সম্মানিত শেখদের কাছে জানতে চাই, জানা থাকলে সাহায্য করুন।
লিখেছেন লিখেছেন ওরিয়ন ১ ০৬ আগস্ট, ২০১৪, ০৭:১২:৪২ সকাল
১০ জন লোক এই সিদ্বান্তে উপনীত হলো যে, উনারা প্রতি মাসে ১০০০ টাকা করে জমা করবে। মাসের শেষে লটারীর মাধ্যমে ( ১০ * ১০০০) মোট ১০,০০০ টাকা একজন কে দেয়া হবে। যিনি প্রথমবার টাকা পাবেন, তিনি দ্বিতীয় মাসে লটারীর জন্য নির্বাচিত হতে পারবেন না, কিন্তু উনি মাসের কিস্তি দিয়ে যাবেন। এভাবে শেষ ব্যক্তিটি ১০,০০০ টাকা পাওয়া পর্যন্ত সবাই মাসিক কিস্তি দিয়া যাবেন।
প্রশ্ন হলো উপরোক্ত সিস্টেমটি ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক বৈধ কিনা? যদি অবৈধ হয় তাহলে হাদিস- কোরানের মাধ্যমে রেফারেন্স দিলে উপকৃত হই।
বিষয়: বিবিধ
১৩৫০ বার পঠিত, ৯ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আর আপনি ফতোয়া দিয়ে দিলেন, এটা হারাম না। আর আপনাদের ঐখানে চালু থাকলে যে হালাল হয়ে যাবে, সেটা কি করে হয়!
আমি দলিল চাই। মনে হয় আপনি শেখ না, কি বলেন?
আর আমি মতামত জানানোই আমাকে দিলেন "সাজা" ।
"আপনাদের ঐখানে চালু থাকলে যে হালাল হয়ে যাবে, সেটা কি করে হয়!"
আমাদের এখানে চালু থাকাই আমি ভাল ভাবে জানি বিষয়টা ।
হ্যা আমি কোন শায়েখ নই । আর শিরনামে আপনি শায়েখদের কাছে জানতে চেয়েছেন তার জন্য আমি দুঃখীত ।
হ্যাঁ, প্রশ্নোক্ত পদ্ধতিতে টাকা জমা করা ও ঋণ আদানপ্রদান করা জায়েয। কেননা এক্ষেত্রে কেউই জমাকৃত টাকার কম বা বেশি পায় না এবং ঋণ গ্রহীতাকেও অতিরিক্ত কিছু দিতে হয় না। বরং মেয়াদের শেষ পর্যন্ত প্রত্যেকে নিজের জমাকৃত পূর্ণ টাকা পেয়ে যায়। তবে লটারিতে যার নাম আসবে তাকে ঋণ দেওয়ার বিষয়টি সকলের স্বতঃস্ফূর্ত সম্মতিতে হতে হবে।
প্রকাশ থাকে যে, প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে যারা আগে আগে ঋণ পাবে তারা যেন শেষ পর্যন্ত কিস্তি দেওয়া অব্যাহত রাখে এটা নিশ্চিত করতে হবে। যেন ঋণদাতাদের জমা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।
এখানে আরো উল্লেখ্য, এক্ষেত্রে লটারি দ্বারা যেহেতু শুধু কাকে আগে ঋণ দেওয়া হবে এটা চিহ্নিত করা উদ্দেশ্য- তাই এই লটারি জায়েয।
-ফিকহুন নাওয়াযিল ৩/৩২৫; আলবাহরুর রায়েক ১/৩৪৮; আদ্দুররুল মুখতার ১/৫৫৮
http://www.alkawsar.com/issue/2013/05/section/question-answer?page=4
জাযাকাল্লাহ খইর
এটা হারামই । কারণ এর ফলে মানুষ এতে এডিকটেড হয়ে যাবে । এই মাসে ১০ জনের যে একজন পেয়ে সরে গেল , বাকী ৯ জনের সাথে প্রতি মাসে নতুন একজন যোগ হবে । যা কারও পক্ষে এমনও ঘটতে পারে যে , সে গত ৫ বছর ধরে প্রতিমাসে এক হাজার টাকা করে মোট ৬০,০০০ টাকা দিয়ে গেল আর পেল না কিছুই । আর কেউ এসেই ১ হাজার টাকা দিয়ে মাসান্তে ১০০০০ টাকা নিয়ে গেল ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন