বিশ্বনবী মুহাম্মদ সল্লালাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম এর অবমাননা(?) এবং মুসলমানদের প্রতিবাদের দৌড়

লিখেছেন লিখেছেন ওরিয়ন ১ ০১ অক্টোবর, ২০১৪, ০৫:৫৯:০৫ সকাল

সারা দুনিয়াতে মুসলিমরা অভিযোগ করছে মুহাম্মদ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে অবমাননা করা হয়েছে। এ কথা বলার আগে আমরা কি কেউ ভেবে দেখেছি আসলে কি রসুলুল্লাহ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে অবমাননা করা যায়? সূর্যের দিকে থুথু ফেললে কি সেটা সূর্যের গায়ে লাগে? নাকি নিজের গায়ে এসে পড়ে। সারা পৃথিবীর মানুষ যদি এক হয়ে থুথু ছোড়ে তাহলেও কি সেটা মাধ্যকর্ষণের বাঁধা পার হতে পারবে? সূর্যে পৌছা তো বহু দূরের কথা। মুহাম্মদ সল্লালাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম কি অপমান করার সাধ্য কি কারো আছে? শত কোটি চেষ্টাতেও কি আল্লাহর রাসুল কে অবমাননা করা যায়? করা যে যায়না, তিনি নিজেই কি সেকথা বলেননি? তোমরা কি লক্ষ্য কর না যে কিভাবে আল্লাহ আমাকে কুরাইশদের অবমাননাকর গালি, অভিশম্পাত থেকে রক্ষা করেন? তারা আমাকে মুযাম্মামকে গালি দেয়, মুযাম্মামকে অভিশম্পাত করে; আর আমি মুহাম্মাদ। মুহাম্মাদ মানে প্রশংসিত, যে প্রশংসিত তাকে তো আর গালি দেয়া যায়না। তাই কাফেররা রসুলুল্লাহ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নাম বিকৃত করে ডাকতো মুযাম্মাম অর্থাৎ নিন্দিত। এখন যখন কাফেররা মুযাম্মামকে গালি দিচ্ছে তখন তারা মুযাম্মামকে গালি দিচ্ছে, মুহাম্মাদকে তো গালি দিতে পারছে না।

আল্লাহ্‌ বলেন আর লোকেরা যা বলে বেড়াচ্ছে সে বিষয়ে ধৈর্যধারণ করো এবং ভদ্রভাবে তাদের থেকে আলাদা হয়ে যাও৷ এসব মিথ্যা আরোপকারী, সম্পদশালী লোকদের সাথে বুঝাপড়ার ব্যাপারটা তুমি আমার ওপর ছেড়ে দাও৷ আর কিছু কালের জন্য এদেরকে এ অবস্থায়ই থাকতে দাও৷

মহান আল্লাহ সুবাহানাতাল্লাহ এখানে তাঁর রাসুল সল্লালাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম কে ধৈর্যধারন করার উপদেশ দিচ্ছেন। ভদ্রভাবে তাদেরকে এড়িয়ে চলতে বলেছন । সারা দুনিয়াতে রসুলুল্লাহ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কোন ছবি নেই। যাকে বিকৃতভাবে এঁকে, মুভিতে উপস্থাপন করে শয়তানরা নাম কামাতে চাচ্ছে সেটা কি আসলেই রসুলুল্লাহ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম? যাকে বর্তমান বিশ্বের কেউ কখনও দেখেনি তার ছবি আঁকা চলে কিভাবে? নগ্ন ঐ দেহটা তো নাস্তিকদের নবী ডারউইন কিংবা কার্ল মার্ক্সেরও হতে পারে! কোথাকার কোন উজবুককে আমরা বিশ্ববিখ্যাত বানিয়ে দিলাম। ইসলাম অবমাননা প্রকল্পে তাদের হাতের গুটি হিসেবে আমরা ব্যবহৃত হলাম। আমাদের বুদ্ধি কি হাটুতে নেমে গেছে?

আমরা এ জমানার মুসলিমরা না দ্বীন বুঝি, না দুনিয়া। কিভাবে কার্যকরী প্রতিবাদ করতে হবে, তার ভাষা কি হবে, ধরণ কি হবে সেটা নিয়ে আমাদের বিন্দুমাত্র চিন্তা নেই। ভিডিও নির্মাণ করল কে, আর সেজন্য প্রাণ দিতে হল কাদের! মহান আল্লাহ যেখানে কুরানে স্পষ্ট বললেন –

হে যারা ঈমান এনেছো! আল্লাহর উদ্দেশ্যে ন্যায়ের সাক্ষ্য দেয়ায় তোমরা অবিচল থাকবে। কোনো সম্প্রদায়ের প্রতি বিদ্বেষ তোমাদেরকে যেন কখনো সুবিচার বর্জনে প্ররোচিত না করে। সুবিচার করবে, এটা তাকওয়ার নিকটতর এবং আল্লাহকে ভয় করবে। তোমরা যা করো নিশ্চয়ই আল্লাহ তার সব খবর রাখেন।

মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে হত্যা করা কোন ন্যায়বিচার হল? একের অপরাধে অন্যকে হত্যা করা কি ইসলামী রীতি? ওরা ইরাক-আফগানিস্তানে নির্বিচারে মানুষ মারছে বলে আমরাও নির্বিচারে মানুষ মারব এটাই যদি যুক্তি হয় তাহলে ওদের আর আমাদের মধ্যে পার্থক্য রইল কি?

কারো আদর্শকে সহ্য করতে না পারলে সাধারণত তার বিরুদ্ধে ব্যক্তি আক্রমণ করা হয়। রসুলুল্লাহ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মক্কাতে যা প্রচার করতেন – এক আল্লাহর ইবাদাত করা। সেই সময় হযরত মুহাম্মদ (সঃ) যে সমাজ এবং রাষ্ট্রের পত্তন করলেন, তা এখনও আমার কাছে বেহেশত তূল্য। নারীকে ডাইনী, ভোগ্যবস্তু ইত্যাদি থেকে উত্তীর্ণ করলেন পরিপূর্ণ মানুষে, তাকে দিলেন সম্পদের উত্তরাধিকার, করলেন তার অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, আত্মিক এবং বুদ্ধিবৃত্তিক ক্ষমতায়ন। মানুষে মানুষে ভেদাভেদ পুরোপুরি মুছে দিলেন। ন্যায় পরায়নতার যে উদাহরণ প্রতিষ্ঠা করা হলো, তার আর কখনো সম্ভব হবে বলে মনে হয় না। কোন যুগে, কোন অঞ্চলের মানুষ কি পেরেছে এমন ন্যায় বিচার করতে যেখানে অর্ধ পৃথিবীর শাসক তার নিজের ছেলেকে অপরাধ প্রমানিত হওয়ায় নিজে গুনে গুনে প্রতিটি বেত্রাঘাত করেছেন?

যে মানুষটিকে তারা এতদিন আল-আমীন বলে ডাকত হঠাৎ তিনি মিথ্যা বলা শুরু করলেন? যে পাগল সেকি ছন্দ মিলিয়ে কবিতা বানাতে পারে? তাদের এই ব্যক্তি আক্রমণের পরষ্পর বিরোধীতা থেকে বোঝা যায় যে ব্যক্তি আক্রমণ কত ঠুনকো। আমরা খালি মানুষকে ধমকই দিয়ে যাব – “এই মিথ্যা কথা বলবানা”, কিন্তু সত্যটা কি সেটা না বলে চুপ করে থাকব – এটা কি শোভনীয়?

সমস্যা হচ্ছে আমরা সত্যটা বলব কিভাবে? বলতে হলে তো জানতে হবে। আর জানার ব্যাপারেই আমাদের যত আপত্তি। যারা রসুলুল্লাহ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সম্মান রক্ষার্থে রাস্তায় এসে বিক্ষোভ করছেন তাদের ক’জন তার জীবনকথা পড়েছেন? তাদের কয়জন রাসুলের সুন্নাহকে নিজের ব্যক্তিগত জীবনে পরিপূ্র্ণ ভাবে পালন করেন?একজন মুসলিমের জন্য রসুলের শিক্ষাকে উপেক্ষা করার চাইতে আর বেশী কি অবমাননাকর হতে পারে?

রসুলুল্লাহ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একজন মুসলিমের রক্ত এবং সম্পদ অন্য মুসলিমের জন্য হারাম করেছেন। ঢাকায় বাস ভাংচুর করে, পাকিস্তানে দোকান লুট করে, লিবিয়ায় মানুষ খুন করে বিক্ষোভকারীরা রসুলুল্লাহ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কোন সম্মান রক্ষা করল? রহমাতুল্লিল আলামীন মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) আমাদের কি শিক্ষা দিলেন , আসুন মিলেয়ে দেখি।

রাসুল সল্লালাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম শিক্ষা হচ্ছে – দু’জন মানুষের মাঝে ইনসাফ দেয়া হচ্ছে সাদকাহ্। কোন আরোহীকে তার বাহনের উপর আরোহন করতে বা তার উপর বোঝা উঠাতে সাহায্য করা হচ্ছে সাদকাহ্। ভাল কথা হচ্ছে সাদকাহ্,। সালাতের জন্য প্রত্যেক পদক্ষেপ হচ্ছে সাদকাহ্। এবং কষ্টদায়ক জিনিস রাস্তা থেকে সরানো হচ্ছে সাদকাহ্।

সেখানে আমরা কোটি মানুষকে কাজ করতে না দিয়ে বেইনসাফি করলাম। যান-বাহন চলাচল বন্ধ করে, মাঠে-ঘাটে চিৎকার করে, রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা দিয়ে – হরতাল করলাম। মানুষ মেরে পেললাম। একজন মুসলিম হিসাবে রসুলের শিক্ষাকে উপেক্ষা করে আমরা কি তাঁকে আর বেশী কি অবমাননা করিনি?

ইসলামের সৌন্দর্যের মধ্যে বড় একটা দিক হচ্ছে এর ভারসাম্যতা। ইসলামে ক্ষমা যেমন আছে তেমন শাস্তিও আছে। রসুলুল্লাহ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যেমন তায়েফবাসীকে ক্ষমা করেছিলেন তেমনি তিনি মদীনাতে কাব ইবন আশরাফ এবং আবু রাফে’কে হত্যার আদেশ দিয়েছিলেন।

ইসলামী শরীয়ত হচ্ছে একটি পরিপূর্ণ জীবন পদ্ধতি যা সকল দিক থেকে সার্বিকভাবে মুসলমানের ব্যক্তিগত জীবনকে গঠন করার ব্যাপারে অত্যন্ত গুরুত্বারোপ করেছে এসব দিকের মধ্যে গুনাবলি শিষ্টাচার ও চরিত্রের দিকটি অন্যতম। ইসলাম এদিকে অত্যন্ত গুরুত্বারোপ করেছে। তাইতো আকীদা ও আখলাকের মাঝে সম্পর্ক স্থাপন করে দিয়েছে, যেমন নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেছেন, “মুমিনদের মধ্যে পরিপূর্ণ ঈমানদার হচ্ছে সে ব্যক্তি, যে তাদের মধ্যে সর্বোত্তম চরিত্রের অধিকারী।” [আহমাদ, আবু দাউদ, তিরমিযি ]

সুতরাং উত্তম চরিত্র হচ্ছে ঈমানের প্রমাণবাহী ও প্রতিফলন। চরিত্র ব্যতীত ঈমান প্রতিফলিত হয় না বরং নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সংবাদ দিয়েছেন যে, তাঁকে প্রেরণের অন্যতম মহান উদ্দেশ্য হচ্ছে চরিত্রের উত্তম দিকসমূহ পরিপূর্ণ করে দেয়া। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেছেন,

“আমি তো কেবল চরিত্রের উত্তম দিকসমূহ পরিপূর্ণ করে দিতে প্রেরিত হয়েছি।” ইমাম আহমাদ ও ইমাম বুখারী আদাবুল মুফরাদে বর্ণনা করেছেন।

এ কারণেই আল্লাহ তাআলা উত্তম ও সুন্দরতম চরিত্রের মাধ্যমে তাঁর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর প্রশংসা করেছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন,

“নিশ্চয়ই আপনি মহান চরিত্রে অধিষ্ঠিত।” [সূরা আল, কালাম : ৪]

একজন মুসলমানের উপর তার আচার-আচরণে আল্লাহর সাথে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সাথে, অন্য মানুষের সাথে, এমনকি নিজের সাথে কি ধরনের আচরণ করা উচিত ইসলাম তার এক অভিনব চকমপ্রদ চিত্র অংকন করে দিয়েছে। যখনই একজন মুসলমান বাস্তবে ও তার লেনদেনে ইসলামী চরিত্রের অনুসরণ করে তখনই সে অভিষ্ট পরিপূর্ণতার অতি নিকটে পৌঁছে যায়, যা তাকে আরো বেশি আল্লাহর নৈকট্য লাভ ও উচ্চ মর্যাদার সোপানে উন্নীত হতে সহযোগিতা করে। পক্ষান্তরে, যখনই একজন মুসলমান ইসলামের চরিত্র ও শিষ্টাচার হতে দূরে সরে যায় সে বাস্তবে ইসলামের প্রকৃত প্রাণ চাঞ্চল্য, নিয়ম-নীতির ভিত্তি হতে দূরে সরে যায়। সে যান্ত্রিক মানুষের মত হয়ে যায়, যার কোন অনুভূতি এবং আত্মা নেই।ইসলামে ইবাদতসমূহ চরিত্রের সাথে কঠোরভাবে সংযুক্ত। যে কোন ইবাদত একটি উত্তম চরিত্রের প্রতিফলন ঘটায় না তার কোন মূল্য নেই। আল্লাহর সামনে নামায আদায়ের ক্ষেত্রে দেখা যায় নামায একজন মানুষকে অশ্লীল অপছন্দ কাজসমূহ হতে রক্ষা করে, আত্মশুদ্ধি ও আত্মার উন্নতি সাধনে এর প্রভাব রয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, “নিশ্চয়ই নামায অশ্লীল, অপছন্দনীয় কাজ হতে নিষেধ করে।” [ সূরা আল-আনকাবুত :৪৫

মুসলমানদের সংহত ও সংযত হওয়া উচিত। বুদ্ধি ও প্রজ্ঞা কাজে লাগিয়ে পাতা ফাঁদে পা দেয়ার আগে বুঝতে চেষ্টা করা উচিত এটা ষড়যন্ত্র না উসকানি। প্রতিবাদ অবশ্যই করতে হবে। সামর্থ্য অনুযায়ী প্রতিরোধও করতে হবে। তবে অপরিণামদর্শী হওয়া উচিত হবে না। শত্রুরা ইস্যু চাচ্ছে। তাদের হাতে নতুন ইস্যু তুলে দেয়া ঠিক হবে না। তারা আবার ক্রুসেডের জন্য প্রেক্ষিত সৃষ্টি করছে। আর চাচ্ছে উদীয়মান ইসলামি শক্তির পুনর্জাগরণ ঠেকিয়ে দিতে। মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে যে পরিবর্তনের সুবাতাস প্রবাহিত হতে শুরু করেছে তা রোধ করে দেয়াও এর উদ্দেশ্য হতে পারে।

আমাদের মুসলিমদের একটি জিনিস বুঝে নেওয়া দরকার। কে কার সম্পর্কে কি ভাববে সেটার উপরে আমাদের কোন হাত নেই। জোর করে সুধারণা সৃষ্টি করা যায়না। যারা রসুল সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সম্পর্কে জানেনা তাদের যা বলা হবে তারা তেমনই ধারণা পাবে। আর ধারণা পাবে যারা কথাগুলো বলছে তাদের কীর্তিকলাপ দেখে। আমাদের মুসলিমদের কাজ দেখে কি আমাদের শিক্ষক সম্পর্কে ভাল ধারণা পাবার কোন উপায় আছে? আমেরিকা-ইউরোপের কথা বাদ দেই, বাংলাদেশে, লালমনিরহাটের অজগাঁয়ে, কানের মোবাইলের ইয়ারফোনে গান শুনতে থাকা মুসলিম তরুণকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল আমাদের রসুলের নাম কি? সে বলতে পারেনি। আমি কোন মুক্তমনার কথা বলছি না, একটা চাষার ছেলের কথা বলছি। আমাদের লজ্জা হওয়া উচিত। রসুল সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাথে আমাদের একটি দিনের ২৪ ঘন্টা মিলিয়ে দেখি – কয়টি মুহূর্ত মেলে? তার আদর্শ শিখি, তার চরিত্র, তার ভদ্রতা, তার কর্মপন্থা নিয়ে একটু জানার চেষ্টা করি। একটু মানার চেষ্টা করি। এরপরে সেগুলো মানুষকে জানাই। যতটা সম্ভব জানাই। মুহাম্মাদ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে আল্লাহ সুবাহানাতাল্লাহ এই জমিনে রহমাতুললিল মুসলিমিন নয়, রহমাতুললিল ‘আলামীন করে পাঠিয়েছেন। তিনি কেন এবং কিভাবে সমগ্র সৃষ্টির জন্য দয়া এটা নিজে জানা এবং মানুষকে জানানোর ভার আমাদের। আল্লাহ যেন আমাদের এ দায়িত্ব পালনে সাহায্য করেন। আমিন।

রেফারেন্সঃ- ১ সহীহ বুখারী ২ সুরা আল মায়িদা ৩ সহীহ মুসলিম ৪ সুরা আল ফুরকান ৫ সীরাতে ইবনে হিশাম ৬ সিলসিলায়ে সাহীহা আবু দাউদ ৭ সিলসিলায়ে সাহীহা আবু দাউদ ৮ কুরানের আলো ৯ দৈনিক নয়াদিগন্ত ১০ সুরা আনকাবুত

( পুরানো লিখা)

বিষয়: বিবিধ

১২৭৯ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

270384
০১ অক্টোবর ২০১৪ সকাল ০৬:০৯
মাটিরলাঠি লিখেছেন : "তিনি (সা) কেন এবং কিভাবে সমগ্র সৃষ্টির জন্য দয়া এটা নিজে জানা এবং মানুষকে জানানোর ভার আমাদের। আল্লাহ যেন আমাদের এ দায়িত্ব পালনে সাহায্য করেন। আমিন।"

জাজাকাল্লাহু খাইরান। Good Luck Good Luck
০১ অক্টোবর ২০১৪ সকাল ০৬:১৫
214328
ওরিয়ন ১ লিখেছেন : [img]http://www.bdmonitor.net/blog/bloggeruploadedimage/Orion_sky/1412122502.jpg[/img
০১ অক্টোবর ২০১৪ সকাল ০৬:১৬
214329
ওরিয়ন ১ লিখেছেন :
270404
০১ অক্টোবর ২০১৪ সকাল ০৮:০১
দ্য স্লেভ লিখেছেন : একইসাথে প্রতিবাদও অব্যাহত রাখতে হবে্ কারন বিষয়টা রাজনৈতিক। এসব করে কাফিররা মুসলিমদের লেভেল পরিক্ষা করে। রসূলকে(সা: ) গালি দেওয়া ান্যায়,আর এই অন্যায় বা অসৎ কাজের নিষেধের লক্ষ্যে এই প্রতিবাদ। এটি বন্ধ হলে ,মানুষ এক সময় ভাবতে থাকবে-আল্লাহ ওদের শাস্তি দিবে,আমরা নামাজ পড়তে থাকি। কিন্তু ব্যপক প্রতিবাদ হলে কাফির ও দোসররা ভয় পায় এবং অন্য অনেক খারাপ থেকে বাধ্য হয়ে বিরত থাকে। মুসলিমদের এখনও কোনো শাসন সেভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়নি,যেবাবে প্রতিষ্ঠিত থাকলে মুসলিমরা বিচার চাইতে পারে। আপাতত প্রতিবাদই সম্বল। তবে তা নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে হওয়া জরুরী।
০১ অক্টোবর ২০১৪ সকাল ০৮:০৪
214348
ওরিয়ন ১ লিখেছেন : মুসলমানদের সংহত ও সংযত হওয়া উচিত। বুদ্ধি ও প্রজ্ঞা কাজে লাগিয়ে পাতা ফাঁদে পা দেয়ার আগে বুঝতে চেষ্টা করা উচিত এটা ষড়যন্ত্র না উসকানি। প্রতিবাদ অবশ্যই করতে হবে। সামর্থ্য অনুযায়ী প্রতিরোধও করতে হবে। তবে অপরিণামদর্শী হওয়া উচিত হবে না। শত্রুরা ইস্যু চাচ্ছে। তাদের হাতে নতুন ইস্যু তুলে দেয়া ঠিক হবে না। তারা আবার ক্রুসেডের জন্য প্রেক্ষিত সৃষ্টি করছে। আর চাচ্ছে উদীয়মান ইসলামি শক্তির পুনর্জাগরণ ঠেকিয়ে দিতে। মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে যে পরিবর্তনের সুবাতাস প্রবাহিত হতে শুরু করেছে তা রোধ করে দেয়াও এর উদ্দেশ্য হতে পারে।
০১ অক্টোবর ২০১৪ সকাল ০৮:৩১
214362
মামুন লিখেছেন : সহমত দ্য স্লেভ ভাইয়ের সাথে। তবে মূল লেখক খুব সুন্দর ভাবে বিষয়টি তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ তাকেও।
জাজাকাল্লাহু খাইর।Good Luck Good Luck

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File