বিদেশী কূটনৈতিকদের তৎপরতায় সমস্যা জটিলতর হতে পারে। নিজেদের প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক শক্তি গুলোকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করা উচিত।
লিখেছেন লিখেছেন শিশিরবাবু ০২ ডিসেম্বর, ২০১৩, ০১:১৭:২২ দুপুর
আমাদের দেশে রাজনৈতিক দল গুলোর দন্ধ-সংঘাতে বিদেশী কূটনৈতিকদের অংশগ্রহণ কোন গোপন ঘটনা নয়। দন্ধ-সংঘাত যত তীব্র হতে থাকে কূটনৈতিকদের দৌঁড় ঝাপ তত বেড়ে যায়। উন্নয়ন সহযোগী বলে এদের একটা ইতিবাচক পরিচয়ও আছে। আপনি লক্ষ্য করবেন বাংলাদেশের সম্ভবনা নিয়ে এরা সবাই ইদানিং কালে উচ্ছসিত। কিন্তু আমাদের মনে রাখা উচিত, এই বিদেশীদের কাছে তাদের নিজ দেশের স্বার্থ সবার উপরে বিবেচ্য। দন্ধ-সংঘাতে বিদেশী কূটনৈতিকদের অংশগ্রহণ তাদের জাতীয় স্বার্থ সংরক্ষণের তাগিদে। তাছাড়া উন্নয়নের ধারণা নিয়ে তাদের নিজস্ব একটা ভাবনা আছে। আমাদের মূল্যবোধের আলোকে ঐ ভাবনা সাংঘর্ষিকও হতে পারে। কূটনৈতিকদের তৎপরতা বিরোধ মীমাংসায় সহায়ক না হয়ে পরিস্হিতিকে জটিল করে তুলতে পারে। বিভিন্ন দেশের মত, স্বার্থ ও ইচ্ছা বিভিন্ন ধরণের হওয়াই স্বাভাবিক।
একটি প্রতিবেশী রাষ্ট্রের প্রত্যক্ষ সহায়তা এবং সরাসরি অংশগ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছে । আমাদের দুর্ভাগ্য যে পুরোপুরি নিজস্ব চেষ্টা সংগ্রামে নয়, ভারতের নাগরিকদের রক্ত, ঘাম, প্রাণও মিশে আছে আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধে। স্বাভাবিক ভাবেই বলা যায় ভারতের অংশগ্রহণ ছিল ভারতীয়দের রাষ্ট্রীয় স্বার্থে। সুতরাং স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশকে জাতীয় স্বার্থ সংরক্ষণে ভারতের সাথে একটা জটিল প্রেক্ষিতের মুখোমুখি হতে হয়। আবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বা চীনের সাথে আমাদের সম্পর্কের প্রেক্ষিত ভিন্ন।
বাংলাদেশের উষা লগ্নে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এই দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে উচ্ছসিত তো নয়ই বরং ছিল হতাশ ও নৈরাশ্যবাদী। সময়ের পথ পরিক্রমায় আজ তারা বাংলাদেশকে বলছেন অমিত সম্ভবনার উদীয়মান বাঘ্র। উদীয়মান বাঘ্র বাংলাদেশ হতে পেরেছে মুক্তিযোদ্ধা প্রেসিডেন্ট জিয়ার সময়োপযোগী বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কারণে। প্রতিশ্রুতিশীল বেসরকারী খাতের অংশগ্রহণমূলক অর্থনীতি ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের উথ্থান তারই হাত ধরে। খায়রুল হকদের মত নিকৃষ্ট মতলববাজ লোকেরা যত কুৎসাই করুক না কেন ইতিহাসকে মুছে ফেলতে পারবে না।
বাইরের মদদে নয় আমাদের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় আজকের রাজনৈতিক সংকট থেকে মুক্তি পেতে হবে।বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংষ্কৃতি ও জন প্রশাসনের প্রায় পুরোটাই গণবিরোধী এবং অগণতান্ত্রিক। একমাত্র জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময়কালে নির্দলীয় কেয়ার টেকারের তত্ত্বাবধানে গণতন্ত্র ও গণমুখীতার দরজা আমরা খোলা রাখার সুযোগ পাচ্ছিলাম। দেশদ্রোহী কুচক্রীমহল এই শেষ খোলা দরজাটি বন্ধ করে দেওয়ার চেষ্টায় হিংস্র হায়নার মত ঝাপিয়ে পড়েছে। এই গণদুশমনদের আমাদের নিজেদেরই নির্মূল করতে হবে। নিজেদের ভাগ্য নিজেদেরই গড়তে হবে। বিদেশীদের সাহায্য সমস্যার সমাধান না করে জটিলতর করে তুলবে। নিজেদের প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক শক্তি গুলোকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করা উচিত।
বিষয়: বিবিধ
১৪৫৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন