সৌম্যবাবুর রিপোর্টঃ ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের সাম্প্রতিক সম্ভবনাকে বিনষ্টের আয়োজন।
লিখেছেন লিখেছেন শিশিরবাবু ০৮ নভেম্বর, ২০১৩, ০১:১২:১০ দুপুর
নির্বাচনকালীন অচলাবস্হা ও কথিত মৌলবাদ যাদের কারণে হচ্ছে, তাদের পৃষ্টপোষকতা করে ভারত বাংলাদেশে কি ভাবে সুস্হিতি বজায় রাখবে ? যাকে বলে জঙ্গীবাদ, বাংলাদেশের মানুষ তা জানতো না। বিগত (’৯৬-‘০১)আওয়ামী শাসনকালেই এ’জনপদে জঙ্গীবাদের আবির্ভাব। প্রথম আলোয় প্রকাশিত রিপোর্টটিতে উল্লেখিত আলোচনা সভার বক্তারা ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের সাম্প্রতিক সম্ভবনাকে নস্যাতের আয়োজন করেছেন। বাংলাদেশের প্রধান সংকট কথিত মৌলবাদ নয়, একটি সুষ্ঠ অবাধ জাতীয় নির্বাচনের পরিবেশ নিশ্চিত করাই মূল চ্যালেন্জ। গরিষ্ঠ জনগণের আশা-আকাংখা পদদলিত করে সম্পর্ক উন্নয়ন হয় না। ভারত সরকার যদি এ’ ধরনের পৱামর্শে প্রভাবিত হয় তা ভারত-বাংলাদেশের সুসম্পর্ক ও আন্চলিক স্হিতিশীলতা বিপন্ন করবে। গোলটেবিলের আলোচকরা আবার আমাদের মনে করিয়ে দিলেন ভারত বাংলাদেশের সাথে রাষ্ট্রীয় সম্পর্ক নয়, সে চায় ভারত-আওয়ামী লীগ কানেকশান। প্রকারান্তরে একটি নতজানু পুতুল সরকার। যে সরকার জাতিস্বার্থের উর্ধ্বে ভারতের লাভ-ক্ষতিকে প্রথম স্হান দিবে। বাংলাদেশের বিরোধী দলীয় নেতা ভারতকে আশ্বস্ত করতে চেয়েছেন। কথা দিয়েছিলেন উস্কানীমূলক ভারতবিরোধী তৎপরতাকে প্রশ্রয় দেবেন না। ভারত যদি সত্যি সমমর্যদায় সৎ প্রতিবেশীমূলক সম্পর্ক চায় তা হলে তার উচিত হবে নবরূপে আওয়ামী বাকশালের উথ্থানকে পৃষ্টপোষকতা না করা। বি এন পি, এমন কি বি এন পি - জামায়াত জোট জঙ্গীবাদী নয়্, একটি গণতান্ত্রিক শক্তি, এটা না বোঝার কোনই কারণ নাই। যারা বুঝতে চান না তারা রাজনৈতিক কূট কৌশল বা অসততার জন্যই সত্যটি মানেন না।
আমাদের রক্তক্ষয়ী স্বাধীনতার সাথে ভারত জড়িয়ে আছে। কিন্তু কৃতজ্ঞতার অর্থ যদি হয় আত্ম বিসর্জন তা হলে ভারত তার মহত্বের দাবী করতে পারে না। তখন বলতে হয় আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতের অংশগ্রহণ নিছকই আন্চলিক ভূ-রাজনৈতিক ও তাদের নিজস্ব জাতীয় স্বার্থে।
বিষয়: বিবিধ
১০৮৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন