ডঃ কামাল হোসেন প্রমাণ দিলেন রাজনীতির যাত্রা মঞ্চে উনি বিবেক নন ভাঁড়ের চরিত্র।
লিখেছেন লিখেছেন শিশিরবাবু ১৬ এপ্রিল, ২০১৩, ১০:০৭:৪৬ রাত
দেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ডঃ কামাল হোসেন যখন আরও কয়েকজন বিশিষ্ট নাগরিক ব্যক্তিত্বকে সাথে নিয়ে জাতীয় ঐক্যের ডাক দেন, তখন অনেক শহুরে শিক্ষিত নাগরিক উৎসাহ বোধ করেন। আমিও একটি পোষ্টে বলতে চেয়েছি, তারা যদি দলীয় রাজনীতির ঊর্ধ্বে জাতির বিবেকের কণ্ঠস্বর হয়ে উঠতে পারেন দেশের জন্য ভাল হয়। দুঃখজনক ব্যাপার হল, যদিও অপ্রত্যাশিত বলা যাবে না, তাদের প্রয়াস অংকুরেই বিনাশ হওয়ার পথে। জাতীয় ঐক্য জাতীয় স্বার্থে ঐক্যের নামে বিভক্ত হয়ে পড়ছে। আরেকজন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব ডাঃ বি চৌধুরীকে ঐক্যের প্লাটফর্ম থেকে ডঃ কামাল হোসেন আউট করে দিয়েছেন। যতটুকু বুঝা যায় এ' বিষয়ে নূন্যতম আলাপ-আলোচনার শিষ্টাচার, গণতান্ত্রিক ভব্যতা, জাতির বৃহত্তর স্বার্থ কোন কিছুই মূল্য পায় নি। ডঃ কামাল হোসেন সম্পর্কে রাজনীতির মন্ষ্ণে অনেক কথা চালু আছে। যেমন (১) জাতির সংকটে উনি দেশে থাকেন না, বিদেশে উড়াল দেন। (২) জাতিকে সংগ্রামের ডাক দিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন নিজের পেশাগত ও ব্যক্তিগত কাজে, (৩) দেশের হাট,মাঠ, ঘাট, সাধারণ মানুষ নয়, পছন্দ করেন শীততাপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষের গোল টেবিল ইত্যাদি। সে যাই হোক, গর্ভেই ঐক্যের ভ্রূণ ধ্বংস হওয়ার কারণ হেফাজতে ইসলাম। ডঃ কামাল হোসেন শাহবাগে সংহতি জানাতে সশরীরে গিয়েছিলেন সেটা দোষের নয়। কিন্তু বিকল্পধারা রাষ্ট্রীয় মেশিনারির বেআইনি দমন-পীড়নে অসহায় বিক্ষুব্ধ ধর্মপ্রাণ নাগরিকদের পানি সরবরাহের উদ্যোগ নিয়েছিল, এটা ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ। এতে বুঝতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়, যে দল থেকে বিতাড়িত হয়েছেন তাকে পুরোপরি ভুলতে পারেন নি। আওয়ামী লীগের কষ্ট হলে আজও তিনি বিচলিত হয়ে পড়েন। এনাদের মত চরিত্র কি ভাবে জাতির বিবেক হবেন ?
ডঃ কামাল হোসেনের মত বেশ কিছু বিশিষ্ট নাগরিক ও সংগঠন এ' অভাগা দেশে আছে, যারা পেশাগত সাফল্য ও মিডিয়ার বদৌলতে টাইগার। সাধারণ মানুষ উনাদের ভয় ও সমীহ করে। যে কোন বিষয়ে উনাদের মুখ নিঃসৃত যে কোন বাণী মিডিয়া অতি মূল্যবান জ্ঞান করে সে ভাবে ট্রিটমেন্ট দেয়। কিন্তু এই এলিট গোষ্ঠী কখনই বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর বিশ্বাস,ভালবাসা, আশা-আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করে না। এরা জন বিচ্ছিন্ন, গণমুখী নয়। পশ্চিমা বিশ্বের দর্শন, মূল্যবোধ ও সংস্কৃতির অন্ধ অনুসারী। কংগ্রেসি ভারতের একনিষ্ঠ ভক্ত। কিন্তু গণতন্ত্রের ভেকধারী। সাজানো নিরপেক্ষতার মুখোশে হিসাবী পদক্ষেপে জনমানসে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে। স্বাধীন বাংলাদেশী জাতিসত্তার সংরক্ষণ ও বিকাশের স্বার্থে এদের ব্যাপারে সদা সতর্ক থাকতে হবে। এই এলিট গোষ্ঠীর একটি অংশ তাদের গুরুদের শেখান জুডিশিয়াল এক্টিভিজমের পদ্ধতিতে গত চার দশকের জনগণের অর্জন ধূলিসাৎ করে সমগ্র জাতিকে অন্ধকার কূপে নিক্ষেপ করছে। জাতিগত ভাবে আমরা যদি এই প্রাসাদ ষড়যন্ত্র প্রতিরোধ করতে না পারি, আমাদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়বে।
বিষয়: বিবিধ
১০৫৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন