যদি কেউ শরীয়ার রুল মোতাবেক উওর দেন তবে বড়ই উপকৃত হই !

লিখেছেন লিখেছেন ওরিয়ন ১ ২১ জুলাই, ২০১৪, ০৬:৪৪:১৮ সকাল

আমি সিডনীর একটি মুসলিম অধূষ্যিত এলাকায় থাকি অনেক বছর ধরে। বলা যায় এই এলাকাটি মুসলিমদের প্রাণকেন্দ্র সিডনীর জন্য। অনেকদিন থাকার ফলে অনেক মানুষের সাথে উঠা বসা, চলাফেরা, আন্তরিকতা, পাড়া প্রতিবেশী ও অনেক। এদের মধ্যে অনেকেই আবার আমার সংঘঠনের দ্বীনি ভাই।

এখানে ঈদের নামাজ মূলত: এরাবীয়ান কমিউনিটির নেত্বতে খোলা মাঠে হয়ে থাকে। যেখানে ছেলে মেয়েদের জন্য আলাদা নামাজের ব্যাবস্হা সহ বাচ্চাদের খেলাধূলার জন্য নানা প্রকারের চমৎকার আয়োজন করা হয়ে থাকে।

অন্যদিকে আমার সংঘঠনের উদ্দ্যোগে আমার বাসা থেকে অনেক দূরে প্রায় ৪৫ মিনিট ড্রাইভ, সংগঠনের ভাইদের দ্বারা পরিচালিত একটি মসজিদে ও ঈদের নামাজ অনুস্টিত হতে যাচ্ছে। সংঘঠনের ভাইরা ঐখানে স্বপরিবারে ঈদের নামাজ পড়ার দাওয়াত দিচ্ছেন।

এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে, আমি কোথায় ঈদের নামাজ পড়তে যাব। এক্ষেএ শরীয়ার হুকুম কি?

আমি কি আমার প্রতিবেশী, ফ্ল্যাট মেট, বন্দু-বান্দব, এলাকা ছেড়ে ঈদের দিন দূরে চলে যাব, ঈদ উদযাপন করতে, নাকি সংগঠনের ভাইদের দ্বারা পরিচালিত মসজিদে ঈদের নামাজ পড়তে যাব? উল্লেখ্য যে, এলাকার ঈদের নামাজ পরিবেশ, জামাতে লোকসংখ্যা, খুতবা ইত্যাদি খুবই কোয়ালিটি সম্পন্ন।

আসলে শয়ীয়া কি বলে? নিজের স্ব স্ব এলাকায় ঈদের নামাজ পড়া উচিত, নাকি নিজের ইচ্ছামত জায়গায় পড়তে পারি?

যদি কেউ শরীয়ার রুল মোতাবেক উওর দেন, বড়ই উপকৃত হই।

বিষয়: বিবিধ

১৫০৭ বার পঠিত, ২৮ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

246620
২১ জুলাই ২০১৪ সকাল ০৭:০২
দ্য স্লেভ লিখেছেন : শরীয়র নিয়ম হল আপনার নিজ এলাকার লোকের সাথে জামাত করবেন। এটা প্রথম দাবী। হাদীসের রেফারেন্স ভুলে গেছি তবে এটা সহি। অঅর যেহেতু আপনি সংগঠনের সাথে আছেন এবং সেখানেও আপনার/তাদের দাবী আছে তাই সেখানে পরে যাবেন ।


চাদ দেখা নিয়ে উভয় পাশে বৈধ বিতর্ক রয়েছে। যেহেতু মুসলিমের সাথে শত্রুতা পোষণ করা হারাম,তাই কৌশলে উভয় কূল রক্ষা করুন।

তবে নামাজ আপনার কাছাকাছি এলাকায় পড়বেন এটাই হুকুম। কিন্তু এটি একান্ত আবশ্যকীয় নয়। যদি মনে করেন,এলাকার লোকদের সাথে চেনা পরিচিতি তেমন নেই,বরং দূরের কমিউনিটিতে গেলে উপভোগ্য হবে,হৃদ্যতা বাড়বে..তবে আপনার ইলম অনুযাযী সিদ্ধান্ত নিয়েন।

মুসলিমের সাথে সুসম্পর্ক, এই বিষয়টাকে প্রাধান্য দিয়ে পরিকল্পনা করেন, তাহলে সহজ হবে।

আমার জন্যে দোয়া করেন। আমার অভিমতের বিপক্ষে সহি হাদীস/অভিমত থাকলে, সেটি গ্রহন করেন,আমারটি পরিত্যাগ করেন
২১ জুলাই ২০১৪ সকাল ০৭:০৮
191466
ওরিয়ন ১ লিখেছেন : আপনার আন্তরিক প্রচেস্টার জন্য প্রীত হইলাম। আল্লাহ আপনাকে জান্নাত বাসী করুক, আমীন।
246628
২১ জুলাই ২০১৪ সকাল ০৮:১৩
ইমরান ভাই লিখেছেন : ভাই, আপনি নিচের বইটা পড়তে পারেন। আমার হাতে সময় কম তাই বিস্তারিত জানাতে পারলাম না। তবে স্লেভ ভাইয়ের অনেক কথাই উপযুক্ত।

শায়খ নাসিরুদ্দিন আলবানীর (রহ) লিখিত বই
ঈদের সালাত ঈদগাহে কেন পড়তে হবে
২১ জুলাই ২০১৪ সকাল ০৮:৩৩
191475
ওরিয়ন ১ লিখেছেন : ঝাঝাকুমুল্লাহ খায়ের। আল্লাহ আপনাকে জান্নাত বাসী করুক, আমীন।
২১ জুলাই ২০১৪ সকাল ০৯:২১
191480
ইমরান ভাই লিখেছেন : আপনাকেও আল্লাহ জান্নাত দিন আমীন। Love Struck
২১ জুলাই ২০১৪ সকাল ১০:০৫
191485
ওরিয়ন ১ লিখেছেন : ফখরুল সাহেবের কমেন্ট টা একটু দেখে যান, পিল্জ।
২১ জুলাই ২০১৪ সকাল ১১:৩৯
191513
ইমরান ভাই লিখেছেন : ওই পাগলারে আমি অনেক আগেই ব্লক মারছি ভাই। ওরে বুঝানো অসম্ভব ও বুখারী মুসলিমের হাদীস কে মানেনা।

ওর থেকে দ্বীন নেয়া কোন প্রশ্নই আসে না।

অল্পবিদ্যা ভয়ংকরি। পারলে ব্লক মারেন নাহলে ম্য ম্য করে আপনার কান ঝালাপালা করবে। Happy
246631
২১ জুলাই ২০১৪ সকাল ০৯:৩৫
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : ১.আপনাকে অবশ্যই এলাকায় ঈদের নামাজ পড়তে হবে ।
২.ঈদের নামাজ অবশ্যই ঈদগাহ মাঠে পড়তে হবে ।
৩.আপনার অধিনস্হ মেয়েদের অবশ্যই ঈদের নামাজ পড়তে হবে এবং এজন্য আপনাকেই বেশী তৎপর হতে হবে ।
৪.কোন মেয়ে ( ৮ বছরের বয়সের বেশী বয়সের মেয়ে )ঈদের নামাজঈদের নামাজ না পড়লে তার একটা ওয়াজিব ইবাদত বাদ দেওয়ার গুনাহ হবে ।

ঈদের নামাজ পড়ার জন্য ঘর হতে বের হওয়ার জন্য তার সাথে বাবা-ভাই-স্বামী-ছেলে-র প্রয়োজন নেই ।

কোন মেয়ে কুরবানী দিলে বা কুরবানীতে অংশ নিলো কিন্তু ঈদুল আযহার নামাজ পড়লো না, সেই মেয়ের কুরবানী হবে না ।

৫.ইসলামে অন্ধ দলপ্রীতির স্হান নেই । ইসলামে গুরুত্ব পাবে প্রতিবেশী ।

৬."সংগঠণকে ভালবাসি ..... সংগঠণ না থাকলে মুক্তি পেতাম না " - এই জাতীয় গান হারাম । এসব গান শোনা হতে বিরত থাকতে হবে । এবং এজাতীয় গান যে সব সংগঠণ প্রচার করে, তাদের থেকে দুরে থাকতে হবে ।

৭. আপনি যে দেশে বা শহরে বাস করছেন কম করে হলেও ৪ বছর এবং সেই দেশেই আপনার জীবন-জীবিকা, সেই দেশকেই আপনার নিজের দেশ মনে করতে হবে এবং আপনার ছেলে-মেয়েদেরকেও সেই দেশ বা শহরকেই নিজের দেশ মনে করতে হবে ।

