ক্ষমতাসীনদের লেজুড়ে মিডিয়াকে কোন ভাবেই গণমাধ্যম বলা সম্ভব নয়।

লিখেছেন লিখেছেন শিশিরবাবু ০৬ নভেম্বর, ২০১৩, ০১:৫১:৪১ দুপুর

গণমাধ্যম বা সাংবাদিকতার দলবাজী বর্তমান সময়ে ম্যালিগন্যান্ট ক্যানসারে পরিণত হয়েছে। একদিকে ভিন্নমতের সব গণমাধ্যম সরকারী ও ক্ষমতাসীনদের হিংস্র আক্রমণে হয় নিহত, অথবা আই সি ইউ তে কোন ভাবে বেঁচে আছে। অণ্যদিকে ক্ষমতাসীনদের বলয়ে থাকা মাধ্যমগুলো তাদের প্রচার প্রপোগান্ডার হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে। কোন ভাবেই বর্তমান মিডিয়াকে গণমাধ্যম বলা সম্ভব নয়। সম্প্রতী ক্ষমতাসীনদের লেজুড়ে মিডিয়া হরতালের ক্রমবর্ধমান সহিংস রূপ নিয়ে শোরগোল তুলছে। কিন্তু প্রতিবাদী কর্মসূচিতে সরকারের সহিংস হামলা, পাশবিক দমননীতি্, গণগ্রেফতার, রিমান্ড, জেল-জুলুম্, নির্যাতন ইত্যাদি ব্যাপার পাশ কাটিয়ে যায়। হরতালের চেনা চরিত্রের বিবর্তন হচ্ছে। এই বিবর্তন পিকেটিং এর চরিত্রে যেমন হচ্ছে্, তেমনি হরতালকে অকার্যকর ও আহবানকারীদের দমনের তৎপরতাতেও দেখা যাচ্ছে। আপনি ককটেল ফাটার কথা জোরে শোরে বলবেন অথচ গণগ্রেফতার্, হরতালে অফিসে না আসলে চাকুরী খাওয়ার হুমকী্, দেখামাত্র গুলি প্রভৃতি বিষয়ে নিশ্চূপ থাকবেন কেন?

হরতাল, আন্দোলন কোন সংকট নয়, সংকটের উপসর্গ। মূল সংকট হল রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে। ক্ষমতাসীন দলীয় সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন যে অবাধ ও সুষ্ঠ হয় না, ব্যাপক মাত্রায় ফলাফল কারচুপি হয়, এই সত্য কারোই অজানা নয়। নির্বাচনকালীন নির্দলীয় কেয়ার টেকার সরকারের ধারণা সে প্রেক্ষিতেই গৃহীত। এর কার্যকারীতা বাস্তবে প্রমাণিত। মঈন-ফখরুদ্দিনের সরকার কেয়ার টেকার সরকার ছিল না। দলীয়করণের রাজনৈতিক সংষ্কৃতি কেয়ার টেকার সরকারকেও কূলষিত করার চেষ্টা করেছে এবং তারই ফলশ্রুতি মঈন-ফখরুদ্দিনের সরকার। নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকার আমাদের রাজনৈতিক দলগুলোর অগণতান্ত্রিক উপায়ে পেশী ও কারচুপির মাধ্যমে ক্ষমতায় আসার প্রতিবন্ধক। তাদের অন্যায় ক্ষমতা লিপ্সা পূরণে পথের কাঁটা বিবেচনায় বর্তমান আ’লীগ সরকার ব্যাবস্হাটি বিলূপ্ত করেছে। একটি সৃজনশীল গণতান্ত্রিক উদ্ভাবন গোষ্টিতন্ত্রের কায়েমীস্বার্থে মৃত্যু পথ যাত্রী। সংকটের জায়গা এখানেই। লেজুড়বৃত্তির মিডিয়া সংকটের মূল চেহারা উদঘাটনে ব্যর্থ।

বিষয়: বিবিধ

১০১০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File