধারন মানুষের মধ্যে এটা নিয়ে কোন প্রতিক্রিয়া নেই তখন তারা আরো দুঃসাহসী হয়ে উঠবে। আরেকটু বেশি মাত্রার ইসলামবিদ্বেষী আইন জারী করার উদ্যোগ নিবে। তাই এই ষড়যন্ত্র ঠেকানোর এখনই উপযুক্ত সময়। দেরী হয়ে গেলে আর কিছুই করার থাকবে না।

বিষয়: বিবিধ

১৬৮৬ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

363470
২৪ মার্চ ২০১৬ সকাল ১০:৩০
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : একমত। সামান্যটুক এর জন্য হলেও আন্দোলন করা উচিত।
363480
২৪ মার্চ ২০১৬ সকাল ১১:৫৬
আবু জান্নাত লিখেছেন : সহমত, অবশ্যই দলমত নির্বিশেষ সবাইকে এক কাতারে এসে আন্দোলন করা দরকার। প্রতিরোধ গড়ে তোলা সময়ের এক অপরিহার্য্য দাবী। ধন্যবাদ
363599
২৫ মার্চ ২০১৬ রাত ০৯:২০
সামছুল লিখেছেন : কষ্ট করে এতো সুন্দর লেখা উপহার দেওয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ!

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File