ইসলামে প্রতিটা দেশই মুসলিমদের দেশ । মুসলিমদের কাছে পুরো পৃথিবীটাই একটা দেশ ।



৮. মুসলিমদের অবশ্যই একই বার ও একই তারিখে বিশ্বব্যাপী রোজা ও ঈদ পালন করতে হবে এবং অবশ্যই শুধুমাত্র হিজরী ক্যালেন্ডারের মাধ্যমেই যাবতীয় কাজ পরিচালনা করতে হবে । https://www.facebook.com/pages/একই-বার-ও-একই-তারিখে-বিশ্বব্যাপী-রোজা-ও-ঈদ-পালন-করার-গুরুত্ব-ও-তাৎপর্য/422324937912267?ref_type=bookmark
২১ জুলাই ২০১৪ সকাল ১০:০৪
191484
ওরিয়ন ১ লিখেছেন : জনাব, ফখরুল ইসলাম সাহেব। বলেছিলাম শরীয়া রুল মোতাবেক উওর দেওয়ার জন্য। কিন্তু আপনার লিখায় কুরআন হাদীসের কোন রেফারেন্স নাই। আপনি কি মনে করেন, সেটা নয়, শারীয়া রুল কি এই ব্যাপারে সেটা বলুন। আপনার লিখার ৫,৬,৭,৮ নম্বর পয়েন্ট পড়ে হাসি পাচ্ছে। একেবারে বাচ্ছাদের মত। মনে হচ্ছে আপনি জামায়াত-শিবির কে অত্যন্ত ঘৃনা করেন। আমি ভাই জামা্য়াত শিবির কিছু করি না।
আর ৬ নম্বর পয়েন্ট এ যে গানকে হারাম বলছেন, সেটার রেফারেন্স দিবেন। হালাল- হারাম শুধু আল্লাহ কুরান এবং রাসূল সল্লেলাহু হাদীস দ্বারা আমাদের জানিয়েছেন, অতএব আপনি যেটাকে হারাম বলছেন, সেটা প্রমান করুন, পিল্জ।
২১ জুলাই ২০১৪ সকাল ১০:৫৮
191509
বেআক্কেল লিখেছেন : এই ব্যক্তির গোস্বার ধরণ দেইখা হাসমু না কাদমু বুইজা কুল পাইতেছিনা। ঐ সেই কতা, ধান ভানতে শীবের গীত। তিনি একটি ইসলামী দলের উপর ব্যক্তিগত কুন কারনে ক্ষিপ্ত হইয়া আছেন, তাই যেই বিষয়ে লিখিতে বসেন, সেইহানে সেই দলের নিন্দাবাদ না কইরা লিকা শেষ করিতে পারেনা, পারে না কুনদিন পারবেন না।
246634
২১ জুলাই ২০১৪ সকাল ০৯:৫৭
মোহাম্মদ নূর উদ্দীন লিখেছেন : ইসলামে সাদা-কালো, আরব-অনারবের তফাৎ থাকার কথা ছিলনা । মুসলিমরা পরষ্পর ভাই-ভাই হবার কথা ছিল।

ভাষাগত সমস্যা বা দেশীয় জাতীয়তাবোধ মুসলমানদেরকে শুধু বিভক্তই করেনি ! অনারব মুসলিম কেউ আক্রান্ত হলে আরবের কি যায় আসে বা একি কথা অন্যদের ক্ষেত্রেও ।

ধর্মীয় ইস্যুতে মুসলমানদের আরো এগিয়ে আসতে হবে, একতাবদ্ধ হতে হবে । লেবানিজ মুসলিম, পাকিস্তানি মুসলিম, তার্কিশ মুসলিম, সালাফি এসোসিয়েশন বা এজাতীয় চেতনা দূরে ঠেলে ইউনাইটেড মুসলিম হতে পারলে মুসলমানদের ভ্রাতৃত্ববোধ ফিরে আসবে ।

মদিনার মুহাজির, আনসার, অনারব একসাথে একতাবদ্ধ হয়েই ইসলামকে বিজয়ী করার জন্য কাজ করেছিলেন ।
২১ জুলাই ২০১৪ সকাল ১০:০৭
191486
ওরিয়ন ১ লিখেছেন : ফখরুল সাহেবের কমেন্ট টা একটু দেখে যান, পিল্জ।
246646
২১ জুলাই ২০১৪ সকাল ১০:৫৯
বেআক্কেল লিখেছেন : আমনে অবশ্যই আপনাদের প্রতিবেশীর সাতে নিকটস্থ স্থানে ইদের নামাজ পড়িবেন।
২১ জুলাই ২০১৪ সকাল ১১:১৬
191511
ওরিয়ন ১ লিখেছেন : ঝাঝাকুমুল্লাহ খায়ের।
246662
২১ জুলাই ২০১৪ দুপুর ১২:৫৩
দ্য স্লেভ লিখেছেন : কি কি খাবেন এটাও কম গুরুত্বপূর্ণ নয়,মাথায় রাখবেন Happy
২১ জুলাই ২০১৪ বিকাল ০৪:০৯
191556
রাইয়ান লিখেছেন : ওরিয়ন ভাইয়া , স্লেভ ভাইয়া তার লাইনে এসেছেন। ঈদে কোথায় গিয়ে কি কি খেলেন , স্লেভ ভাইয়ার খাতিরে হলেও তার বিবরণ আমাদের জানাতে ভুলে যাবেননা যেন ....Tongue Tongue Tongue Tongue Tongue Tongue
২২ জুলাই ২০১৪ সকাল ০৭:৩৯
191799
ওরিয়ন ১ লিখেছেন : ওকে, রাইয়ান আপু। ঈদের বিস্তারিত ছবি সহ জানাবো ইনশাল্লাহ। তবে আপনাদের দুজনের টা ও জানাতে হবে বৈকি!<:-P
২২ জুলাই ২০১৪ সকাল ০৭:৪০
191800
ওরিয়ন ১ লিখেছেন : ঈদের বিস্তারিত ছবি সহ জানাবো ইনশাল্লাহ। তবে আপনার টা ও জানাতে হবে বৈকি!
246780
২১ জুলাই ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৪০
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : আপনি আমার মন্তব্য পড়ে লিখেছেন :
আপনার লিখার ৫,৬,৭,৮ নম্বর পয়েন্ট পড়ে হাসি পাচ্ছে। একেবারে বাচ্ছাদের মত। মনে হচ্ছে আপনি জামায়াত-শিবির কে অত্যন্ত ঘৃনা করেন।

এর ব্যাখ্যায় বলছি :
আমার প্রতিটা প্রশ্নের উত্তর আমি কুরআন ও হাদিসের আলোকে দিয়েছি । সময় কম থাকায় কুরআন ও হাদিস হতে উদৃতি দেইনি ।

৫ নং পয়েন্টে বলেছি : ইসলামে অন্ধ দলপ্রীতির স্হান নেই । ইসলামে গুরুত্ব পাবে প্রতিবেশী ।

আপনি তো ভাল করেই জানেন , ইসলামে প্রতিবেশীর গুরুত্ব কতটুকু ।

আর ইসলামে অন্ধ জাতীয়তাবাদ ও দলপ্রীতি বা আসাবিয়াত কতটা খারাপ বল হয়েছে ।

ধরুণ, ইসলামী ছাত্র শিবিরের সাথী কোন সাধারণ লোকের বোনকে ধর্ষণ করলো । আপনি ইসলামী ছাত্র শিবিরের সমর্থক হলে কি ধর্ষক শিবিরের সাথীকে শাস্তির পক্ষে থাকবেন কি থাকবেন না ? এর উত্তর যদি হয় ধর্ষক শিবিরের সাথীর পক্ষ থাকবো এবং বিভিন্নভাবে মিমাংশা করে ধর্ষক ছাত্র শিবিরের সাথীর সাথে ঐ ধর্ষিতাকে বিয়ে দিবো । তাহলে তা হবে ইসলামী ছাত্র শিবিরের নীতি ।

কিন্তু ইসলামের নীতি ভিন্ন । ইসলামের নীতি হলো ধর্ষক ছাত্র শিবিরের সাথীকে কঠোর শাস্তি দিতে হবে ।

৬ নং পয়েন্টে বলেছি : ৬."সংগঠণকে ভালবাসি ..... সংগঠণ না থাকলে মুক্তি পেতাম না " - এই জাতীয় গান হারাম । এসব গান শোনা হতে বিরত থাকতে হবে । এবং এজাতীয় গান যে সব সংগঠণ প্রচার করে, তাদের থেকে দুরে থাকতে হবে ।

এর ব্যাখ্যায় বলছি :

পদ্মা মেঘনা যমুনার তীরে আমরা শিবির গড়েছি । এমন গান ছাত্র শিবিরের ছেলেরা তাদের অনুষ্ঠানে গায় ।

ঠিক তেমনি আরেকটা গায় ১। "সংগঠণকে ভালবাসি ..... সংগঠণ না থাকলে মুক্তি পেতাম না " ২। বাড়ি থেকে মা দিয়েছে চিঠি কি যে আমি করি ।

