শাহবাগ আন্দোলন ভারতের মদতপুষ্ট বলে জানিয়েছে দেশটির সর্বাধিক প্রচারিত ইংরেজি দৈনিক টাইমস অব ইন্ডিয়া।

লিখেছেন লিখেছেন ৃরাত ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩, ১০:৪৯:০৬ রাত

শাহবাগ আন্দোলন ভারতের মদতপুষ্ট বলে জানিয়েছে দেশটির সর্বাধিক প্রচারিত ইংরেজি দৈনিক

গতকাল দৈনিকটির ‘প্রটেস্টারস অ্যাট শাহবাগ ইন বাংলাদেশ ব্যাকড বাই ইন্ডিয়া’ শিরোনামে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে একথা বলা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার ব্যস্ততম শাহবাগ মোড়ের আন্দোলনকারীদের প্রতি প্রতিবেশী ভারতের জোরালো মদত রয়েছে।

মদতের প্রমাণ হিসেবে প্রতিবেদনে ভারতের অন্যতম দু’জন নীতিনির্ধারকের বক্তব্যকে উদ্ধৃত করা হয়েছে। এদের একজন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা শিবশঙ্কর মেনন এবং অন্যজন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সালমান খুরশীদ।

শিবশঙ্কর মেনন শুক্রবার বলেছেন, ‘বাংলাদেশী মুক্তমনা তরুণরা শাহবাগে বিক্ষোভ করছে। তারা উগ্রপন্থার বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক মৌলিক মূল্যবোধকে সমর্থন দিচ্ছে।’

পুনেতে রাম শেঠি চেয়ার উদ্বোধন করে মেনন বলেন, ‘ঢাকার শাহবাগ মোড়ে হাজারো তরুণের চলমান স্বতঃস্ফূর্ত সমাবেশ উগ্রবাদ ও যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশী মুক্তমনা তরুণদের রাজনৈতিক সমাবেশ।’

শিবশঙ্কর মেনন শাহবাগের তরুণদের ‘মুক্তমনা’ ও ‘গণতান্ত্রিক’ আখ্যা দিলেও শাহবাগ থেকে বিরোধী মতের সংবাদপত্রে হামলা এবং বন্ধ করে দেয়ার হুমকি দেয়া হচ্ছে। এমনকি শাহবাগের আন্দোলনকারীরা ভারতের আগ্রাসী আচরণের বিরুদ্ধে সোচ্চারকণ্ঠ দেশের শীর্ষস্থানীয় দৈনিক আমার দেশ-এর সম্পাদককে গ্রেফতারের জন্য একের পর এক আলটিমেটাম দিয়ে যাচ্ছে। শাহবাগ থেকে তাকে খতম করারও হুমকি দেয়া হয়েছে।

টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, সম্প্রতি বাংলাদেশ সফরকালে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সালমান খুরশীদও আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেন। ঢাকায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে খুরশীদ বলেছেন, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় তরুণদের অংশগ্রহণ দেখতে পাওয়াটা সবসময়ই আনন্দের ব্যাপার। তারা তাদের উদ্বেগ জানিয়েছে, বিক্ষোভে অংশ নিয়েছে, তাদের আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করেছে। আমি তাদের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করছি।’ তিনি বলেন, ‘শাহবাগ আন্দোলন গণতন্ত্রের প্রতি তাদের জোরালো অনুভূতি ও বিশ্বাসকে পুনর্জীবিত করেছে।’

গত ৫ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আবদুল কাদের মোল্লাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়ার পর শাহবাগ আন্দোলন শুরু হয়। সেদিন থেকে বিক্ষোভকারীরা যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত সবাইকে ফাঁসি দেয়ার দাবিতে রাস্তায় অবস্থান করছে। তাদের আরও একটি দাবি হলো, ১৯৭১ সালে যুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে সহায়তা করার অভিযোগে ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দল জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করা।

উল্লেখ্য, শাহবাগের এই আন্দোলনে প্রথম থেকেই সক্রিয় সমর্থন দিচ্ছে বাংলাদেশের ভারতপন্থী বিভিন্ন সংগঠন। ভারতের সমর্থনপুষ্ট গণমাধ্যমগুলো শাহবাগ আন্দোলন নিয়ে অতিরঞ্জিত সংবাদ প্রকাশ করে চলেছে।

শাহবাগের আন্দোলনে ভারতের বিভিন্ন সংগঠনও সক্রিয় সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। শাহবাগের আন্দোলনের প্রতি সমর্থন দিয়েছে ভারত ছাত্র ফেডারেশন। পশ্চিমবঙ্গের শিল্পী সুমনও শাহবাগের সমর্থনে গান গেয়েছেন। কলকাতার ব্লগাররাও শাহবাগের আন্দোলনের সমর্থনে সক্রিয় রয়েছে।

বিষয়: রাজনীতি

১১১৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File