' বিশিষ্ট নাগরিক ' দের জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধের ওকালতি ও দৃশ্যমান স্ববিরোধীতা

লিখেছেন লিখেছেন শিশিরবাবু ১৬ মার্চ, ২০১৩, ১১:২১:৪২ রাত

আজ নাগরিক সমাজ ব্যানারে মিডিয়া সূত্রে বহুল পরিচিত কতিপয় বিশিষ্ট নাগরিক জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধের পক্ষে নিজ নিজ দৃষ্টিকোণে নানাবিধ বক্তব্য রাখছেন। বক্তব্যের অন্যতম যুক্তি সহিংসতার কারণে জামায়াত নিষিদ্ধ হউক। উনারা কি দলান্ধ দৃষ্টিরোগে আক্রান্ত ? আওয়ামী লীগ বা অণ্য দলের সহিংসতা কি এনারা দেখতে পান না ? ঢাকার কাছে নারায়ণগন্জে একটি মেধাবী তরুণের হত্যাকারী হিসাবে যার নাম উচ্চারিত হচ্ছে তিনি বর্তমান প্রধাণমন্ত্রীর আস্হাভাজন। বর্তমান সরকারের ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী ছেলেদের চেহারা চিনতে হলে বেশি দূর নয়, পুরোনো ঢাকার বিশ্বজিৎ এর পরিবারের কাছে যান। দলীয় রাজনীতির স্বার্থে কিংবা নিছক দূর্ণীতির কারণে আওয়ামী সহিংসতাকে এখন জামায়াত অতিক্রম করতে পারে নাই। তালিকা চাইলে বহু নাগরিক আছেন সরবরাহ করতে পারবেন। কোন দল বেশি সন্ত্রাসী তার পদ্ধতিগত অনুসন্ধানের উদ্যোগটুকুও নাই, অথচ একটি সংসদীয় রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করার জণ্য বিলাস বহুল সম্মেলন কেন্দ্রে সভা হয়। বিশিষ্ট নাগরিক তকমাধারী নাগরিকরা বিশদ আলোচনা করেন। এখানে কি ভাবে জাতীয় ঐক্য গড়ে উঠবে ? বিভক্ত জাতির বিনিময়ে তারা কি অর্জন করতে যাচ্ছেন ? মুক্তিযুদ্ধের চেতনার মালিক এ দেশের জনগণ, কোন দল বা গোষ্টি নন। বিদেশী এন জি ও প্রতিপালিত বিশিষ্ট নাগরিকরা তো কখনই নন। এদের পূর্বসূরীরাই সম্ভবত বাংলাদেশের প্রাণ পুরুষ শেখ মুজিবকে বিভ্রান্ত করেছিলেন। গণতন্ত্রের নেতার হাতে কায়েম করিয়েছিলেন বাকশালতন্ত্র। মূলতঃ এরাই প্রথমে শেখ মুজিবকে রাজনৈতিকভাবে ও ভাবমূর্তিতে হত্যা করেন। পরিণতিতে ১৫ আগষ্ট ট্র্যাজিডি। আমরা আর কোন ট্র্যাজিডি দেখতে চাই না। নির্বাচনকালীন দলনিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠা করে কি ভাবে সকলের প্রতিনিধিত্বশীল অংশগ্রহণে গ্রহণযোগ্য জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান করা যাবে তাই আমাদের ভাবা উচিত।

বিষয়: বিবিধ

১১৯৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File