এসব গানে জামায়াতে ইসলামী , ইসলামী ছাত্র শিবির ,গোলাম আজম , মওদুদীকে হিদায়াত বা সত্যপথ প্রদানের কান্ডারী বা দানকারী বলা হয়েছে । কে হিদায়াত প্রদানের মালিক আল্লাহ । আল্লাহ যাকে ইচ্ছা তাকে হিদায়াত দান করেন । সুতরাং এসব গান শিরকি ও কুফরীপুর্ণ গান ।

আমি কোথাও বলি নাই গান শোনা ও গান গাওয়া হারাম । আমি বরং গান বাজনা পছন্দ করি । এসম্পর্কিত বেশ কিছু লেখা আমি লিখেছি । আপনি এই লেখাটা দেখতে পারেন : http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/46240

৭ ও ৮ নং পয়েন্টের ব্যাখ্যা আমি পরবর্তীতে দিবো বা এসম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য ও প্রমান দিয়ে এই ব্লগেই লেখা দিবো ইনশাআল্লাহ ।


আপনি বলছেন :"আমি ভাই জামা্য়াত শিবির কিছু করি না। "

বাস্তব অবস্হা হলো সোনার বাংলাদেশ ব্লগে ওরিয়ন নামে এক ব্লগার ব্লগ লিখতো যার মেয়ের নাম তাসনুবা । তিনি সেই ব্লগে জামায়াত শিবিরের পক্ষ হয়ে বেশ কিছু লেখা এবং অসংখ্য মন্তব্য করেছেন । ব্লগটি নেই থাকলে আমি লিংক দিতে পারতাম ।

তবে আপনাকে অনুরোধ করছি । অস্ট্রেলিয়ায় থাকেন সেখানের রাজনীতি ও সংস্কৃতির সাথে সম্পৃত্ত হোন,তাতে আপনার ছেলে-মেয়েরা সাভাবিকভাবে বেড়ে উঠতে পারবে ।

আমি সোনার বাংলা ব্লগে একটা কবিতা লিখেছিলাম তাতে তাসনুবা শব্দটা ছিল । এতে আপনি (যদি আপনি সেই ব্লগার ওরিয়ন হয়ে থাকেন তাহলে আপনি ব্যবহারটা আমার যথাযর্থ হবে । অন্যথায় আমি ক্ষমাপার্থী )ভীষণ আনন্দিত হয়েছিলেন । কারণ আপনার মেয়ের নাম ছিল তাসনুবা । আর আমি আমার কবিতাটায় সত্যিকার মুসলিম মেয়ের বৈশিষ্ট্য তুলে ধরেছিলাম ।
২২ জুলাই ২০১৪ সকাল ০৭:৩৬
191798
ওরিয়ন ১ লিখেছেন : আপনি আমাকে অস্ট্রেলিয়ায় রাজনীতি ও সংস্কৃতির সাথে সম্পৃত্ত হতে বলছেন? তাতে আমার ছেলে-মেয়েরা সাভাবিকভাবে বেড়ে উঠতে পারবে??
আপনার মাথা ঠিক আছে তো?
অস্ট্রেলিয়ায় রাজনীতি ও সংস্কৃতি কি ইসলামিক? কুরআন সুন্নাহ মোতাবেক?
আমি জামায়াত শিবির করি না, সেটা ১০০% সত্যি। সত্য লিখলে যে জামায়াত শিবির হতে হবে এমন কোন কথা নেই। আর হলে তো ভালো। জামায়াত শিবির সত্য কথা বলে।
আমি বাজনা ও পচ্ছন্দ করেন? সেটা কি হালাল বাজনা?
২২ জুলাই ২০১৪ সকাল ০৭:৪৩
191801
ওরিয়ন ১ লিখেছেন :
আপনি বাজনা ও পচ্ছন্দ করেন? সেটা কি হালাল বাজনা? আর গানগুলো যে হারাম তার দলিল দিবেন অবশ্যই।
২২ জুলাই ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:১১
191953
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : বাংলাদেশে যখন গুটি কয়েক মুসলিম এসেছিলো তখন এদেশের সংস্কৃতি ইসলামী সংস্কৃতি ছিল না । অস্ট্রেলিয়াতে অবস্হান করে ইসলামী সংস্কৃতি প্রচার ও প্রসার ঘটালেই অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশের মতো ইসলামী দেশ হবে । আর তার প্রমাণ দেখাও যাচ্ছে । ত্রিশ বছর আগেও এই দেশ দশ হাজার মুসলিম ছিল না । আর বর্তমানে মুসলিমরা সেই দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় সম্প্রদায় এবং প্রতিটা প্রদেশেই মুসলিমদের পদচারণা আছে ।


