হেফাজত ইসলামের বিরুদ্ধে মানবাধিকার বিধ্বংসী সহিংস অভিযানের যৌক্তিকতা প্রমাণে জুনায়েদ বাবুনগরীর পুলিশী রিমান্ড ও কথিত জবানবন্দী।

লিখেছেন লিখেছেন শিশিরবাবু ২৭ মে, ২০১৩, ০১:১৯:১৯ দুপুর

হেফাজত ইসলামের বিরুদ্ধে বর্তমান সরকারের মানবাধিকার বিধ্বংসী সহিংস অভিযানের যৌক্তিকতা প্রমাণের জন্য সরকার ও সরকার সমর্থকরা নানাবিধ চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। জুনায়েদ বাবুনগরীর পুলিশী রিমান্ড ও কথিত জবানবন্দী তারই একটি প্রয়াস। এর মাধ্যমে সরকার হেফাজত ইসলামের আন্দোলনকে একটি সরকার উৎখাতের বেআইনি ষড়যন্ত্র হিসাবে প্রতিপন্ন করতে চাচ্ছেন। অথচ বাস্তবতা হল সরকার ও সরকার সমর্থকদের পৃষ্ঠপোষকতায় ইসলাম বিরোধী অবাধ তৎপরতা এবং শাহবাগ এক্টিভিষ্টদের বেআইনি ও জঙ্গি কর্মকাণ্ডই হেফাজত ইসলামের আন্দোলনের সূত্রপাত ঘটায়।

হেফাজত ইসলাম প্রথমত সরকারকে ইসলাম বান্ধব হওয়ার আহবান জানিয়েছে। তারা পরিষ্কার বলেছে কাউকে ক্ষমতা থেকে নামানো বা কাউকে ক্ষমতায় যেতে সহায়তা করা তাদের লক্ষ্য নয়।

কিন্তু ৯০% মুসলিম প্রধান দেশের সরকার হয়েও তারা প্রকৃত প্রস্তাবে ইসলামের ধর্মীয় আবেদনে কোন ধরনের নমনীয়তা দেখায় নি। উল্টো বিচ্ছিন্ন ভাবে কিছু সম্পরুক দাবীর মনগড়া ব্যাখ্যা, যেমন নারীদের ঘরে আটকে রাখবে, কর্মজীবী নারীরা চাকুরী হারাবে ইত্যাদি ধুঁয়া তুলে হেফাজত ইসলামকে বিব্রত ও দমন করতে চেয়েছে।

আন্দোলনে আর্থিক সহায়তা কেবলমাত্র বি এন পি, জামায়াতরা করেছে কথাটা সর্বৈব মিথ্যা। সহজেই বোধগম্য যে সরকারী দলের লোকজন সহ নানা সূত্রেই ফান্ড যোগাড় হয়েছিল। আওয়ামী মহাজোটও হেফাজতকে একটি জামায়াত-বি এন পি বিরোধী ধর্মীয় শক্তি হিসাবে কাজে লাগাতে চেষ্টা-তদ্বির, টাকা-পয়সা খরচ সহ বিবিধ উপায় ব্যবহার করেছিল।

রাজনৈতিক টানা পোড়নের মধ্যেও নিজের মূল দাবীতেই হেফাজতরা অনড় ছিল। সরকার যখন স্বীয় স্বার্থে হেফাজত ইসলামকে কোন ভাবেই বাগে আনতে ব্যর্থ হয় তখনই প্রশাসনিক মেশিনারি প্রয়োগ করে রক্ত ও নিরীহ মানুষের প্রাণের বিনিময়ে দমন কার্যক্রম চালায়।

আমার বক্তব্য হল হেফাজতকে কেন্দ্র করে যাবতীয় ঘটনাই সরকার ও সরকার সমর্থকদের জাতিদ্রোহীতা, উগ্র ধর্ম-বিদ্বেষ, জঙ্গি কর্মকাণ্ডের ফসল। রাজনৈতিক লাভ-ক্ষতির হিসাব কষে শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথে না গিয়ে সরকার রক্তপাত ও হত্যার ঘটনা ঘটায়।

হেফাজত ইসলামীরা যে রাজপথে চাপ প্রয়োগের কৌশল অবলম্বন করে তাও সরকারের বিভ্রান্তিকর কার্যকলাপ ও মনোভাবের কারণেই হয়েছে। ৫/৬ মে এর ধ্বংসাত্মক ঘটনাবলীতেও সরকারী দলের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ ছিল। আগুন লাগার পর নিয়ন্ত্রণে আসার আগেই বহু ধ্বংসযজ্ঞ ঘটে যায়। সরকারের উচিত ছিল আগুন লাগতে না দেয়া।

বিষয়: বিবিধ

১১৬০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File