হাসিনার পথে খালেদা কেন হাঁটছেন? ১০০% সুশীলদের নিয়ে অরাজনৈতিক কেয়ার টেকার কেন?
লিখেছেন লিখেছেন শিশিরবাবু ২১ অক্টোবর, ২০১৩, ১০:৫৫:০২ রাত
সময়ের সাথে অনেক বিষয়ই পরিবর্তিত হয়। যেমন এখন শেখ হাসিনা নির্দলীয় দল নিরপেক্ষ অরাজনৈতিক কেয়ার টেকার সরকার বিষয়ে এলার্জিক। অথচ এক সময়ে তিনি ঐ দাবীতে ছিলেন সহিংস যুদ্ধংদেহী। আমি মনে করি আমাদের অবশ্যই কার্যকর নিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন সরকার প্রয়োজন। কিন্ত্তু তা এক সময়ের শেখ হাসিনার পছন্দের টাইপের হতে হবে কেন? বিশেষতঃ সরকারের চরিত্র সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক হবে কেন? গত ১৫/২০ বছরে আমরা আমাদের কথিত সুশীল সমাজকেও চিনতে পেরেছি। এই বিশিষ্টজনরা গণমানসের মাটির সংষ্কৃতিকে পছন্দ করেন না, এনারা চেতনাগত দিক থেকে পাশ্চাত্যের ক্রীতদাস তুল্য। তারা রাজনীতি করেন না্, কিন্ত্তু রাজনীতির সরটুকু ঠিকই খান। এদের অবস্হানকে শক্তিশালী করার মাধ্যমে এ’দেশের কোন উপকার হবে না। খালেদা জিয়ার এক সময়ের উক্তি “পাগল আর শিশু ছাড়া নিরপেক্ষ কেউ নাই” আজ কালোর্ত্তীর্ণ মহিমায় প্রমাণিত। শেখ হাসিনাও আজ এই সত্যটুকু উপলব্ধি করেছেন। তা হলে ১০০% অরাজনৈতিক কেয়ার টেকার কেন?
আমাদের নির্বাচনকালীন তত্বাবধায়ক কেবিনেট সংসদীয় দলগুলোর মতামত এবং সরকারী ও বিরোধীপক্ষের সমঅংশীদারিত্বে ভিত্তিতে মূলতঃ রাজনৈতিক চরিত্রের হলেই ভালো হয়। প্রতিটি সংসদীয় রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণের সুযোগ থাকতে হবে। জামায়াতকে কথা বলতে দেওয়া হবে না এমন আওয়ামী আবদার মানা যাবে না। তবে সরকার প্রধাণ ও অণ্য সদস্যরা কোন দলের জাতীয় নেতা বা সংসদ সদস্য বা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন এ’রূপ হবেন না। ঐক্যমতের ভিত্তিতে বিশিষ্ট কোন জাতীয় ব্যক্তিত্বকে নির্বাচন কালীন সময়ের জন্য কেবিনেট প্রধাণ হিসাবে নির্বাচিত করা যায়। যেমন রাষ্ট্রের একজন ন্যায়পাল থাকতে পারেন, যিনি অন্তর্বতীকালীন সরকার প্রধাণ হতে পারেন।
আজকের ঘোষণায় খালেদা জিয়া এমন একটি ব্যবস্হার প্রস্তাব করলেন যা এবারকার সংকট উত্তরণে প্রচেষ্টা হতে পারে, কিন্তু আগামীবার কাজ করবে না। একই বিষয়ে সংবিধান বার বার সংশোধন মেধা ও মননশীলতার উৎকর্ষের পরিচয় বহন করে না। পরিবর্তিত পরিস্হিতিতে নূতন আংগিকে বিশেষ কোন দলীয় পরিচয়ের বাইরে এমন একটি কার্যকর নিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্হার পদ্ধতি প্রবর্তন করতে হবে যা অন্ততঃ ২০/২৫ বছর স্হায়ী হয়।
বিষয়: বিবিধ
১০৫৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন