মানুষকে ডেকে যেতে হবে আল্লাহর পথে।
লিখেছেন লিখেছেন ওরিয়ন ১ ০৪ নভেম্বর, ২০১৪, ০৫:৫৮:৪০ সকাল
বাংলাদেশের ইসলামী আন্দোলানের জন্য বিরাট এক টার্নিং সময় এখন। অত্যন্ত বুদ্বিমওা, দূরদর্শিতা, চরম ধর্ষ্য আর সাহসিকতার সহিত বর্তমান সময়ের মোকাবিলা করা উচিত। সামান্য ভূল কিংবা আবেগের কারনে ঐতিহ্যবাহী এই সংঘঠনটিকে চরম মূল্য দেওয়া লাগতে পারে। কিংবা জন বিচিহ্ন হয়ে যেতে পারে। আন্দোলানের কর্মীদের মনে রাখা উচিত উনারা প্রথমেই একজন ইসলামী আন্দলোনের কর্মী এবং পরে অন্য কোন দলের কর্মী। আর তাই উনাদের প্রত্যেকটা কাজ ইসলামের সীমারেখার মধ্যে হওয়া উচিত, হউক সেটা ময়দানে কিংবা নিজস্ব পরিমন্ডলে।
অনেককেই দেখছি অতি আবেগ প্রবন হয়ে সরকারের চৌদ্দ গোস্টী উদ্বার করে চলছেন বিভিন্ন সামাজিক নেট ওয়ার্ক ফেসবুক কিংবা ব্লগে। মনে হচ্ছে এক্ষুনি হয়তবা সরকারের সিংহাশন ধ্বসে পড়বে।
আসলেই হতাশ হবার কোন কারন আমি দেখছি না। দুনিয়ার প্রতিটি ইসলামী আন্দোলনের ইতিহাসই এরকম। সুমাইয়্যা, খব্বাব আর বেলাল রা: এর ইতিহাস কারো অজানা থাকার কথা নয়। হামাস এবং ইখওয়ানের নেতাদেরকে এরকম অবস্থার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে এবং হচ্ছে। সাইয়েদ কুতুব শহীদ এবং শহীদ শায়খ আহমেদ ইয়াসিনের কথা সবার জানা আছে। মুমিনদের কাছে দুনিয়ার জয়-পরাজয়ের হিসাব আখিরাতের চেয়ে বড় নয়। সুতরাং, ধৈর্য্য ধরে সংগ্রাম চালিয়ে যেত হবে, মানুষকে ডেকে যেতে হবে আল্লাহর পথে।
বিষয়: বিবিধ
১২৬১ বার পঠিত, ৯ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
জুলুম-নির্যাতন-পরিক্ষা এ সব তো ইসলামী সমাজ বিনির্মানে নিবেদিত প্রাণ মুমিনদের সহজাত বিষয়! প্রাণান্তকর চেষ্টা-ধৈর্য্য আর আল্লাহর প্রতি অগাধ বিশ্বাস-আস্হা নিয়ে সকল প্রতিকুল অবস্হা মোকাবেলা করেই সামনে এঘিয়ে যেতে হবে!
অনেক ধন্যবাদ সুন্দর উপস্হাপনার জন্যে!!!
যাদের রায় হয়ে যাচ্ছে তারা ছিল জামায়াতের এখনকার প্রজন্মের জন্য গলার কাঁটা স্বরুপ । এদেরকে তারা না পারতে মেনে চলেছে । তাদের কৃত পাপের ঘানি এখনকার প্রজন্মকে বয়ে চলতে হত যদি না এসব রায় হত । বিপক্ষের লোকদের কথার বানে তারা সবসময়ই কাবু হয়ে যেত , খুব সোজা ছিল কারণটা । তারা এমন একদেশে বসবাস করছে যে দেশটার জন্মের বিরোধিতা করেছিল তাদের গুরুরা ।
এখন জামায়াতকে নতুনভাবে নিজেদের গড়ে তুলতে হবে ।
এরা তো আখেরাতেও পার পাবে না
মন্তব্য করতে লগইন করুন