আপনার ছেলে-মেয়েরা অস্ট্রেলিয়া আর ৫ বছর থাকলে এবং আপনি তাদের বাংলাদেশে নিয়ে আসলে তারা দুই দিনও বাংলাদেশে থাকতে পারবে না । এটা আমার অভিজ্ঞতায় দেখা । তারা অস্ট্রেলিয়াকেই তাদের স্বদেশ মনে করবে ।

আপনার যতই আবেগ বাংলাদেশের জন্য থাকুক না কেন, তাদের আবেগ থাকবে অস্ট্রেলিয়ার জন্য । আমি আপনাকে চ্যালেঞ্জ করছি ।

আমার নিজের কাছে এধরনের ১০ টা প্রমাণ আছে । বাংলাদেশে আমার অস্ট্রেলিয়ার বন্ধুরা আসলে তাদের ছেলে-মেয়ের জন্য বিদেশ থেকে পানি নিয়ে আসে । বাংলাদেশের পানি তারা তাদের ছেলে মেয়েদের খাওয়ায় না । এক জন ব্রিসবেন শহরে থাকে । অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকত্ব তার আছে । আমার এক বন্ধুর বোন স্বামী সন্তান নিয়ে সিডনিতে থাকে । তাকেও দেখেছি ।

তাই অনেক সময় দেশপ্রেমের বড়াই করে কখনো কোন বিদেশে অবস্হান করে কথা বলে, তখন আমি বলি : হাতি ঘোড়া গেল তল মশা বলে কত জল ।


কারণ এত যখন দেশপ্রেমের কথা এরা বলে তখন আমার রাগ লাগে । দেশের থেকে অনার্স মাস্টার্স আর ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ে বিদেশে কাজ করছো । তোমরা দেশের জন্য কি দিচ্ছো । সরকার তোমাকে পড়াতে মাসে ৩০ হাজার টাকা ভর্তুকি দিয়েছে । আর তুমি বিদেশে অবস্হান করে বিদেশের সেবা করছো আর নিজের আখের গোসাচ্ছে । অথচ দেশে থেকে কিছু করার চিন্তা থাকলে দেশেই করা যায় এবং খেয়ে পড়ে ভাল ভাবেই বাচা যায় ।



আপনার আলোচিত গানগুলোতে জামায়াত-শিবিরকে শ্রেষ্ঠ বলা হয়েছে । জামায়াত-শিবিরের জন্য প্রাণ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে এবং মৃত্যু আগ পর্যন্ত এসব সংগঠণে থাকতে বলা হয়েছে । যেমন : আমি আর এই মিশিলে নেই ভাবতেই বুক ভেঙ্গে যায় ।

এসব গান কেন হারাম । তার কারণ হলো :
রাসূল (সঃ) বলেন, “সে আমাদের অন্তর্ভূক্ত নয় যে জাতিয়তাবাদের দিকে আহবান করে, জাতিয়তাবাদের জন্য যুদ্ধ করে বা জাতিয়তাবাদের জন্য মারা যায়” [(আবু দাউদ)]



কুরআন সুন্নাহ মোতাবেক কোন দেশই পরিচালিত হয় না । এমন কি সৌদি আরবও নয় । সৌদি আরব ওহাবী মতবাদ অনুযায়ী পরিচালিত হয় ।

আপনি আপনার লেখায় লিখেছেন : "অনেকদিন থাকার ফলে অনেক মানুষের সাথে উঠা বসা, চলাফেরা, আন্তরিকতা, পাড়া প্রতিবেশী ও অনেক। এদের মধ্যে অনেকেই আবার আমার সংঘঠনের দ্বীনি ভাই। "

আমরা বাংলাদেশের লোকরা লক্ষ্য করেছি , জামায়াত শিবিরের লোকরা পরস্পর দেখা হলে সাথে অপরিচিত লোক থাকলে বলে থাকে - এই ভাই কিন্তু সংগঠণের লোক । শিবিরের সাথী , এ জামায়াতের কর্মী । অস্ট্রেলিয়াতে জামায়াত শিবির নেই । অন্য নামে জামায়াত-শিবির সেখানে কাজ করে । জামায়াত-শিবির সিডনী শহরের লেমেম্বে-তে শক্ত অবস্হান তৈরী করেছে । জামায়াত-শিবির অস্ট্রেলিয়াকে তাদের ৫র্থ বৃহত্তম ঘাটি হিসেবে ব্যবহার করছে এবং এই দেশকে ব্যবহার করে তারা তাদের অশুভ কার্যক্রম পরিচালন করে যাচ্ছে ।
247056
২২ জুলাই ২০১৪ সকাল ০৯:৪১
টাংসু ফকীর লিখেছেন : জনাব আমি দ্য স্লেভ এবং ইমরান ভাইয়ের সাথে একমত আর ব্লগীয় আবাল ফখরুল পাগলা হইতে সাবধান৤ সে কাদিয়ানী৤
২২ জুলাই ২০১৪ বিকাল ০৫:৪৭
191950
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : আর কত মানুষের নামে অপবাদ দিবেন । এসব ছড়ানোর জন্য আল্লাহর দরবারে আমি ফরিয়াদ করছি :
হাসরের মাঠে যেন আপনাকে এবং আপনার দল-বলকে বেয়াদব ও শুকর হিসেবে আল্লাহ উপস্হাপন করেন, যদি না তওবা করেন ।

আপাতত আপনাকে কুরআনের এসব আয়াত চর্চা করার জন্য অনুরোদ করছি :

] إِنَّمَا المُؤمِنونَ إِخوَةٌ فَأَصلِحوا بَينَ أَخَوَيكُم ۚ وَاتَّقُوا اللَّهَ لَعَلَّكُم تُرحَمونَ
মুমিনরা তো পরস্পর ভাই-ভাই। অতএব, তোমরা তোমাদের দুই ভাইয়ের মধ্যে মীমাংসা করবে এবং আল্লাহকে ভয় করবে-যাতে তোমরা অনুগ্রহপ্রাপ্ত হও।
يٰأَيُّهَا الَّذينَ ءامَنوا لا يَسخَر قَومٌ مِن قَومٍ عَسىٰ أَن يَكونوا خَيرًا مِنهُم وَلا نِساءٌ مِن نِساءٍ عَسىٰ أَن يَكُنَّ خَيرًا مِنهُنَّ ۖ وَلا تَلمِزوا أَنفُسَكُم وَلا تَنابَزوا بِالأَلقٰبِ ۖ بِئسَ الِاسمُ الفُسوقُ بَعدَ الإيمٰنِ ۚ وَمَن لَم يَتُب فَأُولٰئِكَ هُمُ الظّٰلِمونَ
মুমিনগণ, কেউ যেন অপর কাউকে উপহাস না করে। কেননা, সে উপহাসকারী অপেক্ষা উত্তম হতে পারে এবং কোন নারী অপর নারীকেও যেন উপহাস না করে। কেননা, সে উপহাসকারিণী অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ হতে পারে। তোমরা একে অপরের প্রতি দোষারোপ করো না এবং একে অপরকে মন্দ নামে ডেকো না। কেউ বিশ্বাস স্থাপন করলে তাদের মন্দ নামে ডাকা গোনাহ। যারা এহেন কাজ থেকে তওবা না করে তারাই যালেম।
يٰأَيُّهَا الَّذينَ ءامَنُوا اجتَنِبوا كَثيرًا مِنَ الظَّنِّ إِنَّ بَعضَ الظَّنِّ إِثمٌ ۖ وَلا تَجَسَّسوا وَلا يَغتَب بَعضُكُم بَعضًا ۚ أَيُحِبُّ أَحَدُكُم أَن يَأكُلَ لَحمَ أَخيهِ مَيتًا فَكَرِهتُموهُ ۚ وَاتَّقُوا اللَّهَ ۚ إِنَّ اللَّهَ تَوّابٌ رَحيمٌ
মুমিনগণ, তোমরা অনেক ধারণা থেকে বেঁচে থাক। নিশ্চয় কতক ধারণা গোনাহ। এবং গোপনীয় বিষয় সন্ধান করো না। তোমাদের কেউ যেন কারও পশ্চাতে নিন্দা না করে। তোমাদের কেউ কি তারা মৃত ভ্রাতার মাংস ভক্ষণ করা পছন্দ করবে? বস্তুতঃ তোমরা তো একে ঘৃণাই কর। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তওবা কবুলকারী, পরম দয়ালু। ( সুরা হুজরাত ১০ হতে ১২ )
২৩ জুলাই ২০১৪ সকাল ০৭:১৭
192118
ওরিয়ন ১ লিখেছেন : জনাব, ফখরুল সাহেব, সূরা হজরাত থেকে চমৎকার অলোচনা করছেন। কিন্তু সেই আলোচনা কি শুধু অপরের জন্য?? আপনি নিজে ও তো আপনার বিপরীত আর্দশের সবাইকে সমানে গালি দিচ্ছেন।
" আমি সৌদি আরবের রাজতন্ত্রের দালাল, আহলে হাদিস, জামায়াত-শিবিরের সন্ত্রাসী। মওদুদী মতবাদে আচ্ছন্ন ও ওহাবী সম্প্রদায়ভুক্ত লোকদের অশুভ তৎপড়তার ব্যাপারে আমি বরাবরই সোচ্চার ।"

