আমাদের দেশে আওয়ামী লীগ ও তার মিত্ররা চিরস্হায়ী ক্ষমতার জন্য ঘৃণাবাদ চর্চার একটি সমন্বিত অশুভ কর্মকান্ড চালাচ্ছে। সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচনের ইস্যুকে কথিত যুদ্ধাপরাধের বিচারের নামে বিনষ্ট করার চেষ্টা এর অংশ।
লিখেছেন লিখেছেন শিশিরবাবু ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৩, ০৮:১৯:৪৭ সকাল
আওয়ামী লীগ ও তার মিত্ররা আমাদের দেশে ঘৃণাবাদ চর্চার একটি ধারা চালু করছেন। উদ্দেশ্য ক্ষমতার রাজনীতি। চিরদিন ক্ষমতাচর্চার অপার সুযোগ যদি জুটে যায়। এই ঘৃণাবাদ চর্চার প্রতিপক্ষ হল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী ছাত্র শিবির সহ ইসলামী রাজনৈতিক শক্তি। ঘৃণাবাদের খাদ্য হল ১৯৭১ এর আমাদের গৌরবময় স্বাধীনতা যুদ্ধ। তারা বলতে চায় ’৭১ এর যুদ্ধাপরাধ মানেই জামায়াত- শিবির, ১৯৭১ এর যুদ্ধের উদ্দেশ্যই হল রাজনৈতিক ইসলামকে বিতারিত করা। এ’ ব্যাপারে কোন বস্তুনিষ্ঠতার ধার তারা ধারে না। এই ঘৃণাবাদ চর্চার ফল জাতির বিভক্তি। আওয়ামী লীগ ও তার মিত্ররা এই বিভক্তিকে সহিংস হানাহানিতে পরিণত করছে।তাদের শক্তির উৎস ভারত। তাদের বিশ্বাস সংঘাতে ভারত তাদের প্রত্যক্ষ সহায়তা দিবে। ভারতের সহায়তায় তারা প্রতিপক্ষকে নির্মূল করতে সক্ষম হবে। জামায়াত-শিবির সহ ইসলামী শক্তি কোন দিনই মেরুদন্ড সোজা করে যুদ্ধ করতে পারবে না। ভারতের সাহায্যে চতুর্দিক থেকে তাদের অবরূদ্ধ করে পিষে মারবে। এই সংঘাত বা যুদ্ধ বাংলাদেশের মানুষ চায় না। তারা এই ঘৃণাবাদকে সমর্থন করে না।। কিন্তু আওয়ামী লীগ ও তার মিত্ররা দেশের সশস্ত্র বাহিনী গুলোর উপর নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখছে। গণতন্ত্র, মানবাধিকার, ভোটাধিকারকে পদদলিত করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের একটি বিকৃত, গোষ্টি চেতনাকে ফেরী করে, ঘৃণা-বিদ্বেষের কালো ঝড় তুলে, তারা নির্বিঘ্নে চিরস্হায়ী ক্ষমতা চায়। দলীয়করণকৃত প্রশাসন ও বাহিনী গুলোকে কার্যকর নিরপেক্ষতা ও দলনিরপেক্ষ অবস্হান বজায় রাখার জন্য বিরোধী দল চাপ সৃষ্টি করতে পারছে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে না। স্বাধীন, সার্বভৌম গণতান্ত্রিক জাতি হিসাবে আমরা কি অশুভকে পরাজিত করে শুভ শক্তির বিজয় দেখতে পাবো?
বিষয়: বিবিধ
১২৮৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন