ট্টানজিটের কিছু অভিজ্ঞতা

লিখেছেন লিখেছেন ওরিয়ন ১ ০৭ ডিসেম্বর, ২০১৪, ০৫:১৭:০৩ সকাল

মালেশিয়াতে ৫ ঘন্টা ট্টানজিট। দুপুর প্রায় ২ টা বাজে। সিডনী থেকে ৮ ঘন্টা জার্নি শেষে স্বাভাবিক ভাবে ক্লান্ত। অজু করে আমার দশ বছর ছেলে তাসনীম সহ যোহর নামাজ পড়লাম। মালেশিয়া এয়ারপোর্ট এ নামাজের সুন্দর ব্যবস্হা। যেহেতু হাতে এখনো ৪,৩০ ঘন্টা সময়, তাই ধীরে সুস্হে মালেশিয়া এয়ারপোর্ট এ বিভিন্ন স্টল দেখতে লাগলাম। একটা ফাস্ট ফুডের দোকানে ঢুকলাম। পকেটে কোন মালেশিয়ান রিংগিট নাই দোকানীকে আস্ক করতে বললো, কোনো সমস্যা নাই, ওরা অসি ডলার নেবে। কিন্তু সমস্যা হলো চেন্জের সময় একগাদা মালেশিয়া রিংগিট ধরিয়ে দিল। ব্যাটা কে এত করে বললাম এগুলো দিয়ে আমি কি করব, আমাকে অসি ডলার চেন্জ দাও, কিন্তু দোকানী বললো এটাই নিয়ম। এরপর প্রয়োজন না থাকার পর ও আরো কিছু কিনে বাকী রিংগিট গুলো খরচ করলাম চেস্টা করলাম। তারপর ও কিছু কয়েন থেকে গেল। মালেশিয়া এয়ারপোর্টর একেবারে শেষ পান্তে ৩৬ নম্বর গেটে আমাদের পরবর্তী ফ্লাইট। গেটের কাছাকাছি এসে সবাই মিলে চেয়ার গেড়ে বসলাম। ছেলে মেয়ে গুলো ইতিমধ্যেই হাপিয়ে উঠছে। আর বোরিং বোরিং বলে বিরক্ত প্রকাশ করেই চলছে। গেটের কাছে দেখলাম অনেক দেশী ভাই আগে থেকেই বসে আছে ফ্লাইটের অপেক্ষায়। মালেশিয়াতে প্রচুর বাংলাদেশী কাজ করে জানি। মনে হলো বেশীর ভাগই স্বল্প শিক্ষিত,অদক্ষ, কায়িক পরিশ্রম করে ইনকাম করে। আমার অনুমান কিছুক্ষন পর সত্য হলো। গেইট খুলতে এখনো প্রায় আধা ঘন্টা বাকী। গেটের সামনে লম্বা লাইন নিয়ে দাঁড়িয়ে গেছেন সবাই। একটু পর সিক্যুরিটি এসে সবাইকে সরিয়ে দিলেন এখনো সময় হয়নি বলে, কিন্তু ঘুরে ফিরে আবার দাঁড়িয়ে যাচ্ছেন সবাই। উনাদের এই আচরনে ইমিগ্রেশান অফিসার দের দেখলাম বেশ বিরক্ত। আর সেটার বহি প্রকাশ দেখলাম ল্যাগেজ চেকিং এর সময়। ঐ ভাইদের সাথে অফিসারদের যাচ্ছে -তাই ব্যাবহার। মানে অশোভন আচরন। আমরা মাএ অল্প কয়েকজন ছিলাম অন্যদেশ থেকে আশা বাংলাদেশী। কিন্ত তাদের সাথে একই ফ্লাইটের যাএী হওয়াতে ইমিগ্রশান অফিসারদের অশোভন আচরনের স্বীকার হতে হলো। আমার ছেলেটাও বুঝে ফেললো ইমিগ্রেশান অফিসারদের এই অস্বাভিক আচরন। আমাকে চুপি চুপি বললো " ওরা ম্যানার জানে না" আমি ওকে কি করে বুঝাই, এটা ঠিক যে, ওরা মিসবিহেভ্ করছে যাএীদের সাথে, কিন্তু এর জন্য কি আমাদের দেশী ভাইয়েরা দায়ী নন? এ্যানি ওয়ে, ইমিগ্রেশান পার হয়ে ভিতরে ঢুকে বসে আছি, এখনো প্লেনের করিডোর খুলতে কিছুটা সময় বাকী। একজন দেশী ভাইকে দেখলাম,প্লেনের করিডোর এর গেট খুলতে অনুরোধ জানাচ্ছে। উনাকে যেন একটু এখুনি ভেতরে ঢুকতে দেয়। উনার অনেক অনুরোধ অফিসার রাখলেন না, রাখা উচিত ও নয়। বুঝলাম না, একটু খানি আগে প্লেনে উঠে উনি কি করবেন? উনি কি আগে পোঁছে যাবেন? প্লেনে উঠে ও একই অবস্হা দেশী ভাইদের, সমানে মোবাইল ফোনে কল করে যাচ্ছেন। প্লেন ছাড়তে এখনো কিছুটা সময় বাকী। বিমান বালারা অনুরোধ করেই যাচ্ছেন, মোবাইল ফোন বন্দ্ব করার জন্য, সিট বেল্ট পড়ার জন্য, কিন্তু কে শুনে কার কথা। আর তাই বিমান বালারা ও যাএীদের সাথে তাচ্ছিল্য আচরন করে চলছেন। সরকার মহোদয়ের উচিত দক্ষ এবং শিক্ষিত কর্মী বাহিনী বিদেশে পেরন করা। যাতে করে কর্মীরা সুন্দর ও মার্জিত আচরন করে এবং দেশের মান সম্মান অক্ষুন্ন থাকে সেই সাথে সাথে বিদেশীদের কাছে আমাদের হেয় প্রতিপন্ন হতে না হয়।

বিষয়: বিবিধ

১১৪৭ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

291952
০৭ ডিসেম্বর ২০১৪ সকাল ১১:১১
মোস্তফা সোহলে লিখেছেন : এই অশিক্ষিতরাই কিন্তু প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ টাকা পঠাচ্ছে দেশে।আর এদেশের অর্থনিতীর ভিত গড়তে তারাই কাজ করে যাচ্ছে।
295280
১৭ ডিসেম্বর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৪৪
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : ভাই ওরা যদি শিক্ষিত হতে পারত, স্বাবলম্বী হতে পারত তবে কি ওরা বিদেশে কামলা খাটতে যেত?

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File