জামায়াত-শিবিরের সন্ত্রাসী। মওদুদী মতবাদে আচ্ছন্ন ও ওহাবী সম্প্রদায়ভুক্ত এইসব আবোল তাবোল কি বলছেন? আপনি নিশ্চয় হেমায়েতপুর থেকে আসেন নাই। কিংবা রোযা ও অতিরিক্ত গরমে আপনার মাথা কাজ করছে না, এমনটিতো নয় বোধ হয়!
247066
২২ জুলাই ২০১৪ সকাল ১০:২১
ওরিয়ন ১ লিখেছেন : ফখরুল সাহেব কাদিয়ানী? আ্যার ইউ সিওর?
২২ জুলাই ২০১৪ বিকাল ০৫:৫৫
191951
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : আমি কোন ধরনের লোক তা আমি আমার লেখার মাধ্যমে স্পষ্ট করেছি ।

এই ব্লগ সাইটে সৌদি আরবের রাজতন্ত্রের দালাল, আহলে হাদিস, জামায়াত-শিবিরের কিছু সন্ত্রাসী ও ওহাবী সম্প্রদায়ভুক্ত লোক আমাকে সব ধরনের গালি গালাজ করেছে । ইদানিং তারা আমাকে কাদিয়ানী বলে অভিহিত করছে ।

আপনি সোনার বাংলাদেশ ব্লগ সাইট হতে আমার লেখা পড়ছেন । সুতরাং আমার সম্পর্কে আপনার ভাল করেই জানার কথা । তারপরও আমি বিনীতভাবে বলছি :

আমি সৌদি আরবের রাজতন্ত্রের দালাল, আহলে হাদিস, জামায়াত-শিবিরের সন্ত্রাসী। মওদুদী মতবাদে আচ্ছন্ন ও ওহাবী সম্প্রদায়ভুক্ত লোকদের অশুভ তৎপড়তার ব্যাপারে আমি বরাবরই সোচ্চার ।

আর আমি কোন ধরনের দৃষ্টিভঙ্গিতে বিশ্বাস করি, তা জানার জন্য আমার এই লেখাটা পড়তে পারেন :http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/3466

তবে আপনাকে আমি এতটুকু বলছি : আমি এক সময় শিবির করতাম । আমি ২০০৪ সালে শিবির করার ব্যাপারটাকে কবর দিয়েছি । আর আমার এলাকার শিবিররাও আমার জানাজার নামাজ পড়েছেন (নাউজুবিল্লাহ) । কিন্তু তারপরও আমি আপনাদের সামনে ব্লগ লিখছি । কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী আমাকে কবরে থাকার কথা । এই থেকে ধারণা করতে পারেন যে জামায়াত-শিবিরের লোকরা কতটুকু অসহিস্ণু ও গোড়া হতে পারে ।


আমি যত দুর জানি আপনি জামায়াত - শিবিরের আদর্শে বিশ্বাসী এবং আপনার বেশ কিছু মন্তব্য প্রমাণ করে আপনি মওদুদী দৃষ্টিভঙ্গি ও ওহাবী মতবাদ হৃদয়ে ধারণ করেন ।
২৩ জুলাই ২০১৪ সকাল ০৭:২২
192119
ওরিয়ন ১ লিখেছেন : ফখরুল সাহেব, ঐ মওদূদী বাদ টা জানি কি? একটু যদি জানাতেন। আল্লাহর কসম খেয়ে বলছি মওদূদী সাহেবের কোন মতবাদ আছে কিনা, আমি জানি না। প্লিজ আমাকে উনার মতবাদের একটা লিংক দেন, খুলে বলুন।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File